![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
আপনার প্রশ্ন:
ক। প্রমাণ করুন যে জুমার নামাজ, তাফসির, তাবলিগের ওয়াজ, ওয়াজ মাহফিল, শত শত ইসলামি বই ইত্যাদি অমুসলিমদের মুসলিম বানানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমার উত্তর:
আপনি আমার কথার ভূল অর্থ গ্রহণ করেছেন। ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে যত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার শত ভাগের একভাগও অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে না।প্রচার ও প্রসার এর কর্মসূচী শুধু মাত্র ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে করাকে বোঝায় না।
ধরুন আওয়ামিলিগ যদি তাদের দলীয় আদর্শের ব্যপক প্রচার,প্রসার ও প্রতিষ্ঠা লাভ করাতে চায়, তাহলে যে সকল কর্মসূচী গ্রহণ করবে তার সকল কর্মসূচীকেই দলীয় আদর্শের প্রচার-প্রসারের কর্মসূচী বলা হবে।তাদের এ ধরনের কর্মসূচী যথার্থ তখনই হবে যখন তারা নিজ দলের কর্মীদের মধ্যে সর্বপ্রথম সবচেয়ে ভাল করে প্রচার করবে এবং শিখন-প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে। তারা নিজ দলের কর্মীদের ভাল করে প্রশিক্ষন না দিয়ে আগেই তার বিরোধী দল তথা জামাত-বি, এন,পি ইত্যাদির অনুসারীদের মাঝে আগেই প্রচারে লেগে যাবে না।
সুতরাং ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে যেমন মুসলমান নিজেদের মধ্যে লক্ষ কোটি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে ঠিক তেমনি ভিন্ন ধর্মের লোকদেরকে কনভার্ট করাতেও আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
আপনার প্রশ্ন:
খ। ধরেই নিলাম এসব ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা আপনার সমালোচনার বিষয়বস্তু হবে কেন? তারা যা সত্য মনে করছে তা অন্যদের মাঝে প্রচার করছে। আপনার কথা অনুযায়ী "যার যে ধর্ম বা আদর্শ ভাল লাগবে সে তা গ্রহণ করবে"। তারা কি মানুষকে জোর করছে?
আপনিও কি ব্লগে একই কাজ করছেন না?
আমার জবাব:
আপনি আমার লেখার কোন অংশে পেলেন যে আমি এ প্রচারকে সমালোচনা করেছি? আমার লেখার যে অংশে এ প্রচার সংক্রান্ত কথাটি বলেছি তা আবার এখানে তুলে ধরছি, আপনি আবার পড়ে দেখুন কথাটির সারাংশ কি দাড়ায়।
[ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য যত হাজার হাজার বই, পুস্তক, সাময়িকি প্রকাশ করা হয়, হাজার হাজার ওয়াজ নসিহত প্রচার করা হয়, শত শত প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা শত শত কোটি টাকা ইসলাম প্রচারে ব্যয় করছে, আবার ধর্মের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে (বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসা)- তার অর্ধেকও যদি অন্য আদর্শ ও ধর্মাবলম্বীরা করত তাতেই যতজন মানুষ অন্য আদর্শ থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে থাকে তার চেয়ে বেশি ভিন্ন আদর্শ গ্রহণ করতো। তাছাড়া কেউ ইসলাম ছেড়ে অন্য আদর্শ গ্রহণ করলে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয় এবং এমনকি হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।]
আপনার প্রশ্ন:
২। আমার মন্তব্যের এ অংশটুকু আপনার জন্য ছোট একটা পরীক্ষা।
আপনি লিখেছেন-
"শুধু ধর্ম শিক্ষার জন্য মুসলমানদের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, অন্য কোন ধর্মে শুধু ধর্মের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।"
আপনি যেহেতু পুরোপুরি অস্বীকার করলেন। তাই আমি মনে করছি আপনার দাবী খণ্ডনে একটি দৃষ্টান্ত পেশ করাই যথেষ্ট হবে।
জনাব কি কখনো "রামকৃষ্ণ মিশনে"র নাম শুনেছেন?
আপনার প্রশ্নঃ
এবার আপনার "বিবেক ও সত্য" নাম এবং এতদিনের সত্যের ব্রতকে সার্থক প্রমাণ করতে কষ্ট করে একটু স্বীকার করবেন কি যে আপনার উপরোক্ত দাবীটি মিথ্যা?
