নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআনের সৃষ্টিকর্তার বিধান হওয়ার পক্ষে কুরআনের প্রমান ও তা খন্ডন

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

(লেখাটির উদ্দেশ্য সত্য উদ্ভাসিত করা।কেউ যদি বলে যে আমার দাবি সত্য নয়,তার দায়িত্ব প্রমান করা যে আমার কোন কথাটি কিভাবে বা কোন যুক্তির আলোকে ঠিক নয়।সঠিক যুক্তির কাছে মাথানত করাকেই আমার বিজয় মনে করি।যদি আমার যুক্তি খন্ডন করতে না পারেন, তাহলে অপ্রয়োজনীয় গালি-গালাজ করার মত হীণতা যাদের আছে তাদের প্রতি অনুরোধ এখান থেকে দূরে থাকা। উল্লেখ্য সৃষ্টিকর্তার বিধানের চ্যলেঞ্জের জবাব দেয়ার মত স্পর্ধা আমি কখনও দেখাতে পারি না, তবে মানবরচিত বিধানকে স্রষ্টার বলে চালিয়ে মানুষকে ধোকা দিলে তার জবাব দেয়া নৈতিক দায়িত্ব)
প্রথমে কিছু কথা বলে রাখা প্রয়োজন। কুরআন স্রষ্টার বানী কিনা তার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান হবে যে কুরআন প্রণেতা যেটিকে প্রমান হিসাবে দাবি করেন সেটি, অন্য প্রমান থাকলে সেগুলো হবে তার পরিপূরক।তাই আমি কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে কুরআনে দাবি করা প্রমান নিয়ে আলোচনা করেছি,কুরআনের দাবি করা প্রমানই সবচেয়ে বড় ও মুখ্য প্রমান হওয়ার কথা অথচ কুরআনের অনসরণকারীরা তাদের আলোচনায় এ প্রমানকে খুব কমই উপাস্থাপন করে থাকে এবং অন্য কিছু প্রমান আনে যার বেশিরভাগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। জন্মগতভাবে মুসলিম হওয়াই ইসলামের প্রতি অনুরাগ থাকে তার কারনে উক্ত প্রমানগুলোর সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে থাকে।
যারা আমার লেখার জবাব দিতে চান তাদের প্রতি অনুরোধ যে কুরআনের সত্যতার পক্ষে আরো প্রমান থাকলে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে,তবে তা আলাদা পোষ্টে। কারন একসাথে সবগুলো বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত করলে কোনটিই ঠিকমত আলোচিত হয় না।কুরআনের সত্যতার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান নিয়ে আমি আলোচনার সুত্রপাত করলাম। যারা জবাব দিবেন তাদেরকে এ দু’টি প্রসঙ্গের মধ্যে থাকার অনুরোধ করছি।আমার এখানে দেয়া যুক্তি খন্ডিত হলেই আমি কুরআনের পক্ষের অন্য প্রমানের ব্যপারে আলোচনায় যাবো।
আল কুরআন সৃষ্টিকর্তার বানী বলে দাবি করা হয়। এটাকে যারা সৃষ্টিকর্তার বানী হিসাবে বিশ্বাস করে তারা নিরেট উত্তারাধিকার সুত্রে পাওয়া ধর্মের প্রতি অন্ধভাবে বিশ্বাস করে থাকে।কুরআন তার সত্যতার পক্ষে মাত্র দু’ধরনের প্রমানের দাবি করে:
১. কুরআনের অনুরুপ আয়াত বা সুরা কেউ আনতে পারবে না।
২. মানবরচিত পুস্তক হলে এতে অনেক অসঙ্গতি থাকত।

কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর দূর্বলতা:
কোন সৎ সাহস নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে সে ব্যক্তি তার চ্যালেঞ্জে এর জবাব দাতাদের সাদরে গ্রহণ করবে এবং সুন্দরভাবে জবাব দেয়ার সুযোগ করে দেবে-এটাই স্বাভাবিক। আর যদি কেউ ভন্ডামিমূলক চ্যালেঞ্জ করে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি চাইবে না যে যারা চ্যালেঞ্জ এর জবাব দেয়ার যোগ্যতা রাখে তারা সর্বসম্মূখে তার চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিয়ে তার মুখোশ খুলে ফেলুক।
সে তার বোকা ও অন্ধ অনুসারীদের বোঝাবে যে তার চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করতে পারেনি, অথচ সে নিজে যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে বাধা দেয় তা তো আর তার অন্ধ অনুসারীরা জানে না। তার অন্ধ অনুসারীরা তাকে পরম শ্রদ্ধার সাথে বিশ্বাস করে, এটাই তার ভন্ডামি টিকিয়ে রাখার প্রধান পূজি।
কুরআনের অন্ধ বিশ্বাসিরা মনে করে যে কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে কেউ পারেনি, অথচ বহু লোক কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিয়েছে। যারা কুরআনের অন্ধ বিশ্বাসি তারা তো সে জবাবগুলো পড়ে দেখে না। ইসলাম ধর্মে বিশেষঞ্জ বলে যারা পরিচিত তারা কিভাবে ডাহা মিথ্যা কথা বলে যে ১৪00 বছর পার হয়ে গেল অথচ কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে কেউ পারেনি।
কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব প্রকাশ্য দিতেও কুরআনের বিশেষজ্ঞ বলে পরিচিতরা বাধা দেয়।কেউ কুরআনের চ্যলেঞ্জ এর জবাব দিতে আসলে তখন তথাকথিত কুরআন বিশেষজ্ঞরা কুরআন অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ইত্যাদি বলে চিৎকার শুরু করে।প্রায় প্রত্যেক ধর্মীয় নেতা তার অনুসারীদের ও সাধারণ মানুষদের ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে এক অরাজকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। এভাবে তারা চায় যে মানব রচিত কুরআনের আসল সত্য যাতে প্রকাশ না পায়, সত্য যেন সাধারণ মানুষের সামনে চলে না আসে, এতে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ধর্ম ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না। কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারিকে হত্যা কর,ফাসি চাই্ ইত্যাদি্ হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদেরকে দূরে রাখে ।এটাই প্রমান করে কুরআনের মিথ্যা চ্যালেঞ্জ।
কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব:
প্রথম চ্যালেঞ্জ: কুরআনের অনুরুপ আয়াত বা সুরা কেউ আনতে পারবে না
১. প্রথম কথা হল কুরআন যদি সকল মানুষের বিধান হয় তাহলে এর পক্ষে যে প্রমান থাকবে তা এত সহজ হবে যে সকল শ্রেনীর মানুষ বুঝতে পারে। উপরোল্লিখিত প্রমানদ্বয়ের একটিও সর্বসাধারনের জন্য নয়,কারন কোন কথাটি কুরআনের অনুরুপ বা অনুরুপ নয় তা একজন সাধারন অশিক্ষিত মানুষ বোঝার কথা নয়, একইভাবে একটি পুস্তকের সামগ্রিক বক্তব্য থেকে সঙ্গতিপূর্ণ কথা ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা পার্থক্য করা ও বুঝতে পারা সর্ব সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।
বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা কোন পুস্তক দিলে তার প্রমান এত জটিল কিছু দিবেন যা সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগি নয়,তা হতে পারে না, তা হতে পারে কোন বেকুফ কর্তৃক। আমার সৃষ্টিকর্তা এমন বেকুফ নন।
২. কুরআনের অনুরুপ আয়াত বলতে কি বুঝানো হয়েছে কুরআন নিজেও তা পরিস্কার করেনি। কোন লেখাকে আপনি শ্রেষ্ঠ বললে আপনাকেই বলতে হবে তা কোন কোন বৈশিষ্টের আলোকে তা অন্য থেকে শ্রেষ্ঠতর।কুরআনের কোথায়ও সে কথা পরিস্কার করে বলা হয়নি।
৩. একই লেখার মূল্যায়ন একেকজনের কাছে একেকরকম হযে থাকে।যে লেখা কোন একজন বিশেষজ্ঞের কাছে অতি উচ্চমানের তা আবার অন্য একজন বিশেষজ্ঞের কাছে তার মান সাধারণ।সুতরাং এমন কিছুকে প্রমান হিসাবে উপাস্থাপন করা উচিত নয় যা নিয়ে সাধারণত সকল মানুষ ঐক্যমতে পৌছতে পারে না।
মনে করুন কবি নজরুল দাবি করল যে তার কাছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে বাণী আসে। প্রমান হল তার কাছে যে কবিতা বা প্রবন্ধ আছে তার অনুরুপ আর কেউ রচনা করতে পারবে না।তার কবিতা বা প্রবন্ধের সাহিত্য মান, অলঙ্কার এত উচ্চে যে তার অনুরুপ কারো পক্ষে রচনা সম্ভব নয়।
অপরপক্ষে মনে করুন কবি রবিন্দ্রনাথও একই ধরনের দাবী করল।রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে আর অপরপক্ষে কাজী নজরুলের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে। উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে বিতর্ক হলে উভয় পক্ষের কাছে বিশাল যুক্তির ভান্ডার থাকে।বাস্তব সত্য কথা যেহেতু উভয়ের লেখারই সাহিত্য মান আছে, তাই উভয়ের অনুসারীদের সকল কথা ফেলে দেয়ার মত নয়।সুধী পাঠকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন যে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা যদি তাদের নিজ নিজ নেতা/কবির সাহিত্য মান নিয়ে বিতর্ক করে সেই বিতর্ক কি শেষ হওয়ার। এ ধরনের বিতর্ক কি বুদ্ধিমত্তার কাজ?
সুতরাং প্রমান হিসাবে এমন কিছুকে উপাস্থাপন করা বোকাদের দ্বারাই সম্ভব। আমার সৃষ্টিকর্তা এত বোকা নন, তাই আমি কুরআনকে স্রষ্টার বলে অন্ধভাবে মানতে পারি না।
৪. উপরোল্লিখত যুক্তিই বলে যে কুরআনের সত্যতার প্রমান হিসাবে কুরআনের অনুরুপ সুরা আনতে বলার দাবিটাই প্রমান করে যে হাজার বছর আগে রচিত কোন স্বল্প বুদ্ধির লোক কর্তৃক এমন দাবি। আজকে কেউ যদি কোন বই এনে স্রষ্টার হিসাবে মিথ্যা দাবি করে, সে প্রমান স্বরুপ কোন কিছু উপাস্থাপন করলেও কমপক্ষে এমন বোকামিমূলক দাবি না করে বরং এরচেয়েও চাতুর্যপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করতে পারবে।সুতরাং কুরআনের অনুরুপ সূরা আনার কোন প্রয়োজন নেই। তথাপিও মানসিক স্বান্তনার জন্য নিম্নে কুরআনের অনুরুপ আয়াতের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি।
যারা নিরপেক্ষ মনে বিবেচনার ক্ষমতা রাখে এবং সত্য গ্রহণে আপোষহীণ তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন যে নিম্নোক্ত দৃষ্টান্ত কুরআনের অনুরুপ হয় কিনা তা বিবেচনা করা:
কুরআনের সূরা আসর:
সময়ের/যুগের কসম। নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা ব্যতিত যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, এবং সৎ কাজ করেছে, পরস্পর পরস্পরকে সত্যের ও ধৈয্যের উপদেশ দিয়েছে।
অনুরুপ সুরার উদাহরণ:
জ্ঞানের কসম।নিশ্চয়ই রবিন্দ্রনাথের অনুসারীর বোকার স্বর্গে আছে।তবে তাদের মধ্যে থেকে তারা বাদে যারা অনুতপ্ত হয়ে নজরুলের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করল, এবং ভাল কাজ করল,পরস্পর পরস্পরকে ভাল কাজের ও রবীন্দ্রনাথের অনুসারীদের সকল সমালোচনার মোকাবেলায় এবং নজরুলের আদর্শ বাস্তবায়নের পথে ধৈর্য ধারনের উপদেশ দিল।
উপরোক্ত দৃষ্টান্তটি দিয়েছে যারা নিরপেক্ষ মনে চিন্তা করে তাদের বিবেচনার সুবিধার্থে। কেউ যদি আমার দেয়া অনুরুপ সূরার দৃষ্টান্ত নিয়ে যে কেউ বিতর্ক উথ্থাপন করলে আমি সে অর্থহীন বিতর্কে জড়াবো না। কারন আমি আগেই বলেছি যে এমন প্রমানের দাবিটিই বোকামিমূলক আর এ নিয়ে বিতর্ক করলে এক অসীম বিতর্ক হবে।
৫. আমি একটি কিছু রচনা করে দাবি করলাম যে আমার রচনার সমতুল্য আর কারো রচনা নয়, এরপর বিতর্ক ও ঝগড়া শেষে বললাম যে যারা আমার রচনাকে শ্রেষ্ঠতম মানল না তাদের কথা ঠিক নয়,তাদের যুক্তি ঠিক নয় আমার যুক্তিই ঠিক আর আমার রচনাই শ্রেষ্ঠ।এরপর প্রচার করে বেড়ালাম যে আমার রচনার শ্রেষ্ঠত্ব কেউ খন্ডন করতে পারেনি, আমার এমন দাবি দেখে বুদ্ধিমান লোকেরা দূর থেকে হাসা ছাড়া আর কি করবে বলূন?
দ্বিতীয় প্রমান: মানবরচিত পুস্তক হলে এতে অনেক অসঙ্গতি থাকত:
কুরআন দাবি করছে এতে অসঙ্গতি নেই, অথচ বাস্তবে কুরআনে বহু অসঙ্গতি রয়েছে।কযেকটি অসঙ্গতি নিম্নে তুলে ধরছি:
ক. কুরআন দাবি করছে এ পুস্তক অতি সহজ, বাস্তবে ইহা অতি সহজ নয়।অতি সহজ বলতে সর্বসাধারণ সরাসরি বুঝতে পারবে।অথচ তাফসির ছাড়া কে্উ বুঝতে পারে না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, শিক্ষিত লোকদেরই বুঝতে বেগ পেতে হয়। আল কুরআন সহজ না কঠিন
খ. কুরআন দাবি করছে এর কথা গুলো অতি সুস্পষ্ট, পরিস্কারভাবে বিশ্লেষিত। বাস্তবে এর বেশিরভাগ বিধানই অস্পষ্ট।যেমন-কুরআনে বলা হয়েছে এতে সকল কিছুর বর্ননা রয়েছে, বাস্তবে সকল কিছু বলতে কি বুঝানো হয়েছে তা পরিস্কার কর হয়নি।
গ. কুরআন নাকি মানুষের জীবন বিধান বিস্তারিতভাবে দেয়া আছে, অথচ বাস্তবে কুরআনের মাত্র ১৫% আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংক্রান্ত।


মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: পিছনে হাত দিয়া দেখেন কল্লা আছে কি নাই! ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কিছু লোক সন্ত্রাস থাকবেই, তাই বলে সত্য কথা না বলে মুখ বন্ধ করে বসে থাকবেন সেটা তো ঠিক নয়।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: আপনার এই সব পুরান প্যাচালের পূর্বে বহুবার উত্তর দেয়া হয়েছে। নতুন করে বলার অার সময় নাই।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: এ পর্যন্ত আমার একটি লেখারও কোন যুক্তি কেউ খন্ডন করতে পারেনি। দু’একজন কিছু প্রশ্ন তুললে আমি যখন জবাব দিয়েছি তারা তাতে সন্তুষ্ট হয়ে আর কোন প্রশ্ন তোলেনি। আপনি আমার একটি লেখাও দেখাতে পারবেন না যার যুক্তি খন্ডিত কেউ করতে পেরেছে।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: তাহলে তো বর্তমান জামানায় আপনি মহামানব, আপনি দেখি ভুলের উর্ধ্বে চলে গেছেন আপনার কথা অনুযায়ী, আপনাকে নোবেল দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করছি :P

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমি দাবি করিনি যে আমি ভূল করি না, তবে এ পর্যন্ত যতগুলো পোষ্ট করেছি তার কোনটি বেঠিক কথা নয়। যদি কোনটি বেঠিক হয় আপনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন যে আমার অমুক কথাটি অমুক যুক্তির আলোকে বেঠিক। আপনি ‍সুনিদিষ্টভাবে না বলে এভাবে কথা বলার মানে হয় না।
আপনি যদি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে না পারেন, তাহলে এ ধরনের মন্তব্য না করাই শ্রেয়।
ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

আরব বেদুঈন বলেছেন:
যখন আপনার পোস্টের টাইটেল দেখলাম তখন খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম আর ভাবলাম ১৪০০ বছর পর এ আবার কোন মহা উজবুক উঠে আসল যে কুরানের ভুল ধরে ফেলল কিন্ত শেষ করে দেখি একদম ফাকা মাথা!।
১ রবি ঠাকুরের কোন কবিতা কুরানের আয়াতের থকে শ্রেষ্ঠ হল মশাই?যার কাব্যেই আছে লুচ্চামি?
২ কুরানের কোন সূরার অনুরূপ একটা সূরা রচানা করে দেখানই না?সূরা টি হতে হবে কুরানের সূরার মতো এমন উপদেশ মূলক জ্ঞান পূর্ণ কথা সমৃদ্ধ যা কুরানে উল্লেখ নেই,বিজ্ঞানের মূল তত্ত্ব এবং কুরানের মতো অলংকার সমৃদ্ধ মহা কাব্যকি।যদি তালপাতার সেপাই না হয়ে থাকে সূরা তৈরি করে দেখান।(স্রষ্টার পক্ষ থেকে নির্বোধ দের বোঝানো আমাদের পবিত্র দায়িত্ত্ব)
৩ "কুরআন দাবি করছে এর কথা গুলো অতি সুস্পষ্ট, পরিস্কারভাবে বিশ্লেষিত। বাস্তবে এর বেশিরভাগ বিধানই অস্পষ্ট।যেমন-কুরআনে বলা হয়েছে এতে সকল কিছুর বর্ননা রয়েছে, বাস্তবে সকল কিছু বলতে কি বুঝানো হয়েছে তা পরিস্কার কর হয়নি"
কোন কথাগুলো অস্পষ্ট রেফারেন্স দিন তো দাদা?
৪ "কুরআন নাকি মানুষের জীবন বিধান বিস্তারিতভাবে দেয়া আছে, অথচ বাস্তবে কুরআনের মাত্র ১৫% আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংক্রান্ত" এর থেকে বিনোদন মূলক কথা আর আপনার পোস্টে নেই ভাই।কোন গুলো বাস্তবে কুরআনের মাত্র ১৫% আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংক্রান্ত?রেফারেন্স দিন তো একটু দেহি? না আপনার ব্যপারটা এই গল্পের মতো "আফিসে এক লোক তার বসের কাছে গিয়ে বলল ছুটি লাগবে তো বস রেগে দিয়ে এক মুঠ ধূলো আনিয়ে বলল এই ধূলোর বালু কনা গুলর সংখ্যা গুনে দিতে পারলে ছুটঈ! ব্যাটা বুদ্ধিমান ছিল ওমনি আনুমানিক সংখ্যা দিয়ে বলল এত সংখ্যক ধূলি কণা আছে!!'' হাহাহা।
৫ আর কে বলছে কুরানের কথা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না? যারা নাম মাত্র মুসলিম আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থ পড়ে না তাদের কথা আলাদা।আর আলাদা আপনাদের মতো সত্য বিমুখ লোকেদের কথা যারা কুরানে অসংখ্য বিজ্ঞান মূল আয়াত দেখার পরও তা থেকে মুখ ফিয়ে নেই।আপনারা বলেন মুহাম্মদ সাঃ নাকি কুরান বানিয়ে লিখেছে (নাউজুবিল্লাহে মীণ জালেক)!!মুহাম্মাদের ক্ষমতা আছে যে চাদের নিজেস্ব আলো নেই ,সমুদ্রের গভীরে আন্ধোকার,মহাবিস্ফোরুণের ফলে এই পৃথিবী সৃষ্টি,আকাশে ওজন স্তর আছে? শিশুর ভ্রুনেড় গঠন?সূর্য নিজ আক্ষে ঘূর্নয়মান?মানুষ বৃদ্ধ হয়ে গেলে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে????এই কথা মুহাম্মদ সাঃ লিখেছে?কত বড় আপনারা মিথ্যাবাদি?আমার আল্লাহর নামে তার রাসূলের নামে মিথ্যা আরোপ করেন?একটুও লজ্জা করেনা এত সত্য দেখার পরও যেগুলো দিয়ে মিথ্যা যুক্ত দেও্যা যাবে সেগুলো ছাড়া পোস্ট দেন না?কাবার প্রভুর কসম আপনাদের মতো বড় মিথ্যাবাদি আর কেউ নেই।আলহামদুলিল্লাহ আমি মুসলিম আমি মুহাম্মাওদের( সাঃ)উম্মত।আল্লাহ যদি আপনাদের মতো মিথ্যাবাদি করে দিত নাজানি কত বড় বেঈমান হতাম।

