নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি জানেন সত্যানুসন্ধান আপনার জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব?

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৫৪





সত্যানুসন্ধান বলতে কি বুঝায়?
মানব জাতি শত শত চিন্তা-দর্শন, মত,পথ ও ধর্মে বিভক্ত।এর মধ্যে থেকে কোন মত, পথ বা ধর্ম ঠিক তা খুজে বের করাই হল সত্যানুসন্ধান।
সত্যানুসন্ধান কি সকলেরই দায়িত্ব?

যে যেই ধর্ম,মত বা পথের অনুসারি সে সেই ধর্ম,মত বা পথকে ১০০% সঠিক মনে করে। আর যখন আপনি মনে করবেন যে আপনার ধর্ম,মত বা পথ ১০০% নির্ভূল এবং এর বাইরে যা কিছু আছে সবই ভূল তখন তো আপনি মনে করবেন সত্যানুসন্ধানের দায়িত্ব আপনি ও আপনার ধর্মাবলম্বীরা/মতালম্বীরা ছাড়া পৃথিবীর বাকি সকল লোকের দায়িত্ব সত্যানুসন্ধান করা।আপনি মনে করেন সত্যানুসন্ধান অন্যের দায়িত্ব আর অন্যেরা মনে করে সত্যানুসন্ধান আপনার দায়িত্ব।সকলেই নিজ নিজ ধর্ম,মত বা পথ নিয়েই ১০০% সঠিক মনে করে সন্তুষ্ট। আর এ কারনেই প্রত্যেক ধর্ম,মত বা পথের অনুসারিরা তাদের নিজেদের মধ্যে আংশিক বা সর্ম্পূর্ণ বা যতটুকুই ভূল রয়েছে তা কখনো আর সংশোধীত হয় না।পৃথিবীর সকল ধর্ম, মত ও পথের লোকেরা যদি পরস্পর পরস্পরের চিন্তাধারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শেয়ার করত তাহলে মানবতা বড়ই উপকৃত হত।
আপনি নিজ চোখে দেখছেন একটি হাতি দাড়িয়ে রয়েছে, উহাকে যখন কেউ ঘোড়া বলে তখন তার সাথে আলোচনা কিসের, সে তো আপনার দৃষ্টিতে চরম মূর্খ, তার সাথে কথা বললে আপনি তো তাকে শেখানোর মুড ও ‍দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মুখোমুখি হবেন। একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি আপনার চিন্তা, মত বা পথের বিপরীত পক্ষের লোকেরাও করে থাকে। আপনি যেটিকে হাতি হিসাবে দেখছেন সেটিকে অন্য কেউ ঘোড়া বা গন্ডার হিসাবে দেখছে।কার দৃষ্টিতে কতটুকু সমস্যা তা কে সংশোধন করবে?কেউ তো মানতেই চায় না যে তার মত,পথ বা ধর্মে ভূল থাকতে পারে।সাধারন মত,পথ বা বাদ-মতবাদের ক্ষেত্রে পারস্পারিক আলোচন-সমালোচনা কিছুটা হলেও সহজ, কিন্তু ধর্মের বিষয়ে কথা বলা স্পর্শকাতর-যদিও ধর্মের নামেই সবচেয়ে বেশি মূর্খতা হয়ে থাকে। আপনার ধর্ম সঠিক কিনা বা স্রষ্টা আদৌ কোন ধর্ম দিয়েছেন কিনা এসব যাচাই বাছাইয়ের চিন্তা করাই তো বড় পাপ মনে করেন। শিশুকাল থেকে যাচাই-বাছাইয়ের বদলে নিজ ধর্মকে অতি শ্রদ্ধা ও পবিত্র মনে করতে শিখেছেন, তাতে যে ভূল থাকতে পারে তা ভাবার অবকাশ কোথায়?ভাল ও পবিত্র কিছুকে শ্রদ্ধা করা অবশ্যই ভাল কাজ।তবে আপনি যেটাকে ভাল বলছেন তা তো অবশ্যই বিবেক বুদ্ধি ও প্রমাণ দ্বারা যাচাই করে নিতে হবে, এরপর শ্রদ্ধার প্রশ্ন আসে। সবচেয়ে জ্ঞানী ও আলোকিত ব্যক্তি তারাই হতে পারবে যারা-১. অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে এরুপ চিন্তা করতে পারবে যে আমার নিজ ভাবনা যত সঠিকই মনে হোক না কেন কাল তাহা পরিবর্তন হতে পারে।
২. আমি মানুষ। আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে আমি আজ যা চরম সত্যে হিসাবে মনে করছি তা ভূলও হতে পারে।
