![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্রষ্টা প্রদ্ত্ত বিবেক ও বিচার-বিবেচনা শাক্তি ব্যবহার করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও আলোকিত জীবন গড়াই সত্যিকার মানুষের আসল কর্ম
”ইসলাম মানব রচিত ধর্ম । বেশ, যুক্তি, তর্ক পেশ করুন। অাপনাকে স্বাগত জানাবো।
টিকতে পারলে টিকবেন, না হলে চিপাচাপা দিয়ে পালাবেন।”
আমার নীতি সম্পর্কে আপনার ভূল ধারনা প্রথমে অপনোদন করছি। আমি কখনও তর্কে জেতার জন্য তর্ক করি না। আমি বিতর্ক করি সত্যে বের করে আনার জন্য। ।শ্রেষ্ঠতর যুক্তির কাছে মাথা নত করাকে আমি পরাজয় মনে করি না, সেটাকে আমি আমার বিজয় মনে করি, কারন আমি সত্যের গোলাম, মিথ্য ও কুহকের গোলাম নয়। যুক্তিতে যেনতেনভাবে জেতার প্রতিযোগিতা বা কাউকে যুক্তিকে হারানোর জন্য যেন তেন পন্থা অবলম্বন করা হীন মানসিকতার পরিচয়- যা দেখা যায় বহু আস্তিক ও বহু নাস্তিক অবলম্বন করে থাকে।
আপনি আমাকে নিয়ে কিছু পোষ্ট পূর্বেও করেছে যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। আপনার এ পোষ্টটি "ইসলাম মানব রচিত ধর্ম"-" সত্য ও বিবেক" ব্লগারের জ্ঞাতার্থে। দৃষ্টিগোচর হওয়াই আপনার ব্লগে একটু চোখ বুলাতে গিয়ে দেখলাম যে আপনি আমাকে নিয়ে আরো পোষ্ট করেছিলেন। আপনি যদি আপনার প্রশ্ন ও যুক্তিগুলো আমার ব্লগে করতেন তাহলে বুঝতাম যে আপনি সত্যিকার অর্থে আমার জবাব জানতে চান। আপনি আমার দেয়া যুক্তি খন্ডন না করে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন।যেহেতু আপনার অভিযোগ এখন আমার দৃষ্টিগোচর হল, আমি আপনার অভিযোগের জবাব দিচ্ছি।
(১) অন্য ধর্মের কোটি কোটি লোক রয়েছে। তাদের ধর্ম কার রচিত? তাদের সংশোধণ করেন না কেন? শুধূ ইসলামের প্রতি এলার্জি কেন?
দেখুন:আমি মুক্তমনা,কেন শুধু ইসলামের সমালোচনা করি।
কিন্তু কোরঅানের ক্ষেত্রে কি বলবেন? ইহার লেখক কে? যদি কোন গ্রন্থ থেকে নকল করা হয় তবে তার যথাযথ রেফারেন্স দিন।
আমার জবাব: আজকের এ আধুনিক যুগে আমি একটি পুস্তক রচনা করে কিছু সুকৌশলি পন্থার আশ্রয় নিয়ে দাবি করি যে এটা স্রষ্টা অবতীর্ণ করেছেন, আমার উপাস্থাপিত কিতাব আমার নিজ হাতে লেখা নাকি অন্য কাহারও সাহায্য নিয়ে লেখা তা তদন্ত করে সত্য বের করা বড়ই কঠিন।অথচ আধুনিক যুগে তদন্ত করা অনেক সহজ।সেখানে আপনি ১৪০০ বছর পূর্বে রচিত একটি পুস্তকের প্রকৃত রচয়িতা কে তা আপনি আমাকে বের করতে বলছেন।
আপনি অন্যান্য কয়েকটি ধর্মের রচনার উৎস সম্পর্কে বলেছেন। উক্ত ধর্মের রচনার উৎস সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন তা হয়ত আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই মিথ্যা।এমনিভাবে কুরআন রচনার ইতিহাস অনুসন্ধান আমি করেছি। অনুসন্ধানীতে যা বেরিয়ে এসেছে তা হতে পারে আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই ভূল। এতবছর পর পুরো সত্যে নিশ্চিত করে বের করা সম্ভব নয়।যার সত্যেতা নিশ্চিত করা সম্ভব না, শুধুমাত্র ইতিহাসের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিতর্ক করা বোকামির কাজ এবং সে বিতর্ক শেষ হবার নয়। তাছাড়া কোন পুস্তক স্রষ্টার দাবী করা হলে তার লেখক তদন্ত করা যাদের কাছে দাবী করা হয়েছে তাদের নয়। সুতরাং কোন অকাট্য বিষয় থাকলে সেটি বলুন।
আপনার দেয়া ৩ থেকে ৬ নং পয়েন্ট এর সবগুলো বক্তব্যই ইতিহাস সংক্রান্ত যার ১০০% সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।তাছাড়া কেউ কোন বিষয়ে ত্যগ তিতিক্ষা করলেই তা স্রষ্টার হয়ে যায় না। হিন্দু নাগা বাবারা ধর্মের জন্য যে ত্যগ তিতিক্ষা করে তার নজির আর কিছু দিয়ে সম্ভব নয়।জে,এম,বির লোকেরাও জীবন দিয়ে দেয় ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য, তার মানে এ নয় যে জে,এম,বির ইসলাম সঠিক আর তাবলীগ জামাতের ইসলাম বেঠিক। সুতরং ত্যগ-তিতিক্ষা কোন সত্যের মাপকাঠি নয়।
(৭) একমাত্র কোরঅান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করা সম্ভব হয়নি। কেন? সেটা এক দুইজন নয়, কোটির উপরে । এর লজিকটা কি?
কুরআন স্রষ্টার বাণী হওয়ার পক্ষে কুরআনের কি প্রমান আছে তা কুরআন নিজেও উপাস্থাপন করেছে। কুরআন স্রষ্টার বানী হওয়ার পক্ষে মাত্র দু’টি প্রমান উপাস্থাপন করেছে। কুরআনের নিজ উপাস্থাপিত প্রমানই কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান হওয়ার দাবি রাখে।তা এড়িয়ে আপনি ভিন্ন প্রমান উপাস্থাপন করছেন।কোন পুস্তক মুখস্থ করতে পারা তা স্রষ্টার হওয়ার প্রমান বহন করে না।
ঠিক আছে তারপরও আপনি লজিকটা চেয়েছেন, আমি লজিকটা দিচ্ছি:
১. কুরআন মুখস্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ধর্মীয় আবেগ। ধর্মীয় আবেগ দ্বার কোন মানুষকে যতবড় ত্যগ ও কষ্ট স্বীকার করাতে রাজি করানো সম্ভব তা অর্থ দ্বারা সম্ভব নয়।সাথে সাথে হাফেজ নামক ডিগ্রি পাওয়ার আকাঙ্খা তো থাকেই।
২. যারা কুরআন মুখস্ত করে তাদের একমাত্র পাঠ্য শুধু মুখস্ত করা। সারাদিন একজন শিক্ষকের কড়া তত্ত্বাবধানে থেকে দিনভর ছাত্ররা কুরআন মুখস্তে সময় ব্যয় করে। এভাবে ৩ থেকে ৭/৮ বছর এ একটি পুস্তক মুখস্তে টানা সময় করে।
৩. কোন কিছু মুখস্তের ক্ষেত্রে ছন্দ বা সুরারোপ বেশ ভাল ভূমিকা পালন করে। কুরআনের এক দশমাংশ ছন্দ।আর পুরো কুরআন তেলাওয়াত বা মুখস্তে বিশেষ রীতির সুরারোপ করা হয় যা মুখস্তকে সহজতর করে।
৪. এত কঠোর পন্থা অবলম্বন করে মুখস্ত করার পরও হাফেজরা বাস্তবার্থে পুরোটাকে ধরে রাখতে পারে না যদি না তারা নিয়মিত রিভিশন দেয়া। রমজান মাস আসলে খতম তারাবি পড়ানোর জন্য রিভিশনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।খতম তারাবিতে যে দিন যে অংশ তেলাওয়াত করা হবে সে অংশ সে দিন বেশিরভাগ সময় রিভিশন তেলাওয়াত করে সময় কাটাতে হয়। তারপরও তারা নামাজে তেলাওয়াতে ভূল করে।
আবার সে ভূল যিনি নামাজে ধরিয়ে দেন তার সে হাফেজের সাথে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়।আবার পরস্পর খাতির থাকলে কখনও কখনও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে যতটুকু কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ততটুকু এড়িয়ে যায়।
যে সব হাফিজরা রিভিশন দেয় না তাদেরকে কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে জিজ্ঞাসা করলে ঠিকমত মুখস্ত তেলাওয়াত করতে পারে না।
উপরোক্ত পন্থা অবলম্বন করলে পৃথিবীর যে কোন পুস্তকই উপরোক্ত পদ্ধতিতে মুখস্ত করা সম্ভব।
(৮) কোরঅান ছাড়া এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা সংশোধন বা পরিমার্জন হয়নি। কিন্তু কোরঅানের শুরু থেকে একটি অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
আমার জবাব:
কুরআন কতটুকু পরিমার্জন হযেছে কিনা তার সত্যতাও ১০০% তদন্ত করে বের করা সম্ভব নয়।তবে আমার অনুসন্ধানীতে কুরআন সংগ্রহের সময় (মুহাম্মদ স: এর তিরোধানের পর, হযরত ওসমানের সময়) কিছুটা যোজন-বিয়োজন হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।যেহেতু আমার পাওয়া তথ্য ও তত্ত্ব আর আপনার সাম্ভাব্য উপাস্থাপিত তথ্য ও যুক্তির কোনটার সত্যতা ১০০% যাচাই করা সম্ভব নয়, তাই এ নিয়ে আমি বিতর্ক করতে চাই না বা প্রয়োজনও নেই। কারন কোন পুস্তক অপরিবর্তিত থাকা সে পুস্তক স্রষ্টার হওয়ার অকাট্য প্রমান বহন করে না।
কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য এমন কোন প্রমান যদি আপনার কাছে থাকে তা উপাস্থাপন করুন।
আপনার দ্বিতীয় ভাগে উপাস্থাপিত প্রশ্নের জবাব:
একটু গল্প দ্বারা জবাবটি দেই।কোন এক যুগে একজন লোক চিৎকার করে বলতে শুরু করলো যে বেগুন বাকা কেন? কেউ এর উত্তর দিতে পারছিল না। এ নিয়ে গ্রাম জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ একজন লোক দৌড়ে এসে বললো আমি এর জবাব জানি। সকল উৎসুক লোক তার কাছে জবাব জানতে চাইল।
তিনি বললেন ’নদী বাকানং তো বেগুন বাকানং’ অর্থ্যাৎ নদী যেহেতু বাকা তাই বেগুন বাকা হয়েছে।
এবার লোকেরা বললো আচ্ছা তা তো বুঝলাম, তাহলে নদী বাকা কেন?