আপনার লেখাই না আছে রেফারেন্স না আছে যুক্ত।এমন সব যুক্ত আছে যা কুরানের সাধারন জ্ঞান যাদের মধ্যে বিদ্যমান ত্যারাও খন্ডন করতে পারবে।আরো ভাল করে পড়ে আসুন মশাই এবং আরো কনফিউজড কর কিছু লিখুন যাতে কিছু নির্বোধ কে দলে ভেড়াতে পারেন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: প্রথমে বলে নেই যে আপনার লক্ষ্যই যদি থাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা, সত্য অন্বেষণ নয় তাহলে আমার সাথে কথা না বললেও চলবে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যা সত্য, সঠিক ও শ্রেষ্ঠ তাইই যারা গ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য আমার লেখা।
ভাই ১৪০০ বছর পর আমি একা ভূল ধরেছি, একথা তো ঠিক নয়। আপনি ৩ =৮ বললেন আর কেউ যখন ভূল ধরল তখন আপনি চোটে গেলেন, আর নিজেকে দাবি করলেন আপনি শ্রেষ্ঠ ম্যথ পারেন, আপনার সাথে যারা আপনার অন্ধ অনুসারী তারা সমস্বরে বলে উঠল আপনার ম্যথই শ্রেষ্ঠ, দুনিয়া জুড়ে প্রচার করলেন আপনার নিখুত ম্যথ কেউ ভূল ধরতে পারে না, অথচ আসল সত্য আপনি ভূল ধরতে দেন না, ভূল ধরতে আসলে গালি-গালাজ শুরু করেন।
১। আপনি কি আমার এ প্রাথমিক যুক্তি কি লক্ষ করেননি?
’কুরআন যদি সকল মানুষের বিধান হয় তাহলে এর পক্ষে যে প্রমান থাকবে তা এত সহজ হবে যে সকল শ্রেনীর মানুষ বুঝতে পারে। উপরোল্লিখিত প্রমানদ্বয়ের একটিও সর্বসাধারনের জন্য নয়,কারন কোন কথাটি কুরআনের অনুরুপ হয় বা না হয় তা একজন সাধারন অশিক্ষিত মানুষ বোঝার কথা নয়, একইভাবে একটি পুস্তকের সামগ্রিক বক্তব্য থেকে সঙ্গতিপূর্ণ কথা ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা পার্থক্য করা ও বুঝতে পারা সর্ব সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।
বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা কোন পুস্তক দিলে তার প্রমান এত জটিল কিছু দিবেন যা সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগি নয়,তা হতে পারে না, তা হতে পারে কোন বেকুফ কর্তৃক। আমার সৃষ্টিকর্তা এমন বেকুফ নন। ’

ভাই ১৪০০ বছর পর আমি একা ভূল ধরেছি, একথা তো ঠিক নয়। আপনি ৩ =৮ বললেন আর কেউ যখন ভূল ধরল তখন আপনি চোটে গেলেন, আর নিজেকে দাবি করলেন আপনি শ্রেষ্ঠ ম্যথ পারেন, আপনার সাথে যারা আপনার অন্ধ অনুসারী তারা সমস্বরে বলে উঠল আপনার ম্যথই শ্রেষ্ঠ, দুনিয়া জুড়ে প্রচার করলেন আপনার নিখুত ম্যথ কেউ ভূল ধরতে পারে না, অথচ আসল সত্য আপনি ভূল ধরতে দেন না, ভূল ধরতে আসলে গালি-গালাজ শুরু করেন।
১। রবিন্দ্রনাথের কবিতার কথা আমি উদাহরণস্বরুপ বলেছি। আপনি রবিন্দ্রনাথের সব কবিতায় লুচ্চামি দেখতে পেয়েছেন। ধরে নিলাম তার সব কবিতায় লুচচামি। কবি কি রবিন্দ্রনাথ একা। বহু কবি রয়েছেন যারা বহু উপদেশমূলক জ্ঞানগর্ভ কবিতা লিখেছেন। আপনি তাদের কবিতার সাথে তুলনা করেন।
২। অনুরুপ সুরা বলতে আপনি যা বুঝেছেন তা হল: ক) উপদেশ মূলক জ্ঞান পূর্ণ কথা সমৃদ্ধ যা কুরানে উল্লেখ নেই খ. বিজ্ঞানের মূল তত্ত্ব গ) কুরানের মতো অলংকার সমৃদ্ধ মহা কাব্যিক
আমার প্রশ্ন হল-কুরআনের সকল আয়াত কি উপদেশ মূলক? কুরআনের সকল আয়াতে কি বিজ্ঞানের মূল তত্ত্ব? কুরআনের সকল আয়াত কি কাব্যিক?
দৃষ্টান্ত স্বরুপ কুরআন থেকে সুরা আসর দেখুন: সময়/কালের শপথ-নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত/তবে যারা ঈমানে এনেছে, সৎ কাজ করেছে এবং পরস্পর সত্য ও ধৈর্য্যের উপদেশ দিয়েছে তারা বাদে।
উপরোক্ত সুরাতে কয়েকটি উপদেশ ছাড়া আর কি আছে? উপরোক্ত সুরার সারকথা হল যারা কুরআনে বিশ্বাস করে ভাল কাজ করে এবং ধৈর্য্য ধরেছে তারা বাদে বাকি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।
একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীও তো এভাবে বলতে পারে যে, যারা খাটি হিন্দু হয়ে সৎ কাজ করল এবং ধৈর্য্য ধরে খাটি হিন্দু হয়ে থাকল তারা বাদের পৃথিবীর বাকি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।
৩। অস্পষ্টতা বলতে কি বুঝানো হয়েছে আপনি হয়ত বোঝেননি। বিস্তারিত দেখুন:http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30145559
৪। আমি বলেছি কুরআনের মাত্র ১৫% আয়াতে আইন-কানুন এর বর্ণণা বাকি আয়াতে বিষয়বস্তু অন্যান্য । বিস্তারিত দেখুন:http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30145827
৫। সাধারণ মানুষ বোঝে কিনা তার প্রমানের জন্য আমাকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই। সরল অনুবাদ সহ এক কপি কুরআন একজন রিক্সা চালকের হাতে দিয়ে তারপর কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর তাকে জিজ্ঞাসা করুন সে কি বুঝল? দেখবেন কত সুন্দর ব্যখ্যা আপনাকে দিবে।
তখন আপনি তাকে তাফসির পড়তে নিশ্চয়ই উপদেশ দিবেন, হুজুরের কাছে যেতে বলবেন এবং আরো কত কি?
কুরআনে বিজ্ঞানের মূল তত্ত্ব তো দূরের কথা, বরং বিজ্ঞান বিরোধী বহু কথা রয়েছে। যে কথাগুলোকে যেভাবে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে বিজ্ঞানের কথা বলে প্রচার করা হয় সেগুলোই মূলত বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক কথা। ওভাবে ব্যখ্যা দিলে পৃথিবীর সব ধর্মেই বিজ্ঞানের কথা প্রমান করে। খ্রিষ্টানরাও ওভাবে মিলাচ্ছে, হিন্দুরাও ওভাবে মিলাচ্ছে। আপনি যদি ‍সুনির্দিষ্টভাবে ব্যখ্যা চান তা আমি দিতে পারবো । তবে তার জন্য আলাদা পোষ্টের প্রয়োজন আছে,কারন বিষয়টি অনেক ব্যপক। যেহেতু কুরআন তার সত্যতার পক্ষে আমার উল্লেখিত দু’টি প্রমানই দাবি করছে, তাই এ দু’টি বিষয়ই আমার আপাতত আলোচ্য বিষয়।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সব জান্তা বলেছেন: ধন্যবাদ। আরব বেদুইন ভাইকে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: আরব বেদুঈন, আমার কেনো জানি সন্দেহ হয় আইন্সতাইনও অহি পেতো।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৯

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: একাই একশো পবিত্র কুরআনের চেয়ে ভাল বই তুমি লিখতে পারো বলে গরু তোমাদের মা, আর নিজের তৈরী মূর্তি পূজা কর নিজের সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১২

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: কিন্তু মুসলিমরা নিজের তৈরী গ্রন্থ তোমাদের মতো লিখে না বলে সৃষ্টিকর্তার মননীত ধর্মই পালন করে।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30145512|view this link
[link||http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30141663]
view this link

