নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিতে দুর্নীতি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে রাজনীতি আর দুর্নীতি একে অপরের সম্পুরক হয়ে দাড়িয়েছে । রাজনীতি বিদদের দুর্নীতি বর্তমান সময়ের আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে । অনেকের ই ধরানা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা যদি দুর্নীতিতে না জড়ান বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় নাদেন সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের দুর্নীতি প্রায় অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যাবে । একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে থাকেন রাজনীতিবিদরা তাই মন্ত্রী সাংসদ এমন কি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত রাজনীতিতে সম্পৃক্ত । যদি ধরি একজন মন্ত্রীর কথা কোন এক জন মন্ত্রী যদি দুর্নীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন সে ক্ষেত্রে ঐ মন্ত্রনালয়ের সচিবের পক্ষে দুর্নীতি করা তেমন সম্ভব হবে আর সচিবের পক্ষে যদি দুর্নীতিকরা সম্ভব না হয় তার অধিনস্ত কোন কর্মকর্তা কর্মচারি ই সাহস হবে না দুর্নীতি করার ।



স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তা হলে কি আমাদের রাজনীতিতে পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ যাঁরা তারাই আছেন ? এক বাক্যেই উত্তর আসেবে না আজ আমাদের রাজনীতি আর রাজনীতি বিদদের হাতে নেই । আমাদের দেশের রাজনীতি আজ কুক্ষিগত হয়ে হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের হাতে , হাতেগনা দুই-চার জন পেশাদার রাজনীতিবিদ রাজনীতির সাথে আছেন তারা ও অর্থ বিত্তের লোভে ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতে পরিনত হয়েছেন । বর্তমান সংসদের অধিকাংশ সদস্যই ব্যবসায়ী । প্রত্যেক সাংসদই কোটিপতি, কেউ কেউ অতিকায় ধনী। শুধু এবারের সংসদই নয়, বিগত কয়েকটি সংসদেই চিত্র ছিল অভিন্ন। অথচ স্বাধীনতা-পূর্ববর্তীকালের চিত্র পুরোটাই উল্টো ।পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ যাঁরা, তাঁরাই নির্বাচন করতেন এবং নির্বাচিত হতেন।সত্তরের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্যকরেলেই দেখাযায় তখন আওয়ামীলিগ থেকে মনোনায়ন পাওয়া প্রার্থীরা নানান পেশা থেকেই এসেছিলেন তাদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষক পর্যন্ত ছিলেন যারা সবাই পেশাদার রাজনীতিবিদ । ঐ নির্বাচনে ও কিন্তু আওয়ামীলিগ একক সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে জয় লাভ করেছিল ।



বিএনপি কখনোই আদর্শভিত্তিক দল ছিল না। তবু জিয়ার আমলে বেশ কিছু বামপন্থী ও ন্যাপের নেতারা এই দলে যোগদান করেছিলেন। তবে তারা বিএনপি তে এসে নীতি গতভাবে পরাজিত হয়েছেন তেমনি পরাজিত হয়েছিলেন আদর্শের কাছে ।এর পর ও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনীময় দলকে নতুনভাবে পুনর্গঠিত করে বিশেষ জনসমর্থন আদায়ে স্বার্থক হয়েছিলেন ।তার ফলশ্রুতিতে একানব্বইয়ের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলটি রাষ্ট্রীয় গ্রহন করতে সক্ষম হয়েছিল । কিন্তু তারেক রহমান নেতৃত্বে আসার পর দলটি তেমন ক্রমাগত ভাবেই রাজনৈতিক আদর্শ থেকে অনেক দুরে সরে যেয়ে দলের ভিতর পেশাগত রাজনীতি বিদদের থেকে প্রাধান্য পেয়েছেন অতিকায় ধনীরা। যাঁরা দেশ, জনগণ, কর্মসূচি, আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে সামান্যতম মাথা ঘামান না। আওয়ামীলিগের চিত্র ও এর বাহিরে নয় ষাটের দশকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তরুণ কর্মীদের মধ্যে একধরনের জাতীয়তাবাদী আদর্শ কাজ করত। তাঁরা জেল-জুলুম সহ্য করেছেন কিন্তু নীতির কাছে পরাজয় স্বীকার কেন নি । তাঁরা ছিলেন পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ। গেছে। এখন এই দলে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য, যাঁদের মুখে " বঙ্গবন্ধুর আদর্শ " "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা " সহ নানান নীতির কথা শোনা যায় বাস্তবে তাঁরা ও রাজনীতিকে নিয়ে ও রাজনীতি দিয়ে ব্যবসা করছেন । নিজেদের আখের ভাল ভাবেই গিছিয়ে নিচ্ছেন । সম্প্রতি আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কোন এক বক্তব্যে বলেছিলেন " ‘আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি, তবে দেশের দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি অর্ধেক কমে যাবে " । এ বছরের জানুয়ারির প্রথমে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন " রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব । রাজনীতিবিদরা যদি সত্যিকার অর্থে চান তাহলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্নীতি রোধ করা যায়।"



