![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
দাবী করা হয় যে ইসলাম স্রষ্টা প্রদত্ত একটি বিধান।যারা উহার অনুসারী তারা এটাকে স্রষ্টা প্রদত্ত বিধান হিসাবে অন্ধভাবে মেনে চলে, অথচ কুরআনে যারা অন্ধত্বের পথ অবলম্বন করে তাদেরকে নিকৃষ্টতম প্রানী বলে আখায়িত করেছে। সে যাই হোক, যখন ইসলাম যে মানবরচিত ধর্ম-এর পক্ষে প্রমান উপাস্থাপন করা হয় তখন একটি প্রশ্ন করা হয় যে ইসলাম যদি সত্য নাই-ই হয় তা হলে এর চেয়ে ভাল কোন ধর্ম আছে যা তারা পালন করতে পারবে? এ শ্রেনীর প্রশ্নকর্তাদের কাছে আমার নিম্নের প্রশ্ন:
ধরুন, আপনি বাজারে গেলেন মাছ কিনতে।কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখলেন সেখানে পচা মাছ ভিন্ন কোন মাছ নেই।কোনটি বেশি পচা আর কোনটি কম পচা। আপনি বাড়ীতে যাদের রেখে এসেছেন তাদের বিশ্বাস যে বাজারে ভাল মাছ আছে – এটা শুধু তাদের অন্ধ বিশ্বাস। তারা কখনও যাচাই করে দেখেনি যে বাজারে আসলে আদৌ কোন ভাল মাছ আছে কিনা?ভাল মাছ আছে কিনা তা জানবেই বা কি করে? বাজারে ভাল মাছ আছে কিনা তা মনের গহিনে স্থান দেয়াই মহাপাপ মনে করে, আর কেউ যদি তাদের নিবৃদ্ধিতা ধরিয়ে দিতে যায় তখন তার উপর চড়াও হও।সত্য কথা বললে তাদের দুর্বল অনুভুতিতে আঘাত লাগে।এখন আপনি নিজ চোখে দেখলেন যে বাজারে পচা বৈ ভাল মাছ নেই।এখন আপনি কি করবেন (ধরুন আপনি আর অন্য কোথায়ও ভাল মাছ পেলেন না)?
১. পচা মাছকেই ভাল মাছ বলবেন?
২. কোন একটি পচা মাছ খাবেন?
৩. কোন মাছই খাবেন না, কারন ভাল কোন মাছ নেই।
(আমি তৃতীয় পক্ষে, আপনি?)
তবে ধর্মের সাথে মাছের উদাহরনের কিছু পার্থক্য আছে। তাহল মাছ সুস্বাদু, পুষ্টিকর খাবার যা মানবদেহের জন্য প্রয়োজন, অথচ ধর্ম না থাকলে কোন ক্ষতি নেই বরং থাকলে বহুবিধ ক্ষতি আছে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: নিজের ভাল পাগল তো দুরের কথা অনেক শিক্ষিত লোকেও বোঝে না। স্বাধীনতার পক্ষে, তবে যে স্বাধীনতা মানবতার জন্য ক্ষতিকর তা অবশ্যই কেউ সমর্খন করে না বা করা উচিত না। ইয়াবা খাওয়া বা হিরোইন খাওয়ার স্বাধীনতাই হস্তক্ষেপ কেন? কারন ইহা শুধু নিজের ক্ষতি নই বরং সমাজের জন্য ক্ষতিকর, তাই নয় কি?
