নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়কের লাশের মিছিল বন্ধহবে কবে ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাবার সাথে মোটর সাইকেলে চড়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় জীবন দিতে হয়েছে স্হানীয় কসমোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী আফরিন ও চতূর্থ শ্রেনীর ছাত্র আফসারকে । গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছে আফরিন ও আফসারের বাবা ডালিম । গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নারায়ন কড়া এলাকায় ইটভাটায় কয়লার ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন । যেদিন আফরিন ও আফসার মৃত্যুহয় ঐ দিন ই ঢাকা বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে ট্রাক চাপার প্রানহারান নরসিংদী থেকে ঢাকায় বিদেশগামী স্বজনকে বিদায় জানাতে আসা ডালিম ও মোবারক । ডালিম ও মোবারক সম্পর্কে শ্যালক ও ভগ্নিপতি । গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর মালিবাগে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী আফসানা ইলিয়াস ইতি । যাত্রাবাড়ী নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য তিনি তুরাগ পরিবহন নামের একটি বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওঠার আগেই বাসটি চলতে শুরু করলে নিচে পড়ে যান ইতি ।বাস চলাকের এমন গাফলতিতে একজন মেধাবী ছাত্রীর জীবনের ইতি টানতে হয় । যদিও ইতির মৃত্যুর খবর আমাদের সংবাদ মাধ্যম গুলি তেমন ভাবে প্রচার করেনি । আফসানা ইলিয়াস ইতি এমন করুন মৃত্যুতে তেমন কোন প্রতিবাদ ও হয়নি । গত বছর ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় মৃত্যু হয়েছিল আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম নামের শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর । এই ঘটনার পর সমগ্র দেশ ফুঁসেউঠেছিল নিরাপদ সড়কের দাবিতে । আমাদের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছোট ছোট বাচ্চারা রাস্তায় নেমেছিল সহপার্টির মৃত্যুর বিচারের দাবীতে । একপর্যায়ে তারা ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারকদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে কীভাবে সড়ক নিরাপদ রাখতে হয়। কিন্তু সেটি ছিল প্রতীকী। সড়ক নিরাপদ রাখা কিংবা দুর্ঘটনা রোধ করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। এটি করতে হবে সরকারকেই।

সড়কে মৃত্যু মিছিল প্রতিদিন ই লম্বা হচ্ছে । বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ২২১ জন যা আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি।আর ২০১৮ সালের প্রথম চার মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে দৈনিক গড়ে ১৮ জন পুরো বছর, অর্থাৎ বাকি আট মাস যোগ করলে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০-এ।নিরাপদ সড়ক চাই এর তথ্যানুসারে ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ জনের। সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৬ সালের চেয়ে দেড় হাজার মৃত্যু বেড়েছে ২০১৭ সালে ।নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সরকার সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে চালকদের শাস্তির মাত্রা বাড়ালেও সেটি কতটা কার্যকর হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।কারন আইনটি সংসদে পাস করার পরই পরিবহনশ্রমিকেরা আন্দোলনে রাস্তায় নামেন । এবং এই আইন পাশের পর দুর্ঘটনার মাত্রা আরো বেড়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে । দুর্ঘটনা রোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবহনের দূরপাল্লার চালকদের জন্য কর্মঘণ্টা বেঁধে দিয়েছিলেন যা কোন ভাবেই এখন পর্যন্ত ও মানা হচ্ছে না । পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশি সড়ক দুর্ঘটনার দটনা ঘটে । যা নেহায়েত ই দুর্ঘটনা তবে আমাদের দেশে সড়কে যা ঘটে ঐ গুলির কতটা যে দুর্ঘটনা সেটাই একটা প্রশ্ন ।আমাদের দেশের সড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার মুল কারন গুলি হলো চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা, চালকদের ওপর বাড়তি চাপ ও পথচারীদের অসচেতনতা ছাড়া ও ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ও সেতুর সময়মতো মেরামত না হওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন এবং চালকদের অদক্ষতা ।

মৃত্যুকে কখনো ই সংখ্যাদিয়ে নির্নয় করা যায় না ।একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের জন্য আজীবনের কান্না বয়ে আনে ।একটি দুর্ঘটনার করনে একটি পরিবারকে আজীবনের জন্য পথে নামতে হয় । আমরা কখনো ই চাইনা সড়কে এমন মৃত্যু । রাষ্ট্রের প্রতিটি নগরিকের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চয়তা রাষ্ট্র ও সরকারকেই দিতে হবে সেই ক্ষেত্রে আমাদের রাষ্ট্র ও সরকার পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে । আমরা চাই সরকারের দায়িত্বশীলতা ও প্রতিটি নগরিকের সচেতনতার মাধ্যমে সড়কের এই লাশের মিছিল বন্ধ করতে হবে । না হ্য় অদুরভবিষ্যতে সড়কের এই লাশের মিছিল আরো দীর্ঘ হবে যা আমাদের একটি পঙ্গু জাতিতে পরিনত করতে পারে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যদি শক্ত হয় তাহলে দূর্ঘটনা অনেকখানি কমে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.