আমার জবাব:
আপনি এখানেও আমার কথার ভূল অর্থ গ্রহণ করেছেন।"রামকৃষ্ণ মিশনে" কোন স্কুল-কলেজ বা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের নাম নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে সাধারণত বিদ্যালয় বোঝায়। আপনি হয়ত বলবেন "রামকৃষ্ণ মিশনেও শিক্ষা-দীক্ষা দেয়া হয়।"রামকৃষ্ণ মিশনে"র মত হাজার হাজার ইসলামীক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যারা ইসলামেরও বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাই বলে সেগুলোকে বিদ্যালয় বলা হয় না। আমার দাবী ছিল যে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের শিক্ষা প্রচার-প্রসারের নিমিত্তে মুসলমানদের মাঝেই আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যা অন্য কোন ধর্মের মাঝে নেই।
আপনার প্রশ্নঃ
৩। মুসলিমরা তাদের বিশ্বাসে নিজেদের ধর্মকে চূড়ান্ত সত্য মনে করে। তারা এও বিশ্বাস করে যে শয়তান মানুষের চিরস্থায়ী শত্রু। সে মানুষকে ধোকা দিয়ে অন্যায় পথে পরিচালিত করে। অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিও যেখানে মুহূর্তের দুর্বলতায় শয়তানের ফাঁদে পড়ে যায়। সেখানে একজন মুসলিম পিতা কেন তার সন্তানকে ছোটবেলায়ই সতর্ক করবে না?
আপনিও নিশ্চয়ই আপনার সন্তানকে ছোটবেলায় একবারের জন্য হলেও একথা পুশ করতে ভুলবেন না যে সব ধর্মই মানুষের বানানো
আমার জবাব:
আমার লেখার কোথায়ও কোন আদর্শের প্রচার করা খারাপ কাজ বা অনুচীত তা বলিনি। প্রশ্নের আগে বক্তব্য ভাল করে বোঝা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু তুলনা করতে চেয়েছি যে ইসলাম প্রচার-প্রসারের জন্য যত অর্থ ব্যয় করা হয়, যত পদক্ষেপ ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তা অন্য ধর্মের প্রচারনার তুলনায় ৯৯ গুন বেশি।এতটুকু কেন এর চেয়ে অর্ধেকও যদি অন্য যে কোন ধর্ম বা আদর্শের ক্ষেত্রে করা হয় তাহলে সে ধর্ম বা আদর্শের প্রসারও হবে অনেক বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি।
আপনার প্রশ্ন:
[আপনার এ প্রশ্নটি অনেক বড়, যার সার কথা হল ভিন্ন ধর্মের লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে আর মুসলমানেরা অমুসলিম হয় আত্মস্বার্থে]
আমার জবাব:
আজ যদি শিয়া ও সুন্নি বা জামায়াতে ইসলামী ও তাবলীগের মধ্যে বিতর্কো করতে দেয়া হয় এ বিষেয়ে যে কার দলে লোক বেশি আসে বা কম আসে, তা কেন? তাহলে দেখবেন প্রত্যেকেই তার নিজ পক্ষে বহু পয়েন্ট সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে- আর এমন বিতর্ক শেষ হবার নয়।সুতরাং কার দলে কত লোক গেল বা বের হল সেটা বিতর্কের কোন মৌলিক বিষয় নয়, এমন বিষয়ে বহু কথা বলা যায়। বুদ্ধিমান লোকেরা মৌলিক ও দ্ব্যর্থহীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকে। আর আমার যে পোষ্টের সমালোচনা আপনি করেছেন সে পোষ্টের বিষয়বস্তু এক কথায় বললে নিম্নরুপ হয়-
’মুসলমানেরা মিথ্যা দাবী করে যে কেউ ইসলাম ত্যগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে না, অথচ বাস্তবে অন্য ধর্ম ত্যগ করে যেমন কিছু মানুষ মুসলমান হয় তেমনি মুসলমানেরাও অন্য ধর্ম গ্রহণ করে থাকে।’
অপনার যুক্তি সম্পর্কে শুধু এতটুকু বলবো যে ধর্ম ত্যগ করলে পরিবার কখনও গ্রহণ করে না সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। তবে মুসলমান থেকে কেউ অমুসলিম হলে শুধু মাত্র উক্ত মুসলিমের পরিবারই তাকে ত্যগ করে না বরং তাকে পুরো মুসলিম জাতি ’মুরতাদকে হত্যা করে’ ফতোয়া দিয়ে হত্যা করতে চায়।
আপনার প্রশ্ন ও আমার জবাব:
আপনার পঞ্চম প্রশ্নটি চরিত্র হনন নিয়ে।চরিত্র হনন বলতে বুঝিয়েছি যে কারো ইমেজকে খাটো করা। আর কারো ইমেজকে খাটো করতে গেলে মানুষ সত্য ও মিথ্য উভয়টি মিলিয়েই বলে থাকে।মনে করুন বি, এন, পি যখন আওয়ামিলিগের সমালোচনা করে থাকে তখন নিশ্চয়ই বি, এন, পি যা বলে তার ১০০% মিথ্যা নয়, একইভাবে আওয়ামিলিগের সমালোচনা বি, এন, পি সম্পর্কে যা হয় তার ১০০% মিথ্যা নয়। এখানে সত্য-মিথ্যার মিশ্রন থাকে।
এরপর আপনি কিছু বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন যে খ্রিষ্টান ধর্ম আগে আসায় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলে মুসলমানেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হত। তবে এতদিনে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে ব্যর্থ হলেও এবার 2070 সালের মধ্যে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।