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: ধর্ম না থাকলে কোন ক্ষতি নেই বরং থাকলে বহুবিধ ক্ষতি আছে আপনার উপর সম্মান রেখেই বলছি আপনার কথাটা মূর্খর মতো হয়ে গেল কারণ বিশ্লেষন করছি ১। পবিত্র কুরআন বলছে যে একজন মানুষকে বিনা কারণে খুন করলো সে যেন সারা বিশ্বের মানুষকে হত্যা করল। ইসলাম না থাকলে মানুষ মানুষকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করবে না নিজের স্বার্থে। আরো অনেক বিশ্লেষন আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এই যেমন জেনা যেটা নাস্তিকরা খারাপ মনে করে না কিন্তু এটার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়ায়।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাই আপনার মত বক্তৃতা আমিও দিতাম। আপনি যা বলছেন তা প্রথম পৃষ্ঠার কথা, আপনি অপর পৃষ্ঠা এখনও দেখেননি। আমি যেহেতু বলেছি যে ধর্ম ক্ষতি করে, তার ব্যখ্যা ও প্রমান দেখানোর দায়িত্বও আমার। এর জন্য আলাদা পোষ্ট হবে।
সুর্য পূর্ব দিকে উদিত হয় এটা প্রথম পৃষ্ঠার জ্ঞান, এ কথা বেশিরভাগ মানুষকে সহজেই বুঝানো সম্ভব আসল সত্য যে সূর্য্য উদিতই হয় না বরং আমরা সরে যায় এ কথা বুঝাতে কিছু লেখা-পড়ার প্রয়োজন হয়।
ভাল থাকবেন।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
আহলান বলেছেন: জনাবের কোথায় চরম যুক্তি আছে, তবে জনাব, ব্লগে বক্তব্য দেয়া আর বাস্তবে চলা তো এক জিনিষ নয়। কোথাও সিভি জমা দিলেন, সেখানে ধর্মের কলামে কি লিখবেন? পাস্পোর্ট কর্বেন, ধর্মের কলামে কি লিখবেন? বিয়ে করবেন? কোন পরিবারের মেয়ে দেখবেন? সমাজে চলতে গেলে ধর্ম না মেনে পারা যায় না, সুতরাং আপনি ৩য় দলে কোনভাবেই থাকতে পারবেন না, থাকেনও না, হুদাই ....
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
বিশ্বাস ও চেতনাই তৃতীয় পক্ষে থাকবো আর সমাজ তো এতো সহজে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যতক্ষন সমাজ পরিবর্তিত না হবে ততক্ষন যে আনুষ্ঠানিকতা না মানলেই নয় সেগুলো মানবো। সিভিতে লেখার জন্য যে বংশে জন্মগ্রহণ করেছি সে বংশের ধর্মের নাম লিখব। এটা শুধু সামাজিকতার স্বার্থে। সমাজের বেশিরভাগ লোক যদি বলে যে গরু সিং এর উপর পৃথিবী দাড়িয়ে আছে,তাই বলে যে অন্ধভাবে আমি তাই মানব এটা তো সম্ভব না, তবে সামাজির শৃঙ্খলার স্বার্থে সাময়িকভাবে কিছু আনুষ্ঠানিকতা মানা যেতে পারে।
বাহ্যিকভাবে সাময়িকভাবে কিছু আনুষ্ঠানিকতা মানা মানেই এই নয় যে তা গ্রহণ করা।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
আহলান বলেছেন: আমিও তাই বলেছি .. অভিনয় করে যাবেন আরকি ... সেটা তো আর দোষের নয় ...
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
বিবেক ও সত্য বলেছেন: সহমত
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৬
SwornoLota বলেছেন: একজন ঘরে বসে সারা দিন ঈশ্বর পূজা করুক না, ক্ষতি কী?
আপনাকে না জ্বালালেই তো হলো।
ধর্ম যদি অন্যের রান্নায় বাগাড় দিতে না যায় তবে সেটা নিজের বেড কভারের মতই ব্যক্তিগত জিনিস। যার যে রঙ পছন্দ সে সেই রঙ নিয়ে চলবে। অন্যের ঘাড়ে না ফেললেই হলো।
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
বিবেক ও সত্য বলেছেন: হ্য, ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকলে কোন কথা ছিল না। কিন্তু ধর্ম মানুষকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত করে ফেলে। যার ফলে ধর্মীয় উম্মাদনা বহু ফেতনা ফাসাদের কারন হয়। শিয়া-শুন্নি লড়াই কত লোকের জীবন নিচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৯
SwornoLota বলেছেন: সেই হিসেবে নাস্তিক্যবাদও বেশ সমস্যা।
আসুন আসল কথা স্বীকার করি, মানুষ যখন ত্যাড়া বাঁকা ঘাড় এবং রগ নিয়ে জন্মায় অথবা বড় হয়, সে কাঁটা গাছে চুল বাঁধিয়ে হলেও ঝগড়া করবেই।
মধ্যপ্রাচ্যীয় নেতা ফেতা গুলা লোভ সংবরণ করতে পারলেই এত লোক মরত না। ধর্ম মানলে সমস্যাটা বেশ কমত বই বাড়ত না। কারণ ধর্ম ত বলে লোভ না করতে। দেশের শাসক যেন এক জনকেও ক্ষুধার্ত না রাখে সেই ব্যবস্থা করতে। ন্যায় পরায়ণ শাসকের জন্য বহুবিধ পুরষ্কারও ঘোষণা করে রেখেছে ধর্ম। কই তারা ত মানে না!