৩. আমার নিজ চোখে দেখা বিষয়ও ভূল হতে পারে। আপনি নিজ চোখে যদি দেখে একটি বিড়াল আপনার সামনে বসে আছে আর কেউ যদি বলে উহা বিড়াল নয়, সাথে সাথে আপনি তার থেকে বা তার অনুসারিদের থেকে উহার ব্যখ্যা জানার চেষ্টা করুন (শেখার নিয়তে, তর্কে পরজিীত করার স্বার্থে নয়)।গ্রহণযোগ্য হলে গ্রহণ করুন, গ্রহণযোগ্য ব্যখ্য না পেলে বিনয়ের সাথে বলুন আপনার বিবেচনায় আপনি তখনও সঠিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারছেন না, পরবর্তী যদি কখনও তার বক্তব্য আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয় তখন আপনি গ্রহণ করবেন।
৪. ভিন্ন মতের বা ধর্মের কারো সাথে গঠনমূলক বিতর্কে ভিন্ন মতের ব্যক্তি যদি তার বক্তব্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়, তার অর্থ নিশ্চিতভাবে কখনও এই হয় না যে সে ভূল ছিল আর আপনি ১০০% সঠিক।কারন হতে পারে যিনি বিতর্কে তার বক্তব্য প্রমানে ব্যর্থ হলেন তিনি হয়ত গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন।তবে ইহা তার বিষয়টি ভূল হওয়ার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে।
৫. যেহেতু পৃথিবীর সকল ব্যক্তির কাছে নিজ ধর্ম বা দর্শন ১০০% সঠিক বলে প্রতিয়মান হয়, কারো জন্য এ দাবি করা ঠিক নয় যে তার ধর্ম বা চিন্তা দর্শন এতটাই নির্ভূল যাতে বিন্দু মাত্র ভূল নেই বা থাকতে পারে না। কেউ এতটুকু বলতে পারে যে আমার জ্ঞানানুসারে এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু বুঝতে পারছি সে আলেকে অমুক ধর্ম বা চিন্তা দর্শন ১০০% নির্ভূল বলে প্রতিয়মান হচ্ছে, তাই আমি উহাকে বাস্তব জীবনে পালন ও প্রচার-প্রসারে চেষ্টা সংগ্রাম করছি। যে কেউ আমার অনসৃত ধর্ম বা দর্শন নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলে তাকে আমি বন্ধু মনে করি, কারন সে হয়ত আমার কোন ভূল থাকলে ধরিয়ে দিবে অথবা পারস্পারিক আলোচনার কারনে সে হয়ত কিছু শিখবে। বিশ্বের আমরা সকলেই সকলের ছাত্র।
কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে মানবীয় চিন্তা দর্শনে ভূল থাকতে পারে, তাই মানবীয় চিন্তা দর্শন ও বাদ-মতবাদের ক্ষেত্রে আমার উপরোক্ত বক্তব্য খাটে-কিন্তু স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধান কেউ অনুসরণ করলে সে বিধানের ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন তোলা তো সাজেই না বরং স্পর্ধার শামিল। আমি আপনার কথার সাথে একমত যে স্রষ্টার কোন বিধানে ভূল থাকতে পারে না আর তার বিধানের কোন বক্তব্যর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা চরম হঠকারিতা বৈ কিছু নয়। তবে কোন পুস্তক বা বিধানকে স্রষ্টা প্রদত্ত বলে কোন ব্যক্তি বা জাতি দাবি করলে তা আসলেই স্রষ্টা প্রদ্ত্ত কিনা তা যাচাই বাছাই না করে স্রষ্টার হিসাবে গ্রহণ করা চরম মূর্খতার পরিচয়। স্রষ্টার বিধান হিসাবে আপনার কাছে ১০০% প্রমানিত হলে তখন আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না।সুতরাং কোন পুস্তক আসলেই স্রষ্টা প্রদত্ত কিনা তা প্রশ্ন করা ও যাচাই-বাছাই করা শুধু উচিতই নয় প্রত্যেক বুদ্ধিমান মানুষের দায়িত্ব।
অতএব সত্যানুসন্ধানের দায়িত্ব পৃথিবীর সকল মানুষের

