নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার কর্মীদের দণ্ড ও বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিচারের রায় সম্প্রতি দেশ ও বিদেশে বিশেষ আলোচনার জায়গা করে নিয়েছে। গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দিয়েছে। অর্থিকদণ্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে। আর এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কোন মানবাধিকার কর্মীর প্রথম সাজার ঘটনা। ২০১৩ সালের ৫ এবং ৬ই মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এর পর এই মামলায় ২০১৩ সালের ১০ ই অগাস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল আদিলুর রহমান খানকে। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। আর ৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান নাসির উদ্দিন এলান। শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। ২০১৪ সালের ৮ই জানুয়ারি মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। এর পর ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেন।

আদিলুর রহমান খান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার কর্মী। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে ফ্রাঙ্কো-জার্মান মানবাধিকার পুরষ্কার পান তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য মার্টিন এনালস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের সাজা ঘোষনার পর পর ই বিশ্বের বিভিন্ন গনতান্ত্রিক দেশ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের মুক্তি চেয়ে এবং এই বিচারের রায় নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই রায় নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রচার করে। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা টিভি রায়ের দিন আদালত প্রাঙ্গন থেকে সরাসরি খবর প্রচার করে । ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি প্রায় পাঁচ মিনিটের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রচার করে। নিউইয়র্ক টাইমস এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে। এই মামলা চলাকালীন এবং মামলার রায় ঘোষণার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের দূতাবাস সহ বিভিন্ন দেশ মামলাটি বাতিল এবং আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে। মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন দেশের ৭২ টি মানবাধিকার সংগঠন আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায়। রায়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকাস্হ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের রায়ের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।” আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে উত্থাপিত প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রস্তাবনার ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। পরে পার্লামেন্টে প্রস্তাবনাটি গৃহীত হয়েছে। অবশ্য এই রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সেই সাথে আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিনের মুক্তি দাবি করেন। এই রায়ের পর আমাদের দেশের ৪৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে পরে আরো ১০৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক একই বিবৃতি প্রদান করেন।

২০১৩ সালের ৫ই মে দিবাগত রাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা " অপারেশন সিকিউর শাপলা " নামে পরিচিত। ঐ অভিযানে হতাহতের ঘটনা এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ হতে উক্ত অভিযানে এগারো জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয় যার মধ্যে হেফাজতের কর্মীর পাশাপাশি ছিলেন পথচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। ২০১৩ সালে ১০ জুন মানবাধিকার সংগঠন " অধিকার " মতিঝিল শাপলা চত্বরের অভিযানের বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশ করে। অধিকারের দাবি ছিল হেফাজতে ইসলামের ঐ ঘটনায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছিল । তবে ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্থদের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে রাজি হননি। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা অধিকারের কাছে ‘নিহত’ ৬১ জনের নাম পরিচয় চেয়ে চিঠি দিলেও অধিকার তথ্য দিতে অস্বীকার করে।

অবশ্য ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে হেফাজতে ইসলামের ঐ ঘটনাটনা নিয়ে ঐ সময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম একেক ভাবে সংবাদ প্রচার করে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেছিল, " ৫ মে রোববার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার করে । বিবিসির ৬ মে ২০১৩ এর খবরে বলা হয়েছিল , " রাজধানী ঢাকা থেকে হেফাজতের কর্মীদের সরিয়ে দিতে ৫ মে রাতে শব্দবোমা ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর দুই দিনের সহিংসতায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হন। " ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি ৭ মে ২০১৩ এ জানায়, " বাংলাদেশে গত তিন দিনের সহিংসতায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিএনপির মুখপাত্র খন্দকার মোশাররফ এএফপিকে জানান, সহিংসতায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ লাশ গুম করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। " বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনের ৭ মে ২০১৩ তারিখে খবরে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ১৪ জন। তবে সিএনএন একটি মন্তব্য করেছে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা হয়তো কোনো দিন জানা যাবে না। " যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস-এর ৭ মে ২০৩ এর এক প্রতিবেদনে সেই দুই দিন অর্থাৎ ৫ ও ৬ মে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ২২ বলে জানানো হয়। " কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার ৬ মে ২০১৩ এর খবরে বলা হয়," শুধু ৬ মে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ জন। এর আগে ৫ মে নিহত হন কমপক্ষে ১৪ জন।" একই দিনে ভারতের এনডিটিভির খবরে ৫ ও ৬ মে তারিখের সহিংসতায় ৩২ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়। আর যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ পত্রিকার ৬ মে এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ২২ বলে উল্লেখ করা হয়। আর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করেছিল ৫৮, অ্যামনেস্টি ৪৪ জন।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে ঘটনায় আমদের বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার দলের নেতা কর্মীদের হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই সাথে খাবার ও পানি বিতরণ করেছিলেন। বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের দাবী ছিল আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছিল। যদি ও এই দাবীর কোন তথ্য প্রমান হেফাজতে ইসলাম বা বিএনপি কেউই উপস্থাপন করতে পারে নাই । হেফাজতে ইসলামের এমন অমুলক অসত্য তথ্যের পরে ও আমরা দেখেছি শুধু মাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় হেফাজতে ইসলামের সাথে ক্ষমতাসীনদের গভীর সু-সম্পর্ক। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের এই নারকীয় তাণ্ডবে সহযোগিতার জন্য বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বা জাতীয় পার্টির কারো বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল কি? নাকি আজ এই জাতীয় পার্টি ই বর্তমান সরকারের বিশেষ সহযোগী তাদের উপর ভরসা করেই ক্ষমতায় অনেকটা টিকে আছে বর্তমান সরকার। এমন কি হেফাজতের ঘটনা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য প্রমানহীন বক্তব্য দেয়ার জন্য বিএনপির কোন নেতার ই বা কি হয়েছে? তবে কেন মানবিক সংগঠন " অধিকার" এর নিবন্ধন বাতিল করা হলো কেন ই বা এর সম্পাদক ও পরিচালককে জেলে যেতে?