জবাবে তিনি বললেন যে ‘চাদ বাকানং তো নদী বাকানং’ অর্যাকেৎ চাদ বাকা হয়েছে তাই নদী বাক হয়েছে।
এবার গ্রামের লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেল।কিছু লোক উক্ত লোকের জবাব পেয়ে উক্ত লোকেরা অনুসারী হয়ে গেল।যেহেতু উক্ত লোকের জবাবটা বোগাচ ও আন্দাজহেতু বানোয়াট, আর বানোয়াট উত্তর হাজার রকমেরই হয়ে থাকে (1+1=2 একটি সঠিক উত্তর, আর ভূল উত্তর কতটা হবে তার ইয়ত্তা নেই)।এ কারনেরা উক্ত লোকেরা অনুসারীরা বেগুন বাকা হওয়ার কারনকে বিভিন্ন ভাবে ব্যখ্যা করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হল।
আর কিছু লোক বেগুন বাকা হওয়ার পক্ষে উপাস্থাপিত ঐ সকল ফালতু, হাস্যকর জবাব প্রত্যখ্যান করল।যারা প্রত্যখ্যান করলো তাদের বিশ্বাস যে এ বিশ্বজগতের তুলনায় আমরা অনুর সমানও নয়, এ মহাজগতের রহস্য সম্পর্কে হাজারও প্রশ্ন রয়েছে যার সবগুলোর জবাব জানা হয়ত কোনদিন সম্ভব হবে না।কোন প্রশ্নের জবাব না জানলে ফালতু একটি জবাব তৈরি করে সন্তুষ্ট হওয়া বেকুফ লোকদের কাজ হতে পারে, বুদ্ধিমানেরা কখনও এরুপ করতে পারে না।
বেগুনের অনুসারী বলতে আমি ধর্মানুসারীদের তুলনা করেছি।পৃথিবীর সকল ধর্মই নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। সকল ধর্মের ক্ষেত্রে সে প্রশ্নগুলো এক ও অভিন্ন।উত্তর গুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়াই ধর্মগুলোও ভিন্ন ভিন্ন।
আপনার উথ্থাপিত প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি ধরেও নেই যে আপনার ধর্ম, তারপরও আরো অনেকগুলো প্রশ্ন রয়ে যায় যার কোন উত্তরই আপনি দিতে পারবেন না।লেখা বড় হওয়াই এবং সে প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক কিন্তু মৌলিক না হওয়াই সে আলোচনায় আপাতত যাচ্ছি না।
প্রথম ও প্রধান বিষয় হল আপনি যদি দাবি করেন যে স্রষ্টা বিধান দিয়েছে তা হলে তার পক্ষে অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য প্রমান উপাস্থাপন করুন।এ বিষয়টি সমাধা হলে বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা রইল।
যিনি কোন পুস্তককে স্রষ্টার দাবি করেন তারই প্রথম দায়িত্ব হয়ে থাকে তার দাবির পক্ষে প্রমান উপাস্থাপন করা।যার কাছে দাবি উপাস্থাপন করা হল এটা তার দায়িত্ব নয় যে তা প্রমান করা যে পুস্তকটি স্রষ্টার নয়। তারপরও আমার কাছে বহু প্রমান রয়েছে যে কুরআন মানবরচিত স্রষ্টার নয়। সে প্রমানগুলো থেকে মাত্র কয়েকটি প্রমান আমার ব্লগে দিয়েছি। আরো প্রমান দেয়া হবে।
ভাল থাকবে। ধন্যবাদ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: যারা ধর্মানুসরন করে তারা পেত্রিক ধর্মের প্রতি সহজাত দূর্বলতার পূজা করে। এ দূর্বলতা সৃষ্টিকর্তাই দিয়েছেন। সুতরাং যারা ধর্ম নিয়ে এত কথা বলছে মূলত তারা তাদের সহজাত দূর্বলতার কারনে বলছে। এটা অনেক কঠিন মানসিক রোগ। কর্কশ ভাষায় কথা বললে রোগ বাড়বে, কিন্তু কমবে না। অতএব সুন্দর ভাষায় বিতর্ক হওয়া উচিত
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: বাহ! ব্লগার বিবেক ও সত্য দেখি সব কমেন্টই পৃথক পোস্ট আকারে দিচ্ছেন।
আমি লাস্টের যে কমেন্টে উনার মিথ্যাচার প্রমাণ করেছি সেটাও পৃথক পোস্ট আকারে দিব কি না ভাবতে হচ্ছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: জনাব সেলিম পৃথক পোষ্ট আকারে দেয়াই জবাবটি পৃথক পোষ্ট আকারে দেয়া আছে প্লাস সংশ্লিষ্ট পোষ্টে দেয়া হয়েছে। আপনার শেষ মন্তব্যের জবাব আপনার পোষ্টেই দেয়া হবে।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
আশাবাদী অধম বলেছেন: বাহ! ব্লগার বিবেক ও সত্য দেখি সব কমেন্টই পৃথক পোস্ট আকারে দিচ্ছেন।
আমি লাস্টের যে কমেন্টে উনার মিথ্যাচার প্রমাণ করেছি সেটাও পৃথক পোস্ট আকারে দিব কি না ভাবতে হচ্ছে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: জনাব সেলিম পৃথক পোষ্ট আকারে দেয়াই জবাবটি পৃথক পোষ্ট আকারে দেয়া আছে প্লাস সংশ্লিষ্ট পোষ্টে দেয়া হয়েছে। আপনার শেষ মন্তব্যের জবাব আপনার পোষ্টেই দেয়া হবে।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
বাবাজান বলেছেন: এইসব আবালেরা মানে "বেবেক টা অসত্য" এভাবেই তর্ক করে আর সঠিক উত্তর না দিতে পেরে যা ইচ্ছা তাই বলে যায়, যেমন প্রশ্ন করা হলো তুমার বাপের নাম কি..? তখন সরাসরি এর উত্তর না দিয়ে বলে
'আমি ভাবেতেছি আপনাকে কি উত্তর দেয়া যায়, আর হুনেন একটা আমি বলবোনা আর তা হচ্ছে আমার বাপের চেয়ে আমার দুলাভাই উচা লম্বা ঘাড় মোটা, সাস্থ্য খুব ভালো,আর আমার বাপে খাট্টা বাঠ্ঠু, ম্যারাডোনা, চিকন চাকন, জুতা সিলাই করে, মেথরের কাজ করার অভ্যাসও আছে, তাই বাপের চেয়ে দুলা ভাই যেহেতু স্মার্ট তাই তার নাম আমার বাপের নাম হিসেবে এখন বলবো কিন্তূ, আপনাকে এটা জানাইলামনা যে আমার বাবা মেথর ও বাটটু খাটো মানুষ, এহন বুঝলেন..?
এই ভাবে উত্তর দ্যায় অথচ এই ভাবে উত্তর কোন্ ধরনের মানুষ দিতে পারে...? আশা করি আপনাদের বুঝার বাকি নেই .!
বাপের নাম জিজ্ঞাস করার পর কিছুক্ষণ মনে মনে এই টা ভেবে যদি আস্তে করে দুলাভাইয়ের নামটা বলে দিতো তবে কিন্তূ যে বাপের নাম জিজ্ঞাস করছে সে এতো কিছু বুঝতোনা..!
