| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ইতালী আজ এক ভয়ংকট রাজ্য মৃত্যুর রাজ্য শুধু ইতালীই না ইতালীর আশে পাশের ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ই করোনা অর্থাৎ কোভিট- ১৯ এর আক্রমনে তছনছ প্রতিদিন ই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা।  আমাদের দেশ ও আজ করোনা আতংকে আতংকিত।  ক্রমান্বয়ে আমরাও বিপদের আভাস পাচ্ছি। আগামী দিনগুলিতে আমাদের দেশের কোন দিকে মোড় নেয় তা আল্লাহ ই একমাত্র ভাল জানে। দীর্ঘ দিন ধরে প্যারিসে বসবারত দীলিপ ভাইট সাথে ফোন আলাপে দীলিপ ভাই একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যদিলেন।  দীলিপ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভালই অভিজ্ঞ।  তাই আমও ও তার কোন কোন কথার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি।  দীলিপ ভাইর সাথে ওখানে অনেক চাইনিজ নাগরিকের ই ভাল বন্ধুত্ব পুর্ন পারিবারিক সম্পর্ক আছে।  দীলিপ ভাইর তথ্যমতে গত ডিসেম্বরে বড়দিন ইংরেজি নববর্ষ ও চাইনিজদের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইউরোপে বসবাসকারী অনেক চাইনিজ নাগরিক ই চায়নায় বেড়াতে যান। আর এই সময়েই চায়নাতে ভয়ংকর করোনার আবির্ভাব। এর পর অনেক ইউরোপের দেশ চাইনিজ নাগরিকদের  প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।  তবে ইতালিতে কিছু দুর্নীতি ও দুর্নীতিগ্রস্হ কর্মকরতা আছে এটা আমাদোর অনেকের ই জানা।  ইতালির ইমিগ্রেশনে ও নাকি কিছু দুর্নীতিপরায়ন অফিসার আছেন  যারা অর্থের বিনিময় চাইনিজ নাগরিকদের ইতালি হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে দিয়েছে।  আর তাদের থেকেই এই ভয়ংকর করোনার প্রবেশ।  এর মাসুল আজ ইউরোপ সহ বিশ্বের অনেক দেশকেই দিতে হচ্ছে। এমনকি আমাদের ও।  আমাদের দেশে করোনার বিস্তার ঘটেছে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের মাধ্যমে।  যার মুল অংশ ইতালি ফেরত।  এর জন্য আমাদের সরকারের ব্যর্থতা সরকার বিমানবন্দর সহ দেশে প্রবেশের বিভিন্ন বন্দরে যথাযথ ব্যবস্হা নিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তথাকথিত হোম কোয়ারেন্টিনের অযুহাতে প্রবাসীদের কোন পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবং কোয়ারেন্টিনের নামে বিশৃঙ্খলা ও আমরা দেখেছি।  সরকার ও প্রশাসন করোনা আক্রমনকে কোন গুরুত্বই দেন নি।  তেমনি আমাদের প্রবাসীরা প্রবাস জীবনে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও কেন জানি তারা দেশে আসার পর আমাদের আবহাওয়া ই গ্রহন করেন নেন।   প্রবাসীদের বিমানবন্দর থেকে কতৃপক্ষ চৌদ্দদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বললেও প্রায় সবাই সেটা না মেনে যথাইচ্ছা ঘুরাঘুরি করছেন বিয়ে কটছেন স্ত্রীকে পেছনে বসিয়ে মোটর বাইকে ঘুরছেন। প্রবাসীদের কি ভয়ংকর করোনা ভাইরাস সম্পর্কে নুন্যতম ধারনাও নেই?  তারা তো প্রবাসজীবে বিসর্জন দিচ্ছেন পরিপার পরিজনের সুখ শান্তির জন্য!  স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তারা এখন যেমনটি করছেন এটাই কি তাদের পরিবার প্রীতি একটাই কি তাদের দেশ প্রীতি?  আবার অনেক বিদেশ ফেরৎ ব্যক্তি বলেছেন বিমানবন্দর থেকে তাদের শরীরের কেনমতে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে বলেছেন চৌদ্দদিনের মধ্যে জ্বর ঠান্ডা কাশি এমন কিছু হলে হট লাইনে ফোন করে জানাতে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন সম্পর্কে কোন ধারনাই দেওয়া হয় নি।  