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: সত্যানুসন্ধান আর অপরের দোষ খুজে বেড়ান কখনই এক নয় বরং বিপরিত।

ধরুন কোন সমাজে ১০টি ধর্ম/মত/ধারার মানুষ আছে। এখন প্রত্যেকে যদি প্রত্যেকের দোষ ত্রুটি সমস্যা খুঁজতে শুরু করে তাহলে প্রতিটি মত/পথের বিরুদ্ধে বলবে ৯ ধারার মানুষ। তাহলে দেখা যাবে সেই সমাজে কেবল পরনিন্দার চর্চাই হচ্ছে, ভাল কিছুর সন্ধান সেখানে পাওয়া যাবে না। আর ঐ ১০ ধারার মানুষও প্রত্যেকে প্রত্যেকের শত্রুতে পরিনত হবে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এটাই বেশী হচ্ছে।

বিপরিতক্রমে যদি আমরা কাজটা উল্টো করে দিতে পারি, অর্থাৎ সবাই যদি সবার ভাল গুনাবলির সন্ধান করি তাহলে কী হবে? প্রত্যেকের মধ্যে দোষ ত্রুটি সমস্যা যেমন আছে তেমনি উত্তম গুনাবলি ও সম্ভাবনাও আছে। আমরা সেগুলির চর্চা শুরু করলে দেখা যাবে প্রতিটি দলের পক্ষের ভাল দিকে কথা বলবে বাকি ৯টি দল। তাহলে সমাজে কেবল ভাল বিষয়ের চর্চা হবে, সেই ভাল দিক গুলিই বিস্তৃত হবে এবং ১০ ধারার মানুষও সবাই সবার বন্ধু/সহযোগী/সমর্থক হতে পারবে।

সুতরাং ধর্মগ্রন্থের সমস্যা দোষ ত্রুটি নয় বরং ভাল বিষয় ও সম্ভাবনার অনুসন্ধান করুন। তরপর দেখুন কোন ধর্মে, কোন ধর্মগ্রন্থে ভাল বিষয় সর্বাধিক আছে - সেটাকে নিজের ধর্ম হিসেবে অনুসরণ করুন আর অন্য গুলিরও ভাল দিকের কথা প্রচার করুন। আপনি যখন ভাল খুজবেন তখন সবকিছুর মধ্যে ভাল দিক খুঁজে পাবেন - আর যদি দোষ ত্রুটি খুঁজতে শুরু করেন তাহলে তাও প্রচুর পাবেন। এটাই মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তি দোষ অন্বেষণ না করে তার গুনের বিকাশে সহায়তা করা শ্রেয়। তবে জীবনাদর্শ খোজার সময় এ দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে পথভ্রষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আলোকিত জীবন গড়তে হলে আপনাকে অবশ্যই অন্ধকারকে বুঝতে হবে আগে। কাপড় পরিস্কার করতে হলে আপনাকে আগে নিশ্চয়ই খূজতে হবে কোথায় ময়লা আছে।
ভ্রষ্টতা থেকে বাজতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে ভ্রষ্টতা কি, এবং তার স্বরুপ কি?
হিন্দু নাগা বাবারা সংসার ত্যগ করে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দেয় ভগবানের সন্তুষ্টির আশায়। এ বেচারার সম্পূর্ণ জীবনটা উৎসর্গিত হল।এ লোকটির এ ভূলগুলো ধরাতে হলে অবশ্যই তার ভ্রষ্টতা কি কি তার সুন্দর ভাষায় ধরাতে হবে,নয় কি? যে লোক এ লোকের ভূলগুলো থেকে বাচিয়ে এনে সুন্দর জীবন-যাপনে সহায়তা করতে পারবে, উক্ত লোকের জীবনে এর চেয়ে বড় উপকারি বন্ধ আর কেউ হওয়ার কথা নয়, নয় কি?
কিন্তু পরিতাপের বিষয় যিনিই উনার এ উপকার করতে যাবে, উক্ত নাগা বাবা তাকেই সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে বিবেচনা করার কথা। কারন সে উক্ত লোকের বিশ্বাসের বিপরীত কথা বলে। আপনার মত হয়ত বলবে, দোষ খুজছে, ইত্যাদি।
সত্যেকে ভাল করে বুঝতে হলে, মিথ্যাকে ভালভাবে চিনতে হবে।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "সত্যেকে ভাল করে বুঝতে হলে, মিথ্যাকে ভালভাবে চিনতে হবে"

