নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোশাররফ করিম বাংলাদেশের ছোট পর্দার একজন তাঁরকা অভিনেতা । যে কোন চরিত্রেই নিজেকে ফুটিয়ে তোলার যথেষ্ট ক্ষমতার তার আছে । মোশাররফ করিম আমার ও প্রিয় অভি নেতাদের একজন । অতি সম্প্রতি তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে নির্মিত" জাগো বাংলাদেশ " নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের দায়িত্ব নিয়েছেন । অনুষ্ঠানটি কে শুধু উপস্থাপনা নয় নিজের সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা তথা সমাজকে সচেতন করার কিছুটা দায়িত্ব নিয়েছিলেন । সমাজের একেক সমস্যা নিয়ে এক একটি পর্ব প্রচারের লক্ষেই নির্মিত হচ্ছে " জাগো বাংলাদেশ "। গত ১১ মার্চ ২০১৮ থেকে সপ্তাহের প্রতি রোববার রাত সাড়ে ৮টায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রচার করা হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব যার শিরোনাম ছিল " নারী নির্যাতন " প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শ্রেনীর সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়েন অভিনেতা মোশাররফ করিম। ঐ পর্বে তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন আমাদের দেশে যে নারী ও শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটে তার জন্য অনেকেই দায়ী করেন পোশাক কে বাস্তবে ধর্ষনের জন্য পোষাক কখনো ই দায়ী হতে পারে না । ধর্ষনের জন্য ধর্ষকের মানসিকতা ও চিন্তাধারা ই দায়ী । তাই ঐ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "একটা মেয়ে তার পছন্দমতো পোশাক পরবে না? আচ্ছা পোশাক পরলেই যদি প্রবলেম হয়, তাহলে সাত বছরের মেয়েটির ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেব, যে বেরাকা পরেছিলেন তার ক্ষেত্রে কী যুক্তি দেব? কোনো যুক্তি আছে? "
ঐ অনুষ্ঠান প্রচারের পর পারই অনেকে মোশাররফ করিমের এ বক্তব্যকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে মনে করছেন। অনেকেই আবার তাকে ইসলাম বিরোধী নাস্তিক ইত্যাদি বানিয়ে ফেলেছেন । মোশাররফ করিম কিন্তু তার পুরো অনুষ্ঠানে কোথাও ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলেন নি বরং তিনি হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহ) উক্তি পর্যন্ত টেনে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন যে নিজের ভিতর লুকিয়ে থাকা পশুটাকে আগে ধ্বংস করতে হবে । অথচ আমাদের সমাজের একটি শ্রেনী বুঝে অথবা না বুঝেই মোশাররফ করিমের চৌদ্দ গোষ্ঠিকে উদ্ধার করছে । এতে মোশাররফ করিম হয়তো কিছুটা ভয় পেয়েই বিষয়টি পরিষ্কার করতে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, " চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরে আমার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের একটি অংশে আমার কথায় অনেকে আহত হয়েছেন। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি যা বলতে চেয়েছি, তা হয়তো পরিষ্কার হয়নি। আমি পোশাকের শালীনতায় বিশ্বাসী এবং তার প্রয়োজন আছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা আমার অভিপ্রায় না। এ ভুল অনিচ্ছাকৃত। আমি দুঃখিত। দয়া করে সবাই ক্ষমা করবেন।"