এমন কি বিদেশ ফেরৎ অনেকের ই হোম কোয়ারেন্টিন সম্পর্কে কেন ধারনাই নেই। হয়তো আজ আমাদের দায়িত্বশীলদের অনেকেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। চায়নায় ডিসেম্বরের করোনার আক্রমণ হয় এর পর আমরা দেখেছি এর ভয়াবহতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিট-১৯ এর আক্রমণকে বিশ্বব্যাপী মহামারি ঘোষনা করলেও আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিরা এটাকে হেলায় ফেলায় নিয়েছি। চায়নায় আক্রমনের পর ও আমাদের সরকার তিন মাস সময় পেয়েছেন কিন্তু সেই সময় যথাযত কাজে লাগিয়ে গুরুত্ব সহকারে করোনা মোকাবেলার প্রস্তুত নিতে ব্যর্থ হয়েছে আমাদের রাষ্ট পরিচালনার আসনে বসা কর্তাব্যক্তিরা।   আজ আমাদের করোনা টেস্টিং কিটের অভাব আমাদের ডাক্তার নার্সদের মাস্ক গ্লাভসে অভাব পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুয়েবমেন্টের অভাব।  গত পরশু ঢাকা মির্টফোর্ড হাসপাতালে একটি নোটিশ আমাদের যথেষ্ট চিন্তিত করেছে এবং একটি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে কেন সরকার দীর্ঘদিন সময় পেয়ে ও যথাযথ প্রস্তত নিতে ব্যর্থ।  কোন কোন ক্ষেত্রে অতিকহন ব্যর্থতা ঢাকতে পারেনা। আজ আমাদের কর্তাব্যক্তিরা করোনা কে কি বলছেন তা তারা নিজেরাই জানেন না।  তাদের কথায় আমরা আশ্বস্ত না হয়ে রবং এমন সংকটময় মুহূর্তে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুনছি সাধারন মানুষকে। করোনা কিন্তু দেশের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মী না যাদে যাদের জেল নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে প্রতিহত করা সম্ভব এমনকি করোনা ভাইরাস সংবাদকর্মী বা অনলাইন এ্যাক্টিভিষ্ট ও না যাদের ৫৭ ধারা ৩২ ধারা দিয়ে তাদের ভয় দেখানো যাবে। করোনারা আল্লাহর একটি একটি অনুজীব ও সাম্যবাদী তাই এই করেনাকে প্রতিহত করতে হলো যাথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াটাই ছিল বন্হনীয়। আল্লাহ আমাদের কে সময়ের ব্যাপারে সচেতন হতে বলেছেন।  সাইজি সেই কথা সময় গেলে সাধন হয় না। যা হবার তা হয়েগেছে এই নিয়ে বির্তক করে সময় নষ্ট না করে তেলবাজি করে সময় নষ্ট না করে এখন জরুরী পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনা মোকাবেলায় সবাইকে এক হতে হবে। কারন এটা কোন ব্যক্তি বা দলের সমস্যা না এটা জাতিয় তথা বৈশ্বিক সমস্যা এটাকে আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থ দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।  তার জন্য অর্থ ও যথাযথ পরিকল্পনার প্রশোজন। আমাদের যেই পরিমান টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে তা প্রতিহত করে এই টাকা করোনা প্রতিরোধে ব্যবহার করতে হবে। দেশের ধনীব্যক্তিরা সহ সবাইকে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে এসে মানবিক মুল্যবোধ ও মানবতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।  আশাকরি আমাদের ক্রন্তিলগ্নে আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০২০  সকাল ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: একটা স্থবির সময় পার করছি আমরা!
আল্লাহ কি আমাদের সবার হাসি কেড়ে নিলো!?।
আমরা হাসতে ভুলে যাবো নাতো আবার!?