"জিগাইছে বাপের নাম কইতাছে দুলাভাইয়ের নাম"
নিচে ভোদাইরাম সাপুরে যে কমেন্ট করছে তাও একই ধরনের, আর এসব ছাগুর দল আগু ছাড়তে ছাড়তে পালায় যখন কোনো আস্তিক যুক্তি তর্কের ফর্মুলা পোস্ট আনে.... সত্য নামে ফাইজলামি বাদ দে আর নিক নাম পাল্টে "ভোদাই এক বেবিক" করা উচিৎ কারন এখানে চলে শুধু ভন্ডামী আর নোংরামি, মিথ্যে, ও পোস্ট তো নয় যেনো তার ছেড়া মাথার অদ্ভূত ভকবক ভকর ভকর হুনতেছি. যত্ত্বসব আসল পরিচয়হীন কোথাকার।.!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
কানিজ রিনা বলেছেন: আচ্ছা বিবেক, সত্যি আপনার বিবেক বিকৃত
মানুষের চোদ্দশত বছর বিশ্বাস ভঙ্গ করাই
যেন আপনার বিবেক। বিজ্ঞানী ডাক্তার
শমসের আলি কোরআন নিয়ে রিচার্জ করেন।
এই কোরয়ান মানুষ লিখতে পারেনা। তার
অনেক বিজ্ঞান মতবাদ গ্রন্থ আছে পড়তে
পারেন। নিশ্চয় ডাক্তার শমসের এর মত
জ্ঞান আপনার নাই।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমার কোন যুক্তি ভূল হলে খন্ডন করুন, কোন প্রশ্ন থাকলে প্রশ্ন করুন, এরপর যদি সন্তোষজনক জবাব না পান তখন নেতিবাচক মন্তব্য করুন। কিন্তু আপনি শুরুতে নেতিবাচক মন্তব্য দ্বারা কথা শুরু করেছেন। আপনাকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে আমার কোন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় যে আপনি বললেন যে আমার বিবেক বিকৃত। যদি জবাব দিতে না পারেন, তবে আমি বলতে বাধ্য হবো যে আপনার বিবেকই বিকৃত এবং বিক্রিত।
আমি আমার মস্তিস্ক বা কারো কাছে বিক্রি করিনি যে কে অনেক বড় জ্ঞানী, তাই তাকে অন্ধভাবে মানতে হবে। একসময় মাওলানা মওদূদীর অনুসারীরা মাওলানা আহমাদ শাহ মাদানীর অনুসারীদের নিকট ইসলামের কিছু বিষয়ে যুক্তি উপাস্থাপন করলে তারা এই বলে যুক্তি খন্ডন করল যে তাদের কথা তো মাওলানা মাদানীর কথার সাথে সাংঘর্ষিক হয়। তারা মওদূদীর অনুসারীদের কথা মানবে না (যদিও উত্থাপিত যুক্তিটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য ছিল), কারন তাদের দৃষ্টিতে মাওলানা আহমদ শাহ মাদানী তৎকালীন ভারতে সবচেয়ে বড় আলেম।
আবার এখন ডাক্তার জাকির নায়েকের বিরোধীরা একই কারন (জাকির নায়েক অত বড় আলেম নন) দেখিয়ে বিরোধীতা করে।
ষ্টিফেন হকিংস তো কম জ্ঞানী নয়, তিনি বলেছেন যে কোন গড নেই, আর ধর্মগুলো মানবরচিত- আমি কোথায়ই এরুপ যুক্তি দেইনি।
কারন আমি আমার দৃষ্টিকে কারো কাছে জায়গির রাখিনি যে কারো কথা অন্ধভাবে মানতে হবে।
আমি সকল জ্ঞানী লোককে শ্রদ্ধা করি, সকলের যুক্তিপূর্ণ কথা শুনতে প্রস্তুত, গ্রহণযোগ্য যুক্তি পেলে তা সবিনয়ে গ্রহণ করি।
আপনি ডাক্তার শমসের এর নিকট থেকে শুনে এসে যদি পারেন আমার যুক্তি খন্ডন করুন, আমি মেনে নেব।
আপনার জানা থাকার কথা নয় যে আমি বর্তমান দেশের বড় বড় স্কলার বলে পরিচিতজনদের সাথে উঠাবসা আছে। আমি ইসলামকে প্রানের ধর্ম হিসাবে মানতাম। সেসব বিশিষ্টজনদের সাথে কথাবার্তা ও বহু প্রশ্নোত্তর হয়েছে।
অনেক যাচাই-বাছাই এর পর যখন পুরোপুরি প্রমানিত হয়েছে যে ইসলামও মানব রচিত ঠিক তখনি প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হয়েছি।
আন্তাজে বা আবেগে কোন কাজ আমি করি না।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
কানিজ রিনা বলেছেন: বিশ্বাসে ভগবান অবিশ্বাসে অপমান। যদি
যদি আপনার মাকে জিজ্ঞাসা করেন।
মা আমার বাবা কে, মা বলবে কেন এতদিন
যাকে বাবা বলিস। তখন আপনি বল্লেন
আমি এতদিন ধরে লেখাপড়া করে বুঝলাম
ওটা আমার বাবা না। আপনি মাকে মিথ্যায়
জড়ালেন। ঠিক আপনার বিবেক, সত্য নয়।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: আপনার মা-বাবা যা কিছুই শেখাক তাই অনুসরন করা আপনার বিবেক। আপনার মা-বাবা যদি নাগা বাবার অনুসারী হতো নিশ্চয়ই আপনি তাদের অনুসরন করতেন, তাই না? আমাদের দেশে অনেকে ন্যংটা পীরের অনুসরন করে থাকে, আপনি তাদের অনুসরণ করতে, তাই না? আপনার পিতা-মাতা যদি জেএমবির অনুসারী হতো আপনি তাদের অনুসরন করতেন,তাই না? আপনার কথা অবশ্য আল কোরআনও সমর্থন করে না।
আল কোরআন বলে যে- তারা কি তাদের পিতা-মাতা থেকে যা পেয়েছে তাই অনুসরন করবে যদিও তাদের পিতা-মাত ভূলের মধ্যে থাকে।
আপনার বিবেক অতি চমৎকার!!!
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: @ বাবাজান
আপনার মন্তব্যটিই আপনার পরিচয় বহন করছে কিন্তু!
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কথায় আছে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না
৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
Tania Farazee বলেছেন: বিবেক ও সত্যকে আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার যুক্তিগুলো আমি ঠিক মনে করছি, প্রত্যেক ধর্মের ব্যক্তিরা তাদের নিজ ধর্মকে বড় মনে করে এবং তার পক্ষে যুক্তি তর্ক করতে থাকে, অথচ প্রত্যেক ধর্মের অনেক অনেক কাজকে যুক্তি দিয়ে খন্ডানো যায়, তাছাড়া ইসলাম ধর্ম মতে আল্লাহ এক এবং অদিতীয়,,,,,,,তাই যদি হয়, তবে সব ধর্মের মানুষ আল্লাহর হাত দিয়ে তৈরি,,,,,,তাহলে তিনি এত কষট করে এত বই পত্র, নবী রাসুল, দেবতা না পাঠিয়ে মানুষের মস্তিস্কটাকে মুসলিমের মস্তিস্ক বানিয়ে দিলেই পারেন,,,,,,মানুষকে এত ভয় দেখিয়ে বেহেস্ত দোজখের আগুন দেখিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার এত চেষ্টার দরকার কি? অথবা সব মানুষকে ইসলাম ধর্মে জন্ম দিলেই পারেন,,,, হিন্দু, বুদ্ধ,খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সবাইকে বন্ধ্যা বানিয়ে দিতে পারেন,যাতে জগতে সব মুসলিম থাকে,,,,,অন্য ধর্মের কাফের, নাস্তিকরা যেন কেউ জন্মাতে না পারে,,,,প্রত্যেক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের বিধানকে মিথ্যা মনে করে, ছোট মনে করে এবং প্রকাশ্যে না পারলেও গোপনে গালাগালি করে,,,,,,আল্লাহ বলেছেন তিনি হও বললে হয়ে যায়,,,,তবে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে করতে যখন সব শেষ হয়ে যায় তখন তিনি হও বলে সব থামিয়ে সবাইকে মুসলিম বানিয়ে দিতে পারেন,,,,, ,,, সব দোষ শয়তানের কাঁধে না চাপিয়ে নিজের শক্তির প্রমান দিতে পারেন,,,,শয়তানের শক্তি আল্লাহর চেয়ে বেশী নয়,,,,,,,,,সকাল থেকে ঘুমোনোর পুর্বমুহুর্ত পর্যন্ত আমরা সবাই যুক্তি দিয়ে জীবন চালাই,,কেউ অযৌক্তিক কথা বললে তার সাথে মারামারি বা খুনাখুনিও হয়ে যায় কখনও কখনও,,শুধুমাত্র ধর্মের কথায় কোন যুক্তি করতে দেয়া হয়না,,ফলে একশ একটা ধর্মের নামে অনেক অযৌক্তিতা এবং কুসংস্কার সমাজে মাথা উঁচু করে বেচে থাকে ও সমাজকে ধংস করতে থাকে যা আমরা অনেকে ভয়ে বা ইচ্ছে করে বুঝতে চাইনা,,,,,
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কিছু চরম সত্যে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৩
বিবেক ও সত্য বলেছেন: কিছু চরম সত্যে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
মহা পাপী রুহান বলেছেন: লোকটি বললো,- 'সাজিদ, আমি মনে করি, তোমাদের ধর্মগ্রন্থ, আই মিন আল কোরান, সেটা কোন ঐশী গ্রন্থ নয়। এটা মুহাম্মদের নিজের লেখা একটি বই।মুহাম্মদ করেছে কি, এটাকে জাষ্ট স্রষ্টার বাণী বলে চালিয়ে দিয়েছে।'
এইটুকু বলে লোকটা আমাদের দু'জনের দিকে তাকালো। হয়তো বোঝার চেষ্টা করলো আমাদের রিএ্যাকশান কি হয়।
আমরা কিছু বলার আগেই লোকটি আবার বললো, - 'হয়তো বলবে, মুহাম্মদ লিখতে-পড়তে জানতো না। সে কিভাবে এরকম একটি গ্রন্থ লিখবে? ওয়েল! এটি খুবই লেইম লজিক। মুহাম্মদ লিখতে পড়তে না জানলে কি হবে, তার ফলোয়ারদের অনেকে লিখতে-পড়তে পারতো।উচ্চ শিক্ষিত ছিলো। তারা করেছে কাজটা।মুহাম্মদের ইশারায়।'
সাজিদ তার কাপে শেষ চুমুক দিলো। তখনও সে চুপচাপ।
লোকটা বললো,- 'কিছু মনে না করলে আমি একটি সিগারেট ধরাতে পারি? অবশ্য, কাজটি ঠিক হবে না জানি।'
আমি বললাম,- 'শিওর!'