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: এটাকে যারা সৃষ্টিকর্তার বানী হিসাবে বিশ্বাস করে তারা নিরেট উত্তারাধিকার সুত্রে পাওয়া ধর্মের প্রতি অন্ধভাবে বিশ্বাস করে থাকে।-----এই কথাটি সত্যি নয়। অনেক মানুষই আছে যাদের পিতা-মাতারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয়, ইসলাম ধর্ম কখনো পালনও করেনি তবু সন্তানেরা বেশ ধার্মিক।এমন দু একজনকে দেখেছি যারা উত্তারাধিকার সুত্রে অন্য ধর্মাবলম্বির কিন্তু ইসলামের সংস্পর্সে এসে ইসলামকে ধর্ম হিসাবে গ্রহন করেছে। আসলে এখনকার বেশিরভাগ মানুষেরই চিন্তা করার ক্ষমতা আছে। কারো বলা কথার উপরে কেউ কিছু বিশ্বাস করে বসে থাকে না।নিজের সর্বোচ্চ জ্ঞানবুদ্ধি প্রয়োগ করেই সে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সে ধার্মিক হবে, কি হবে না। ধর্মের উপর আস্হা আনাটা এত সহজ নয় যে, পিতা মাতা পালন করতে বললেই গড়গড় করে পালন করতে শুরু করবে। বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাসি হয় সম্পূর্ন নিজস্ব উপলব্ধি থেকে।আপনার দৃষ্টিতে তারা ভুল পথে থাকলেও তারা কিন্তু তাদের নিজের পথ নিজেই বেছে নিয়েছে নিজের বিচার বুদ্ধির উপর নির্ভর করেই।সবাইকে অন্ধ, অজ্ঞ ভাবা ঠিক নয়।নাস্তিক হওয়ার জন্য যেমন নিরন্তন সাধনার প্রোয়জন,আস্তিক হওয়ার জন্যও তেমন নিরন্তন সত্যের সাধনা চালিয়ে যেতে হয়। কেউ ধর্মকে সত্য বলে খুঁজে পায় কেউ পায় না।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সবার আগে বলবো আপনার মন্তব্যটি চমৎকার। আপনার কথার সাথে আংশিকভাবে একমত। অর্থ্যাৎ আপনার কথার কিছু অংশ ঠিক, আর কিছু অংশ ভূল। আপনার কথার কতটুকু অংশ কোন যুক্তিতে ভূল তা এখন দিচ্ছি না, পরে দিব। শুধু এটুকু বলবো যে পৃথিবীর ধর্মপালনকারীদের প্রায় ৯০% লোক তার ধর্ম অন্ধভাবেই পালন করে। আমি অনেক ব্লগারকে এখানে দেখেছি যে তারা ইসলামের পক্ষে কথা ঠিকই বলে তবে যুক্তিকে সম্মান করে। এ সকল লোকদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা চলে, এবং এরা সত্যর কাছে মাথা নত করবে যখন সত্য তাদের কাছে উদ্ভাসিত হয়।
আপনারকে নিম্নের লিঙ্কটি দেখার অনুরোধ করছি:
http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30141663

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার কাছে একটা সমস্যার সমাধান জানতে চাচ্ছি -

ধরুন কোন ভাবে একটা মাছি একটা হাতির পিঠে বসার সুযোগ পেল।
আর সুযোগ পেয়েই সে চিৎকার করে বলতে লাগল 'দেখ দেখ হাতিটা কি দুর্বল, আমার পায়ের নিচে পরে আছে'।
কেউ আপত্তি করলেই সে বলছে - পারলে আমার দাবি খন্ডন করে দেখাও হাতিটা আমার পায়ের নিচে নাই।
এখন এই মাছিকে কিভাবে প্রকৃত অবস্থা বুঝাবেন? যখন সে নিজের চোখে দেখছে হাতিটা তার পায়ের নিচেই আছে তখন তাকে প্রকৃত অবস্থাটা কিভাবে বুঝান সম্ভব?

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই বুঝাতে চেয়েছেন যে কুরআন এর প্রমান এতই বড় ও কঠিন যা সবার বোঝার কথা নয়। যদি তাইই আপনি বোঝাতে চান তাহলে আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করছি।
আমি একটি বই এনে বললাম এটা স্রষ্টার কথার বই, আপনি নিশ্চয়ই প্রমান চাইবেন,নয় কি? আমি যদি বলি প্রমান এতই কঠিন ও জটিল যা আপনার সাধারণ জ্ঞানে ধরবে না, আপনার দায়িত্ব শুধু বিশ্বাস করা, আপনি কি আমার কথা মেনে নিয়ে আমার হাতের বইকে স্রষ্টার বই হিসাবে বিশ্বাস শুরু করবেন?
প্রমান নিশ্চয়ই এমন হতে হবে যা আপনার কাছে সহজে বোধগম্য, আপনার কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য হলেই আপনি আমার কাথে মানবেন, নয়ত প্রত্যখ্যান করবেন, নয় কি?

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

আরব বেদুঈন বলেছেন: মুসলিমরা ৩=৮ অর্থাৎ কুরান নিয়ে ভুল কবে বলল ভাই? আর জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টাই বা কবে করল?এই কথা তো আপনাদের মত গুটি কয়েক ইসলাম বিদ্বেষীদদের জন্য যারা যারা সকল ধর্মের ভুল ধরে বেড়াই কিন্তু জনসমক্ষে না ব্লগে তাও আবার শেয়ালের মতো ভেড়ার চামড়া জড়িয়ে অর্থাৎ ফেইক নেইমে।আর নিজেদের চ্যালা প্যালা নিয়ে জন সমর্থনের চেষ্টা করেন।
আমরা যারা মুসলিম কুরানের বিজ্ঞানময়তা নিয়ে এত লাফাই না যতটা আপনারা মিথ্যা কথা ছাড়ান কুরানের বিরুদ্ধে।এ থেকেই প্রমাণিত হই কারা ৩=৮ বলে!
আবার ব্লগে আপনাদের মতো এই মহাজ্ঞানীরা বলে সত্যের জন্য জান দিতেও প্রস্তুত,শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশে থাকব ইত্যাদি কিন্ত বাস্তবে উল্টো দেখি ফেইক নামে ইসলাম কে গালি দেন আর যখন পিঠে মার পড়ে তখন কে আগে পালাতে পারে তার প্রতিযোগিতা শুরু হই।

১.এখন রিবি ঠাকুরের লুচ্চামির কথা তুলছি এখন আবার বলছেন সব কবিতা না!আপনি তো তাকে রোল মডেল হিসেবে উদাহরণ দিয়েছেন! তার রচিত চিত্রাঙ্গদা নিশ্চয় খুব শালীন আর নির্ভুল কবিতা কি বলেন?যাকে নিয়ে কুরানের সাথে তুলনা করেছেন?লজ্জাজনক!
২.ভাই অনূরুপ সূরা বলতে আমি যা বুঝিয়েছি তা আপনার বোধগম্য হই নি বলে দুঃখিত।
আল্লাহ বলেন : ‘আমি আমার বান্দার প্রতি যা নাজিল করেছি, এ বিষয়ে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে, তাহলে এর মতো একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আস। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাহায্যকারীদেরকেও সাথে নাও- যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। আর যদি তা না পার,অবশ্য তোমরা তা কখনও পারবে না, তাহলে, সে দোজখের আগুন থেকে পানা চাও, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। সূরা বাকারা : ২৩-২৪।
আপনাকে এত বোঝার জন্য কষ্ট করতে হবে না সূরা বলতে কুরানের সব সূরা কেই বুঝতে হবে না আপনি শুধু ঐ কথাটা যে সূরাই উল্লেখ আছে সেটির অনুরূপ সূরাই রচনা করে দেখান যদি সত্যবাদি হয়ে থাকেন।আর বলাবাহুল্য সূরা বাকারাই আমার উল্লেখিত সব গুলোই আছে।তো শুরু করে দিন সূরা বাকারার কপি লিখতে...আপেক্ষায় রইলাম না।

আপনি সূরা আছরের মতো এত জ্ঞান পূর্ণ আর অলংকার সমৃদ্ধ সূরার কিছুই বোঝেন নি আবার বললেন সেখানে জ্ঞানের কথাও উল্লেখ নেই?কোন অলংকার নেই নেই কোন কবিতার কাব্যময়তা??????
দুঃখজনক। এখানে মানুষকে সময় সম্পর্কে সচেতন করেছেন আল্লাহ।যাতে মানুষ তার সময় কে কাজে লাগাতে পারে।ছোট বেলাই আপনিও পড়ে এসেছেন সময়ের মূল্য।ভুলে গেছেন বুঝি?? এই সময় যা সম্পর্কে আমার প্রভু মানুষ কে সচেতন করেছে সময় কে কাজে লাগিয়ে ভাল কাজ করতে বলেছে।এটা আপনিও পড়ে এসেছেন কিন্ত যখন এটা আল্লাহ বলছে তখন ওমনি বলে দিলেন কোন উপদদেশ নেই!!!!!
দুঃখজনক। "কেউ সত্য দেখার পরও যখন মুখ ফিরিয়ে নেই আল্লাহ তার অন্তরে মহর মেরে দেন" সত্য তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি।


আপনার মনে করেন বরবর এমন কিছু আইন এবং আরো কিছু নীতিমূলক আইনঃ
১.জ্বেনা কারিকে পাথর মেরে হত্যা।
উদাহরণঃমনে করুন আপনার মা কারো সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছে আপনার সামনে।এখন এই কাজের কি বিচার হবে?আপনার বাবা এর কি বিচার চাইবে?আপনি ছেলে হিসেবে বিচার চাইবেন? বলবেন যে আমার মা এটা করতেই পারে এটা তার অধিকার?
২.ধর্ষণ কারিকে হত্যা করা।ধরুন আপনার মা বা বোন কে এক লোক ধর্ষণ করেছে। এখন আপনি কি বিচার চাইবেন? মানবতাবাদী হয়ে জেল জরিমানা? আজীবন কারাদণ্ড না নিষ্ঠুর হয়ে মৃত্যু দন্ড চাইবেন?
৩.সমকামী কে হত্যা করাঃধরুন আপনার বাবা আপনার এক বন্ধুর সাথে সমকামী তাই লিপ্ত তো আপনি এটা দেখে কি বলবেন? মৃত্যু না ক্ষমা?
৪.ইসলামে আছে মায়ের সাথে,বোনের সাথে, খালা,ফুফু,দাদী এদের সাথে বিয়ে হারাম।এবার এক পাশে রাখলাম ইসলাম কে।এবার শুরু করুন উল্লেখিত মহিলাদের সাথে...?

