নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ কি ধর্ষণের রাষ্ট্রে পরিনত হতে চলছে ?

২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৩০

বাংলাদেশ এখন আর নারীদের জন্য তেমন নিরাপদ জায়গা নয় । যদিও কোন দিন ই পাকিস্হান আফগানস্হান কিংবা বাংলাদেশ কখনোই নারীদের জন্য নিরাপদ বলে কোন নারী ই ভাবেন না । তার পর ও সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমার ধারনা ছিল হয়তো সমাজের পুরুষ নামক কিছু জানোয়ারে হয়তো দৃষ্টি ভংগির ও কিছুটা হলেো পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু কথায় আছেনা কুকুরের লেজ বাররো বচর ও যদি বাসের চোংগায় ভিতর ভরে রাখে তার পর ও নাকি বের কেরলে যেই বাঁকা সেই বাঁকাই থাকবে ! আমাদের দেশে ইদানিং আবার নারীর প্রতি যৌন হয়বানির মাত্রা আবার প্রকোট আকার ধারন করেছে গত পহেলা বৈশাখে প্রকাশ্যে মহিলাদের উপর যে অকথ্য যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমের বদৌলতে আমরা দেখেছি তার পর এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে আসা নারীদের উপর পুলিশের যে নির্যাতন তা ও আমারা দেখেছি এগুলির কোনটার ই কুল-কিনরা না হতে গত কাল আবার ঢাকার রাস্তায় ধর্ষণের শিকার হতে হলো এক কর্মজীবি নারীকে যা সুস্হ্য বিবেকের মানুষ কে সত্যি ভাবিয়ে তুলছে ! গতকাল রাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় রাস্তায় পাঁচজন মিলে চলন্ত মাইক্রোবাসে গণধর্ষনের শিকার হন এক গারো তরুণী । জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করেছে ঐ পাঁচ মানুষ নামের জানোয়ার । ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী যমুনা ফিউচার পার্কের একটি পোশাকের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কাজ করেন। বড় বোনের সঙ্গে উত্তরায় থাকেন খালার বাসায়। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ায় । বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের উল্টো দিকে বাসের অপেক্ষা করছিলেন মেয়েটি। এ সময় হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে ওর সামনে থামে এবং দুই যুবক ওকে জোর ধরে গাড়িতে তোলে। ভেতরে আরও তিনজন ছিল। তারা পাঁচজন মিলে চলন্ত গাড়িতে ওকে ধর্ষণ করে রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরার জসিমউদ্দীন রোডে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।মাইক্রোবাসটি চালানো হচ্ছিল ধীর গতিতে। কুড়িল বিশ্বরোড ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের এলাকা দিয়েই গাড়িটি কয়েকবার ঘুরেছে। "তখনও ওরা গাড়ির ভেতরে আমার বোনকে ধর্ষণ করছিল।" তিন থানায় ধন্যা দেোয়ার পর শে পর্যন্ত গুলশান থানার ওসির দয়ায় গুলশান থানাতে নাম না জানা ঐ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় । অবশ্য মেয়েটি বলেছে যে গত সপ্তাহের শুরুতে এক লোক দুই বিদেশি নারীকে নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের ওই দোকানে যান, এবং তিনি কোথায় থাকে, কত বেতন পায়, পরিবারে কে কে আছে জানতে চেয়েছিল তারা। ও বলেছে, মাইক্রোবাসে পাঁচজনের মধ্যে সেই লোকও ছিল। দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে তাকে ও চিনতে পারবে বলে মনে হয়।” দেখা যাক পরবর্তীতে আমাদের প্রসাশন কি ব্যবস্হা নেন ? এখন প্রশ্ন হলো এ যদি হ্য় বর্তমান ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশে নারীদের অবস্হ্যা তা হলে কি ভাবে আমরা নারীর অধিকার বলে চিৎকার নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি ? হয়তো মোল্লারা বলবেন অন্য কথা তারা অবশ্যই শফি হূজুরের মতবাদ ই উদাহরণ হিসেবে টানবে বলবে যে নারী যদি পর্দার আরালো বোরখা পরে বন্দি থাকতো তা হলে কখনোই এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না কি সুন্দর উদাহরন । চোরের ভয়ে বৌ ল্যাংটা রাখার মত । তবে এ কথা ই কি তা হলে বাস্তব সত্যি যে দিন দিন বাংলাদেশ ধর্ষণের রাষ্ট্রে পরিনত হতে চলছে ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.