নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঈদ খোকনের কান্না ও আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

এই মুহুর্তে দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের অন্যতম হলো ঢাকা সিটি কর্পোরপশনের নির্বাচন। আগামী ৩০ জানুয়ারী ২০২০ দুই ঢাকার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই তারিখে কোন বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করলেন তাই আমার বোধগম্য নয়। কারন এই একই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যাদেবী সরস্বতী পুজা। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বিদ্যাদেবী সরস্বতী পুজা উৎযাপন করে থাকে। তবে এবার ঢাকার হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীরা এই পুজা উৎযাপন থেকে বঞ্চিত হবে। অবশ্য আমরা যারা ঢাকায় বসবাস করি তাদের ভাগ্য এমনিতে ও তেমন ভাল না ঢাকাবাসীর একটি বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ বাক্য হলো “ রাতে মশা দিনে মাছি এই নিয়েই ঢাকায় আছি”। বেশ কয়েক বছর যাতৎ ঢাকাবাসীকে রাতের মশায় দিনেও আক্রম করেছে। এডিস নামক একটি ভয়ংকর মশা ঢাকা সহ প্রায় সমগ্র দেশের মানুষের ই দিনের আরাম কে হারামে পরিনত করেছে। দিনেবেলায় ও মানুষ মশারি টাঙ্গিয়ে বিছানায় গা লাগায়। ডেঙ্গু এবার বাংলাদেশে একটি অভিশপ্ত মহামরি হিসেবে দেশের মানুষের উপর নাজিল হয়েছিল। মডিশ মশার কামড়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। এই এডিশ মশা অনেকের জন্যই আজীনের কান্না হয়ে দাড়িয়েছে। সেদিন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব সাঈদ খোকন আগত সিটি নির্বাচনে তার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ের আবেদন পত্র আানতে যেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলে তিনি নাকি রাজনৈতিক ভাবে কঠিন সময় পাড় করছেন। মেয়র সাঈদ খোকনের কান্না কারো মনে কোন অনুকম্পা সৃষ্টি করতে পেরেছে কি না জানি না তবে আমার কাছে তার এই কান্না কেন জানি একটি কৌতুক বা অভিনয় এমনটি ই মনে হয়েছে। জনাব সাঈদ খোকন পুরো একটি প্রিয়িড পার করলেন মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে এবং তিনি সরকার পক্ষের ই লোক সেই হিসেবে তিনি ঢাকাবাসীকে এমন কি উপহার দিতে পেরেছেন যে তার জন্য এই শহড়ের বাসিন্দা হিসেবে আমার মনের ভিতর তার জন্য অনুকম্পার জন্ম নিবে? আমি শহড়ের কোটি মানুষের আহাজারি শুনেছি ডেঙ্গুর ভয়ে প্রতিটি নগরবাসীই ছিলেন ডেঙ্গুর ভয়ে আতংকিত। আজিমপুর কবরস্হানে ছোট্ট একটি শিশুর মা হারানোর বুক ফাটা আত্মচিৎকার করতে দেখে ঐ মাছুম শিশুটির চিৎকারে শান্তনা দেওয়া ভাষা হারিয়ে আমি কেঁদেছি। ওর মা এই ঢাকার ই বাসিন্দা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই শহড়ের এমন হাজারো মানুষোর আত্মচিৎকারে ভারী হয়ে আছে ঢাকা শহড়ের আকাশ বাতাস। মাননীয় মেয়র আপনার তো দায়িত্ব ছিল এডিশ মশাকে এই শহড় থেকে তাড়ানো বা এডিস মশার মৌসুম আশার আগেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া। কোথায় আপনি কি সেদিন পেরেছিল আপনার নগরবাসীকে এডিশ মশার হাত থেকে রক্ষাকরতে? অসহায় এই নগড়বাসীর কান্না কি আপনার ভিতর কোন অনুকম্পা জন্মদিতে পেরেছিল? সাঈদ খোকন যে শুধু মশা নিধনেই ব্যর্থ এমনটি ই নয়। আজো ঢাকার দক্ষিনের প্রায় প্রধান প্রধান ব্যস্ত এলাকা গুলির ফুটপাত ই হকারদের দখলে। হঠাৎ কয়েক জন গুন্ডা মাস্তান সাথে নিয়ে হকার উচ্ছেদের নাটক তিনি ভালই দোখালেন। ঢাক সিটিট ফুটপাতে প্রতি দিন ই হয় কোটি কোটি টাকার অবৈধ চাঁদা বানিজ্য কথিত আছে এই টাকার ভাগের একটা অংশ ও নাকি নগর পতিদের পটেকে যায়। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নাম লিখালে ও পুরান ঢাকা সহ যে কোন জায়গায় ময়লার দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ। মেয়র কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তায় রাস্তার ডাষ্টবিন বসালেন কারা এই এই ডাষ্টবিন রক্ষনাবেক্ষন করলো কারাই আবার সব চুরি করে নিয়ে গেলে কে জানে? সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম মেয়র সাঈদ খোকন সাহেব নাকি ঢাকার রাস্তায় ৬৫ হাজার টাকা দামের একেকটি এলইডি লাইট সড়কে লাগিয়েছেন! আৃার এই কথা গুলিতে হয়ো অনেকে ভাববেন আমি সাঈদ খোকন সাহেবের বিরোধী করছি। না মোটে ও না আমি এই শহড়ের একজন বাসিন্দা হিসেবে আমি তার সামান্য কিছু কর্মকান্ডের সমালোচনা করছি। তার পিতা প্রায়ত মেয়র জনাব হানিফ সাহেব যিনিই ঢাকার একমাত্র মেয়র যিনি একটি সুষ্ঠ ও প্রতিযোগিতাপুর্ন নির্বাচনে জনগনের ভোটে নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। যারা কর্মকান্ড অবশ্যই গর্বকরার মত। কারন সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি পক্ষ হয়েও ঢাকাবাসীর জন্য সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করেছেন। ঢাকাবাসীর দুর্ভগ্য যে এর পর আর কোন নগর পিতাই তাদের ভোটে নির্বাচিত হন নি। তাই সাঈদ খোকনের সেদিনের ঐ কান্না ঢাকাবাসীর মনে এমন কোন অনুকম্পার জন্মদিতে পারে নি এমন কি তার দলের প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মনে ও না। কারন আওয়ামীলীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা খুব সম্ভবত এত তাড়াতাড়ি ই সাঈ খোকের এক-এগারোর পরবর্তী ভুমিকা ভুলে যাওয়ার ব্যক্তি নন। তবে কোন বিশেষ কারনে গত ঢাকা সিটি নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন তা তার তিনি ই ভাল জানেন। বাংলাদেশ আজ দুর্নীতিতে জর্জরিত। তাই শুধু মাত্র সাঈদ খোকন ই যে সমস্ত খারাপ কাজে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ছেন এমনটি ন। যারা আওয়ামীলীগের মনোননয় পেয়েছেন সবাই যে ধোপার ধোয়া সাধু এমনটি নন। ঢাকা উত্তরের মেয়রের বিরুদ্ধে ও কি অভিযোগের শেষ আছে। আর একেকনজন কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভয়ংকর ভয়ংকর সংবাদ দেখেছি যা সত্যি আমাদের ভৃত ও চিন্তিত করেছে।
বিএনপি বুক ভরা আশা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমারা ও দপশের গনতন্ত্র প্রিয় মানুষ ঐ একই আশায় বুক বাঁধছি। গত বছর ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ও এমন ই একটি আশার বুক বেঁধেছিলাম ২৯ ডিসেম্বর রাতে অনেক সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন ও দেখেছিলাম কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলি স্বপ্নই থেকে গেছে। আঙ্গুলে ভোটের কালি মেখে বিনা বাসায় ফিরতে হয়েছিল। সেদিনের ঐ কাহিনী সমগ্র বিশ্ববাসীর ই জানা। তা নিয়ে আার বলার কিছুই নাই। এখন ও আমাদের ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আমাের মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় ও অন্যান কমিশনার গন তোতাপাখির মত কতই না মিষ্ট মিষ্ট সুরেলা কথা শুনাচ্ছেন। তবে আমি নিশ্চিত সাঈদ খোকনের কান্না যেমন এই নগর বাসীর মনের ভিতর অনুকম্পার জন্মদিতে পারে নি ঠিক তেমন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান কমিশনারদের অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মিষ্টি বুলির উপর ও কেউ বিশ্বাস রাখতে পারছে না বরং তাদের কথায় সাধারন মানুষের ভিতর একধরনের বিত্রিশনার জন্ম দিচ্ছে। কেন জানি সাধারন মানুষের মনে ই একই ধারনা বর্তমান এই নির্বাচনের অধীনে কোন ভাবেই অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমি সত্যি কারেই একজন আশাবাদী মানুষ। আমার বিশ্বাস ভুল থেকেই মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও দুই ঢাকা সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভিতর তাের আস্হার জায়গাটা কিছুটা হলে ও তৈরি করে নিবে। তাই আসছে ৩০ জানুয়ারীর ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ প্রতিটি ভোটার ই উৎসাহে মাঝে ভোট দিয়ে তাদের পাছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। যারা এই ঢাকা কে সত্যিকারের একটি বসবাস যোগ্য নগরীতে পরিনত করতে পারবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের রাতকানার প্রভাব এতোটাই বেশি যে দিনের আলোতেও তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও তারা কিছুই দেখেনা :|