এখন আপনি এ ককথা বলবেন না যে উক্ত আইন গুলো ১৫% এর মধ্যে আছে! কজ আপনি আপনার মা বাবার কাছ থেকে যে মূল্যবোধ শিখেছেন তাদের সম্মান করা, তাদের শ্রদ্ধা করা।এই মূল্যবোধ গুলো তো আপনার ধার্মিক বাবা-মা বা ততার বাবা মামা ধর্ম থেকে শিখে আপনাকে শিখিয়েছ।তাহলে ধর্ম থেকে ধার করা এই বিষয় গুলো কেন আপনি নেবেন?
আপনার বউ এর বা মায়ের কোটি টাকার ডাউমন্ড চুরি করে চোর তা হারিয়ে ফেলল বা খরচ করে ফেলল।এবার উক্ত চোর কে ধরতে পারলে আপনি কি বিচার চাইবেন?মনে ককরুন উক্ত চোরের পক্ষে ঐ হীরার দাম দেবার সমর্থ নেই,সে খুব গরীব তাহলে তার হাত কাটতে চাইবেন না মাফ করে দেবেন যেহেতু আপনারা খুবই মানবতাবাদী?
ঝটপট উত্তর দিয়ে যান দাদা।

আমাকে খারাপ ভাববেন না উদাহরণ গুলো আপনাকে দিয়ে দিলাম যাতে মহান আল্লাহর আইন কত মহান তা বুঝতে পারেন।আর এই কথার জবাব দিয়ে জাবেন।আরো বহু আইন(বর্বর আইন) আছে যার উদাহরণ দিলে ব্লক করে দেবেন আপাতত এটকুই।


"কুরআনে বিজ্ঞানের মূল তত্ত্ব তো দূরের কথা, বরং বিজ্ঞান বিরোধী বহু কথা রয়েছে। যে কথাগুলোকে যেভাবে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে বিজ্ঞানের কথা বলে প্রচার করা হয় সেগুলোই মূলত বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক কথা"
তাই নাকি নিচে কিছু কুরানের আয়াতের উদাহরণ দিলাম ১৪০০ বছর আগে কিভাবে সেগুলো লিখা সম্বভ হল তা জবাব দিয়ে যাবেন।আর হ্যা আর আমি আপনাদের কুরান নয়ে মিথ্যা যুক্তি গুলো পড়ে দেখেছি দয়া করে লিংক দেবেন না।

"ওভাবে ব্যখ্যা দিলে পৃথিবীর সব ধর্মেই বিজ্ঞানের কথা প্রমান করে। খ্রিষ্টানরাও ওভাবে মিলাচ্ছে, হিন্দুরাও ওভাবে মিলাচ্ছে" ওমা তাই নিক্কি!তাই নিক্কি!! খ্রিস্টান রাও মিলাচ্ছে? উদাহরণ দিত তো ভাই তাদের কোন বিজ্ঞানময় কথা তারা মিলাচ্ছে? হিন্দুরাও??? হাহাহা হিন্দুদের ধর্ম গ্রন্থ তো বেশ্যাবৃত্তি নিয়েই ব্যস্ত সেখানে কোথায় বিজ্ঞানের কথা লিখা? রেফারেন্স দিন।আন্দাজে ঘোড়া পার করলে হবে?

১.কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? (সূরা আম্বীতাঃ৩০)
২.তার পর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা কিছু ধূঁম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবী বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল আমরা সেচ্ছায় আসলাম। - সূরা হা-মীম সাজদাহ-১১
৩.“কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমণ্ডলকে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র।”- সূরা ফুরকান-৬১

১৪০০ বছর আগে একজন মরুভূমির বেদুঈনের পক্ষে কিভাবে সম্ভব হল মহাকাশ নিয়ে এই মহাসত্য তুলে ধরা আমাকে জবাব দিয়ে যাবেন। নতুবা আমি আপনার সাথে প্যাঁচাল পেড়ে টাইম ওয়েস্ট করার পক্ষপাতী না।


"কুরানে বলা হয়েছে এর ভাষা সহজ সরল" এর ভাষা তো সহজ সরলই।এর সব কথাই মানুষ বুঝতে পারে রের মধ্যে খুব কম কথাই আছে যেগুলো মাণুষ পড়ে বুঝতে পারে যার জন্য আলেমদের কাছে যাওয়া লাগে।কোথাই বলা হয়েছে যে মানুষ কুরানের ১০০% বুঝবে? এখানে কুরানের ভাষা আরবির কথাও বলা হয়েছেও যা শেখা খুবই সহজ ।অন্যান্য যেকোন ভাষার চেয়ে সহজ।উক্ত আয়াতের আরো ব্যাখ্যা দেওয়া যায় তা হল যে আমরা যেমন বলি অমুক স্যার ভাল লেকচার দেই তার কথা গুলো বোঝা সহজে বোঝা যায়।তো এই কথার মানে কি এই যে উক্ত স্যারের লেকচারের সব কথাই বোঝা যায়?এর মানে অধিকাংশই বোঝা যায় যেগুলো বোঝা যায় না সহযে সেগুলোর জন্য স্যার কে প্রশ্ন করলেই হল যেমন আমরা করি আলেমদের।
এবার আসি রিক্সাওয়ালা কে নিয়ে আমি তো কখনওই দেখি নি কোন রিক্সাওয়ালা কুরান বুঝে না।আমি বুঝালেই তো দেখি বোঝে এ জন্য তাফসীর পড়ার কথা বলব কেন আর যদি সে পড়াই না জানে তাহলে পড়বে কিভাবে?তাদের কুরানের আয়াত শুনিয়ে উপদেশদিলে তারা বরণং নত হই আর বলে মামা জানি কিন্ত কাজকর্মের চাপে পালন করতে পারি না।আর তাকে সব আয়াত বুঝতে হলে তাকে অবশ্যই কুরান নিয়ে বসতে হবের। আর আল্লাহ অধিকাংশ বিজ্ঞান ময় আয়াতে বলেছেন "এর মধ্যে জ্ঞানিদের জন্য আছে কল্যান"।বুঝেও না বোঝার ভান করেন তো আপনারা। যেসব আয়াত গুলোর মিথ্যা ব্যাখা করা যাবে সেগুলো নিয়েই প্যাচাল পাড়েন।যেমন আল্লাহ পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ যাতে হেলে না পড়ে সেজন্য পাহাড় কে প্রতিস্থাপন করেছেন পেরেজ স্বরুপ" আপনাদের আলগামনা লোকেরা এর অর্থ ধরে নিয়েছে আল্লাহ পৃথিবীকে স্থির স্বরুপ রাখার জন্য পাহাড় কে স্থাপন করেছে পেরেক স্বরুপ!!!হাহাহা
আবার জুলকার নায়িনের সেই পঙ্কিল জলাসয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া নিয়ে লিখেছে হাস্যকর কথা।ওরা তো আরবিই পড়া জানে না অর্থ বুঝবে কি? আমি দেখি এই আয়াত নিয়ে সেই সব লোক তর্ক করে যাদের মাতৃভাষা আরবি না।যাদের আরবি ব্যাকরণ এর জ্ঞান নেই অথচ বহু আরবি নাস্তিক আছে তাদের ব্লগও আছে তারা কিন্তু এই আয়াত নিয়ে তর্ক করে না।

আর হ্যা আপনার সাথে আমার কথা কয়েকটি বিষয়ের জবাব দেওয়া নিয়ে
১.উক্ত সূরার মত সূরা লিখতে হবে
২.উক্ত আয়াত গুলো ১৪০০ বছর আগে কিভাবে লিখা হল সঠিক কারণ দর্শাবেন। কল্পনা করে না।
৩.হিন্দু খ্রিষ্টান রা তাদের ধর্মিয় গ্রন্থের কোন আয়াত গুলো বিজ্ঞানসম্মত বলে গোঁজামিল দিচ্ছে রেফান্স সহকারে।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
আপনি লিখেছেন আমি নাকি মিথ্যা কথা বলেছি। আমি আমার কথার পক্ষে যুক্তি দিয়েছি। আপনি বড়জোর বলতে পারেন আপনার দৃষ্টিতে আমার কথাগুলো অযৌক্তিক। আপনার দৃষ্টিতে যা অযৌক্তিক তা অন্যর দৃষ্টিতে যৌক্তিক হতে পারে আবার আমার দৃষ্টিতে যা অযৌক্তিক তাও আবার অন্যর ‍দৃষ্টিতে যৌক্তিক হতে পারে। আপনি যদি আমার যু্ক্তি দেয়াকে মিথ্যা কথা বলেন তাহলে আমিও বলতে পারি আপনি মিথ্যা ছড়াচ্ছেন। তবে ঝগড়া করার মত হীন মন-মানসিকতা আমার নেই, আমি সুন্দর পরিবেশে সুন্দর মনের মানুষের সাথে বিতর্ক করতে ভালবাসি।
আমার দৃষ্টিভঙ্গি ও বিতর্ক করার পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নের লিঙ্কগুলো দেখার অনুরোধ করছি, আপনি একমত হলে আমি আপনার সব কথার উত্তর দিব।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।
আমার সমালোচনাকারীরা আমার বন্ধু, কিন্তু ------

আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মুল্যবোধ,কৃষ্টি-কালচারের অধিকারী। আপনিও কি?
আপনি যদি আপনার সমালোচককে অপছন্দ করেন ------------
আপনি যদি কাউকে চরম হাদারাম বানাতে চান-------

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি স্বাক্ষ্য দিতেছি যে, নিশ্চই ধর্মগ্রন্থগুলো মানুষ্য রচিত আর এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ এবং স্বংশয় নেই।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আচ্ছা অন্যসব অর্থ আপাতত বাদ দিয়ে আমরা যদি সরাসরি সমস্যাটাই দেখি তাহলেইবা সমাধান কী হবে?
মাছিটাতো নিজের চোখেই দেখছে যে হাতিটা তার পায়ের তলায় পরে আছে, তাহলে সে কীভাবে মানবে যে হাতির তুলনায় তার অবস্থান কোথায়?
আপনার কোন ধারনা আছে??