এতক্ষণ পরে লোকটি আমার দিকে ভালোমতো তাকালো। একটি মুচকি হাসি দিয়ে বললো,- 'Thank You...'
-
সাজিদ বললো,- 'খালু, আপনি খুবই লজিক্যাল কথা বলেছেন। কোরান মুহাম্মদ সাঃ এর নিজের বানানো হতেও পারে। কারন, কোরান যে ফেরেস্তা নিয়ে আসতো বলে দাবি করা হয়, সেই জিব্রাঈল আঃ কে মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া কেউই কোনদিন দেখেনি।'
লোকটা বলে উঠলো,- 'এক্সাক্টলি, মাই সান।'
- 'তাহলে, কোরানকে আমরা টেষ্ট করতে পারি, কি বলেন খালু?'
- 'হ্যাঁ হ্যাঁ, করা যায়.......'
সাজিদ বললো,- 'কোরান মুহাম্মদ সাঃ এর বানানো কি না, তা বুঝতে হলে আমাদের ধরে নিতে হবে যে, মুহাম্মদ সাঃ স্রষ্টার কোন দূত নন।তিনি খুবই সাধারন, অশিক্ষিত একজন প্রাচীন মানুষ।'
লোকটা বললো,- 'সত্যিকার অর্থেই মুহাম্মদ অসাধারণ কোন লোক ছিলো না। স্রষ্টার দূত তো পুরোটাই ভূয়া।'
সাজিদ মুচকি হাসলো। বললো,- 'তাহলে এটাই ধরে নিই?'
- 'হুম'- লোকটার সম্মতি।
সাজিদ বলতে লাগলো,- 'খালু, ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, হজরত ঈউসুফ আঃ এর জন্ম হয়েছিলো বর্তমান ফিলিস্তিনে। ঈউসুফ আঃ ছিলেন হজরত ঈয়াকুব আঃ এর কনিষ্ঠতম পুত্র। ঈয়াকুব আঃ এর কাছে ঈউসুফ আঃ ছিলেন প্রাণাধিক প্রিয়।কিন্তু, ঈয়াকুব আঃ এর এই ভালোবাসা ঈউসুফ আঃ এর জন্য কাল হলো। তার ভাইয়েরা ষড়যন্ত্র করে ঈউসুফ আঃ কে কূপে নিক্ষেপ করে দেয়। এরপর, কিছু বণিকদল কূপ থেকে ঈউসুফ আঃ কে উদ্ধার করে তাকে মিশরে নিয়ে আসে। তিনি মিশরের রাজ পরিবারে বড় হন।ইতিহাস মতে, এটি ঘটে- খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের আমেনহোটেপের রাজত্বকালের আরো তিন'শ বছর পূর্বে। খালু, এই বিষয়ে আপনার কোন দ্বিমত আছে?'
লোকটা বললো,- 'নাহ। কিন্তু, এগুলো দিয়ে তুমি কি বোঝাতে চাও?'
সাজিদ বললো,- 'খালু, ইতিহাস থেকে আমরা আরো জানতে পারি, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকে চতুর্থ আমেনহোটেপের আগে যেসকল শাসকেরা মিশরকে শাসন করেছে, তাদের সবাইকেই 'রাজা' বলে ডাকা হতো। কিন্তু, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে চতুর্থ আমেনহোটেপের পরে যেসকল শাসকেরা মিশরকে শাসন করেছিলো, তাদের সবাইকে 'ফেরাঊন' বলে ডাকা হতো। ঈউসুফ আঃ মিশরকে শাসন করেছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের চতুর্থ আমেনহোটেপের আগে।আর, মূসা আঃ মিশরে জন্মলাভ করেছিলেন চতুর্থ আমেনহোটেপের কমপক্ষে আরো দু'শো বছর পরে।অর্থাৎ, মূসা আঃ যখন মিশরে জন্মগ্রহন করেন, তখন মিশরের শাসকদের আর 'রাজা' বলা হতো না, 'ফেরাঊন' বলা হতো।'
- 'হুম, তো?'
- 'কিন্তু খালু, কোরানে ঈউসুফ আঃ এবং মূসা আঃ দুইজনের কথাই আছে। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, কোরান ঈউসুফ আঃ এর বেলায় শাসকদের ক্ষেত্রে 'রাজা' শব্দ ব্যবহার করলেও, একই দেশের, মূসা আঃ এর সময়কার শাসকদের বেলায় ব্যবহার করেছে 'ফিরাঊন' শব্দটি। বলুন তো খালু, মরুভূমির বালুতে উট চরানো বালক মুহাম্মদ সাঃ ইতিহাসের এই পাঠ কোথায় পেলেন? তিনি কিভাবে জানতেন যে, ঈউসুফ আঃ এর সময়ের শাসকদের 'রাজা' বলা হতো, মূসা আঃ সময়কার শাসকদের 'ফেরাঊন'? এবং, ঠিক সেই মতো শব্দ ব্যবহার করে তাদের পরিচয় দেওয়া হলো?'
মহব্বত আলি নামের ভদ্রলোকটি হো হো হো করে হাসতে লাগলো। বললো,- 'মূসা আর ঈউসুফের কাহিনী তো বাইবেলেও ছিলো। মুহাম্মদ সেখান থেকে কপি করেছে, সিম্পল।'
সাজিদ মুচকি হেসে বললো,- 'খালু, ম্যাটার অফ সরো দ্যাট, বাইবেল এই জায়গায় চরম একটি ভুল করেছে। বাইবেল ঈউসুফ আঃ এবং মূসা আঃ দুজনের সময়কার শাসকদের জন্যই 'ফেরাঊন' শব্দ ব্যবহার করেছে, যা ঐতিহাসিক ভুল। আপনি চাইলে আমি আপনাকে বাইবেলের ওল্ড টেষ্টামেণ্ট থেকে প্রমান দেখাতে পারি।'
লোকটা কিছুই বললো না। চুপ করে আছে। সম্ভবত, উনার প্রমান দরকার হচ্ছে না।
সাজিদ বললো,- 'যে ভুল বাইবেল করেছে, সে ভুল অশিক্ষিত আরবের বালক মুহাম্মদ সাঃ এসে ঠিক করে দিলো, তা কিভাবে সম্ভব, যদি না তিনি কোন প্রেরিত দূত না হোন, আর, কোরান কোন ঐশি গ্রন্থ না হয়?'
লোকটি চুপ করে আছে। এরমধ্যেই তিনটি সিগারেট খেয়ে শেষ করেছে। নতুন আরেকটি ধরাতে ধরাতে বললো,- 'হুম, কিছুটা যৌক্তিক।'
সাজিদ আবার বলতে লাগলো,- 'খালু, কোরানে একটি সূরা আছে, সূরা আল
আল ফাজর নামে। এই সূরার ৬ নম্বর আয়াতটি এরকম,- 'তোমরা কি লক্ষ্য করো নি, তোমাদের পালনকর্তা ইরাম গোত্রের সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?'