এ কথা বলার পর যখন দেখলেন কথাটিই হয়ত পুরোপুরি খাপ খায় না, তাই পরিশেষে নিজের কথার বিপরীতে গিয়ে সত্য স্বীকার করলেন এভাবে ‘এত কিছুর পরও সর্বশেষ বলতে চাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা ধর্মত্যাগ কোনটাই ধর্মের সত্যতার মানদণ্ড নয়।’
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৯
সত্যের ফেরীওয়ালা বলেছেন: আপনারও জানার ঘাটতি আছে জনাব। শুধুমাত্র খৃষ্টান ধর্ম প্রচারের জন্য বাৎসরিক যে অর্থায়ন করা হয় তার তুলনায় ইসলামের জন্য যা করা হয় তা নগন্য।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্চি, ইসলামের জন্য যে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে তাঁর অধিকাংশই স্বেচ্ছায় ও সব-উদ্দোগে।
তাবলীগ জামাত ইসলাম প্রচার করে নিজের পকেটের খরচ দিয়ে, অধিকাংশ মাদরাসা গুলো চলে পার্শবর্তী এলাকার দান সহযোগীতায়। ইসলাম প্রচারে মুসলিমরা নিজের আন্তরিকতা থেকেই কাজ করে যার যার অবস্থান থেকেই, তাই সেখানে অর্থায়নের ব্যপারটা মুখ্য নয়।
দেখুন খৃষ্টিয়ান মিশনারিজ কাজে কত বাজেট ও অর্থায়ন হয়ে থাকে।
Christians' annual income is $12.3 trillion. $213 billion is given to Christian causes. $11.4 billion is given to foreign missions, 87% of which goes to work being done among the already Christian, 12% goes to work among the evangelized non-Christians, 1% among the unevangelized. (The Traveling Team)
Christians spend more on the annual audits of their churches and agencies ($810 million) than on all their workers in the non-Christian world. (World Evangelization Research Center)
The total cost of Christian outreach averages $330,000 for each and every newly baptized person. (World Evangelization Research Center
US ministries send out over 144,000 short-term missionaries each year. (Weber and Welliver 2007, 13)
US mission agencies have an annual budget of over $5.2 billion. (Weber and Welliver 2007, 13)
Christian organizations spend $8 billion a year on conferences. (Yohannan, Come Let's Reach the World, 126)
পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটি পড়তে দেখুন-
http://www.aboutmissions.org/statistics.html
বিভিন্ন দরিদ্র রাষ্ট্রের দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে কিভাবে তারা অর্থ ঢালে এবং তাঁর পেছনে মার্কিন প্রসাশন যোগান দেয় তা দেখুন এই রিপোর্টে-
https://en.wikipedia.org/wiki/Christian_mission#Statistical_patterns
তাদের ভিশন টি দেখুন-
God has overwhelmingly blessed His people worldwide. Compare the mid-2004 resources of the global body of Christ with the projected 2025 numbers (in 2004 value of U.S. dollars): in 2004, church members' income was US $16,590 billion.
http://www.epm.org/blog/2008/Jul/17/world-evangelism-statistics-and-missions-giving
শুধুমাত্র তাদের সাপ্তাহিক সেটারডে ও পেনি ম্যাগাজিন ছাপা হয় সর্বাধিক সংখ্যায় যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ।
https://en.wikipedia.org/wiki/The_Saturday_Magazine_(magazine)
এর বিপরিতে মুসলমানের স্পন্সর হাতে গোনা মুষ্ঠিমেয় কিছু দাতা যা এদের সামনে খুবই নগন্য
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৩
মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: @সত্যের ফেরীওয়ালা, হাতেগোনা মুষ্ঠিমেয় দাতা না, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি রাষ্ট্র এবং তাদের ভূরাজনৈতিক ব্যাকার দালাল পাকিস্তান ও চায়না। এই কেক এর ব্যাটার এর উপরে টপিং/আইসিং হিসাবে আছে প্রবাসী মুসলিম কমিউনিটির পাঠানো ট্রান্সফার।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২০
সত্যের ফেরীওয়ালা বলেছেন: আমি রেফারেন্স ছাড়া কোন কিছু বলতে যাইনা। আপনারও উচিত প্রমাণ দেয়া আপনার বক্তব্যের স্বপক্ষে।
আমি বলছিনা যে কিছুই আসেনা, কিন্তু সত্য হলো তা মিশনারিদের তুলনায় নগন্য।
হাস্যকর ব্যাপার হল চায়না যেখানে মুসলিম নিধনে ব্যস্ত তারা ব্যাকাপ দিচ্ছে কোন খামখেয়ালে?
প্রবাসীদের নিজের ঘর চালাতে অন্তঃসার শুন্য হয়ে যায়। আবার অনুদান???
