নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরাধ দমনে ক্রসফায়ার কি স্বার্থক?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫০

গ্রীক পুরাণের দেবতা-যোদ্ধা হারকিউলিস সম্পর্কে অনেকেরই কমবেশি ধারনা আছে টেলিভিশন সিরিয়াল বা বিভিন্ন গল্পে হারকিউলিসের কথা উঠে এসেছে। গত বছর হুট করেই আমাদের দেশে তথাকথিত হারকিউলিসের আর্বিভাব। পিরোজপুর সাভার ও ঝালকাটিতে চিরকুটের মাধ্যমে হারকিউলিস তার অস্তিত্বের প্রমান দিয়েছিল তথাকথিত কয়েক জন ধর্ষককে হত্যার মধ্যদিয়ে। আমি খুন হওয়া ঐ মানুষগুলিকে তথাকথিত ধর্ষক বলছি এই কারনে যে, কোন স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত থেকে যতক্ষন না একজনকে অভিযুক্ত করা হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা আইন সিদ্ধ নয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হারকিউলিসকে যেমন খুজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে তেমন ধর্ষন বন্ধে ও ব্যর্থ। আজো ও প্রতিনিয়তই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয় ধর্ষনের খবর। বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে তথকথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করেছিল আমাদের পুলিশবাহিনী। শুনে প্রথমে কিছুটা স্বস্তি পেলেও পরোক্ষনেই চিন্তা মাথায় চেপে বসে এটা কোন স্বস্তির খবর হতে পারে না।বহুল আলোচিত রিফত শরীফ হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন পথে নেয়া ও নয়ন বন্ডদের গডফাদারদের রক্ষার জন্যই তো তথকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে নয়ন বন্ডকে হত্যা। সঠিক তারিখটা আমার মনে নেই বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসনামলে রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা ফারুক বিমান বন্দর পার হয়ে দেশ ছাড়ার জন্য বিমানে চেপে বসেছিলো দেশের একহন শীর্ষ ব্যবসায়ী ও একই বিমানের যাত্রী। বিমানের ভিতর তিনি কালা ফারুককে দেথে জাপটে ধরে বিমান থেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য করেন। পরে কালা ফরুককে গ্রেফতার ও ঐ দিনই গভীর রাতে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের শিকার হয়ে মরতে হয়। কালা ফারুকের মৃত্যুর পর লোক মুখে তৎকালীন সময়ের বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী নাম বহুল আলোচিত ছিল কালা ফারুকের গডফাদার হিসেবে। আর ঐ নেতা ও মন্ত্রী সাহেবকে রক্ষার জন্যই নাকি কালা ফারুকের এমন পরিণতি।

২০০২ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সারা দেশে শুরু হয় " অপারেশন ক্লিন হার্ট " নামের তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। তখন জিজ্ঞাসাবাদের নামে কথিত " হার্ট অ্যাটাকে " মারা যায় প্রায় শ খানেক মানুষ যাদের বিরাট অংশ তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী। পরে দেশী ও অন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে ২০০৩ সালে অপারেশন ক্লিন হার্ট বন্ধ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার। এর পর ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কথিত চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রনের নামে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠা করে। এর পর থেকেই ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি আমাদের মাঝে ব্যপক পরিচিতি পায় ও আতংকের জন্মদেয়। বিভিন্ন সময় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষকে তথকথিত ক্রসফায়ারে হত্যা ও হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। যে সব ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বা আছে ব্যাক্তিগত স্বার্থ ও আক্রোশ। যার প্রমান নারায়ণগঞ্জের র‍্যাব সদস্যদের দ্বারা সংগঠিত সাত খুন। যদি ও ঐ খুনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে তার পর ও মুল হোতা এখনো নাকি ধরা ছোয়ার বাহিরে। ঐ মুল হোতা ও তার পরিবারের উপর নাকি আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আশীর্বাদ।

২০১৮ সালের মাঝামাঝি, অর্থাৎ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এরপর দুই-তিন মাসের মধ্যেই দেশজুড়ে ব্যাপক মাদক-বিরোধী অভিযানে দুই শতাধিক সন্দেহভাজন নিহত হন, আটক হন হাজার হাজার মানুষ। তখন অভিযোগ উঠেছিল, কেবল সাধারণ মাদক সন্দেহভাজনই নয়, সাধারণ নিরীহ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরাও এসব হত্যাকাণ্ড ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঐ সময়ের সবচেয়ে আলোচনার ঝড় উঠে টেকনাফের যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যা। র‍্যাবের কথিত ক্রসফায়ারের সময় টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের ব্যবহৃত তিনটি মুঠোফোনের একটি সচল থেকে গিয়েছিল। অন্য প্রান্তে সংযুক্ত থাকা তার স্ত্রী আয়েশা বেগমের মুঠোফোনের সঙ্গে। আর তাতেই রেকর্ড হয়ে যায় হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত। ঐ অডিও মুহুর্তে ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। আজো একরাম হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যর্থ আমাদের সরকার।