এই সূরা ফাজরে মূলত আদ জাতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। আদ জাতির আলাপের মধ্যে হঠাৎ করে 'ইরাম' নামে একটি শব্দ চলে এলো, যা কেউই জানতো না এটা আসলে কি। কেউ কেউ বললো, এটা আদ জাতির কোন বীর পালোয়ানের নাম, কেউ কেউ বললো, এই ইরাম হতে পারে আদ জাতির শারীরিক কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য, কারন, এই সূরায় আদ জাতির শক্তিমত্তা নিয়েও আয়াত আছে। মোদ্দাকথা, এই 'ইরাম' আসলে কি, সেটার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারেনি তখন। এমনকি, গোটা পৃথিবীর কোন ইতিহাসে 'ইরাম' নিয়ে কিছুই বলা ছিলো না। কিন্তু, ১৯৭৩ সালে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সিরিয়ায় মাটির নিচে একটি শহরের সন্ধান পায়।এই শহরটি ছিলো আদ জাতিদের শহর। সেই শহরে পাওয়া যায়, সুপ্রাচীন উঁচু উঁচু দালান। এমনকি, এই শহরে আবিষ্কার হয় তখনকার একটি লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে একটি তালিকা পাওয়া যায়। এই তালিকায় তারা যেসকল শহরের সাথে বাণিজ্য করতো, সেসব শহরের নাম উল্লেখ ছিলো।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই- সেই তালিকায় 'ইরাম' নামের একটি শহরের নামও পাওয়া যায়, যেটা আদ জাতিদেরই একটি শহর ছিলো। শহরটি ছিলো একটি পাহাড়ের মধ্যে। এতেও ছিলো সুউচ্চ দালান।
চিন্তা করুন, যে 'ইরাম' শব্দের সঠিক ব্যাখ্যা এর পূর্বে তাফসিরকারকরাও করতে পারেনি। কেউ এটাকে বীরের নাম, কেউ এটাকে আদ জাতির শারিরীক বৈশিষ্ট্যের নাম বলে ব্যাখ্যা করেছে,
১৯৭৩ সালের আগে যে 'ইরাম' শহরের সন্ধান পৃথিবীর তাবৎ ইতিহাসে ছিলো না, কোন ভূগোলবিদ, ইতিহাসবিদই এই শহর সম্পর্কে কিছুই জানতো না, প্রায় ৪৩ শত বছর আগের আদ জাতিদের সেই শহরের নাম কিভাবে কোরান উল্লেখ করলো? যেটা আমরা জেনেছি ১৯৭৩ সালে, সেটা মুহাম্মদ সাঃ কিভাবে আরবের মরুভূমিতে বসে ১৪০০ বছর আগে জানলো? হাউ পসিবল? তিনি তো অশিক্ষিত ছিলেন।কোনদিন ইতিহাস বা ভূগোল পড়েন নি। কিভাবে জানলেন, খালু?'
আমি খেয়াল করলাম, লোকটার চেহারা থেকে মোঘলাই ভাবটা সরে যেতে শুরু করেছে। পুত্রতুল্য ছেলের কাছ থেকে তিনি এতোটা শক খাবেন, হয়তো আশা করেন নি।
সাজিদ আবার বলতে লাগলো,-
'খালু, আর রহমান নামে কোরানে একটি সূরা আছে। এই সূরার ৩৩ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে,-
'হে জ্বীন ও মানুষ! তোমরা যদি আসমান ও জমিনের সীমানায় প্রবেশ করতে পারো, তবে করো। যদিও তোমরা তা পারবেনা প্রবল শক্তি ছাড়া'
মজার ব্যাপার হলো, এই আয়াতটি মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে। চিন্তা করুন, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের আরবের লোক, যাদের কাছে যানবাহন বলতে কেবল ছিলো উট আর গাধা, ঠিক সেই সময়ে বসে মুহাম্মদ সাঃ মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে কথা বলছে, ভাবা যায়?
সে যাহোক, আয়াতটিতে বলা হলো,- 'যদি পারো আসমান ও জমিনের সীমানায় প্রবেশ করতে, তবে করো' ,
এটি একটি কন্ডিশনাল (শর্তবাচক) বাক্য। এই বাক্যে শর্ত দেওয়ার জন্য If (যদি) ব্যবহার করা হয়েছে।
খালু, আপনি যদি এ্যারাবিক ডিকশনারি দেখেন, তাহলে দেখবেন, আরবিতে 'যদি' শব্দের জন্য দুটি শব্দ আছে। একটি হলো 'লাও', অন্যটি হলো 'ইন'। দুটোর অর্থই 'যদি।' কিন্তু, এই দুটোর মধ্যে একটি সুক্ষ্ম পার্থক্য আছে। পার্থক্যটি হলো- আরবিতে শর্তবাচক বাক্যে 'লাও' তখনই ব্যবহার করা হয়, যখন সেই শর্ত কোনভাবেই পূরণ সম্ভব হবে না। কিন্তু, শর্তবাচক বাক্যে 'যদি' শব্দের জন্য যখন 'ইন' ব্যবহার করা হয়, তখন নিশ্চয় এই শর্তটা পূরণ সম্ভব।
আশ্চর্যজনক ব্যাপার, কোরানে সূরা আর রহমানের ৩৩ নম্বর আয়াতটিতে 'লাও' ব্যবহার না করে 'ইন' ব্যবহার করা হয়েছে। মানে, কোন একদিন জ্বীন এবং মানুষেরা মহাকাশ ভ্রমণে সফল হবেই।আজকে কি মানুষ মহাকাশ জয় করেনি? মানুষ চাঁদে যায়নি? মঙ্গলে যাচ্ছে না?
দেখুন, ১৪০০ বছর আগে যখন মানুষের ধারনা ছিলো একটি ষাঁড় তার দুই শিংয়ের মধ্যে পৃথিবীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক তখন কোরান ঘোষণা করছে, মহাকাশ ভ্রমণের কথা। সাথে বলেও দিচ্ছে, একদিন তা আমরা পারবো। আরবের নিরক্ষর মুহাম্মদ সাঃ কিভাবে এই কথা বলতে পারে?'
।
এম.এম. আলি ওরফে মোহাম্মদ মহব্বত আলি নামের এই ভদ্রলোকের চেহারা থেকে 'আমি নাস্তিক, আমি একেবারে নির্ভুল' টাইপ ভাবটা একেবারে উধাও হয়ে গেলো। এখন তাকে যুদ্ধাহত এক ক্লান্ত সৈনিকের মতোন দেখাচ্ছে।
সাজিদ বললো,- 'খালু, খুব অল্প পরিমাণ বললাম। এরকম আরো শ খানেক যুক্তি দিতে পারবো, যা দিয়ে প্রমান করে দেওয়া যায়, কোরান মুহাম্মদ সাঃ এর নকল করে লেখা কোন কিতাব নয়, এটি স্রষ্টার পক্ষ থেকে আসা একটি ঐশি গ্রন্থ। যদি বলেন, মুহাম্মদ সাঃ নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য এই কিতাব লিখেছে, আপনাকে বলতে হয়, এই কিতাবের জন্যই মুহাম্মদ সাঃ কে বরণ করতে হয়েছে অবর্ণনীয় কষ্ট, যন্ত্রণা। এই কিতাবের বাণী প্রচার করতে গিয়েই তিনি স্বদেশ ছাড়া হয়েছিলেন।তাকে বলা হয়েছিলো, তিনি যা প্রচার করছেন তা থেকে বিরত হলে তাকে মক্কার রাজত্ব দেওয়া হবে। তিনি তা গ্রহন করেন নি। খালু, নিজের ভালো তো পাগলও বুঝে। মুহাম্মদ সাঃ বুঝলো না কেনো? এসবই কি প্রমান করেনা কোরানের ঐশি সত্যতা?'
-----
কালেক্টেড
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: নিজে জিতেছি এমন গল্প রচনা করে বলাতে আত্ম তৃপ্তি পাওয়া যায়। নিজ ধর্মগ্রন্থেও নিজ আদর্শের জয় জয়কর কাহিনিই পাওয়া যায়। এরুপ কাহিনী এক সময় আমিও বিশ্বাস করতাম।
আমি চ্যালেঞ্জ করছি যে কুরআন স্রষ্টার কিতাব তা প্রমান করতে পারবেন না, তবে কুরআন মানবরচিত কিতাব তার বহু প্রমান আমি দিতে পারবো।
১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
চকিত চয়ন বলেছেন: আজ থেকে ৫০/১০০ বছর পরে পৃথিবীর মানুষজন অবাক হয়ে ভাববে এক সময় মানুষ কতটা বোকা ছিল যে ধর্মের চর্চা করে সময়, অর্থ নষ্ট করেছে ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: চরম সত্য বলেছেন। ধর্মীয় সহজাত দূর্বলতা মানুষকে চরম বোকা বানিয়ে রাখা, পৃথিবীর নির্মম বাস্তবতা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:১৭
বিবেক ও সত্য বলেছেন: পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা-১(এক)/প্রামান্য ব্যখ্যা
১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনার যুক্তিগুলো পড়লাম। সত্যিই অাপনার উত্তরদানের পদ্ধতি একেবারে হোমিওপ্যাথি স্টাইল। ডাক্তারের নিকট যাবেন জ্বর নিয়ে: জিজ্ঞেস করবে, অাপনার পরদাদার জীবনে কতবার জ্বর এসেছিলো?
যাহোক, অাপনি যুক্তি পছন্দ করেন। তাই যুক্তি ছাড়া কোন কথা বলবোনা।
আমি কেন শুধু ইসলামের সমালোচনা করি:
এই প্রশ্নের উত্তরে অাপনি বলেছেন, যেহেতু আমি ইসলাম নিয়ে পড়া-শোনা করেছি তাই আমি শুধু ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করতে পারি। অন্য ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান অনেক সীমিত। তাই সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করা আমার সামর্থের বাহিরে।
অাপনি নিশ্চিত থাকুন অাপনার বিশ্বাস এবং যুক্তি দিয়ে একজন মুসলমানকেও বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।একমিনিটের জন্য মেনে নিলাম, ইসলাম মানব রচিত ধর্ম এবং অামি ইসলামকে অগ্রাহ্য করলাম। এখন অামি যখন বিয়ে করতে যাবো তখন কি উপায় হবে? এই হুজুর/মোল্লা ছাড়া কিভাবে বিয়ে করবো? পথটা কি দেখিয়ে দিন। যেহেতু অামি ইসলামকে অস্বীকার করি, সুতরাং মরনের পর অামার লাশটার কি করা উচিত সেটার একটা পদ্ধতি ঠিক করে রাখা জুরুরী নয় কি?
