নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার ।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষন মহামারি রোধে প্রয়োজন আরো একটি গনজাগরন

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪১


ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াই মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময় অর্জিত আমাদের বাংলাদেশের সঠিক গন্তব্য কোন পথে তা বলা মুশকিল। কারো মতে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে হাটছি কারো কারো মতে আমরা সিঙ্গাপুর কানাডাকে পার করে যাচ্ছি। এসব কথা শুনলে নিজের প্রতি নিজের ই ঘৃনা হয়। মনে হয় আমরা কোন পাগলের রাজ্যের বোকা জাতি। একাত্তের ত্রিশ লাখ শহীদ তাদের পবিত্র রক্ত দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন আড়াইল লাখ মা বোন আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়েছিলেন বুক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে যাতে আগত স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সূর্যের কড়াল তাপে সব অপশক্তি পুড়ে ছাই অনাগত কাউকে যেন আর এই মাটিতে বুকের রক্ত ঢালতে না হয় আর কোন মা বোন কে যেন তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে না হয়। তাদের সমস্ত স্বপ্ন আশা মিথ্যায় পরিনত হয়েছে ঠিক স্বাধীনতা র পর পর ই। প্রথমে অনেকের ধারনা ছিল দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে জন্ম নেয়া একটি সদ্য স্বাধীন দেশে অনেক অঘটন ঘটতেই পারে। কারন ঐ মুহুর্তে চার দিকে শুধুই হাহাকার আর এক শ্রেনীর নিলজ্জ ক্ষমতা ও সম্পদের লোভ। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের কিছু সময় পর ই আমাদের জন্য হাজির হয় আরেক কলংকজনক অধ্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে প্রায় পুরো পরিবারে হত্যা। ১৯৭২-৭৫ ঐ সময়টা যে কোন ভাবেই হউক জাতির জনকে দেশ পরিচালনায় প্রতি পদে পদে বিঘ্ন ঘটিয়েছে তার ই কিছু প্রিয় মানুষ ও আপন জন । এর পর বিভিন্ন সামরিক শক্তির উত্থান পতন। এর পর শুরু হয় তথা কথিত গনতন্ত্রিক ধারায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা যা দেশকে আরো বিপদ গ্রস্হ্য করে তুলে। তথাকথিত রাজনৈতিক দল গুলির ভিতর নিলজ্জ ক্ষমতা ও অবৈধ পথে অর্জিত সম্পদের লোভ আমাদের বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধকে সম্পুর্ন ধ্বংসের দাঁড় প্রান্তে এনে স্হান করে দিয়েছে।