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২

একাল-সেকাল বলেছেন: ভাইজান, প্যারা করে লিখলে পরতে সুবিধা হত।
বড় বিশ্লেষণ করেছেন , রাজনীতি বিদদের হাসি/ কান্নার পিছনের গল্পটা শুধু ই তাদের নিজের জন্য। আর অভিনয় শিল্পীদের হাসি / কান্না দর্শকদের জন্য। জনগনের হাসি / কান্না -ই হচ্ছে বাস্তবতার বহিঃ প্রকাশ।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রাশিয়া বলেছেন: আপনি কি ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য এককভাবে খোকনকেই দায়ী করলেন? অথচ এক ডেঙ্গু রোগীর স্বামী মেয়র খোকনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে তিনি প্রায় ২০ কেজি ওজনের ফল ফ্রুটস নিয়ে তাঁকে দেখতে যান এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার খোঁজ খবর রেখেছেন। যদিও ঢাকার সমস্যা সামলাতে বাপ-ব্যাটা পাল্লা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, তারপরেও চূড়ান্ত লাথি মারার আগে আওয়ামী হাই কমান্ডের উচিত ছিল তাকে সাবধান করা। একরাশ আশায় বুক বেঁধে থাকার পর প্রত্যাখ্যান খেয়ে তিনবার আলহামদুলিল্লাহ বলা যে কী কষ্ট, তা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউ জানেনা।

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: "খালি কলস বাজে বেশী ।" পুরনো প্রবাদ গুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.