অভিনেতা মোশাররফ করিম প্রথমে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে " জাগো বাংলাদেশ " নামক অনুষ্ঠান উপস্হাপনা করে সমাজের যে অসঙ্গতি ও কুসংস্কার তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তা অবশ্যই প্রসংসনীয় এবং ধন্যবাদ প্রাপ্য । এবং তিনি তার অনুষ্ঠনে তা তুলে ধরতে পেরেছেন । যে মানুষ সত্য কথা বলার সাহস রাখেন সে অবশ্যই সৎসাহসী । তিনি তার সত্য থেকে বিন্দু মাত্র পিছু পা হন না । তবে দুঃখ জনক হলেও সত্যি মোশাররফ করিম তার সত্য অবস্হানে মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন । তিনি সত্য কথা বলার পর অজানা ভয়ে হিংসুক ও নিন্দুকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন যা সত্যি লজ্জা ও দু:খ জনক । আমি ও বিশ্বাস করি মানুষের ভিতর লুকিয়া থাকা পশুবৃত্তিই মানুষকে সকল খারাপ কাজের মনোভাব জন্মায় । মোশাররফ করিমের মত আমি বিনা দ্বিধায় বলতে চাই প্রত্যেকটি মানুষের ই নিজের কিছু স্বাধীনতা থাকে সেটা খাবার পোষাক ইত্যাদি বিষয়ে । একজন নারীর ও তেমন টি আছে । এক জন নারী কোন পোষাকে নিজের ভিতর স্বস্তি পাবে এটা তার একান্ত ই ব্যক্তিগত । তবে প্রত্যেক মানুষ ই চায় মার্জিত রুচিশীল আরাম দায়ক পোষাক পরিধান করতে । তবে সেই পোষাকে যদি কোন পুরুষ কোন নারীর দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেয় তার জন্য ঐ পোশাক বা পোশাক পরিহিতা নারী কারো ই দোষ নাই সমস্ত দোষ ই ঐ পুরুষ মানুষটির মানষিকতার । যদি পোশাকই ধর্ষনের কারন হতো তা হলে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিটি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া প্রতিটি নারীই ধর্ষনের শিকার হতেন আর আরব দেশগুলিতে ইহ কালে কোন নারীই ধর্ষনের শিকার হতেন না । অভিনেতা মোশাররফ করিম তার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যা বলতে ও বুঝাতে চেয়েছেন তা বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ন । তার এই সত্য বলার জন্য তাকে নিয়ে যে ভাবে টানা হেচরা করা হচ্ছে তা কোন ভাবেই কোন সুস্হ্য মস্তিকের মানুষের কাম্য নয় ।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
নতুন বলেছেন: ধষ`নের বিচার হয়না আমাদের সমাজে.... সেটাই অন্যতম বড় কারন ধষ`ন বেড়ে যাবার।
যদি সবাই জানে যে মেয়েটিকে ধষ`ন করে ১৪ বছর জেলে থাকবে তখন কতজন ধষ`ন করবে? ৯৫% কমে যাবে।
সমাজের ভন্ডামী না বন্ধ হলে ধষ`ন বন্ধ হবেনা।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৬
পলাশবাবা বলেছেন: হু মোশাররফ করিম নিজেই স্বীকার করেছেন উনি যা বলতে চেয়েছেন তা পরিষ্কারভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
বক্তব্য পরিষ্কার না হলে ভুলবোঝাবুঝি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
দেখলাম উনি বেশ ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলেন।
আশা করি পরেরবার প্রফেশনালি বিষয় টা হ্যান্ডেল করবেন।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
অভিনয় করছেন, সেটাই চলুক; একসাথে সামজিক পন্ডিত হতে চাচ্ছেন, সেখানে সমস্যা!
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
হাঙ্গামা বলেছেন: যারা এই বিষয়টা নিয়া ত্যানা প্যাচাইতেছে তারা মুর্খচো**** অথবা বেশি বুঝা আচো***।
বাঙ্গালীর ধর্মীয় অনুভুতি অতি মাত্রায় বেশি, যারা সারা সপ্তাহে পশ্চিম দিকে ফিরা একবার আছাড় খায় না তাগোই চুলকানি বেশি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৭
আমপাবলিক বলেছেন: যথার্ত লিখেছেন। আমার এক অতি পন্ডিত বন্ধু আছে তাকে আমি এভাবে বুঝাতে চেয়েও ব্যার্থ হয়েছি, সে বরং আমাকে কিছু ইউটিউবারের তৈরিকৃত ভিডিও দেখাতে চেয়েছেন। ধন্যবাদ।