গত ৩১ জুলাই ২০২০ রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর ( অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। কক্সবাজার পুলিশের দাবি, পুলিশ চেকপোষ্টে মেজর (অবঃ) সিনহার গাড়ি তল্লাশি করতে চাইলে তিনি নিজের ব্যক্তিগত অস্ত্র বের করেন। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ গুলি করে। পরে তার গাড়ী তল্লাশি করে জার্মানিতে তৈরি একটি পিস্তল, নয়টি গুলি, ৫০টি ইয়াবা, দুটি বিদেশি মদের বোতল এবং চার পোটলা গাঁজা উদ্ধার করেছে। ওই গাড়িতে থাকা অন্যকজন এবং নীলিমা রিসোর্ট থেকে আরও একজনকে গ্রোপ্তার করা হয়েছে। মেজর ( অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান " জাস্ট গো " নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাতা আর এই চ্যানেলের জন্য ভ্রমন বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মানের জন্য ই মেজর ( অবঃ) সিনহা ও তার সঙ্গীরা কক্সবাজারে অবস্হান করছিলেন। ইতোমধ্যে এই ঘটনার জন্য টেকনাফের পুলিশের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী সহ বিশ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (যুগ্ম সচিব) অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন), চট্টগ্রাম বিভাগ, চট্টগ্রাম। কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- ২। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি, (জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া কর্তৃক মনোনীত), ৩। উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রামের উপযুক্ত প্রতিনিধি, ৪। মোহা. শাজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার। আমরা এখনো নিশ্চিত নই মেজর ( অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার কি ধরনের বিচার হবে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির দেওয়া উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২১৮টি বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে টেকনাফ উপজেলায় ঘটেছে ১৪৪টি “ক্রসফায়ার” ও “বন্দুকযুদ্ধে”র ঘটনা, যেখানে মারা গেছেন ২০৪ জন মানুষ। আর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ৩৫৬ জন।

কক্সবাজার তথা সমগ্র বাংলাদেশে ইয়াবা তথা মাদক ব্যবসায় যার নাম সর্বপ্রথম চলে আসে তিনি হলেন ঐ এলাকার দুই বারের ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়নে সাংসদ আব্দুর রহমসন বদি। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তাকে সবসময় বাংলাদেশের ইয়াবার মূল হোতা হিসেবে বিচেবনা করা হয়। বাংলাদেশের মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহে যে তালিকা প্রণয়ন করে ততে বদিকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আধিদপ্তরের তালিকায় তার নাম শীর্ষে দেখানো হয়েছে। তার পর ও অদৃশ্য কারনে বদি ও তার পরিবারের সদস্যরা ধরা ছোয়ার বাহিরে। বরং বর্তমান সরকার বির্তক এড়াতে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুর রহমান বদির পরিবর্তে তাই স্ত্রী শাহিনা আক্তার চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়ে সাংসদ করে আনে।

২০০২ সালের তথাকথিত হার্ট অ্যাটাকে বা ২০০৪ সাল থেকে তথাকথিত ক্রসফায়ারের নামে যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলে আসছে তাতে কি আমাদের দেশের আপরাধের গতি মোটে ও কমেছে? না বরং অপরাধের ধারা পাল্টিয়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশকে অপরাধীতে পরিনত করেছে। তাদের অনেকেই করেছে স্বার্থপর ও সম্পদ লিপ্সু। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাশীনদল আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহনের পর ক্ষমতাকে স্হায়ী করার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সাথে যোগ করেন গুপ্ত হত্যা ও গুমের মত এক নতুন জঘন্য অধ্যায়। লেখক গবেষক সমাজকর্মী রাজনীতিবিদ ছাত্র শিক্ষক সহ অনেকেই তথাকথিত সাদা পোশাকধারীদের হাতে অপহরন হতে হয়। অনেকেই সৌভাগ্য ক্রমে ফিরে আসলে অনেকের সন্ধান আজো অজানা । একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য এটা কখনোই সুখকর হতে পারে না। আমদের সংবিধান প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার পওয়ার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। কিন্তু বস্তবতা হলো সংবিধানের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আমাদের কর্তাব্যক্তিরা শুধু জাতীয় নির্বাচনের সময় ই মরিয়া হয়ে উঠেন। বন্দুক যুদ্ধ ক্রসফায়ার যেটা ই বলিনা কেন এটা কোন সভ্য রাষ্ট্র বা তার নাগরিকেরা সমর্থন করতে পারে না। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্মনেয়া বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা ও এই ধরনের হত্যাকে ঘৃনা করি। তাই চাইবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড অবশ্যই বন্ধ করে মানুষের অধিকারের ও আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠায় নতুন করে ভুমিকা রাখবেন।


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: নর্দমার কীটদের ক্রসফায়ার করেই মারাই উচিত।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্যারাসিটামল সাময়িকভাবে জ্বর কমাতে পারে কিন্তু রোগের প্রকৃত ও স্থায়ী চিকিৎসার জন্য অন্য ওষুধ ও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ক্রসফায়ার সংস্কৃতির মাধ্যমে পুলিশ বা র‌্যাবের মত শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীকে শৃঙ্খলা ভাঙ্গার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়। দীর্ঘ মেয়াদে এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তার উপর যদি এদের এই ধরনের কাজে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয় তাহলে এদের সামলানোই দেশের জন্য বড় সমস্যা হতে পারে। এক সময় এরা সরকারের কথাও শুনতে চাবে না। ক্রসফায়ার কার্যকর পদ্ধতি হলে এত বছরেও কোনও অপরাধই কমছে না কেন এটা নিয়ে চিন্তা করা দরকার।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: তা হলে তো আর আইনের শাসনের প্রয়োজন নাই। আর যারা নর্দমা তৈরি করলো সেখানে কীট জন্মদিলো তাদের কি হবে নুর ভাই। আর তথাকথিত এই ক্রসফায়ার নুতুন এক শ্রেনীর কীট জন্ম দিয়েছে। এদের নিয়ে ই ব করনীয় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.