নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক জীবন গড়ি

বিবেক ও সত্য

স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম

বিবেক ও সত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যার মানদন্ড:ইসলাম কি সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৮

[আলোকিত মানুষ হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হল মিথ্যার বেড়াজল ছিন্ন করে সত্যকে উপলব্ধি এবং সে আলোকে জীবন যাপন। আমার লেখার গঠনমূলক সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করা হয়। আমি কোন ভূল করলে বা ভূল বুঝলে তা সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব সুধী পাঠকের। তবে এভাবে যারা মন্তব্য করেন যে আপনি ভূল বা বিভ্রান্ত অথচ আমি কিভাবে ভূল পথে বা বিভ্রান্ত তার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যখ্যা নেই, এমন অর্থহীন মন্তব্য না করায় শ্রেয়।]
সত্যর যেমন কিছু অনন্য বৈশিষ্ট আছে মিথ্যার ও কিছু বৈশিষ্ট বা চিহ্ন আছে। আমরা একটু সচেতন হলেই মিথ্যা দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাচতে পারি।নিম্নে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করছি:
মিথ্যার চিরন্তন মানদন্ড:
১. মিথ্যা সাধারণত যুক্তি এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। মিথ্যার পক্ষে যারা থাকে তারা কিছু খোড়া যুক্তি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এ সকল যুক্তির ভিত্তি যেহেতু অনেক নড়বড় তাই যে কোন চ্যলেঞ্জে এরা সত্য বের হওয়ার ভয়ে থাকে।কোন বিতর্কে সত্য প্রকাশের সম্ভাবনা দেখা দিলে তখন এরা তাড়াতাড়ি যুক্তি এড়ানোর জন্য কিছু ছল-চাতুরির আশ্রয় নেয় যেমন- বিশ্বাসে মুক্তিমেলে,তর্কে বহুদূর ইত্যাদি।
২. মিথ্যা তার দূর্বলতা এড়াতে আপনাকে বিশ্বাস করতে আহ্বান করবে, কারন যুক্তি ও পরীক্ষা-নিরিক্ষায় মিথ্যা সাধারণ টিকতে পারেনা।আকাশের চাদ কেবল যে হিরার তৈরি একটি বৃহদাকার বাতি বা গরুর সিংয়ের উপর আমাদের এ পৃথিবী এটা আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে।বিশ্বাস না রাখলে বা এর সত্যতা নিয়ে মনে একটু মাত্র সন্দেহ দেখা দিলে আপনার ঈমান থাকবেনা- এ কথা আপনার মনে একবার বদ্ধমূল করাতে পারলেই তো কেল্লা ফতেহ। আমার ভন্ডামি চির দিন টিকে যাবে।
৩.মিথ্যার উপর আশ্রিত কোন আদর্শ তার অনুসারীদেরকে নিজ শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে, অথচ সে চ্যলেঞ্জ এর জবাব দিতে পারে এমন যোগ্য কোন ব্যক্তি যাতে চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিতে এগিয়ে না আসতে পারে তার জন্য কিছু কৌশলী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।যেমন- বিভিন্ন ধরনের হট্টগোল ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীকে বিভিন্নভাবে অপদস্তকরে, গালি-গালাজকরে, ইত্যাদি পন্থায়।
ইসলাম কি উপরোক্ত মানদন্ডে টিকতে পারে?