কিছু রেপোর্ট দিয়ে আপনার কথার প্রমাণ দেবেন আশা করি। ধন্যবাদ
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৩০
মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: @সত্যের ফেরীওয়ালা, ভূরাজনৈতিক প্রতিপত্তি বিস্তারের জন্য চায়না পাকিস্তানকে ও জিহাদীদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। সম্প্রতি সংঘটিত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের সামনে চীন ইসলামিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার পরে চীনে ফিরে এসে বক্তব্য উল্টিয়ে ফেলে অস্বীকার করে যে ইসলামিক সন্ত্রাসী বলে কিছু নেই ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা অংশগ্রহন করবেনা। আজাদ কাশ্মীর এর শক্ত সমর্থক চীন ও পাকিস্তান। এই কাজে ইসলামিক সন্ত্রাসীদেরকে জ্বালানি সাপ্লাই দিচ্ছে। এই তথ্যগুলো আন্তর্জাতিক, মানে ইংরেজীভাষী ফোরামসাইট, ব্লগসাইট (এইটচ্যান, এন্ডচ্যান, সামথিংঅয়োফল এবং আরো কত কিছু) এবং বিভিন্ন আইআরসি সারভারগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরেকটা কথা, সম্ভাব্য অস্বীকার্য (plausible deniability) এর সর্বোচ্চ প্র্রয়োগ ঘটানো হয় এসব অপারেশনগুলোতে, অর্থাৎ, অস্বীকার করা সহজ করার জন্য তথ্য প্রমান রেকর্ড রাখা হয়না, চিপাগলির মধ্য দিয়ে ধরে ফেলতে হয়। যেহেতু বাঙালি জাতির ৯০% এরও অধিক হয় ইংরেজি পড়তে পারেনা কিংবা পড়তে পারলেও বিদেশঘৃনা (xenophobia) তে ভুগে, তাই এসব তথ্যদাতাদেরকে পাগল/সাম্রাজ্যবাদিদের এজেন্ট/ইলুমিনেতি/ফ্রিম্যাসন/ইত্যাদি লেবেল দিয়ে ভারচুয়াল এবং বাস্তবে গণধোলাই দেওয়ানোর চেষ্টা করে।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আজ দিল হ্যা পানি পানি.......
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৬
বাবাজান বলেছেন: কিরে তুই ব্লগে এতো কম আসিস কেনো...??
সঠিক উত্তর দিতে ভয় লাগে তাই এড়িয়ে যাস..
হ বুঝতে পারি, সমস্যা কোথায়... উত্তর দেয়ার এবিলিটি নাই। তাহলে কমেন্ট ডিলেট করিস কেনো..??
৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
১।
ক। আপনার দাবী, আপনি মাদরাসায় পড়েছেন। আশাকরি দাওয়াহ এবং তালীম-তারবিয়াতের মধ্যকার পার্থক্য আপনি সেখানে জেনেছেন। তদুপরি আমি বিষয়টি ধরে নিয়েই আপনাকে পরবর্তী প্রশ্নটি করেছি। তাই এ সংক্রান্ত আলোচনা আর বাড়ানোর ইচ্ছা নেই।
খ। আপনি লিখেছেন-
"আপনি আমার লেখার কোন অংশে পেলেন যে আমি এ প্রচারকে সমালোচনা করেছি?"
আপনার লেখার ভাষাই কি প্রচ্ছন্ন ভাবে সমালোচনার ইঙ্গিত দিচ্ছেনা?
তবে আমার নিকট আরো প্রমাণ রয়েছে-
"শ্রেষ্ঠত্বের নামে আপনাকে এটা-সেটা বুঝিয়ে মুসলমান বানাবে, এরপর যখন আপনি বুঝবেন যে এসব ফাকা বুলি এবং সে কারনে আপনি পরিত্যগ করতে চাইবেন এবার তারা আপনাকে কোপানোর হুমকি দিয়ে দলে রাখার চেষ্টা করবে।"
জি এটা আপনার ইসলাম ত্যাগ সংক্রান্ত পোস্টের প্রথম প্রতিউত্তর থেকে চয়নকৃত। আশাকরি উত্তর পেয়েছেন।
২। আপনি বলেছেন-
"রামকৃষ্ণ মিশন" কোন স্কুল-কলেজ বা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের নাম নয়।"
এবারো অসংখ্য উদাহরণ দিতে পারতাম। একটিতে সীমাবদ্ধ থাকছি। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়
এটা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট। চাইলে একবার ভিজিট করে আসতে পারেন।
এবার কি তাহলে আপনার মিথ্যাটি স্বীকার করে নিবেন?
৩। আমার এ প্রশ্নটি ছিল আপনার নিম্নোক্ত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে-
"তাছাড়া মুসলমান সন্তান যাতে ইসলাম ত্যগ না করে সে জন্য শিশুকাল থেকেই শেখানো হয় তোমাদেরকে অমুক অমুক বিষয়ে বিশ্বাস রাখেতে হবে নইলে কিন্তু ঈমান যাবে। আর ঈমান গেলে জাহান্নাম। এভাবে ভয় দেখানো হয়।
যা সত্য ও শ্রেষ্ঠ তা তো ব্যক্তি নিজ বিশ্লেষনে স্বতই গ্রহণ করার কথা, বিশ্বাস করতে এভাবে ভয় দেখানোর কথা নয়।"
শুধু এতটুকু বলব, আমার প্রশ্নের উত্তর পাইনি।
৩ক। আপনি বলেছেন-
"ইসলাম প্রচার-প্রসারের জন্য যত অর্থ ব্যয় করা হয়, যত পদক্ষেপ ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তা অন্য ধর্মের প্রচারনার তুলনায় ৯৯ গুন বেশি।"
মনগড়া কথা এবং অতিরঞ্জিত কথা কি প্রকারান্তরে মিথ্যারই শামিল নয়?
