নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের সুস্হ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গত পহেলা ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হলো দুই ঢাকা সিটি নির্বাচন। দুই দিকেই মেয়র ও অধিকাংশ কাউন্সিলের নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধির প্রতি রহিল আমার শুভেচ্ছা। নির্বাচন নিয়ে সবসময়ই আমার কৌতূহলের শেষ থাকে না। প্রত্যেক ভোটের দিন ই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্র উপস্থিত হয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেই বা দেয়ার ও চেষ্টা করি। আমি ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার। গত পহেলা ফেব্রুয়ারীর সিটি নির্বাচনে ও এর ব্যতিক্রম হয় নি। আম ভোট কেন্দ্রের মুল ফটকে পৌঁছার পরই নৌকার প্রতীক ঝুলানো কয়েকজন যুবক এসেই আমাকে জিজ্ঞাসা করলো কি চান? ভোট দিতে এসেছি, আপনার আইডি কার্ড দেন। তোমাদের কাছে আইডি কার্ড দিব কেন? ভোটার নাম্বার বের করার জন্য।, আমি অনলাইন থেকে ভোটার নাম্বার নিয়ে এসেছি। ভোট দিতে হবে না বাহিরে যা বেটা। নির্বাচন কেন্দ্রের ভিতর কি ঘটছে সেটা দেখার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রটা বেরকরে দিলাম ওদের হাতে। কিছুক্ষণের ভিতর আমার ভোটার নাম্বার নুয়ে একটি চেংরা ছেলে এসে বললো আসান আামর সাথে। ওর সাথে কেন্দ্রের ফটকেই ঢুকতেই আরো তিন জনের কাছে আমাকে হস্তান্তর করা হলো যাদের সকলের গলাই নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলানো। পোলিং কক্ষে ঢুকার পর আঙ্গুলের ছাপের জন্য যন্ত্রের ভিতর আঙ্গুলের ছাপ দিতেই আমার তথ্য চলে এলো। এর পরই বিপত্তি আমাকে ইভিএম এ ভোট প্রদানের জন্য গোপন কক্ষে যাওয়ার সময় দুই জন সাথে সিকিউরিটি। যখন ই আমি ওদের আসতে নিষেধ করি তখনই ওরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিং বুথ থেকে বের হয়ে যেতে বলে উপস্হিত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা নীরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল। ভোট না দিয়ে শুধু আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সম্মান কোন মতে রক্ষাকরে কেন্দ্র থেকে বের হতেই দেখি দৈনিক মানবজমিন এর রিপোর্টার মরিয়ম চম্পার মোবাই ফোন নিয়ে টানাটানি করছে কয়েক জন উশৃংখল তরুন। কোন এক বোবা লোক ওদের কথামত ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার কারনেই ঐ লোককে মারার ভিডিও ধারন করার অপরাধে মরিয়ম চম্পার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। যদি ও কিছুক্ষণের মধ্যে চম্পা তার মোবাই ফোন টি ফেরত পান।
পহেলা ফেব্রুয়ারী ঢাকা সিটি নির্বাচনে শুধু আমার ক্ষেত্রেই যে এমনটি ঘটেছে তা নয়। সংবাদ মাধ্যম থেকে যতটুকু জেনেছি ঢাকার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রের চিত্রই ছিল এক। ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো ভোটার উপস্হিতি। ঢাকা দক্ষিনের মোট ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারে মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ঢাকা উত্তরের অবস্হা আরো করুন ঐ খানে ভোট পরেছে মাত্র ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সম্প্রতি চট্রগ্রাম -৮ আসনের উপ নির্বাচনে মাত্র ২২ শতাংশ ভোটারের উপস্হিতি নিয়েই খুশি ছিলেন আমার নির্বাচন কমিশন। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্হিতি এই করএন দশা দেখে অনেকই চিন্তিত। একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মুল ভিত্তিই হলো নির্বাচন। আগে আমাদের নির্বাচন ছিল উৎসব মুখর আর এখন নির্বাচন মানেই আতংক আর জনগনের টাকার অপচয়। তাই নির্বাচনের সুস্হ পরিবপশ ফিরিয়ে আনতে সকল রাজনেতিক দল সহ রাষ্ট্রীয় প্রতিটি অংগকে সুষ্ঠ ভাবে কাজ করে নির্বাচনের প্রতি দেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া বিশ্বস ফিরিয়ে আনতে হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসবের জন্ম কি ১৯৭৫ সালের হত্যাকান্ডের মাঝে লুকানো ছিলো, নাকি এটি অন্য কোন কারণে ঘটছে?

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪২

একাল-সেকাল বলেছেন:
১৯৭০ এর সাধারন নির্বাচনে আইয়ুব খান যদি আজকের মত ভাবত তাহলে স্বাধীনতার মুখ দেখতে হতনা।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনের সুস্হ পরিবেশ কে ফিরিয়ে আণবে? জনগন? ইসি না সরকার??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.