একটু পর্যালোচনা করা যাক। একজন মুসলিম সন্তানকে জীবনের শুরু থেকে শেখানো হয় বিশ্বাস করতে, যুক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করতে নয়।শেখানো হয় ইসলামের নামে যা কিছু বিশ্বাস করতে শেখানো হয় তা তাকে দৃড় ভাবে বিশ্বাস করতে হবে, তা নিয়ে কোন প্রশ্ন তো দূরের কথা তার সত্যতা নিয়ে মনের মধ্যে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আনলেও তার ঈমান থাকবেনা।যে যত বেশি বিশ্বাস করতে পারল তার ঈমান তত বেশি পাকা।অতএব মুসলমান থাকতে হলে বিশ্বাসকে জোর করে আটকে রাখতে হবে।
এরপরও মানবরচিত কুরআনের মানবোচিত দূর্বলতা যে সকল ক্ষেত্রে প্রকাশ পেয়ে যায় এবং যখন আর এ বিশ্বাসবাদীরা লাজওয়াব হয়ে যায় তখন বলে যে এ সকল খটকাদ্বায়ক বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত। এর অর্থ কি দাড়াল? যেখানেই ধরা খাচ্ছে সে বিষয়টিকে খটকাদ্বায়ক শিরোনামে আটকিয়ে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে নিজ মনে আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে থাকে।
আপনি যখন উক্ত মিথ্যা দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া লোকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন এবং যুক্তি দিয়ে মিথ্যার গোমর ফাস করেন তখন মিথ্যা দ্বারা চরমভাবে আক্রান্ত কিছু ব্যক্তি এবং উক্ত ধর্ম যাদের অর্থোপার্জনের মূলমাধ্যম তারা হৈ চৈ শুরু করে যাতে করে আপনি সত্যে প্রকাশ করতে না পারেন।
ধরুন,আপনি কুরআন মানব রচিত ধর্ম তার প্রমান আপনি দিবেন এবং ইসলাম মানবতার জন্য কি কি ক্ষতি করছে তা থেকে মানুষকে সচেতন করবেন এজন্য একটি জনসমাবেশ বা সম্মেলন আয়োজনের ঘোষনা দিলেন-এরপর লক্ষ্য করুর প্রতিক্রিয়া।
যেহেতু আপনার কথা যুক্তি দ্বারা মোকাবেলা করার শক্তি তাদের নেই এবং তারাও পুরোনিশ্চিত যে কুরআনের চ্যালেঞ্জ প্রকাশ্য গ্রহণ করতে দিলে তাদের সব গোমর ফাক হয়ে যাবে এবং সত্য প্রকাশিত হবে, অতএব এটাকে যেভাবেই হোক বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা যে কৌশল অবলম্বন করে তা হল নিম্নরুপ:
১. কাফের-মুরতাদদের ঠাই নেই, ফাসি চাই দিতে হবে।
২. পবিত্র ধর্মের অবমাননা সহ্য করা হবে না (প্রকৃতপক্ষে এটাঅবমাননা ছিলনা, সত্য মিথ্যা পার্থক্য করার জন্য কুরআনের সত্যতার চ্যলেঞ্জ গ্রহণ মাত্র)
৩. ধর্মানুভূতিতে আঘাত সহ্য করা হবে না (আর্থ্যাৎ আপনি যদি ভূল কিছুও শিখে থাকেন, তার শ্রেষ্ঠত্বই শুধু গাইতে হবে, অন্যাথায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগবে)
৪. যিনি কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তাতে বিভিন্নভাবে ব্যক্তিগত আক্রমন করে তার ইমেইজকে জনসমাজের কাছে খাটো করবে।
৫. সাধারণ লোকদের এর পিছনে লেলিয়ে দিয়ে ধর্মীয় হট্টগোল তৈরি করবে।
লক্ষ্য করুন, কুরআন মানব রচিত কিতাব তা প্রমান করতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেবে না। অথচ তারা যখন বক্তব্য দেয় বা বই লেখে তখন বড় গলায় বলে যে ১৪০০ বছরেও কেউ কুরআনের ভূল ধরতে পারেনি।বিষয়টি এমন যে আমি আবোল-তাবোলে বিশ্বাস করলাম এবং যে ব্যক্তি তা আঙ্গুলি নির্দেশ করতে গেল আমি তার গলা টিপে চুপ করিয়ে দিলাম। এরপর বললাম দেখ আমার বাণী কত মহান যে কেউ এর ভূল ধরতে পারে না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৫