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: চোখে যিনি লাল রঙের চশমা পরেছেন তিনি কি করে বিশ্বকে সঠিক রঙে দেখবে?
আপনার মন্তব্য দৃষ্টান্ত দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি। আমি যা বুঝেছি সে আলোকে উত্তর দিয়েছি । আমার জবাব যথার্থ না হলে আপনি সুনির্দিষ্টভাবে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারেন। তা না করে একই কথা বার বার আউড়ানোর অর্থ কী হয়?

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: একই প্রশ্ন আউড়ানোর অর্থ হচ্ছে এই সমস্যার গুরুত্ব বুঝান এবং জেনে নেয়া যে আসলেই এর কোন সমাধান আছে কী না। এবং আপনি সঠিক বলেছেন : "চোখে যিনি লাল রঙের চশমা পরেছেন তিনি কি করে বিশ্বকে সঠিক রঙে দেখবে?"

হ্যা ঐ মাছির পক্ষে তার অবস্থানে অটল থেকে কোন দিনও প্রকৃত অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়। যদি সে সত্যিই প্রকৃত অবস্থা জানতে চায় তাহলে (১) তাকে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে মুক্ত মনে দেখার চেস্টা করতে হবে যে আসলেই সে কিসের উপর বসে আছে। অথবা (২) এমন কাউকে বিশ্বাস করতে হবে যে হাতি সম্পর্কে ভাল জানে। যদি এই দুটির কোনটা না করে নিজের বিশ্বাস জ্ঞান বুদ্ধি ও যুক্তির উপর সে অটল থাকে তাহলে দুনিয়ার কার পক্ষেই তাকে বুঝান সম্ভব নয় - কারন সেতো নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছে যে হাতিটা তার পায়ের তলায় পরে আছে।

এই বিষয়ের দৃস্টান্ত স্থাপিত হয়েছে সৃস্টির শুরুতে। ইবলিসকে যখন আদেশ করা হল আদমকে সিজদা করার জন্য তখন সে যুক্তি দিয়েছিল যে মাটির তৈরী আদমের চেয়ে আগুনের তৈরি জ্বিন শক্তিসালী তাই তার পক্ষে সেজদা করা সম্ভব নয়। তার যুক্তি কি ভুল ছিল? মোটেই না - তার অবস্থান থেকে সেটাই ছিল সঠিক যুক্তি। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত তাকে অভিশপ্ত শয়তানে পরিনত করেছে। সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ পেয়েও সে তার জ্ঞান বুদ্ধি যুক্তির গন্ডি অতিক্রম করতে পারে নাই। আপনি মানুষ হিসেবেতো তার থেকেও উন্নত আপনি যদি ঐভাবে সুদৃঢ় হন - তাহলে কে আপনাকে বুঝাবে?

আল্লাহ চাইলে এমন ব্যাবস্থা সহজেই করতে পারতেন যাতে সবাই ইমানদার হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা হল মানুষকে সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করা। সে জন্যই ব্যাবস্থাটা এ'রকম যে কেউ চাইলে ভিন্ন পথে যেতে পারবে। "আল্লাহ ইচ্ছা করলে সমস্ত লোককে এক দলে পরিণত করতে পারেন। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।(৪২:৮)"

কাজেই সিদ্ধান্ত আপনার : আপনি কি আসলেই জানতে বুঝতে মানতে চান, না কি সমস্যা জটিলতা ক্রুটি খুঁজতে চান। যেটা চাইবেন সেটাই আপনার জন্য সহজতর করে দেয়া হবে। এই কথাটাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন: "অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়, এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। (৯২:৫-১০)"



১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি বলেছেন মুক্ত মনে ভাবতে হবে, আমার লেখার ও সাধানার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য যে মানুষকে অন্ধত্ব মুক্ত করে মুক্তমনে ভাল-খারাপ যাচাই বাছাই করে সত্য ও সঠিক চিন্তার বিকাশ করে সুন্দর মানুষ হিসাবে জীবন-যাপন করা। সুতরাং মুক্ত মনে আমাকে ভাবতে বলার অর্থটি পরিস্কার নয়।
দ্বিতীয়ত আপনি বলেছেন-এমন কাউকে বিশ্বাস করতে হবে যে হাতি সম্পর্কে ভাল জানে।
বিষয়টি আরেকটু পরিস্কার করে বললে কৃতজ্ঞ হবো ।
আপনি লিখেছেন- ইবলিশ শয়তানের যুক্তি সঠিক ছিল, আমি বলবো -ইবলিশ শয়তানের যুক্তি মোটেই সঠিক ছিল না। আগুন উপরের দিকে উঠে মানেই তা শ্রেষ্ঠ হবে সে কথা যথার্থ নয়। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার আদেশই বড়, তার সামনে তর্ক করা বেয়াদবি বটে,নয় কি? বেয়াদবি করা কোন গ্রহণযোগ্য কর্ম নয়।

আপনার প্রশ্ন:আপনি কি আসলেই জানতে বুঝতে মানতে চান?
আমার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে নিম্নের লিঙ্কগুলো দেখুন,যদি আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভূল পান তাহলে যথার্থ যুক্তি দিয়ে ব্যখ্যা করবেন, আমি অবশ্যই সঠিক ও যৌ্ক্তিক কথা মানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30140096
http://www.somewhereinblog.net/blog/wise/30141547

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: প্রথমেই ইবলিশের প্রসঙ্গে বলছি - তার অবস্থান থেকে চিন্তা করলে তার যুক্তি ঠিকই ছিল। কারণ আগুন বা তাপ শক্তির বিচারে তার দৃস্টিতে মাটির চেয়ে বড় ছিল। আর সে দীর্ঘ দিন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁর নৈকট্য হাসিল করেছিল। অথচ আদম মাত্র নতুন সৃস্ট হয়েছে। কাজেই বিষয়টা যুক্তির দিকে নয় বিষয়টা ছিল দৃস্টিভঙ্গীর সমস্যা।

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে: নিজে যাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।

ইবলিশের সমস্যা ছিল সে নিজে নিজেকে বড়, শ্রেষ্ঠ দাবি করেছিল। আর আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলেছিলেন সয়ং আল্লাহ।
ঐ মাছি টারও একই সমস্যা - সে নিজে নিজেকে হাতির চেয়ে শক্তিসালী ভাবছে - তাই ঘোষনা করছে যে হাতিটা তার পায়ের তলায় পারে আছে। যদিও তার অবস্থান থেকে দৃশ্যত আসলেই হাতিটা তার পায়ের তালায়ই আছে - কিন্তু আমরা যারা বাইরে থেকে দেখতে পাচ্ছি তারা বুঝতে পারছি যে সে কতটা ভুলের মধ্যে আছে। কিন্তু তার অবস্থান থেকে তার নিজের পক্ষে এটা বোঝা কখনই সম্ভব নয় যেহেতু সে নিজের চোখেই দেখছে যে হাতিটা তার পায়ের তালায়।

একই ভাবে কোরআনের ভুল যখন কেউ দেখতে শুরু করে তখন সে কেবল একটার পর একটা ভুলই দেখে - তার নিজের পক্ষে যুক্তির কোন অভাব হয় না। কিন্তু যারা কোরআন সম্পর্কে জানে এবং বাইরে থেকে উভয়কে দেখতে পায় তারা বোঝে ঐ লোক কতটা বিভ্রান্তিতে আছে। সেজন্য কোরআন জানতে বুঝতে হলে আগে নিজের অবস্থান ঠিক করতে হবে - কোরআনের ভুল খোঁজা বাদ দিয়ে কোরআন থেকে শিক্ষা নেয়ার চেস্টা করতে হবে। তাহলেই কোরআন সহজতর হয়ে উপস্থিত হবে - অন্যথায় ঐ মাছিরম বিভ্রান্তিতে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।

এবার কোরআন সম্পর্কে বলি। চিন্তা করুন এই কোরআন যখন নাজিল হয় তখন আরবদের অবস্থা কেমন ছিল। তখনকার দুই পরাশক্তি পারশ্য ও রোম থেকে বহু দুরে গোত্রিয় সংঘাতে জর্জরিত যাযাবর বেদুয়ীন আরব অঞ্চল ছিল প্রায় অসভ্য বিস্মৃত এলাকা। বর্তমানের সাথে তুলনা করতে চাইলে দুই পরাশক্তি আমেরিকা আর রাশিয়ার সাথে রোহিঙ্গাদের তুলনা করা যেতে পারে।

কোরআন নাজিল হওয়ার সাথে সাথে সবাই তাকে মেনে নেয় নি। দীর্ঘ ২৩ বছরের কঠোর শ্রম সাধনা সংগ্রাম ও ত্যাগের মিধ্যমে একে আরবদের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। আর পরবর্তি মাত্র তিন দশকে সেই আরবরা তখনকার দুই পরাশক্তি রোম ও পারশ্যকে পরাজিত করে বিশ্বের একক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কল্পনা করুন আজকের সময়ে রোহিঙ্গারা যদি আমেরিকা আর রাশিয়াকে পরাজিত করতে চায় তাহলে তার জন্য তাদের কতটা শক্তি লাগবে। রাসুল(স) এর ইন্তেকালের পর এই কোরআনের শিক্ষা আকড়ে থেকেই মুসলমানরা বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছে অন্তত এক হাজার বছর। গত দেড় হাজার বছরে বিশ্বের কয়েক হাজার কোটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে এই কোরআন এবং এটি টিকে থাকবে আরো হাজার হাজার বছর কেয়ামত না হওয়া পর্যন্ত।

এখন চিন্তা করুন হাজার বছর ধরে পৃথিবী ব্যাপী হাজার কোটি মানুষের পথ প্রদর্শক এই কোরআনেক যদি একজন মানুষ এক জীবনে সামান্য কিছু পড়াশুনা দ্বারাই বুঝতে চায় আর তার মধ্যে ভুল বিভ্রান্তি খুজে পায় তাহলে তাকে হাতির তুলনায় ঐ মাছির চেয়ে বেশি কী বলা যায়? কোন শিক্ষার্থি যদি প্রথমেই মাস্টার্স বা পিএইচডি লেভেলের বিষয় বুঝে নিয়ে তারপর প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির চিন্তা করে - তাহলে তাকেই বা কী বলবেন??