এটা যদি আপনার দৃস্টিভঙ্গী হয় - তাহলে আমার আর কিছু বলার নাই। ইতিপুর্বে বহু মানুষ এই পথে গিয়ে সারা জীবন কেবল মিথ্যার পিছনেই ব্যায় করেছে - সত্যের সন্ধান তাদের পক্ষে কোনদিনই পাওয়া সম্ভব হয় নাই। মাত্র ৫০-৬০ বছরের অতি সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মানব জীবনে মিথ্যার অনুসন্ধান শেষ করে সত্যের কাছে পৌছান সম্পুর্ণ অকল্পনীয় ব্যাপার। সে জন্যই আল্লাহ যুগে যুগে নবী রাসুল (আ) দের পাঠিয়ে মানুষকে সত্যের সন্ধান দিয়েছেন।

আচ্ছা আমরা আর একটা উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করি। একটা ঘটনা চিন্তা করুন : একটি সাপ একটি ব্যাঙকে গিলে খাচ্ছে। বলতে পারেন এই ঘটনাটি ভাল না খারাপ?

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কোন জিনিসটি যে আপনার জন্য ক্ষতিকর তাইই আপনি জানেন না, তাহলে কিভাবে বুঝবেন কোনটি আপনার জন্য উপকারী? যিনি অন্ধকার বলতে কি বোঝায় তিনি আলোকে চিনবেন কি করে? কোনটিকে মিথ্যা বলে তাইই যদি না বোঝেন তাহলে কোনটি সত্য তা বুঝবেন কি করে? কি করে বলবেন যে অমুক পথ্ভ্রষ্ট, আর আপনি সুপথপ্রাপ্ত?
ইতিপুর্বে বহু মানুষ এই পথে গিয়ে সারা জীবন কেবল মিথ্যার পিছনেই ব্যায় করেছে - সত্যের সন্ধান তাদের পক্ষে কোনদিনই পাওয়া সম্ভব হয় নাই
আপনি কি করে নিশ্চিত করে বলেন যে তাদের পক্ষে সত্যের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়নি।আপনি বড়জোর বলতে পারেন যে আমার দৃষ্টিতে তারা সত্যে পায়নি।
মাত্র ৫০-৬০ বছরের অতি সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মানব জীবনে মিথ্যার অনুসন্ধান শেষ করে সত্যের কাছে পৌছান সম্পুর্ণ অকল্পনীয় ব্যাপার
আমার সৃষ্টিকর্তা এমন না যে তিনি সত্যেকে এত কঠিন করে দিবেন তার সৃষ্টির জন্য যে এত বছর লাগবে সত্যে খুজে বের করে আলোকিত জীবন গড়তে।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমার সৃষ্টিকর্তা এমন না যে তিনি সত্যেকে এত কঠিন করে দিবেন তার সৃষ্টির জন্য যে এত বছর লাগবে সত্যে খুজে বের করে আলোকিত জীবন গড়তে।" নিশ্চয়ই তিনি তা নন। সেজন্যই মানুষের কাছে তার কিতাব পাঠিয়েছেন। যাতে মানুষ সহজেই সত্য বুঝতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সেই কিতাব না মেনে নিজেই নিজের জন্য সত্যের পথ খুজতে নামেন তাহলে সে দ্বায়িত্ব কার?