হায়! যারা ক্ষুদ্র স্বার্থে শুধু তর্কে বিজয়ী হতে এ ধরণের প্রমাণবিহীন কথা বলে। তারা কিভাবে স্রষ্টা এবং ধর্মের চিরন্তন বিষয়ে সত্য কথা বলবে?
৪। আপনি বলেছেন-
"সুতরাং কার দলে কত লোক গেল বা বের হল সেটা বিতর্কের কোন মৌলিক বিষয় নয়, এমন বিষয়ে বহু কথা বলা যায়। বুদ্ধিমান লোকেরা মৌলিক ও দ্ব্যর্থহীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে থাকে।"
জি আমিও ৭নং পয়েন্টে একই কথা বলায় আপনি বললেন আমি নাকি যুক্তি খাপ খাওয়াতে না পেরে এ ধরণের কথার অবতারণা করেছি। এ সংক্রান্ত বাকী কথা শেষে বলব ইনশাআল্লাহ।
৪ক। আপনি উত্তর দেন নি যে বর্তমান পৃথিবীতে মুসলিমদের ন্যায় বৈষম্য এবং অমানবিকতার শিকার অন্য কোন ধর্মের লোকেরা হচ্ছে কি না।
৫। নতুন কিছু বলার নেই।
৬। এখানে আপনি আমার গুরুত্বপূর্ণ একটি (বোল্ড চিহ্নিত) প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। আমার উত্তরটা জানা খুব প্রয়োজন ছিল। এবারে আপনি নতুন করে জানালেন, অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ইসলামের প্রচার ৯৯ গুণ।
দয়া করে একটু হিসাব দিবেন কি অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কত গুণ?
বিশেষ করে আপনার ব্লগকে কেন্দ্র বিন্দুতে রেখে এভাবে-
ব্লগার- ''বিবেক ও সত্য''
মোট পোস্ট করেছেন: ৫৭টি
ইসলামের বিরুদ্ধে: ?
অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে: ?
গ। আপনি লিখেছেন-
"তবে এতদিনে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে ব্যর্থ হলেও এবার 2070 সালের মধ্যে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।"
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি এটা আমার মনগড়া তথ্য নয়। বিশ্বাস না হলে এই লিংকে যেয়ে যাচাই করে আসুন Click This Link
৭। আপনি লিখেছেন-
"তাই পরিশেষে নিজের কথার বিপরীতে গিয়ে সত্য স্বীকার করলেন এভাবে ‘এত কিছুর পরও সর্বশেষ বলতে চাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা ধর্মত্যাগ কোনটাই ধর্মের সত্যতার মানদণ্ড নয়।’"
একটু বুঝিয়ে বলবেন কি আমি কিভাবে নিজের কথার বিপরীতে গেলাম? আপনার পোস্টে আমার প্রথম মন্তব্যেই আমি স্বীকার করে নিয়েছি ইসলাম ত্যাগের ঘটনা ইসলামের শুরু থেকেই ঘটছে। কোথাও এ দাবীও করিনি যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণেই ইসলাম সত্য ধর্ম। আমার মূল দাবীটা হচ্ছে, ইসলামত্যাগ সাধারণ ঘটনা নয় বরং ব্যতিক্রম। আর এত সমালোচনা, বিরোধিতা, হামলা, নির্যাতন সত্ত্বেও ইসলামই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান ধর্ম।
সুতরাং, যারা ইসলামের শত্রুতায় সর্বশক্তি ব্যয় করছে তারা এ বিষয়টি জানুক এবং নিজেরা নিজেদের আঙ্গুল কামড়াক।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার পোষ্টটি আমাকে সম্বোধন করে করা হয়েছিল অথচ পোষ্টটি আমার লেখার মূল বিষয়স্তুকে এড়িয়ে প্রাসঙ্কিক কিছু দিক নিয়ে ব্যপক আলোচনা করা হয়েছে। আমি অপ্রাসাঙ্গিক বিষয়ে কথা বলি না । তাই আপনার পোষ্টের জবাব লিখতে আগ্রহী ছিলাম না। আপনার পোষ্টটি একান্তভাবে আমাকে সম্বোধন করাই এবং পোষ্টটি হিট হওয়াই আমি জবাব লিখেছি।
কারো কোন বক্তব্যের সমালোচনা করলে সে বক্তব্যের কেন্দ্রূীয় বিষয়/বিষয়বস্তু নিয়ে সমালোচনা করাই কাম্য। কেউ যে বিষয়ে কথা বললো সে বিষয়ের মুল বক্তব্য নিয়ে কোন কথা নেই, অথচ তার আনুসাঙ্গিক দিক নিয়ে তেনা পেচানো হচ্ছে।
