নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস অনেক পুরোনো ব্রিটিশ পাকিস্হান এমন কি স্বাধীনতার পর দেশীয় স্বৈরশাসকরা ও শত চেষ্টা করে কোন আন্দোলনকে দমাতে পারেনি । সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের সাধারন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে । এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে নানান জনের নানান মত । ক্ষমতাশীনরা এই আন্দোলনকে দেখছেন সরকার বিরোধী রাজনৈতিকদের ইন্ধন হিসেবে । আর সরকার বিরোধীরা এর পক্ষে তেমন কোন জোরালো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ তবে সাধারন দেশবাসীর সমর্থন এই আন্দোলনের পক্ষে শতভাগ । কারন সবাই চায় সরকারি চাকরিতে কোটার চেয়ে মেধারই মুল্যায়ন হউক । তবে রাষ্ট্রে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠির জন্য বিশেষ কিছু কোটা থাকাটা অস্বাভাবিক কিছুই না । কোটা আন্দোলন যখন তুঙ্গে ঠিক তখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন সরকারি চাকরিতে কোন কোটা ব্যবস্হা থাকবে না । অবশ্য একই সময় আমাদের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারিদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি ও দিয়েছিলেন । যাই হউক আমি সেই কথায় যেতে চাই না । অতিসম্প্রতি কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন এবং এই আন্দোলনকারিদের যারা সমর্থন করছেন তাদের উপর যে নির্যাতনের খড়গ নেমে এসেছেন ন্যক্কারজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ছাত্রলীগ নামধারী তরুণেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর যে তান্ডব চালাচ্ছে তা কখনোই কোন সভ্যসমাজের মানুষের কাম্য নয় । গত ১৫ জুলাই ২০১৮ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা দেখে সত্যি জাতি বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছে ।
আতিসম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, "এখন ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই, সম্মেলনের পর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ছাত্রলীগের নামে কিছু হচ্ছে কি না বা কেউ কিছু করছে কি না—এটা আমাকে জেনে নিতে হবে।" আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় বহিরাগতদের আগমন ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি বসানো সহ বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা বলেছেন । তবে যখন দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে ছাত্র শিক্ষক নির্বিচারে নির্যাতনের শিকার হলেন আর ভিসি মহোদয় চুপ করে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করলেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যিনি বা যাঁরা ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালালেন এবং সম্মানিত শিক্ষকদের অপদস্থ করলেন, তাঁরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না বহিরাগত ? যদি বহিরাগত হয়ে থাকে তবে তারা কারা ? আর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ছাত্র হয়ে থাকে তবে তাদের পরিচয় ই বা কি ? কোন সহসে ও কোন খুটির জোড়ে ওরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অপদস্থ করার সহস পেল ? কেন ই বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্হা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে ? আমার এই সব সাধারন প্রশ্ন গুলি প্রায় সবার ই জানা ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুলের পা হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নিষ্ঠুর আক্রমণের ছবি সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। আক্রমণকারীদের প্রত্যেকের চেহারা ও পরিচয় প্রচারিত হওয়ার পরও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেনি বা নেয় নি । অথচ ন্যয়সংগত দাবি নিয়ে নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে যারা আন্দোলন করছে সেই আন্দোলনকারীদের ই ১৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে । দেশে আইন আছে আইনের শাসন ও থাকবে এটা সবার ই প্রত্যাশ । তবে ছাত্রলীগ পরিচয়ে সন্ত্রাসী গুন্ডা মাস্তানরা আজ যে ভাবে আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে অরাজগ পরস্হিতির জন্ম দিচ্ছে আর আইন শৃংখলারক্ষাকারি বাহীনি যে ভাবে নীড়ব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে তাতে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ পরিচয়ে সন্ত্রাসী গুন্ডা মাস্তানরা দেশের সমস্ত আইনের উর্দ্ধে ।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কুকুরদের জন্য মানুষের আইন প্রযোজ্য নয়...
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন তারা বিশ্বজিত কে দিনে দুপুরে সবার সামনে কুপিয়ে মেরেছে সেদিন থেকেই তাদের অফ করে দেওয়া দরকার ছিল।
যেহেতু তাদের অফ করা হয় নাই, দিনের পর দিন তাদের নিষ্ঠুরতা বাড়বে। বেড়েই চলবে।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
হাঙ্গামা বলেছেন: কসাই আর জল্লাদ তৈরির কারখানা।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
হাঙ্গামা বলেছেন: কসাই আর জল্লাদ তৈরির কারখানা।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
কাইকর বলেছেন: এগুলো সরকারের হাতিয়ার ।যেমন সরকার তেমন তার হাতিয়ার
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
ক্স বলেছেন: না, ছাত্রলীগ কোন আইনেরই উর্ধে নয়। তবে তারা নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে। পুলিশ এবং প্রশাসনের পাশাপাশি তারা সরকারের কাছে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে পেরেছে। তাদের সক্রিয় ভূমিকা ছাড়া সরকারের পক্ষে যে নিরুপদ্রবভাবে দেশ চালানো সম্ভব নয় - সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
বিনিময়ে সরকারও যতটা সম্ভব তাদের প্রটেকশনের ব্যবস্থা করে রেখেছে, যেমনঃ
- ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য নিজ থেকে কোন ফৌজদারি মামলা দায়ের না করা
- কোন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ মামলা দায়ের করতে চাইলে নানা ছল ছুতোয় মামলা না নেয়া
- মামলা নিতে বাধ্য হলেও তা যাতে কোর্ট পর্যন্ত না যায়, সেজন্য নানা বাহান করা
- নানা ছুতায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকা
- অভিযোগকারীকে নানাভাবে হয়রানি করা ইত্যাদি।
এসব কারণে ছাত্রলীগের কিল খেয়েও অনেকের মধ্যে কিল চুরি করার প্রবণতা দেখা যায়।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩
বরুন মালাকার বলেছেন: দিনে দিনে বাড়িতেছে দেনা
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা । ছাত্রলীগ স্বাধীনতার পক্ষের দল; স্বাধীনতার চেতনার কারবারি । অতএব তিনারা আইনের উর্ধে ।