তারা সত্যিকার ভাবে সব কথা মানলে এত খুন খারাপি হয়ত হত নাহ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মানুষ ব্যক্তি স্বার্থে লড়াই করে সেটা ভিন্ন কথা। সেখানে কমপক্ষে অপরাধ বোধ কম বেশি কাজ করে।
কিন্তু আপনাকে মারলে আমার সওয়াব হবে, কারন আপনি ইসলামের শত্রু এরুপ মানসিকতা হত্যাকান্ডকে উৎসাহিত করে।
যে আইন মানুষে মানুষে বিভক্তি তৈরি করে তা কখনও কল্যানকর হতে পারে না।
নিচের লিঙ্কটি দেখুন:http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30145559
৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৪
SwornoLota বলেছেন: সারা দুনিয়ার সব মুসলিম এতো চিল্লানি দিয়াও সবার শ্রবণ শক্তির ধারে কাছে পৌঁছাতে পারতেছে না যে, কখনোই "অন্য ধর্মের লোক মারলে সওয়াব হবে" এটা ধর্মের রেজিস্টার্ড সোর্সগুলার কোথাও বলা নাই, এটা সত্য না।
মানুষ মারার জন্যে, জনসংখ্যা কমানোর জন্যে, বিরোধী পক্ষের লোক বল কমিয়ে সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট হয়ে টিকে থাকার স্বার্থে হাজারটা ইস্যু তৈরি করে দাঙ্গা বাজী এখন রাজনৈতিক ফ্যাশন। ধর্মতত্বের ধারে কাছেও যা যায় না সেটাকে কেন সবাই একই নজরে ভাবছে সবসময়, বুঝা দুষ্কর।
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২১
বিবেক ও সত্য বলেছেন: এটা সত্য।
ইসলামের নামে বহু ফেরকা আছে। আপনি হয়ত মডারেট ফের্কার মধ্যে পড়েন। আপনার ফের্কাই যে স্রষ্টার ফের্কা তার অথেনটিসিটি দেখাতে পারবেন না।
সব ফের্কাই কুরআন-হাদিসের খাটি অনুসারী হওয়ার দাবিদার। কিছু ফের্কা জঙ্গিবাদের অন্তর্ভূক্ত। "অন্য ধর্মের লোক মারলে সওয়াব হবে" ধর্মের শিক্ষা সরাসরি এভাবে হয় না, একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে হয়।
আমি বহু ফের্কার সাথে উঠা-বসা করেছি, তাদের দলিলগুলোও দেখেছি, আপনি হয়ত দেখেননি।
আর আমার দেয়া লিঙ্কটি ভাল করে দেখার অনুরোধ করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
SwornoLota বলেছেন: যাঁদের ভালো লাগেনা ধর্ম মেনে চলতে, তাঁরা ধর্ম না মেনেই নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করতে পারেন নিশ্চিন্তে। এখানে জোরপূর্বক কিছুই চাপানোর নেই। স্বাধীনতা জন্মগত অধিকার সকলের। কিন্তু যাঁরা ধর্মের বানীগুলোতে শান্তি এবং অনুপ্রেরণা পান তাঁদেরকে বিরত করবারও কিচ্ছু নেই। যার শরীর তার পচন। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে। মানুষ না বুঝলে আর কিছু করার নেই।