আমার পোষ্টের মূল বক্তব্য ছিল:
মুসলমানেরা মিথ্যা দাবী করে যে কেউ ইসলাম ত্যগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে না, অথচ বাস্তবে অন্য ধর্ম ত্যগ করে যেমন কিছু মানুষ মুসলমান হয় তেমনি মুসলমানেরাও অন্য ধর্ম গ্রহণ করে থাকে।’
আপনি আমার জবাবের পাল্টা জবাব লিখেছেন, আমিও এর পাল্টা জবাব লিখতে পারি। অমৌলিক বিষয় নিয়ে এবং আমার পোষ্টের কেন্দ্রীয় বিষয় না হওয়াই আমি ফালতু তর্ক-বিতর্ক পছন্দ করি না। আর আপনিও যেহেতু স্বীকার করেছেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা সংখ্যালঘিষ্টতা সত্য-মিথ্যার মানদন্ড নয়, তাই এ নিয়ে তর্ক আরো বেশি অনর্থক।
ধর্ম পৃথিবীর সকল কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের সুতিকাগাার। আমার ব্লগের মুল উদ্দেশ্য মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসের গেড়াকল থেকে উদ্ধার করে মানুষকে আলোর পথে আনা। প্রাথমিকভাবে আমি শুধু ইসলাম ধর্ম মানব রচিত তার প্রমান উপাস্থাপন করছি।, কারন-
আমি মুক্তমনা,কেন শুধু ইসলামের সমালোচনা করি।
আমি ইসলাম যে মানবরচিত ধর্ম তার হাজার প্রমানের মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকটি প্রমান দিয়েছি মাত্র। বাকি প্রমান পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। আমার দেয়া প্রমানগুলোর এখন পর্যন্ত একটিও কেউ খন্ডন করতে পারেনি।
পারলে সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলুন।
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১০
আশাবাদী অধম বলেছেন: যারা ক্ষুদ্র স্বার্থে শুধু তর্কে বিজয়ী হতে এ ধরণের প্রমাণবিহীন কথা বলে। তারা কিভাবে স্রষ্টা এবং ধর্মের চিরন্তন বিষয়ে সত্য কথা বলবে?
আমি আপনার কিছু মিথ্যাচার হাতে নাতে ধরিয়ে দিয়েছি। সেগুলো স্বীকার করে আমাদেরকে আগে বিশ্বাস করার সুযোগ করে দিন যে আপনি একমাত্র সত্যের পূজারী। সত্য স্বীকার করতে কুণ্ঠিত নন।
এর বাইরে আপনার সাথে নতুন কোন আলোচনায় জড়ানোর ইচ্ছা আমার নেই। কারণ যে মিথ্যাবাদী সে কিভাবে মানুষকে আলোর পথ দেখাবে?
হ্যা, আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত সত্য ধর্ম। সুতরাং সত্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত সাহস আমার আছে। যদি ইচ্ছা থাকে তবে শর্তসাপেক্ষে নতুন ভাবে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু আপাতত আলোচনা ঘুরিয়ে পিছলানোর প্রয়োজন নেই। আমি আপনার লেখা থেকে টু দ্যা পয়েন্ট আলোচনা করেছি। অংশ অংশ ভাগ করে প্রশ্ন করেছি। এখানে ত্যানা প্যাচানোর কিছু ছিল না।
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১০
আশাবাদী অধম বলেছেন: যারা ক্ষুদ্র স্বার্থে শুধু তর্কে বিজয়ী হতে এ ধরণের প্রমাণবিহীন কথা বলে। তারা কিভাবে স্রষ্টা এবং ধর্মের চিরন্তন বিষয়ে সত্য কথা বলবে?
আমি আপনার কিছু মিথ্যাচার হাতে নাতে ধরিয়ে দিয়েছি। সেগুলো স্বীকার করে আমাদেরকে আগে বিশ্বাস করার সুযোগ করে দিন যে আপনি একমাত্র সত্যের পূজারী। সত্য স্বীকার করতে কুণ্ঠিত নন।
এর বাইরে আপনার সাথে নতুন কোন আলোচনায় জড়ানোর ইচ্ছা আমার নেই। কারণ যে মিথ্যাবাদী সে কিভাবে মানুষকে আলোর পথ দেখাবে?