"কি করে বলবেন যে অমুক পথ্ভ্রষ্ট, আর আপনি সুপথপ্রাপ্ত?" আল্লাহর পাঠানো কিতাবের আলোকেই বলা যাবে কে সুপথ প্রাপ্ত আর কে পথভ্রস্ট।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আর একটা কথা - যদি আপনি কখনও সত্যের সন্ধান পান (অন্তত আপনার মনে হয় যে আপনি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন) তখন কী করবেন? আপনি কি ব্লগে বা প্রচার মধ্যমে সেই সত্যের আলোকে অন্য সবাইকে মিথ্যা প্রমানের জন্য লেগে যাবেন? যদি যান তাহলে সেটা হবে সেই মশারমত কাজ যে হাতির পিঠে নিজেকে দেখেই ঘোষণা করা শুরু করে যে হাতি তার পায়ের তলায় পরে আছে।

সঠিক পথ হবে সেই সত্যের আলোকে নিজের জীবন এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে অন্যদের কাছে তা অনুসরনীয় হয়। বিশ্বের সকল মহামানব এটাই করেছিলেন। নবী রাসুল(আ) গন আল্লাহর কাছ থেকে সত্য পাওয়ার পর নিজেরা সেই আলোকে নিজেদের গড়ে নিতেন, তারপর নিজ পরিবার পরিজনকে সেই পথে আনার চেস্টা করতেন। তাদেরকে দেখে তাদের উত্তম চরিত্রের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে তাদের নিকটআত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশীরা তার অনুসরণ করত। এবং তিনি নিজে ও তার প্রাথমিক অনুসারীদের এমনভাবে গড়ে তুলতেন যে মানুষ তাদের দেখেই মুগ্ধ হত। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদেরই ঘোষণা করার প্রয়োজন হত না বরং তার শত্রুও বলতে বাধ্য হত মানুষ হিসেবে তারা কত মহৎ। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা - বাংলায় এটাই প্রবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে : নিজে যাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।

সুতরাং আপনি যদি কখনও মনে করেন যে আপনি সত্য বুঝতে পেরেছেন তাহলে সেই অনুযায়ী নিজের জীবন গঠনের চেস্টা করে দেখুন মানুষের কাছে কতটা মহান গ্রহনযোগ্য অনুসরনীয় হয়ে উঠতে পারেন। যদি ১০ জনের কাছে আপনি অনুসরনীয় হতে পারেন তাহলে ধরুন আপনার পাওয়া সত্যের মান ১০, যদি ১০০ জন আপনাকে অনুসরণ করে জীবন বদলাতে রাজি হয় তাহলে ধরুন সেই সত্যের মান ১০০। এভাবে হিসেব করলে বুঝতে পারবেন যে কোরআনের অনুসরণ করে লক্ষ কোটি মানুষ জীবন বদলে ফেলেছে সেই কোরআনের অনুপাতে আপনার পাওয়া সত্যের মান কত? আপনি যখন কোরআনের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাই এটা আপনার নিজের অবস্থান বোঝার জন্য সহজ মাপকাঠি হবে বলে আশা করা যায়।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: যদি আপনি কখনও সত্যের সন্ধান পান (অন্তত আপনার মনে হয় যে আপনি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন) তখন কী করবেন? আপনি কি ব্লগে বা প্রচার মধ্যমে সেই সত্যের আলোকে অন্য সবাইকে মিথ্যা প্রমানের জন্য লেগে যাবেন?
নবীগনকে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম বা মতবাদ যা আছে তা কি মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করেননি? সত্যর সন্ধান পেলে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সে সত্যের আলোকে সমাজকে আলোকিত করার চেষ্টা করা সত্যেপন্থিদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়,নয় কি?
যদি ১০ জনের কাছে আপনি অনুসরনীয় হতে পারেন তাহলে ধরুন আপনার পাওয়া সত্যের মান ১০, যদি ১০০ জন আপনাকে অনুসরণ করে জীবন বদলাতে রাজি হয় তাহলে ধরুন সেই সত্যের মান ১০০
নূহ (আ:) তো মাত্র হাতে গোনা কিছু মানুষের নিকট অনুসরনীয় হয়েছিলেন, তাহলে কি তার সত্যের মান এত সামান্য? বেশিরভাগ নবী রসুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, বেশিরভাগ নবী-রসুলই তার জাতীর কাছে পরাজিত হয়েছেন, তাদের সত্যের মান কি এতই নীচ ছিল?