কোন দেশ সমকামীতাকে বৈধতা দিচ্ছে, উলঙ্গ পার্ক এবং উলঙ্গ হয়ে সৈকতের ঘোরার ব্যবস্থা সংসদে পাশ করে দিচ্ছে, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে উভয়ের সম্মতিতে যৌনকর্মে লিপ্ত হলে কোন অপরাধ হিসাবে গন্য করা হচ্ছেনা। তো, একেক দেশে একেক অাইন ব্যবস্থার কোনটাকে অাপনি সঠিক মনে করে চলবেন? কোন দেশে মৃত্যৃদন্ড মানবতা বিরোধী কর্ম, অাবার কোন দেশে সেটা সঠিক। কোন দেশে মদ বৈধ অাবার কোন দেশে মদের ব্যবসা নিষিদ্ধ। অাপনি বৃটেন, অামেরিকায় যে কোন নারী নিয়ে অবাধে রাত কাটাতে পারবেন। বাংলাদেশে/ভারতে কেন সম্ভব নয়? এখন ইসলামী বিধিবিধান বাদ দিলে, অাপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন না। দিন-রাত সব অাপনার নিকট সমান মনে হবে। মনে রাখতে হবে, ইসলাম একটা পূনাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এটা শুধু কোন ধর্মের নাম নয়।
অাপনি বলেছেন,
ধর্মের রচনার উৎস সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন তা হয়ত আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই মিথ্যা।এমনিভাবে কুরআন রচনার ইতিহাস অনুসন্ধান আমি করেছি। অনুসন্ধানীতে যা বেরিয়ে এসেছে তা হতে পারে আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই ভূল। এতবছর পর পুরো সত্যে নিশ্চিত করে বের করা সম্ভব নয়।
MCQ পরীক্ষা দেয়ার বিষয় এটা নয়। অাপনার নিকট প্রমাণ চেয়েছি, কোরঅান মানব রচিত অথবা নকলকৃত গ্রন্থ কি-না। আংশিক সত্য/পুরোটাই সত্য/পুরোটাই ভূল। এটা কোন উত্তর হতে পারেনা। অাপনাকে একটি উত্তর দিতে হবে না হলে উত্তর ভুল হিসাবে গন্য হবে। পুরো সত্যটা যেখানে অাপনি বের করতে অক্ষম সেখানে অাপনি ইসলামের বিপক্ষে কলম ধরেছেন কোন সত্য নিয়ে?
এতবড় একখানা গ্রন্থ নকল করে লেখা হলো বলা যায় পুকুর চুরি; অার তার কোন প্রমাণ নেই । বিষয়টি হাস্যকর নয় কি? তখনকার সময়ে মুহম্মাদ(সাঃ) এর বিরোধী পন্ডিতের তো অভাব ছিলোনা। তারা তো দুএকটি তথ্য ফাঁস করে দিতে পারতো। না-কি?
অাপনি বলেছেন,
কুরআন মুখস্ত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ধর্মীয় আবেগ।
তাহলে, এই অাবেগটা অন্য কোন ধর্মে নেই কেন? খৃস্টান, হিন্দুরা কি তাদের ধর্ম গ্রন্থের প্রতি কোন অাবেগ নেই? তাদের মধ্যে বিরাট বিরাট ধর্মীয় পন্ডিত, গুরু রয়েছেন। তারা কি ধর্মীয় অাবেগ বহির্ভুতভাবে চলেন? গীতা এবং বাইবেলের অন্তত একজন হাফেজ তো থাকা উচিত ছিলো।
অাপনি বলেছেন, কোরঅান ছন্দ অাকারে লেখা তাই মুখস্ত করা সহজ। তো, এতবড় বিরাট কবি মুহম্মাদ(সাঃ) কি করে হলেন? বুঝিয়ে বলবেন কি?
অামি বলেছি, কোরঅান ছাড়া এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা সংশোধন বা পরিমার্জন হয়নি। কিন্তু কোরঅানের শুরু থেকে একটি অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
অাপনি বলেছেন, কুরআন কতটুকু পরিমার্জন হযেছে কিনা তার সত্যতাও ১০০% তদন্ত করে বের করা সম্ভব নয়।
বেশ চালাকের সাথেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর অাপনি পাশ কাটিয়ে যান। অাপনি ১০০% তদন্ত করে বের করতে না পারেন ৮০% কি ৯০% তো পেরেছেন। তো সেই তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করুন। যা উল্লেখ করেছেন তা ১% হয়নি।
অাপনাদের মত লোকের চরিত্র সম্পর্কে অাল্লাহ ভালো করেই জানেন। অাপনার জন্য নিচের অায়াতগুলো।
"যদি আমি তোমার প্রতি কাগজে লিখিত কোন কিতাব অবতীর্ণ করতাম, অতঃপর তারা তা নিজেদের হাত দ্বারা স্পর্শও করত; তবুও কাফির ও অবিশ্বাসী লোকেরা বলতঃ এটা প্রকাশ্য যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।"
"আর তারা বলে থাকে, তাদের কাছে কোন মালাক/ফেরেশতা কেন পাঠানো হয়না? আমি যদি প্রকৃতই কোন মালাক/ফেরেশতা অবতীর্ণ করতাম তাহলে যাবতীয় বিষয়েরই চূড়ান্ত সমাধান হয়ে যেত, অতঃপর তাদেরকে কিছুমাত্রই অবকাশ দেয়া হতনা।"
"আর যদি কোন মালাককেও/ফেরেশতাকেও রাসূল করে পাঠাতাম তাহলে তাকে মানুষ রূপেই পাঠাতাম; এতেও তারা ঐ সন্দেহই করত, যে সন্দেহ ও প্রশ্ন এখন তারা করছে।"
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪২
বিবেক ও সত্য বলেছেন: --------------এই হুজুর/মোল্লা ছাড়া কিভাবে বিয়ে করবো? পথটা কি দেখিয়ে দিন। যেহেতু অামি ইসলামকে অস্বীকার করি, সুতরাং মরনের পর অামার লাশটার কি করা উচিত সেটার একটা পদ্ধতি ঠিক করে রাখা জুরুরী নয় কি?পথটা কি দেখিয়ে দিন ------
আমার জবাব:
পথটি আমি অবশ্যই দেখিয়ে দিব। তার আগে আপনার কাছে আমার একটি প্রশ্ন: আপনার দৃঢ় বিশ্বাস ইসলাম স্রষ্টা প্রদত্ত বিধান আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইসলাম মানব রচিত বিধান। ধরুন- আমার সাথে বিতর্কের পর প্রমানিত হল এবং আপনি স্বীকার করতে বাধ্য হলেন যে ইসলাম মানব রচিত ধর্ম, তখন আপনি কি করবেন?