তাহলে কি কোরআন সবার জন্য বোধগম্য বা সহজ নয়? নিশ্চয়ই, তবে সেটা এই ভাবে - যার জন্য যতটুকু প্রয়োজন কোরআনের ততটুকুই তার জন্য সহজ। উল্টো করে বলা যায় কোরআনের যতটুকু যে সহজে বোঝে তার জন্য ততটুকুই যথেস্ট। কারণ আজ থেকে হাজার বছর পরে কোরআনের যে বক্তব্য মানুষের বোধগম্য হবে তা আজকেই বোঝার চেস্টা অর্থহীন।

কোরআন বুঝতে হলে শিক্ষার্থির মনভাব নিয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করতে হবে। প্রথম অধ্যয়নে যা কিছু সহজে বোধগম্য তা মেনে নিয়ে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করতে হবে এবং পুণ:পুণ অধ্যায়ন অব্যাহত রাখতে হবে। যদি প্রথম অধ্যায়নে ১০% বোধগম্য হয় আর তার অন্তত ৫% নিজের জীবনে বাস্তবিয়িত করা যায় তাহলে আশা করা যায় দ্বিতীয় অধ্যায়নে অন্তত ২০% বোধগম্য হবে। এভাবে যাকিছু সহজবোধ্য তা নিজ জীবনে বাস্তবায়িত করতে থাকলে আশা করা যায় এক জীবনের ৬০-৭০ বছরে কোরআনের ৮০-৯০%ই সহজবোধ্য হয়ে উঠবে। আর এভাবেই বুঝা যাবে কোরআনে আসলেই মানুষের জন্য কতটা সহজ ও উপকারী গ্রন্থ।

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩২

বিবেক ও সত্য বলেছেন: প্রথমে আপনাকে মন্তব্যর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, কারন আপনার মন্তব্যর ভাষা শালীন ও ভদ্র। আপনার সাথে আমার দ্বিমত থাকতে পারে, তবে দ্বিমতকে সম্মান জানানো বুদ্ধিমত্তা ও উচ্চমনের কাজ।
জনাব ৥ আরব বেদুইন ভাইও আমার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করেছেন, কিন্তু তার ভাষায় নেই শালীনতা ও ভদ্রতা। তথাপিও আমি তার কথার জবাব দিতে চেয়েছে। তবে তাকে ভদ্র হয়ে সত্য ও সুন্দরকে মেনে নেয়ার শর্ত দিলে তিনি শটকে পড়েন। আমি আপনার সকল কথার প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য তুলে ধরবো। যেটা সত্য তা গ্রহণকেই আমি আমার বিজয় মনে করি।
একটি বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রাসঙ্গিক আরো অনেক টপিক আসে, তার প্রত্যেকটি বিষয় এক এক করে সুন্দরভাবে আলোচিত হওয়ার দাবি রাখে।
আপনি আপনার মন্তব্য অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন। আমি তার সবগুলো বিষয় নিয়ে আমার মতামত তুলে ধরবো।
তার পূর্বে আমার প্রশ্ন হল, আমি যে যুক্তিগুলো দিচ্ছি এগুলো কি সঠিক নয়? আপনি ইবলিসের ঘটনা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন বলতে যদি সত্য গ্রহণ করার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝান তাহলে আমার দ্বিমত নেই। আমিও মনে করি আগে সত্য গ্রহণের মনমানসিকতা প্রয়োজন। তবে ইবলিসের ঘটনার বিষযে বহু কথা রয়েছে, মূল প্রসঙ্গে থাকার স্বার্থে সেগুলো আপাতত বলছি না, আপনি চাইলে শুধু উক্ত বিষয়ে আলাদা আলোচনা হতে পারে।
এখন সময় না থাকায়, আপনার বাকি কথার উত্তর এখন দিচ্ছি না, পরে আপনার মন্তব্যের পূর্ণ জবাব দেব। আপনাকে নিম্নের লিঙ্কটি একটু কষ্ট করে পড়ে দেখার অনুরোধ করছি:
আপনি কি জানেন সত্যানুসন্ধান আপনার জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব?

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ৥কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন-কিন্তু আমরা যারা বাইরে থেকে দেখতে পাচ্ছি তারা বুঝতে পারছি যে সে কতটা ভুলের মধ্যে আছে। কিন্তু তার অবস্থান থেকে তার নিজের পক্ষে এটা বোঝা কখনই সম্ভব নয় যেহেতু সে নিজের চোখেই দেখছে যে হাতিটা তার পায়ের তালায়।
আপনি বিপরীতভাবে চিন্তা করুন, আপনি ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আছেন তাই আপনার কাছে ইসলাম শ্রেষ্ঠ, আমরা যারা বাইরে থেকে দেখছি তারা বুঝতে পারছি যে আপনি কত বড় বিভ্রান্তিতে আছেন। যিনি যেটাকে ভাল হিসাবে দাড় করাতে চান তার কাছে তার গৃহীত পথই শ্রেষ্ঠ মনে হয়। সঠিক পদ্ধতি হল বিপরীত পক্ষের কথা শোনা আর নিরপেক্ষমনে ভাবা।
৥কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন এখন চিন্তা করুন হাজার বছর ধরে পৃথিবী ব্যাপী হাজার কোটি মানুষের পথ প্রদর্শক
হাজার কোটি মানুষ অনুসরন করলেই তাকে পথ প্রদর্শক বলা যায় না, খ্রিষ্টান ধর্মও হাজার কোটি মানুষ অনুসরন করে থাকে।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আলোচনা অব্যাহত রাখাই যায় তবে ইতিহাস থেকে শিক্ষনীয় হল দৃস্টিভঙ্গী পরিবর্তন না করলে সাফল্যের আশা খুবই ক্ষীন। ইবলিস সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে হুকুম পেয়েও মানতে পারেনি। কারণ সে নির্ভর করেছিল তার নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনার উপর। একই ভাবে আপনি যদি নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচার উপর নির্ভর করেন তাহলে আপনার পক্ষেও যুক্তির অভাব হবে না।

এই যেমন এখানে আপনি খুব চমৎকার একটা যুক্তি পেয়ে গেছেন। আপনি বলতে পারছেন যে আমরা ইসলামের শ্রষ্ঠত্বে বিশ্বাসী বলেই কোরআনের ভ্রান্তি বুঝতে পারি না। নিশ্চয়ই যুক্তি হিসেবে খুবই চমৎতার বিশেষ করে যে নিজে কোরআনের প্রচুর ভুল দেখতে পাচ্ছে (ঐ মাছির মত যে নিজের পায়ের তলায় হাতিকে দেখে) তার পক্ষে এটা ভাবা খুবই স্বাভাবিক। অথচ আমি আগের পোস্টেই কোরআনের পরিচয় উপস্থাপন করেছি। কোরআন এক দিনে তার শ্রষ্ঠত্ব অর্জন করে নি - দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যাপক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সে তার শিক্ষার শক্তিতে একটা অধ:পতিত জাতিকে বিশ্ব নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করেছিল মাত্র তিন দশকে। সেই সময়ে লক্ষ কোটি মানুষের জীবনকে সস্পুর্ণ বদলে দিয়ে একটা নতুন জাতির সুচনা করেছিল যা এখনও বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত আছে। এখনও বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ কোরআনের শিক্ষা মেনে নিয়ে নিজেদের জীবন বদলে ফেলছে। তার বিপরিতে সেই কোরআনের মধ্য ভুল ভ্রান্তি বা কোরআনের ঐশি গ্রন্থ না হওয়ার দাবি কে করছে - একজন সাধারণ মানুষ যার বোধ সম্পন্ন আয়ু সর্বোচ্চ ৭০ বছর, যার পক্ষে একটা জাতিতো অকল্পনীয়, কয়েকজন মানুষকে প্রভাবিত করে জীবন বদলে দেয়াও সম্ভব নয়(চেস্টা করে দেখবেন না কি একটা নতুন জাতির সুচনা করা যায় কী না?)। তার পরও সে কিভাবে পারছে কোরআনকে অবজ্ঞা করতে? কারণ তার অবস্থান ঐ মাছির মত।

খ্রিষ্টানদের ইঞ্জিলও আল্লাহর কিতাব। তবে বর্তমান বাইবেলে সেই ইঞ্জিলের পরিপুর্ণ শিক্ষা অবিকৃত নাই যা তারাও স্বীকার করে। খ্রিস্ট ধর্ম যখন বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তা ইঞ্জিলের শিক্ষার ভিত্তিতেই হয়েছিল। কালের পরিক্রমায় সেই শিক্ষা হারিয়ে যায়। তাই আল্লাহর বানীর একমাত্র অবিকৃত রূপ কোরআনেই আছে। খ্রিস্ট ধর্মের জনপ্রিয়তার মুল কারণ এটাই যে তাতে আল্লাহর কিতাব ইঞ্জিলের শিক্ষা আছে। তারপরও বিশ্বব্যাপী যদি অনুশীলিত ধার্মিক (প্রাকটিসিং মুসলিম/খ্রিস্টান) হিসেব করা হয় তাহলে ইসলামই সবার আগে থাকবে।

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি বলেছেন-একই ভাবে আপনি যদি নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচার উপর নির্ভর করেন তাহলে আপনার পক্ষেও যুক্তির অভাব হবে না।
আপনার এ কথা থেকে বোঝা যায় যে আমরা আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনার উপর নির্ভর করবো না। আপনি কি আসলেই বোঝাতে চেয়েছেন যে আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনার উপর নির্ভর করা উচিত নয়? তাহলে আমরা কিসের উপর নির্ভর করবো?
কোন ধর্ম কতজন লোক পালন করে সেটা সত্য-মিথ্যা নির্নয়ের প্রধান মাপকাঠি নয়।কুরআনেও বলা আছে-’যদি তুমি পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের অনুসরন কর, তাহলে উহা তোমাকে পথভ্রষ্ট করবে’