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "সত্যর সন্ধান পেলে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সে সত্যের আলোকে সমাজকে আলোকিত করার চেষ্টা করা সত্যেপন্থিদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়,নয় কি?" আমিতো সেই পদ্ধতিটাই বল্লাম। নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তা দেখেই নিকট জনেরা বুঝতে পারেন যে আপনি আসলেই সত্য পেয়েছেন। ফলে তারাও আপনাকে অনুসরণ করবে এবং তাদের জীবনও অনুরুপ ভাবে উন্নত হয়ে উঠবে যা দেখে আরো বেশি মানুষ তা গ্রহন করবে। এ'ভাবেই প্রাপ্ত সত্যের বাস্তব উদারণ উপস্থাপনের মাধ্যমে এক থেকে দশ, দশ থেকে একশ এভাবেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় - এটাই স্বাভাবিক পথ।

"নূহ (আ:) তো মাত্র হাতে গোনা কিছু মানুষের নিকট অনুসরনীয় হয়েছিলেন, তাহলে কি তার সত্যের মান এত সামান্য? " - মানুষ সেই সত্য না মানার কারনে তাদেরকে প্লাবন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল - তারপর যারা বেঁচে ছিলেন তাদের ১০০% বিশ্বাসী ছিলেন।

"বেশিরভাগ নবী রসুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, বেশিরভাগ নবী-রসুলই তার জাতীর কাছে পরাজিত হয়েছেন, তাদের সত্যের মান কি এতই নীচ ছিল?" - আপনার এই দাবিটি সত্য নয়। কোরআনে মোট ২৫ জন নবীর কথা বলা আছে। যার মধ্যে মাত্র ৬ জনকে তাদের জাতি প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে তাদেরকে বিভিন্ন গজব দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয় আর বেঁচে থাকে কেবলমাত্র বিশ্বাসীগন। সুতরাং তাদের প্রপ্ত সত্য তাদের জাতির জন্য অতি উচ্চ মানেরই ছিল যা প্রত্যাখ্যান করলে পুরো জাতি ধ্বংস হয়ে যায়।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি বলেছিলেন যে যদি লোকেরা আমাকে অনুসরন করে তাহলে উহা প্রমান করবে যে আমি সত্যের অনুসারী। আমি আপনার এ কথা খন্ডনে বলেছি যে নূহ (আ:) কে তো সামান্য কিছু লোক অনুসরন করল, বেশিরভাগ লোক প্রত্যাখ্যান করলো, আপনার কথানুসারে যদি লোকেরা প্রত্যখ্যান করে তাহলে বুঝতে হবে যে আমি সত্যের অনুসারী হতে পারিনি, তাহলে নূহকে লোকেরা প্রত্যাখ্যান করলো, সুতরাং নুহও আ: সত্যের অনুসারী নন। যারা প্রত্যাখ্যান করলো তাদের কি শাস্তি হয়েছে বা হয়নি সেটা আরেকটি প্রসঙ্গ। আপনার যু্ক্তি ছিল আপনি সত্যের অনুসারী হলে লোকেরা আপনাকে অবশ্যই অনুসরন করবে।
যদি ইসলামের ইতিহাসের কথা সত্য ধরি তাহলে বেশিরভাগ নবীরাই প্রত্যখ্যাত এবং তাদের অনুসারীল সংখ্যাও খুব অল্প ছিল।
আপনি লিখেছেন কুরআনে উল্লেখি ২৫ জন নবীর মধ্যে মাত্র ৬ জন প্রত্যখ্যাত ছিল। তাহলে আপনার যুক্তি অনুসারে এ ৬ জন সত্যেনুসারী ছিলেন না? আর বাকি ১৯ জনের নাম বলতে পারবেন যাদেরকে তাদের জাতী গ্রহণ করেছিল?
আবার যদি ধরে নেই যে লোকেরা অনুসরন করলেই বোঝা যায় যে সত্যের অনুসারী, তাহলে বলবো যে আপনি কয়জন ইসলামের অনুসারী পাবেন? যারা ইসলাম অনুসরন করে, তারা কি আসলেই ইসলামের অনুসারী? তারা কি ইসলামকে সুন্দর আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করেছে? তারা কেউ ইসলাম গ্রহণ করেনি। তারা কিসের অনুসরন করে, বিস্তারিত দেখৃুন view this link
view this link