হ্যা, আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত সত্য ধর্ম। সুতরাং সত্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মত সাহস আমার আছে। যদি ইচ্ছা থাকে তবে শর্তসাপেক্ষে নতুন ভাবে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু আপাতত আলোচনা ঘুরিয়ে পিছলানোর প্রয়োজন নেই। আমি আপনার লেখা থেকে টু দ্যা পয়েন্ট আলোচনা করেছি। অংশ অংশ ভাগ করে প্রশ্ন করেছি। এখানে ত্যানা প্যাচানোর কিছু ছিল না।
১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনি প্রথমে চরম মিথ্যা দিয়ে কথাটি শুরু করেছেন।
আমি ক্ষুদ্র স্বার্থ তো দূরের কথা, বরং নিজের ক্যরিয়ারের এক বিশাল ত্যগ স্বীকার করেছি সত্য কথা বলার জন্য। আমি যদি সত্যকে গোপন করে সম্মান পাওয়ার আশায় ধর্মের গুনগান প্রচারে আত্মনিয়োগ করতাম তাহলে আমি আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন আলেম হিসাবে স্থান খাভ করতাম। বিশ্বের বহু দেশ আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিত। আপনি হয়ত ভাববেন এটা নিজ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত কথা বলছি। এতটুকু প্রকাশ করতে চাইনি। আর কিভাবে, কি কি গুন থাকার কারনে সে সুযোগ ছিল, ইত্যাদি বহু প্রমান উপাস্থাপনের দাবি রাখে। তবে এতকিছু প্রকাশ করতে আগ্রহী নই, বিশ্বাস-অবিশ্বাস আপনার দায়িত্ব। এতটুকু বললাম যে আমি এত বড় লোভনীয় অবস্থান ত্যগ করেছি শুধু মাত্র বিবেকের তাড়নায়।
আমি একটি কথাও মিথ্যা বলিনি। বরং যারা ইসলাম প্রচার করে তাদের একটি অংশ ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিক করতে গিয়ে বহু মিথ্যার আশ্রয় ন্যয় যার প্রমান আমার কাছে আছে। তবে বিশাল সংখ্যাক মুসলমান ঐ সব মিথ্যাকে সত্য মনে করে প্রচার করতে থাকে। আপনিও হয়ত সরল বিশ্বাসে ঐসব মিথ্যার শিকার অথবা স্বেচ্ছায় মিথ্যা রচনাকারীদের একজন।
আপনি আমার নিম্নোক্ত কথাকে মনগড়া ও অতিরঞ্জন বলেছেন।
"ইসলাম প্রচার-প্রসারের জন্য যত অর্থ ব্যয় করা হয়, যত পদক্ষেপ ও কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় তা অন্য ধর্মের প্রচারনার তুলনায় ৯৯ গুন বেশি।"
আমি মন্তব্যটি করার সময়ই মনে করেছিলাম আপনি আমার এ মন্তব্য সম্পর্কে এমন কথায়ই বলবেন। আপনি এমন কথা বলার আগেই আমি ব্যখ্যা দিলে আপনি এরুপ প্রশ্ন করার সুযোগ পেতেন না। কথা সংক্ষিপ্ততার স্বার্থে আমি ব্যখ্যা করিনি। আর এসব বিষয় মৌলিক না হওয়াই আমি কথা বাড়াতে পছন্দ করিনি, তাই মনে করেছেন যে আমার আর কোন কথা নেই।
আমি ৯৯গুন বেশি বলেছি আধিক্যতা বোঝাতে অনুমানের ভিত্তিতে। যথাযথ পরিসংখ্যান বের করলে হতে পারে ১১০ গুনও বেশি আবার এও হতে পারে ৮০ গুনও বেশি। আমার অনুমানের ভিত্তিটি নিম্নরুপ:
১। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজীদে প্রতিদিন সকাল সন্ধা ধর্ম প্রচার মূলক বৈঠক করে। বাংলাদেশে আড়াই লক্ষাধিক মসজিদ আছে। প্রতি মসজীদে যদি গড়ে প্রতিদিন ১/২ টি করে বৈঠক হয় বলে ধরা হয় তাহলে প্রতিদিন সারাদেশে প্রায় ১ লক্ষ পচিশ হাজার বৈঠক হয়।
মাসে আমরা ধরতে পারি নিম্নপক্ষে ৩০ লক্ষ ধর্মীয় বৈঠক শুধুমাত্র তাবলিগ জামাতেই করে থাকে।
২। বেশিরভাগ মসজীদে প্রতি সপ্তাহে তাফসীর হয়। সারাদেশে মাসে এরুপ তাফসীর এর সংখ্যা আনুমানিক: ১০ লক্ষ
৩। বাংলাদেশে প্রায় কয়েক হাজার রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্থা আছে। তাদের প্রত্যেকটি সংস্থার শাখা-উপশাখা পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে ধর্মীয় বৈঠক বাধ্যতামূলক।একটি সংস্থার সারাদেশে সকল শাখা উপশাখার ধর্মীয় বৈঠকের সংখ্যা মাসিক প্রায় লক্ষাধিক।
সকল সংগঠনের মাসিক বৈঠকের সংখ্যা যোগ করলে মাসে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বৈঠক হয়।
৪। আলিয়া, হাফেজি, কওমি সহ সকল মাদ্রাসায় মাদ্রাসার পাঠ দানের পাশাপশি অতিরিক্ত সাপ্তাহিক হারে ধর্মীয় বৈঠক হয়। যার মাসিক সংখ্যাও হবে কয়েক লক্ষ।
৫। হাজার হাজার ইসলামি বই, পত্র-পত্রিকায় কমবেশি লেখনি, ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কম বেশি প্রচারনা সহ বহু পন্থায় প্রচার