একটি জাতির সবচেয়ে বড় মানবিক অবক্ষয় সেই সমাজ বা রাষ্ট্রে নরীর নিরাপত্তা। আর আমাদের রাষ্ট্র যে আজ এক অসভ্য বর্বর রাষ্ট্রের পথে হাটছে তার প্রমান প্রতি দিন ই দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষনের ঘটনা। আজ আমাদের সংবাদমাধ্যম গুলির প্রতিদিনের ই সংবাদের শিরোন ধর্ষন। কোথায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের সংবাদ আবার কোথাও বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষনের সংবাদ। গেল কয়েক দিন আগে সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা সারা দেশের আলোচ্য বিষয় হয়ে দিড়িয়ে ছিল সদ্য বিবাহিত নব বধুকে নিয়ে ঘুড়তে গিয়ে নিজের সামনে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হতে হয় স্ত্রীকে। তাও ধর্ষক আবার অন্য কেউ নয় খোদ ক্ষমতাশীন রাজনেতিক দলের ই ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মী। পরে বিভিন্ন সামাজিক চাপের কথা মাথায় রেখে ধর্ষকদের দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও এই মামলার আসামীদের নাম ও আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয়ে আইনী ত্রুটির কথা আমরা জানতে পেরেছি সংবাদ মাধ্যমে। জানি না এই ধর্ষনের বিচার অবশেষে কি হবে? সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পরবর্তীতে সেই নির্যাতনে ভিডিও সোস্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্হানে প্রতিবাদ চলছে। যদিও ঘটনা ছিল ভিডিও প্রকাশের একমাস আগের। ঘটনার বিবরনীতে জানা যায় প্রায় চল্লিশ বছর বয়স্ক ঐ মহিলার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর বনিবনা না হওয়ায় স্বামী অন্যত্র বসবাস করতো ঘটনার রাতে তার স্বামী তার বাড়ীতে আসে এই খবর পেয়ে স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন, বাদল ও তার সহযোগীরা ঐ নারীর স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ঐ নারীকে বিবস্ত্র করে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে এবং সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারন করে পরবর্তীতে ঐ ভিডিও দেখিয়ে দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা তাকে ধর্ষন করতে চায় এবং টাকার দাবী করে যা স্হানীয় লোকজন সকলের ই জানা পরবর্তীতে ঐ নির্যাতিত মহিলা নিজেকে রক্ষার জন্য এলকা ত্যাগ করেন। এমন এর আগে ও নাকি দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা ঐ মহিলাকে দুই বার ধর্ষন করেছে বলে জাতীয় মানবাধকার কমিশনের তদন্ত কমিটির কাছে দাবী করেছেন । স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন সমাজের সবাই ঘটনাটি জানার পর ও কেন সোস্যালমিডিয়ায় ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর ঐ নারীকে আইনের সহযোগিতা পেতে হলো? ঐ সমাজে কি মানুষ বলতে কেউ ছিল না? নাকি দেলেয়ার বাদলদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে ও ঐ মহিলাকে সাহায্য করতে সাহস পায় নি? দেলোয়াররা কি তা হলে ঐ সমাজে এতটা ই শক্তিশালী ছিল? অবশ্য দেলেয়ারের ফেইসবুক তেমনটি ই বলে দেয়। ফেইসবুকে দেলেয়ার নিজেকে বঙ্গবন্ধু আর্দশের সৈনিক ও জয়বাংলার মানুষ হিসেবেই পরিচয় দিয়েছে এমনকি কভার ফটোতে স্হানীয় বড় মাপের আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ছবি ঝুলছে। জোড়া খুনের মামলার আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক দেলোয়াকে জামিনে মুক্ত করে নিজের পেশীশক্তি ঠিক রাখতে স্হানীয় ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি আলমগীর কবির আলো দেলোয়াকে ফুলের তোরা দিয়ে স্হানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নেন আর এতেই দেলোয়ার তার বাহিনী গড়ে তুলে দাপিয়ে বেড়ার সমগ্র এলাকা সকল অপকর্মের অন্যতম হোতায় পরিনত হয় দেলোয়ার তার ভয়ে মুখ বুজে থাকাতে হয় স্হানীয় নিরীহ মানদের। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে লাখো দেলোয়ারের জন্ম।

আমরা হয়তো অনেকেই ভুলে গেছি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সেই ঘটনা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে ঐ রাতেই উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করে এক নারীকে। এই ধর্ষনের ঘটনায় সারা দেশে তোলপার শুরু হলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধ্য হয়েই ধর্ষক রুহুল আমিন সহ অন্যানদের গ্রেফতার করে। যদিও কিছু দিন পর ই ধর্ষক রুহুল আমিন উচ্চআদালত থেকে এক বছরের জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসে। ঠিক এমনটি ই হয়েছিল পুর্নিমা রানীর সাথে, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের এক সপ্তাহ পর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের সংখ্যালঘুম হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারটির ওপর হামলা করে বিএনপির কর্মীরা। সে সময় পূর্ণিমা ছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রি। গণমাধ্যমে সে সময় খবরটি আসতে দু-এক দিন সময় লাগে। সেসময় পূর্ণিমার স্বজনদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। ১০ অক্টোবর মেয়েটির বাবা উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় ১৭ জনকে। মামলার সব আসামিই বিএনপির নেতাকর্মী। কিন্তু পুলিশ মামলাটি এগিয়ে নেয়নি, কাউকে গ্রেফতারেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তখন। পরে ২৪ অক্টোবর পূর্ণিমা সিরাজগঞ্জের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। আদালতের আদেশে পুলিশ মেয়েটিকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে মেডিকেল পরীক্ষা করায়। প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর উল্লাপাড়া থানার পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ৯ এপ্রিল আদালতে ১৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মামলার বর্ধিত তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। সিআইডির তৎকালীন ইন্সপেক্টর শেখ শহীদুল্লাহ সম্পূরক অভিযোগপত্রে মূল আসামিদের রেখে মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ মির্জা, আব্দুর রহমান, তৎকালীন পৌর মেয়র মারুফ বিন হাবীবসহ ছয়জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে ২০১১ সালে ৪ মে পুর্নিমা ধর্ষন মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