এম এ কাশেম বলেছেন: মিথ্যার মানদন্ড:ইসলাম কি সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ? -
শিরোনামের ভিত্তিতে কোন বক্তব্য আপনার আলোচনায় পেলাম না।
আপনার উচিৎ ছিলো কুরান যে মানব রচিত বা ভুল তা যুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা করা । আপনি তার কিছুই না করে
যে সব আলোচনা করেছেন তা ধান ভাঙ্গতে শীবের গীত ছাড়া কিছুই নয়। আল কুরান নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে আগে
আল কুরান পড়ুন। ভুল গুলো নির্দেশ করুন, যুক্তি দিয়ে প্রমান করুন।

শুনা কথা আর বিদ্বেষ নিয়ে ধর্মীয় গ্রন্তের ভুল ধরতে যাবেন না। মনে রাখবেন এত সীমিত জ্ঞান দিয়ে এসব সাজে না।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আল কুরআনের আলোকে নারী অধিকার (সত্য উম্মোচিত)/আল কুরআন মানব রচিত নাকি স্রষ্টার তার বিচারের দায় পাঠকের বিবেকের উপর
আল কুরআনের আলোচ্য বিষয়সমূহ ও কিছু পর্যালোচনাকুরআনের সৃষ্টিকর্তার বিধান হওয়ার পক্ষে কুরআনের প্রমান ও তা খন্ডনকুরআনের সম্মোহনী শক্তিঃইসলামের ইতিহাস কি বলে এবং বাস্তব সত্য কি বলে

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: সত্যর জয় অবশ্যম্ভাবি

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

এম এ কাশেম বলেছেন: অর্থ সহ কুরান পড়েন, বুঝেন। না বুঝে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
ড. মরিস বুকাইলের "কুরান , বাইবেল ও বিজ্ঞান" বইটি পড়ে দেখেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ’না বুঝে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।’- আপনার এ কথার সাথে ১০০% সহমত। আমি আরবী ভাষা জানি। অতএব কুরআন আমি সরাসরি বুঝি। আমি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছি এবং বাজারে প্রচলিত সকল ইসলামি সাহিত্যর ৭০% আমার পড়া। আপনি মরিস বুকাইলির যে বইটির নাম দিয়েছেন সেটিও আমি পড়েছি এবং আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে। সুতরাং আমি না বুঝে বা না পড়ে কোন কথা বলি না।

তবে আমি নিশ্চিত আপনি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েননি। আপনি নিম্নোক্ত শর্ত পূরন করলে আমার সাথে একমত হবেন-
১। সম্পূর্ণ কুরআন পড়বেন নিরপেক্ষ মনে সত্য গ্রহণের নিমিত্তে। এবং লিঙ্ক এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে-
আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মুল্যবোধ,কৃষ্টি-কালচারের অধিকারী। আপনিও কি?
আপনিও কি আমার দলে?

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: @এম এ কাশেম এই সব গবেট মার্কা ডাক্তারদের বই পড়ে পড়ে আপনার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ড: জাকির নায়েক, ড. মরিস বুকাইল, ড: উইলিয়াম ক্যাম্বেল এরা সকলেই মস্ত বড় গবেট। এরা বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান করে বিজ্ঞানের ১২ টা বাজাইছে । #:-S
নামের আগে ড: থাকলেই সে প্রকৃত জ্ঞানী হয় না। ;) :-B

আপনি অর্থ সহ কুরান পড়তে বলেছেন, এটা মাত্র একটি ত্যানা.. এমন আরও কিছু ত্যানা সমগ্র। :-P


২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষন করছি না, তবে আপনার লেখার ভাষাটা অন্যর জন্য অবমাননামূলক না হওয়া উচিত। কোন রোগের চিকিৎসা হওয়া উচিত, রোগি (মানসিক) বোঝার কথা নয় যে সে রোগি। সুন্দর ভাষায় কথা বলা উচিত,তাহলে কিছু লোক হলেও সত্য উপলব্ধি করবে।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন আমি একমত। কিছুটা আক্রমণাত্নক হয়ে গেছে। :`>

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: ধন্যবাদ। এই টা আপনার ইমেইল এড্রেস:[email protected]

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

সেলিম৮৩ বলেছেন: স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম।
তা, ভাইজান অাপনার সেই স্রষ্টা কে?
তাঁর নাম কি?
তিনি সৃষ্টি করে চুপচাপ বসে থাকবেন কেন? তার দিকনির্দেশনা কি?
অাপনি অাসলে মানুষকে কি বোঝাতে চান অাপনি নিজেই সেটা জানেন না!

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি কে যে, আপনার প্রদত্ত মানদন্ডে ইসলামকে পরীক্ষা দিতে হবে? আপনার মানদন্ডে ইসলাম আপনার নিকট ফেল, আমি আপনার মানদন্ড মানিনা, সুতরাং ইসলাম আমার নিকট ফেল নয়।
# মিথ্যা যুক্তি এড়িয়ে চলেনা বরং মিথ্যা যুক্তির উপর ভর করে ঠিকে থাকতে চায়। যদিও মিথ্যার যুক্তি সাধারণত অপযুক্তি হয়।
ইসলাম কোন মানুষ নয় যে সে আপনার মোকাবেলা করবে! তবে ইসলামের অনুসারীরা আপনার কথার জবাব দেওয়ার দরকার মনে করেনা। অনুসারীর দোষে আপনি ইসলামকে অভিযুক্ত করেন এটা আবার কেমন যুক্তি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.