তাই স্বাভাবিক ভাবে ই বলতে চাই আজ আমাদের দেশের প্রতিটি শিরা উপশিরায় যে দুর্নীতির রক্তপ্রবাহিত হচ্ছে তার বিশেষ আশ্রয় ও প্রশ্রয় দাতা ও লাভবান আমাদের দেশের তথাকথিত রাজনীতিবিদরা । কিন্তু রাজনীতি যে আজ আর রাজনীতিবিদদের হাতে নাই এটা ও সত্য । রাজনীতির কান্ডারি আজ বানিয়ারা ।আর এই বানিয়ারা ই আজ রাজনীতিকে করে বিকৃত করে সমাজ কে করেছে কলুষিত রাষ্ট্রের কপালে লেপন করেছে কালিমা । তাই দেশের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা। আর সেটি করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দিয়ে কখনো দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্হা গঠন করা সম্ভব নয় ।আ দেশে বর্তমান সময়ে রাজনীতি আর দুর্নীতি একে অপরের সম্পুরক হয়ে দাড়িয়েছে । রাজনীতি বিদদের দুর্নীতি বর্তমান সময়ের আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে । অনেকের ই ধরানা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা যদি দুর্নীতিতে না জড়ান বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় নাদেন সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের দুর্নীতি প্রায় অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যাবে । একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে থাকেন রাজনীতিবিদরা তাই মন্ত্রী সাংসদ এমন কি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত রাজনীতিতে সম্পৃক্ত । যদি ধরি একজন মন্ত্রীর কথা কোন এক জন মন্ত্রী যদি দুর্নীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত না হন সে ক্ষেত্রে ঐ মন্ত্রনালয়ের সচিবের পক্ষে দুর্নীতি করা তেমন সম্ভব হবে আর সচিবের পক্ষে যদি দুর্নীতিকরা সম্ভব না হয় তার অধিনস্ত কোন কর্মকর্তা কর্মচারি ই সাহস হবে না দুর্নীতি করার ।



স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে তা হলে কি আমাদের রাজনীতিতে পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ যাঁরা তারাই আছেন ? এক বাক্যেই উত্তর আসেবে না আজ আমাদের রাজনীতি আর রাজনীতি বিদদের হাতে নেই । আমাদের দেশের রাজনীতি আজ কুক্ষিগত হয়ে হয়ে আছে ব্যবসায়ীদের হাতে , হাতেগনা দুই-চার জন পেশাদার রাজনীতিবিদ রাজনীতির সাথে আছেন তারা ও অর্থ বিত্তের লোভে ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতে পরিনত হয়েছেন । বর্তমান সংসদের অধিকাংশ সদস্যই ব্যবসায়ী । প্রত্যেক সাংসদই কোটিপতি, কেউ কেউ অতিকায় ধনী। শুধু এবারের সংসদই নয়, বিগত কয়েকটি সংসদেই চিত্র ছিল অভিন্ন। অথচ স্বাধীনতা-পূর্ববর্তীকালের চিত্র পুরোটাই উল্টো ।পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ যাঁরা, তাঁরাই নির্বাচন করতেন এবং নির্বাচিত হতেন।সত্তরের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্যকরেলেই দেখাযায় তখন আওয়ামীলিগ থেকে মনোনায়ন পাওয়া প্রার্থীরা নানান পেশা থেকেই এসেছিলেন তাদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষক পর্যন্ত ছিলেন যারা সবাই পেশাদার রাজনীতিবিদ । ঐ নির্বাচনে ও কিন্তু আওয়ামীলিগ একক সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে জয় লাভ করেছিল ।