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমি আগেই বলেছি মানুষ এমন এক সৃস্টি যার কাছে যুক্তির কোন অভাব হয় না।
দুনিয়ার সকল মানুষই তার সকল কাজের পক্ষে যুক্তি খুজে পায় - কারণ সে সেটাই পেতে চায়।

সকল নবীকেই প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সমাজের লোকেরা প্রত্যাখ্যান করেছিল কিন্তু চুড়ান্ত বিচারে তারাই বিজয়ী হয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশ (২৫ জনের মধ্যে ১৯ জন) সাভাবিক ভাবেই জনগনের সমর্থনে বিজয়ী/প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। বাকি ৬ জনের জাতি তাদেরকে কোন ভাবেই গ্রহন করে নি। ফলে সেই জনপদ সমুহ ধ্বংস করে কেবল তাদেরই রক্ষা করা হয়েছিল যারা ছিল বিশ্বাসী। কাজেই চুড়ান্ত বিচারে সত্যের জয় সুনিশ্চিত। কোরআনে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে : বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।(১৭:৮১)বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চুর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছ, তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ। (২১:১৮)

বস্তুত সত্য মিথ্যার দ্বন্দে সত্যের বিজয় সুনিশ্চিত - এটাই বিশ্ব ব্যাবস্থার মৌলিক নীতি। আপনি ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে বহু যুক্তি দেখাতে পারবেন, নিজের পক্ষে সান্তনাও খুজতে পারবেন - কিন্তু সত্য মিথ্যার দ্বন্দে কখনই বিজয়ী হতে পারবেন না, মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারবেন না - যদি না আপনি প্রকৃতই সত্যের অনুসারী হয়ে থাকেন।

হ্যা কিছুটা বিজয়, কিছুটা সমর্থন আপনিও পেতে পারেন - সেটা আপনার সত্যের মান অনুযায়ী অথবা ফেরাউন, নমরুদ, আবুজেহেলদের মত সাময়িক বিজয়। কিন্তু কোরআন যেভাবে শত কোটি মানুষের জীবন বদলে দিয়ে একটা প্রায় অসভ্য বেদুয়ীন জাতিকে বিশ্ব বিজয়ী করেছিল তেমনটা কোন দিনও সম্ভব হবে না কার সেটাই ছিল সত্যের সর্বোচ্চ অবস্থা। তাই সাবধান! কোরআনের বিরোধীতার মধ্যে ধ্বংস ছাড়া আর কোন পরিনতি নাই।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সাথে থাকুন, আমার পরীক্ষা, অবসরে সকল জবাব দিব।

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০০

বাবাজান বলেছেন: তুই আবার নেখা পড়া করিস্... বাহ্ বাহ, মাথায় শুধু গোবর...!
আবার নেখা পড়া করিস ক্যামনে...?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.