যদি হেফাজতের ঘটনায় মৃত্যুর ভুল তথ্যই এক মাত্র কারন হয় তা হলে তো এমন কারনের অনেক উদাহরণ ই আমি টানলাম। তাবে কেন তাদেরকে ও আদিলুর রহমান শুভ্র ও নাসির উদ্দিন এলানের মত আইনের মুখোমুখি দাড় কারনো হয় নাই? কেন আধিকারের মত তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় নাই? এই মানবাধিকার সংগঠন " অধিকার " ই কিন্তু ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার প্রতিবেদন প্রকাশ করে ছিল। যেই তথ্য আওয়ামিলীগ তখন লুফে নিয়েছিল খুবই ভাল ভাবে এবং এখনো কাজে লাগাচ্ছে। তা হলে অধিকারের ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ছিল সেখানে ও কি তথ্যের বিভ্রাট আছে ? আদৌ কি তাহলে ২০০১ সালের অধিকারের নির্বাচন পরবর্তী সংহিতার রিপোর্ট সঠিক ছিল? প্রশ্ন গুলি বার বার মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে। বিগত দিন গুলিতে অধিকার বাংলাদেশের গুম,ক্রসফায়ার, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু সহ বিভিন্ন মানবাধিকার লংঘনের তালিকা করেছে বলেই কি সরকার ক্ষুব্ধ? সরকারের পক্ষ থেকে দাবী অধিকার ৫ মে ঘটনার রিপোর্টে অসত্য তথ্য উপস্হাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ না বরং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন। এটা অত্যন্ত জঘন্যতম একটা অপরাধ করেছেন। এখনে প্রশ্ন আসে আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের দণ্ডের রায়ের পর বহির্বিশ্ব থেকে যেই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখনো হয়েছে তাতে আমাদের ভাবমূর্তি কত টুকু উজ্জ্বল হয়েছে সেটাই বড় প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক ভাবে আমাদের গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। এর আগে ১০ ডিসেম্বর ২০২১ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আমাদের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং সংস্থাটির ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাগনিৎস্কি আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিঃসন্দেহে এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ভাবে আমাদের যথেষ্ট হেয় করেছে।

১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষনার পর কারাগারে নেওয়ার আগে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, " আমি ন্যায়বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। " আদালতের প্রতি আমার শত ভাগ বিশ্বাস ও আস্হা আছে সেই সাথে আছে শ্রদ্ধাবোধ। আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলান যদি মনে করেন তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয় নি তাহলে ন্যায় বিচারের আাশায় তারা অবশ্যই উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন। আমাদের রাষ্ট্র আমাদের আইন তাদের সেই অধিকার দিয়েছেন। অবশ্যই প্রত্যাশা করবো আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলান সহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক আমাদের বিচারালয় থেকে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবেন।




মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: খালেদার মতো তার সাজা বাড়তে পারে।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



আদিলুর দুষ্টলোক, চোর; সে মানবাধিকারের নামে এনজিও চালায়ে বিদেশী টাকা চুরি করছে; ওকে আজীবনের জন্য জেল দেয়ার দরকার।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের রাজনীতিতে সবচেয়ে তিক্ত সত্য হচ্ছে '' সঙ্গে থাকলে সঙ্গী, বিপক্ষে জঙ্গী ""। বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি নিয়ে আমাদের সরকার বিন্দুমাত্র চিন্তিত না। অধিকারকে শাস্তি দেয়া হয়েছে মুলত ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশে যাতে এই ধরনের সাহস আর কেউ না দেখায়।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



@ঢাবিয়ান,
বাংগালী জাতি মানবিক জাতি নয়, এখানে মানব অধিকার কর্মীর দরকার আছে। কিন্তু যারা মানবাধিকারের নামে এনজিও খুলে, ১৪ গোষ্ঠী ওখানে চাকুরী দিয়ে ডলার, ইউরো ডাকাতি করে, ওরা ডাকাত।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ সোনাগাজী , কোথায় কে ডাকাতি করেছে ? তথ্য প্রমান সহকারে বক্তব্য লিখুন।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এসেছে বরং বাংলাদেশে মানবাধিকার, সুশাসন ও অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলো কাজ করতে গিয়ে সরকারি নিয়ম-কানুন ও মনিটরিংয়ের নামে বহুমাত্রিক চাপের মধ্যে পড়েছে। মূলত অধিকারভিত্তিক এনজিওগুলোকে বিদেশি তহবিল থেকে অর্থ ছাড় পেতে ইদানিং ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সুত্র Click This Link

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



@ঢাবিয়ান,

ঢাকায় গিয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করার সামর্থ আমার থাকলে, প্রমাণ আপনার কাছে আনার দরকার হতো না। আমি উনার বক্তব্য আমেরিকায় শুনেছি; নীচু মানের চোর।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আদিলুর অন্যায় করেছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে।

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আর বিশ্ব নিয়ে চিন্তা, এখন আমরাই ওদের ভিসা বন্ধ করে দিবো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.