MCQ পরীক্ষা দেয়ার বিষয় এটা নয়। অাপনার নিকট প্রমাণ চেয়েছি, কোরঅান মানব রচিত অথবা নকলকৃত গ্রন্থ কি-না।[ ----পুরো সত্যটা যেখানে অাপনি বের করতে অক্ষম সেখানে অাপনি ইসলামের বিপক্ষে কলম ধরেছেন কোন সত্য নিয়ে?/sb]
আমি এমসিকিউ এর মত কেন লিখেছে তার কার প্রথমে ব্যখ্যা করেছে, তা কি আপনার চোখে পড়েনি? পোষ্টে কারনটি এভাবে লেখা আছে,আবার একটু চোখ বুলিয়ে দেখে নিন-
আজকের এ আধুনিক যুগে আমি একটি পুস্তক রচনা করে কিছু সুকৌশলি পন্থার আশ্রয় নিয়ে দাবি করি যে এটা স্রষ্টা অবতীর্ণ করেছেন, আমার উপাস্থাপিত কিতাব আমার নিজ হাতে লেখা নাকি অন্য কাহারও সাহায্য নিয়ে লেখা তা তদন্ত করে সত্য বের করা বড়ই কঠিন।অথচ আধুনিক যুগে তদন্ত করা অনেক সহজ।সেখানে আপনি ১৪০০ বছর পূর্বে রচিত একটি পুস্তকের প্রকৃত রচয়িতা কে তা আপনি আমাকে বের করতে বলছেন।
এবং আরো লিখেছিলাম:
এতবছর পর পুরো সত্যে নিশ্চিত করে বের করা সম্ভব নয়।যার সত্যেতা নিশ্চিত করা সম্ভব না, শুধুমাত্র ইতিহাসের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বিতর্ক করা বোকামির কাজ এবং সে বিতর্ক শেষ হবার নয়। তাছাড়া কোন পুস্তক স্রষ্টার দাবী করা হলে তার লেখক তদন্ত করা যাদের কাছে দাবী করা হয়েছে তাদের নয়। সুতরাং কোন অকাট্য বিষয় থাকলে সেটি বলুন।
কারনটি আরো ব্যখ্যা করছি:
এটা এ পৃথিবীর চরম বাস্তবতা যে বর্তমানে ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যেও মানুষকে কিছু তথ্যের বিভ্রান্তিতে ফেলে বিভ্রান্ত করা যায়। বোঝার সুবিধার্থে আপনি সিনেমার কিছু দৃশ্যর কথা কল্পনা করুন যেখানে নায়ক বা নায়িকা বা তাদের পিতা-মাতাকে কিছু তথ্য বিভ্রাটের মাধ্যমে চরমভাবে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। যেখানে নায়ক নিজ চোখে দেখে যে সে শত্রুর কাছ থেকে যা শুনেছে তা সত্য, তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, শত্রুর কথার প্রমানও সে পেয়ে যায়। যতক্ষন না নায়কের কাছে তথ্যের বিভ্রান্তির জট খোলে ততক্ষন সে বিভ্রান্তিতেই থাকে। সিনেমাতে বাস্তবতার সাথে অতিরঞ্জন থাকে, এ কথা সত্য। কিন্তু আমাদের বাস্তব জীবনের কিছু সত্যেও তুলে ধরা হয় যা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
যেখানে বর্তমানের ঘটনাকে তথ্য বিভ্রাটের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় সেখানে অতীতের ঘটনাকে কি করা যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশিদূর যেতে হবে না, আপনি যদি শেখ মুজিবের/জিয়ার আদর্শের একান্ত অনুগত ও নিবেদিত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে চান সেখানে আপনি কনভিন্সড হবেনই। আপনি যদি উভয় আদর্শের লোকদের আপনার সম্মুখে বিতর্কে বসিয়ে দিন তাহলে সত্যের কাছাকাছি যেতে পারবেন। তবে দেখবেন উভয়ের বিতর্ক শেষ হওয়ার নয়, এমন পরিস্থিতি হয়েছে, এবং কিছু সত্য উভয়েই লুকাচ্ছে এবং পরস্পর একই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন ব্যখ্যা করছে। এটা নিকটবর্তী ইতিহাস হওয়াই সত্যের কাছাকাছি যেতে পারবেন। যেখানে নিকটবর্তী ইতিহাসে ১০০% সত্যে উদ্ধার সম্ভব নয়, সেখানে ১৪০০ বছর পূর্বের ঘটনার সত্যে উদ্ধার কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তাহলে, এই অাবেগটা অন্য কোন ধর্মে নেই কেন?
প্রথমে আপনাকে স্বীকার করতে হবে, কুরআন মুখস্ত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্মীয় আবেগ রয়েছে। হাফেজ হলে পরকালে নুরের টুপি পরানো হবে, জাহান্নামের উপযু্ক্ত এমন দশজনকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিতে পারবে একজন হাফেজ, ইত্যাদি ইত্যাদি বিশ্বাস ছাত্রদের হাফেজ হওয়ার ধর্মীয় আবেগ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এখন এ আবেগ অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে নেই কেন, সেটা আরেকটি প্রশ্ন।
সব ধর্মের বিধান ও আবেগ একই বিষয়ে থাকতে হবে এমন কথা তো নেই। হিন্দু ধর্মের কিছু আবেগ কিছু হিন্দুকে নাগা বাবা বানাই, এখন যদি বলি নাগা বাবাদের মত ত্যগ-তিতিক্ষা দেখানোর আবেগ মুসলমানদের মধ্যে নেই কেন? এক ধর্মের আবেগ আরেক ধর্মের আবেগের সাথে মিলালে চলবে না। যার ধর্ম যাকে যে বিষয়ে শিক্ষা দেয় তার ধর্মের লোকের সে ধরনের শিক্ষানুসারে আচরণ করে থাকে। হিন্দু সন্তানদের জন্য এটা সেখানো হয় না যে বেদ মুখস্ত করলে পরজগতে অমুক অমুক ফায়দা। বেদ মুখস্তের জন্য হিন্দু ধর্মে কোন ব্যবস্থা নেই, তাই তাদের মধ্যে এ ধরনের উদ্যেগ দেখা যায় না। আর এ ধরনের উদ্যেগ না থাকাই সম্পূর্ন বেদে মুখস্তের লোকও পাওয়া যায় না।
বেশ চালাকের সাথেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর অাপনি পাশ কাটিয়ে যান। অাপনি ১০০% তদন্ত করে বের করতে না পারেন ৮০% কি ৯০% তো পেরেছেন। তো সেই তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করুন। যা উল্লেখ করেছেন তা ১% হয়নি।
কেন সে তদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করিনি তা আমার পোষ্টে পরিস্কারভাবে এভাবে (নিম্নরুপ) বর্নিত আছে, তা দেখার দৃষ্টি শক্তি কি আপনার নেই?
কুরআন কতটুকু পরিমার্জন হযেছে কিনা তার সত্যতাও ১০০% তদন্ত করে বের করা সম্ভব নয়।তবে আমার অনুসন্ধানীতে কুরআন সংগ্রহের সময় (মুহাম্মদ স: এর তিরোধানের পর, হযরত ওসমানের সময়) কিছুটা যোজন-বিয়োজন হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।যেহেতু আমার পাওয়া তথ্য ও তত্ত্ব আর আপনার সাম্ভাব্য উপাস্থাপিত তথ্য ও যুক্তির কোনটার সত্যতা ১০০% যাচাই করা সম্ভব নয়, তাই এ নিয়ে আমি বিতর্ক করতে চাই না বা প্রয়োজনও নেই। কারন কোন পুস্তক অপরিবর্তিত থাকা সে পুস্তক স্রষ্টার হওয়ার অকাট্য প্রমান বহন করে না।
কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য এমন কোন প্রমান যদি আপনার কাছে থাকে তা উপাস্থাপন করুন
আপনি যদি অকাট্য ও বর্তমানে প্রমানযোগ্য কোন প্রমান উপাস্থাপন করতে ব্যর্থ হন এবং স্বীকার করেন যে কুরআন মানব রচিত তখন আমি মুহাম্মদা স: কিভাবে কুরআন রচনা করলেন আর কুরআন আদৌ পরিবর্তন হয়েছে কিনা, হলে কতটুকু, ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর আমার অনুসন্ধানীতে যা বেরিয়ে এসেছে তা উপাস্থাপন করবো। কুরআন মানবরচিত প্রমানিত হওয়ার পরও পাঠকের মনে ঐ সকল বিষয়ে কিছু কৌতুহল থেকে যায়, সে কৌতুহলের জবাব হিসাবে আমি আমার অনুসন্ধানীর তথ্য উপাস্থাপন করবো।
আমি দাবি করছি না যে আমার অনুসন্ধানীতে বের হওয়া তথ্য ১০০% সঠিক, আর আপনাকেও স্বীকার করতে হবে আপনি যে ইতিহাস শিখেছেন তাও ১০০% প্রমান যোগ্য না হওয়াই ১০০% সঠিক হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
সেলিম৮৩ বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ের উত্তর একটি স্পেশাল ব্লগ অাকারে দিবো ইনশাল্লাহ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: Click This Link
১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪০
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মিথ্যার মানদন্ড:ইসলাম কি সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ?
১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @সেলিম৮৩
সেলিম৮৩ বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ের উত্তর একটি স্পেশাল ব্লগ অাকারে দিবো ইনশাল্লাহ।
ঠিক ঠিক "তাঁর " ইনশা না হলে তো কিছুই হয় না
......"এখন অামি যখন বিয়ে করতে যাবো তখন কি উপায় হবে? এই হুজুর/মোল্লা ছাড়া কিভাবে বিয়ে করবো?"
হুজুর/মোল্লা না থাকলে আপনি বিয়ে করবেন না?
"মরনের পর অামার লাশটার কি করা উচিত সেটার একটা পদ্ধতি ঠিক করে রাখা জুরুরী নয় কি? "
মরণের পর দেহ দানের অঙ্গীকার করে রাখুন। আমি করে রেখেছি। অনেক স্বেচ্ছা -সেবী সংস্থা আছে যারা আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবে। মরণের পর এক মৃত ব্যাক্তির চোখের রেটিনা কোন অন্ধ ব্যক্তিকে আলো দেখাতে পারে .... তার কিডনী ,হার্ট ,লিভার ইত্যাদি অনেক অঙ্গ -প্রতঙ্গই অনেক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে। মৃত দেহ কোন মেডিকেল রিসার্চ এ কাজে আসতে পারে। মরার পর আপনার শরীরের অনেক অংশ অন্যের দেহে কাজ করে যাবে --এটা ভাল না একটা মৃত দেহ কে মাটিতে কবর দেওয়া অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া ভালো ? আমার মৃত্যুর পর আমার দেহ না আগুনে জ্বালানো হবে না কবর দেয়া হবে।
"অাপনি বৃটেন, অামেরিকায় যে কোন নারী নিয়ে অবাধে রাত কাটাতে পারবেন।"
এইটা আপনি একদম পাক্কা মুমিনের মতো কথা বলেছেন। অবশ্য আপনার আর দোষ কি? আল্লাহ আপনাকে দিয়ে লিখিয়েছেন। "ইনশাল্লাহ" ছাড়া কিছুই তো হয় না।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
বিবেক ও সত্য বলেছেন: ভাল লিখেছেন
১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি একটু যুক্ত করতে চাই । বাবা মা এর তকমা ইসলাম ধর্মটা অনেকটা অন্ধ ভাবেই মেনে নিতাম । একটা সময় এই ধর্ম থেকে হোচট খেয়ে দূরে চলে যেতে লাগলাম আবার আরেক হোচটে ইসলামকে আকড়ে ধরলাম । পড়ে একটা সময় উপলব্ধি হল ইসলামকেই কেন আকড়ে ধরে থাকতে হবে । ....