আমাদের দেশে এই ধরনের ঘটনার প্রায় প্রতিটিতেই কোন না কোন রাজনৈতিক শক্তির সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়াটা ই স্বাভাবিক। আমাদের তথাকথিত রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল বা ক্ষমতা স্হায়ীকরা জন্য রাজনীতিকে এমন নোংড়া আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে যেখানে আজ রাজনীতিতে আর্দশ যোগ্য ও নীতিবান মানুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল আর যারা ও দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাজনীতিতে নীতি ও আর্দশ নিয়ে মাটি কামড়ে আছে তাদের অবস্হাও করুন। দলের ভিরতে বা বাহিরে তাদের কথা শোনার তেমন মানুষ আছে বলে মনে হয় না।

ধর্ষন বাংলাদেশে এই মুহুর্তে করোনার চেয়ে ও বড় মহামহি হিসেবে দেখা দিয়েছে। নিজের সর্তকতা ও সাবধানতায় করোনা থেকে নিজেকে রক্ষায় করতে পারলে ও আমাদের নারীদের বহু সর্তকতা ও তাদের ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে নি বা পারছে না। যেমনটি আমরা দেখেছি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলপজের মেধাবী ছাত্রী তনুর বেলায়। কুমিল্লা সেনানিবাসে মত একটি নিরাপদ স্হানে ধর্ষনের পর খুন হতে হয় তনুকে। অথচ দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও কে বা কারা তনু ধর্ষন ও হত্যার সাথে জড়িত তা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে বের করতে ব্যর্থ। প্রতি দিন আমাদের দেশে কত তনুকেই না ধর্ষিত হতে হচ্ছে তা কেই বা কত টুকু জানি তবে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৩২ জন৷ অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে দ্বিগুণ। আর চলতি বছরে প্রতিদিন অন্তত ৩ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। গত বছর ধর্ষক দমনে কোন এক হারকিউলিসের আর্বিভাব ঘটেছিল কয়েক জন ধর্ষকে খুন ও করলো তাতে কি ধর্ষনের মাত্রা মোটেও কমেছে? অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে ধর্ষকদের ক্রশফায়ারের দাবী করছেন যদি ও আমি এই দাবীকে মোটে ও সমর্থন করি না তাতে ন্যায় বিচারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য বিচার ব্যবস্হার প্রতি সাধারন মানুষ আস্হা হারিয়ে ফেললে এমন দাবী উঠাটাই স্বাভাবিক। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সমগ্র দেশের মানুষ এক হয়েছিল শাহবাগে গনজাগরণের মঞ্চ তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করেছিল। এখন এই মুহুর্তে ধর্ষনের বিরুদ্ধে ধর্ষকের উপযুক্ত শান্তি দ্রুততার সাথে করার দাবীতে আরো একটি গন জাগরন সৃষ্টি করতে হবে আরো একটি গনজাগরনমঞ্চ তৈরি করতে হবে। তা হলেই আমাদের আইন প্রনেতারা ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ করে দ্রুততম সময়ে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলেই ধর্ষনের এই মহামারি ঠেকানো সম্ভব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট্র একটা দেশ।
১৮ কোটি মানুষ। অনেক সমস্যা এবং অনেক অপরাধ তো থাকবেই। বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাজেই সাময়িক সমস্যা গুলোর জন্য অস্থির হওয়া যাবে না। পৃথিবীর সব দেশেই- খুন, ধর্ষণ, চুরী ছিনতাই বা দুর্নীতি হয়। বরং অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এই সব খুব কম হয়। ক্রিকেট খেলার সময়, সারা দেশের মানুষ বাংলাদেশ দলকে সাপোর্ট করে। ১৮ কোটি মানুষ এক হয়ে যায়। ঠিক এইভাবে আমাদের সুখে বা দুঃখে এক হয়ে থাকতে হবে। তাহলেই দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে। স্বপ্ন দেখুন এবং আশাবাদী হোন। জয় বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.