৬। প্রতি বছর হাজার হাজার ওয়াজ মাহফিল।
৭। প্রতি শুক্রবার জুমাবর খুতবা/মাসে প্রায় ১০ লক্ষাধিক জুমার খুতবা
৮। বিভিন্ন ইসলামি দিবস উপলক্ষে দেশ ব্যপি লক্ষ লক্ষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা, ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে।
আরো অনেক ভাবেই ইসলাম প্রচারে সময়, শ্রম, অর্থ ইত্যাদি ব্যয় করা হয়ে থাকে। এতকিছুর সাথে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মিশনারী কাজকে আমি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছি যে তাদের কাজ প্রায় ৯৯ গুন কম হবে। আমার অনুমানের ভিত্তি আছে, এটা মোটেও অতিরঞ্জন নয়।
শুধুমাত্র তাবলীগ জামাত যে কাজ করে তা কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করলেও এত বেশি ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে না। কারন ধর্মীয় আবেগ দ্বারা যে কাজ হয় টাকা দ্বারা সে কাজ হয় না। অন্যান্য মিশনারীরা বেশিরভাগ টাকার উপরই নির্ভর করে থাকে।
আপনি আমার আরেকটি কথাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। সেটা হল রামকৃষ্ঞ মিশন সম্পর্কে ।
শুধু মাত্র ধর্ম শিক্ষার জন্য স্বুল-কলেজের প্যারালাল প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা শুধুমাত্র মুসলমানদের মধ্যেই আছে। এটা চরম সত্যে। রামকৃষ্ঞ মিশন কোন বিদ্যালয়ের নাম নয়। এটা একটি মিশনারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার প্যারালাল হিসাবে টানছেন। এ কারনেই বলেছি আপনি ত্যানা পেচাচ্ছেন।
খুব বড়জোর রামকৃষ্ঞ মিশন কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানকে আমাদের দেশের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করতে পারেন। রামকৃষ্ঞ মিশন কর্তৃক পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র রামকৃষ্ঞ মিশনারীদের মিশনারী কর্মসূচীর একটি অংশবিশেষ।
আমাদের দেশে বহু ইসলামিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত এরুপ বহু স্পেশাল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যার উদ্দেশ্যও ইসলাম প্রচার।
আশা করি এ বিষয় নিয়ে আর পেচাবেন না। আমি একটি কথাও মিথ্যা বলিনি, আমার দাবি যে মিথ্যা নয় শুধুমাত্র এটুকু প্রমানের জন্য এতটুকু জবাব দিলাম। এসব অমৌলিক বিষয় নিয়ে অপ্রযোজনীয় তর্ক করা আমার স্বভাব নয়।
আমার যে পোষ্টটি নিয়ে আপনি এ সকল বিষয় তুলেছেন সে পোষ্টের মূল বিষয় এগুলো নয়। আর কোন ধর্ম কতটুকু প্রচার করল বা না করল তা সত্য-মিথ্যার মানদন্ড নয়। তাই এ বিষয়টি প্রমানের জন্য এত কথা বলার প্রয়োজন নেই।
উপরোক্ত আলোচনা শুধুমাত্র এটুকু বলার জন্য যে আমি মিথ্যা বলিনি।
১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
আশাবাদী অধম বলেছেন: আগে ব্লগে জামাতপন্থী ব্লগারদের নিজের বাবা,চাচাকে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণে যথেষ্ট কসরত করতে দেখা যেত।
ইদানীং ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী সাধুবাবাদের মাঝে নতুন এক প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
আমি মাদরাসায় পড়েছি, আরবি জানি, বাবা-মা দরবেশ, চাইলে আন্তর্জাতিক ক্ষতিসম্পন্ন ইসলামী ব্যক্তিত্ব হইতে পারতাম ইত্যাদি ইত্যাদি......... আরও কত ডউয়ার ছাল।
আফসোস, আপনার এ পথ পরিবর্তনে ইসলাম এতীম হইয়া গেল!
"জানো হে অধম হতে পারতুম আমি বিশ্বের মহাজ্ঞানী
দিকে দিকে শুধু শুনিতে পাইতে আমার বিজয়ধ্বনি।
ভাগ্যই পথে বাঁধা হল মোর তাই করি আজ ভাঁড়ামি
তবুও আমি গুণিনা কাউরে জানি আমিই সেরা আমি।"
১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: সত্য গ্রহনের সদিচ্ছা আপনার নেই, আপসোস এ ধরনের ধর্মান্ধতার যা মানুষকে তার ভিতর থেকে মনুষত্বকে বিনষ্ট করে দেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭
মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: আপনি কবে থেকে এই ঘরানার লেখা লিখে আসছেন, তা বলবেন কি?