বিএনপি কখনোই আদর্শভিত্তিক দল ছিল না। তবু জিয়ার আমলে বেশ কিছু বামপন্থী ও ন্যাপের নেতারা এই দলে যোগদান করেছিলেন। তবে তারা বিএনপি তে এসে নীতি গতভাবে পরাজিত হয়েছেন তেমনি পরাজিত হয়েছিলেন আদর্শের কাছে ।এর পর ও এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনীময় দলকে নতুনভাবে পুনর্গঠিত করে বিশেষ জনসমর্থন আদায়ে স্বার্থক হয়েছিলেন ।তার ফলশ্রুতিতে একানব্বইয়ের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলটি রাষ্ট্রীয় গ্রহন করতে সক্ষম হয়েছিল । কিন্তু তারেক রহমান নেতৃত্বে আসার পর দলটি তেমন ক্রমাগত ভাবেই রাজনৈতিক আদর্শ থেকে অনেক দুরে সরে যেয়ে দলের ভিতর পেশাগত রাজনীতি বিদদের থেকে প্রাধান্য পেয়েছেন অতিকায় ধনীরা। যাঁরা দেশ, জনগণ, কর্মসূচি, আদর্শ ইত্যাদি নিয়ে সামান্যতম মাথা ঘামান না। আওয়ামীলিগের চিত্র ও এর বাহিরে নয় ষাটের দশকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তরুণ কর্মীদের মধ্যে একধরনের জাতীয়তাবাদী আদর্শ কাজ করত। তাঁরা জেল-জুলুম সহ্য করেছেন কিন্তু নীতির কাছে পরাজয় স্বীকার কেন নি । তাঁরা ছিলেন পেশাগতভাবে রাজনীতিবিদ। গেছে। এখন এই দলে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য, যাঁদের মুখে " বঙ্গবন্ধুর আদর্শ " "মুক্তিযুদ্ধের চেতনা " সহ নানান নীতির কথা শোনা যায় বাস্তবে তাঁরা ও রাজনীতিকে নিয়ে ও রাজনীতি দিয়ে ব্যবসা করছেন । নিজেদের আখের ভাল ভাবেই গিছিয়ে নিচ্ছেন । সম্প্রতি আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের কোন এক বক্তব্যে বলেছিলেন " ‘আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি, তবে দেশের দুর্নীতি অটোমেটিক্যালি অর্ধেক কমে যাবে " । এ বছরের জানুয়ারির প্রথমে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন " রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব । রাজনীতিবিদরা যদি সত্যিকার অর্থে চান তাহলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্নীতি রোধ করা যায়।"



তাই স্বাভাবিক ভাবে ই বলতে চাই আজ আমাদের দেশের প্রতিটি শিরা উপশিরায় যে দুর্নীতির রক্তপ্রবাহিত হচ্ছে তার বিশেষ আশ্রয় ও প্রশ্রয় দাতা ও লাভবান আমাদের দেশের তথাকথিত রাজনীতিবিদরা । কিন্তু রাজনীতি যে আজ আর রাজনীতিবিদদের হাতে নাই এটা ও সত্য । রাজনীতির কান্ডারি আজ বানিয়ারা ।আর এই বানিয়ারা ই আজ রাজনীতিকে করে বিকৃত করে সমাজ কে করেছে কলুষিত রাষ্ট্রের কপালে লেপন করেছে কালিমা । তাই দেশের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা। আর সেটি করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দিয়ে কখনো দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্হা গঠন করা সম্ভব নয় ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব তত্ত্বকথার কারণে দেশের উন্নতি হয় না। যে পড়ালেখা করে শিক্ষিত হয়েছে সে কেন রাজনীতি করতে পারবে না? রাজনীতি শুধু রাজনীতিবিদরাই করবে - এসব ফালতু নীতির কারণে শিক্ষিত সমাজ, খেলোয়াড়, মিডিয়া থেকে কেউ রাজনীতিতে আসতে লজ্জা পায়। ট্রাম্প - এর দিকে তাকান। গণতন্ত্র থাকলে যে কেউ রাজনীতি করতে পারবে। তবে দুর্নীতি দূর করতে হলে সরকার প্রধানকে কঠোর হতে হবে। আইন কঠোর হতে হবে। জেলে যখন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীদের ঢোকানো হবে তখন আব্বা আব্বা বলে সবাই সৎ হওয়ার প্রতিযোগীতা করবে...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: বিষয় গুলি আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিন্তু ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতির মায়রে বাপ !!!!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: ভুল কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.