প্রাকটিসিং মুসলমানের কথাও যদি বলি, তারা কি আসলেই ইসলাম ধর্ম পালন করে? সারা পৃথিবীর মানুষ মূলত একটি ধর্ম পালন করে,যার প্রামান্য আলোচনা করেছি আরেকটি পোষ্টে view this link। পোষ্ট পড়ে থাকলে আবার পড়ুন পোষ্টের পাঠকদের মন্তব্য ও আমার জবাবসহ, এ বিষয়ে দ্বিমত থাকলে উক্ত পোষ্টে দ্বিমত পোষন করুন, আমি জবাব দিব।
আপনি যদি কোন বইকে স্রষ্টার বলেন, তবে সর্বাগ্রে আপনাকে তার প্রমান দিতে হবে। কুরআনে মাত্র দু’টি প্রমানের কথা বলা হয়েছে যা আমি এখানে খন্ডন করেছি। আরো কিছু প্রমান আছে বলে ‍মুসলিম স্কলাররা বলে থাকেন যেটা কুরআন নিজে প্রমান হিসাবে দাবি করেনি। তবে আমি সেগুলোরও জবাব দিব।
কিছু লোকের মন্তব্যে থেকে বুঝতে পেরেছি যে এ লেখাটিকে আরো সমৃদ্ধ করার প্রয়োজন। সময় পেলে অতি শিঘ্র এটা এডিট করবো।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আপনি কি আসলেই বোঝাতে চেয়েছেন যে আমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনার উপর নির্ভর করা উচিত নয়? "

নিশ্চয়ই মানুষকে তার জ্ঞান বুদ্ধির উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় - কিন্তু তা যাতে ঐ মাছির মত না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখা জরুরী। যদি মানুষ সুধুমাত্র তার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েই সত্যের সন্ধান করতে পারত তাহলে আল্লাহ নবী রাসুল (আ)দের মাধ্যমে মানুষের কাছে কিতাব পাঠাতেন না। জ্ঞান বুদ্ধিকে ব্যাবহার করতে হবে আল্লাহর কিতাব থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন গঠনের জন্য - কিতাবের ভুল অনুসন্ধানের জন্য নয়।

"আপনি যদি কোন বইকে স্রষ্টার বলেন, তবে সর্বাগ্রে আপনাকে তার প্রমান দিতে হবে।" সেই প্রমান কোরআন বহু আগেই দিয়েছে। যখন সে নাজিল হচ্ছিল তখন আরবের মানুষেরা তার যথার্থতার প্রমান পাওয়ার পরই তাকে গ্রহন করেছিল। তারপর তার শিক্ষার আলোকে উজ্জীবিত হয়ে সেই বেদুয়ীন আরবরা মাত্র তিন দশকে সেই সময়কার দুই পরাশক্তিকে পরাজিত করে বিশ্বের একক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আপনি এর পরও আর কী প্রমান চান যার ভিত্তিতে এই কিতাবকে আল্লাহর বানী হিসেবে মানবেন?

আপনি খুদ্র সীমাবদ্ধ মানব জ্ঞানের ভিত্তিতে যখন সেই বিশ্বজয়ী কিতাবের যুক্তি খন্ডন করেন তখন সেই মাছির কথা মনে করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। কোরআন কিভাবে সহজবোধ্য হবে সেই পথ আমি আগেই দেখিয়েছি - মানা না মানা আপনার ব্যাপার।

আর অনুরূপ কিতাব/আয়াত বানানোর চেস্টা সেই সময়ের আরব কবী সাহিত্যিকরা খুব ভাল ভাবেই করেছিলেন, কিন্তু পারেন নাই। বরং সেই ব্যার্থতা মেনে নিয়ে তাদের অনেকেই কোরআনের প্রতি বিশ্বাসী হয়েছিল। আর সেই কোরআনের বিশ্ব জয়ের পর যদি তেমন কিতাব বানাতে চান তাহলে তাকেও বিশ্বজয়ী হতে হবে। পারবেন কি এমন একটা কিতাব বানাতে যার শিক্ষা রহিঙ্গাদেরমত অবহেলিত জাতিকে আমেরিকা আর রাশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বজয়ী হওয়ারমত শক্তি যোগাবে??

যাই হোক, আমি আগেই বলেছি যুক্তিতে আপনাকে বা কোন মানুষকেই পরাজিত করা সম্ভব নয় যদি না তার দৃস্টিভঙ্গীর পরিবর্তন ঘটে। এটা এ'জন্যই যে আল্লাহ মানুষকে তার পছন্দের পথে চলার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাই আপনি যদি আপনার পথেই থাকতে চান - থাকতে পারেন। তবে এই পথে আপনি তো নতুন নন, আগেও অনেকে ছিলেন। তাদের পরিনতি কী হয়েছিল সেটা একটু জেনে নিলে হয়ত সতর্ক হতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমি সংক্ষেপে আপনার এ কথার উত্তর দিতে পারতাম, তবে বিষয়টি ততটা পরিস্কার হত না। তাই পরে সময় করে বিস্তারিত লিখব।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: তোগো এত প্যাঁচ গোচ বুঝি না- মুহাম্মদের মত আরব, বর্বর, অশিক্ষিত, রাখাল ব্যক্তি এই ধরণের কিতাব জন সম্মুখে প্রকাশ করতে পেরেছে সেই জন্য তাকে স্যালুট। বর্বর আরব জাতিকে এক করতে পেরেছে সেই জন্য তাকে স্যালুট। আরব জাতীয়তাবাদ তত্ত্ব প্রকাশ করেছে সেই জন্য তাকে স্যালুট। হাজার হাজার বছরের ধর্ম প্রথার বিপরীতে নতুন ধর্ম প্রন্থা আবিস্কার করেছে সেই জন্য স্যালুট। নিজস্ব চিন্তা চেতনার উপর রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছে সেই জন্য তাকে স্যালুট।

কিন্তু বেচারা (মুহাম্মদ) দুর্ভাগ্য সে হিন্দুস্থানে জন্ম গ্রহন করেনি। যদি করতে তাহলে তাকে এতো দিন ভগমানের অবতার বলে পূজা করত। সূষ্টি কর্তার আবিভার্ব হিসেব পূজা করত।

২৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

যাযাবর চিল বলেছেন: আলোচনা হয় একমত হয়ে বা দ্বিমত হয়ে। আপনার লেখার কোন গ্রাউন্ড পেলাম না শক্তিশালী। কুরআনের অনুরুপ সূরা এটা আসলে কি বুঝাচ্ছে তা বুঝবে শুধুমাত্র আরবি ভাষীরা আপনি আমি না।
আমাদের দেখতে হবে অসঙ্গতির ব্যাপারটি। [আরও আছে]। আপনার লেখা পরে মনে হল "অসঙ্গতি" শব্দের অর্থ আপনি জানেন না। বলেন তো "অসঙ্গতি" অর্থ কি?

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআনের অনুরুপ সূরা এটা আসলে কি বুঝাচ্ছে তা বুঝবে শুধুমাত্র আরবি ভাষীরা আপনি আমি না।[/sb

আপনার এ কথাটিই যদি গ্রহণ করি, তাহলে এ কথাটিই প্রমান করে যে কুরআন মানবরচিত। কারন প্রমান হবে এমন কিছু যা সবাই বুঝবে । যাদের জন্য প্রমান তারাই যদি না বোঝে তবে তা প্রমান হয় কি করে?

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

যাযাবর চিল বলেছেন: কুরআনে কয়েক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের জন্য। না বুঝলে সেটা আপনার ক্ষুদ্রতা। আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হল অসঙ্গতি। দুঃখ জনক ভাবে সম্ভবত আপনি অসঙ্গতি শব্দের অর্থই জানেন না।

২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি একটি বই এনে বললেন এটা স্রষ্টার রচিত। আমি বললাম প্রমান কি? আপনি বললেন এতে প্রমান আছে, তা আপনি বুঝবেন না, আপনার এমন দাবি হাস্যকার নয় কি? হ্য, যদি বইটি স্রষ্টার পক্ষ থেকে আমার জন্য প্রেরিত না হয়,তাহলে প্রমান বুঝতে পারা বা না পারা কোন ব্যপার নয়। কিন্তু বইটি যদি আমার জন্য হয়, তবে আমাকে অবশ্যই বুঝতে হবে,নয় কি?
কুরআন স্রষ্টার পক্ষের কিতাব হওয়ার পক্ষে কয়েক ধরনের প্রমান নেই। কুরআন নিজে দাবী করে মাত্র দু’ধরনের প্রমান।
অন্যান্য প্রমান যা উপাস্থাপন করা হয় তা কুরআনের অন্ধ অনুসারীদের মস্তিস্ক প্রসূত। কুরআন নিজেও সেগুলোকে প্রমান হিসাবে দাবি করেনি। সে প্রমানগুলোও হাস্যকর, তা অন্য আলোচনায় উপাস্থাপন করবো।

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: আমার শিক্ষক বলতেন, "কালো পাথরের উপাসকেরা সব সময় বিপজ্জনক"। "কালো পাথরের উপাসক কারা?"
স্যার বলতেন, ভারতের এক শ্রেনীর হিন্দু আর আরবের এক শ্রেনীর মানুষ । পরে জেনেছি শুধু আরবের নয়, সারা পৃথিবীতেই কালো পাথরের উপাসক আছে ।
এরা কালো পাথর ছাড়া কারো উপাসনা করে না । জীবনে এই পাথরকে একবার চুমা দেয়া এদের আজীবনের স্বপ্ন । এদিকে ভারতের কালো পাথরের উপাসক, যাদেরকে
কাপালিক, শবসাধক ইত্যাদি বলা হতো তারা সভ্যতা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.