এরপর নিজ চিন্তা ইসলাম গ্রহন বা ফিরে আসলাম বা সঠিক পথ পেলাম যাই বলেন ।
কোরআন শরীফ কি খারাপ কিছু বলছে ? কিছু নির্দেশ, আদেশ, ঘটনাকেন্দ্রিক বর্ণনা, শিক্ষামূলক ইত্যাদির সুন্দর উপস্থাপনা ।
আমি আরবী ভাষাকে মর্যাদা দেই, কিন্তু সবার আগে মায়ের ভাষাকে স্থান দেই । যে ভাষায় আমি সহজে বুঝে ও বলতে পারি । কোরআন শরীফ পড়লে সর্বদা বাংলা তরজমা সহ বোঝার চেষ্টা করি । আফসোস আমি ভাষাবিদ নই, তা না হলে ইংরেজী এর পাশাপাশি আরবি শিখলে অনেক ভাল হত । আমি তরজমার উপর ভরসা করতাম না ।
মেইন সাবজেক্ট হওয়া উচিত ঈশ্বর আছে কি নাই, এতেই সমাধান এর প্রথম পথ পাওয়া যাবে । তারপর কোরআন, বাইবেল সত্য না গীতা সঠিক পথ প্রদর্শনকারী , না জান্নাত জাহান্নাম আছে কি দেখা যাবে । নাকি কোরআন মানব রচিত ধর্ম কি না .. আর উত্তর অবশ্যই কোরআন মানব রচিত ধর্ম কিন্তু বানী মহান আল্লাহ .... সেটার ক্ষেত্রে হবে আল্লাহ কি আছেন কি নেই.... আল্লাহর বাণী যে প্রমান কি.. ইত্যাদি... কিন্তু মূল প্রসঙ্গ হতে হবে ঈশ্বর আছে কি নাই.... এইটার এন্ড পয়েন্ট এ না আসতে পারলে এই বিষয় নিয়ে তর্ক করা যাবে না , তবে কয়েকটা ধর্মের মধ্যে তুলনা হলে বলা যেতে পারে কোরআন এর বানী আসলে ঐশ্বরিক কিনা ইত্যাদি,,,, এখানে যে ঈশ্বর এর অস্তিত্বই আছে কি নাই এ বিষয়ে চিন্তা না করে ডাইরেক্ট কোরআন শরীফ মানব বানী না ঈশ্বর বানী চিন্তা করলে তো হবে না....
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সমস্ত ধর্ম এবং ধর্ম গ্রন্থ মানব রচিত।
আমার আগের কোন একটি পোস্টে আমি এগুলি লিখেছিলাম :
ধর্মীয় শিক্ষার প্রধান উপকরণ ধর্মীয় কিতাব গুলো। আমাদের পরিচিত ধর্মগ্রন্থ গুলোর (যেমন কোরান অথবা রামায়ণ /মহাভারত /গীতা ) বেশিরভাগ অংশই ব্যক্তিবিশেষ বা তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বর্ণনা , কতজন স্ত্রী বা সঙ্গিনী অথবা বিভিন্ন যুদ্ধ , হত্যা , গোত্রে গোত্রে লড়াই , ব্যক্তি বিশেষের হামবড়াই , আমিই শ্রেষ্ঠ , আমিই ঈশ্বরের প্রতিনিধি ইত্যাদি নিয়ে। ধর্মগ্রন্থ গুলোর কাহিনী গুলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ। যেমন রামায়ণ /মহাভারত /গীতার প্রেক্ষাপট ভারতের কিছু অংশে ঠিক যেমন কোরানের ঘটনাগুলো বর্তমান সৌদি আরবের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়ার থেকে হিংসার বর্ণনা এবং নিজ নিজ গোত্রের /ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা ধর্ম গ্রন্থগুলোর প্রধান উপজীব্য। সাইড ডিশ হিসাবে কিছু ফিলোসফিক্যাল কথাবার্তা এবং হ্যান করলে স্বর্গ /জান্নাত এবং ত্যান করলে নরক /দোজখ ইত্যাদির লোভ এবং ভয়/ভীতি প্রদর্শন।এগুলো কোন ভাবেই কোন ঈশ্বরের সৃষ্টি হতে পারে না।
"ধার্মিকরা" এসব কথা মেনে নেবেন না, কারণ তা হলে এত সব ঐশী কিতাব গুলোর কি হবে ? এত এত মহাপুরুষ /নবী/গডম্যান এবং তাদের চেলা চামুন্ডা যাঁরা সাধারণ মানুষকে ঠুঁসে ঠুঁসে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত তোতা পাখী বানিয়েছেন সেই তোতারা আতা গাছে বেল ঠোকরাবে ??
ব্লগার সেলিম৮৩ রাজীব আহসানএর এক পোস্টে এই কমেন্ট করেছিলেন। এগুলো একদম জোকার নায়েক টাইপের যুক্তি। জোকার নায়েক তার ছাগুলে দাড়ি দুলিয়ে এই ধরণের অনেক যুক্তি দেয়।
সেলিম৮৩ বলেছেন: একটা অাই ফোন অাপনার হাতে অাছে। এই অাই ফোন নির্মাতা ফোনটি তৈরী করার পর একটা ম্যানুয়াল সাথে দিয়ে দিয়েছেন।
এখন এই ম্যানুয়ালটা উপেক্ষা করে যদি বলেন, এই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যতক্ষণ পর্যন্ত অামার বেডরুমে এসে অামাকে এটার ম্যনুয়াল না বুঝাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অামি এই ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিবোনা এবং এটা যে তাদের তৈরী সেটাও মানবোনা। বলেনতো, অাপনার এই ইললিজক্যাল অাবদার কি ঐ অাই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানে তুলবে? বা এতে তার কোন ক্ষতি হবে?
মি. হাতুড়ে লেখক, অাল্লাহ ঘুমান না । এটা মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তিনি ঘুমালে অাপনি যে গ্রহে বাস করেন এটা মহাশূণ্যে অাপনাকে নিয়ে ব্রেক ফেল করে কোথাও অাছড়ে পড়তো।
মানুষ যখন চিরনিদ্রায় শায়িত হবে ঠিক তখনই জাগানো তার কাজ। জীবিত মানুষ যদি ঘুমের ভান ধরে; তাকে জাগানোর দায়িত্ব ঈশ্বরের না।
এটা অাপনার জ্ঞান-বিবেক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তো ব্লগার সেলিম ৮৩ কে আমি নিচের যুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এর কোন জবাব দেন নি।
@সেলিম৮৩ :আই ফোন নির্মাতা একই মডেলের সমস্ত গ্রাহক কে একই ম্যানুয়াল দেয় , বিভিন্ন গ্রাহক কে বিভিন্ন মডেল দেয় না। সৃস্টি কর্তা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ দেয় কেন , এবং এই ধর্মের অনুসারীরা তাদের ম্যানুয়ালকেই শ্রেষ্ট মনে করে কেন? একজন হিন্দু কে কেন মাথা ঠুকে প্রণাম করার ম্যানুয়াল দেওয়া হয় আর মুসলমানকে পেছন তুলে নামাজ পড়ার ম্যানুয়াল ??
আই ফোন নির্মাতা কোন ত্রুটিপূর্ণ আই ফোন গ্রাহককে বিক্রী করলে ফোনটি বদলে দেয় অথবা পার্টস রিপ্লেস করে দেয়। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর /আল্লাহ কোটি কোটি বিকলাংগ মানুষ পয়দা করে, জন্ম থেকেই কারুর হাত /পা নেই , কারও হৃৎপিণ্ড ডিফেক্টিভ , কারো ফুসফুস /লিভার অথবা শরীরের অন্যান্য অংশ ত্রুটি পূর্ণ। তা আপনার আল্লাহ নিরীহ মানুষের ত্রুটি পূর্ণ অঙ্গ বদলে দেয় না কেন ?? এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে আই ফোন নির্মাতার ম্যানুয়ালের উপমা দেয়া আপনার সাজে না । যখন আপনার /আপনাদের যুক্তি শেষ তখন আপনার /আপনাদের উত্তর , "ঈশ্বরকে বুঝতে হলে আরো মাথা খাটাতে হবে" ---আপনার সগোত্রীয় একজন (ফরিদ আহমেদ চৌধুরি ) ১ নং কমেন্টেই এটা লিখেছেন। সুতরাং এইসব আইফোনে -টাইফোন বাদ দেন --এসব ইহুদী -নাসারা দের জিনিস , আপনি শুধু এবং শুধু মাত্র ইবাদত করেন।