নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি " কমব্যাট ১৮ " নামে একটি নব্য নাৎসি গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করেছিল জার্মান সরকার। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফারের ঘোষণায় নিষিদ্ধ হয় এই সংগঠনটি। শুধুই নিষিদ্ধই করা হয় নাই " কমব্যাট ১৮ " এর সকল নেতাদের বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ব্যবহারের ফোন, ল্যাপটপ, নাৎসি প্রতীক সম্বলিত পোশাক ও জব্দ করে জার্মানির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। " কমব্যাট ১৮ " গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষনার সময় জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেহোফার বলেছিললেন , ‘‘আজকের নিষেধাজ্ঞা একটি স্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে উগ্র ডানপন্থিদের জার্মান সমাজে কোনো জায়গা নেই৷'' কমব্যাট ১৮ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ২০১৯ সালের ২রা জুন জার্মান ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ভাল্টার ল্যুবেককে হত্যা ও জার্মানির হালে শহরের একটি সিনাগগের কাছে দুজনকে গুলি হত্যা করে। এর আগে আরেকটি নব্য নাৎসি গোষ্ঠী "এনএসইউ" এর সদস্যরা কয়েকজন অভিবাসীদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠা নব্য নাৎসিরা অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টির নীতি ও আর্দশেই বিশ্বাসী। নাৎসিদের সম্পর্কে নতুন করে বলার তেমন কিছু ই নাই । তার পর ও কিছু ধারনা দেওয়া প্রয়োজন। নাৎসিদের রাজনীতিতে আবির্ভাব ১৯১৯ সালে জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির হাত ধরে। যার প্রধান ছিলেন অ্যান্টন ড্রেক্সলার। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে মাত্র এক বছরের মাথায় জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির বিলুপ্তি ঘটিয়ে জার্মান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করা হয় যা নাৎসি পার্টি নামে পরিচিতি পায়। আর এই নাৎসি পার্টির প্রধান হন অ্যাডলফ হিটলার। নাৎসি পার্টি উগ্রবাদী জার্মান জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ এবং জনতাবাদী ফ্রেইকর্পস আধাসামরিক সংস্কৃতি আর্দশ থেকে গঠিত হয়েছিল। যার মুল লক্ষ্যই ছিল কমিউনিস্ট উত্থান ঠেকানো। জার্মান জাতীয়তাবাদকে প্রাধান্য দেওয়ায় খুব দ্রুত ই জার্মানির রাজনীতিতে নাৎসিবাদ একটি বিশেষ জায়গা দখল করে নেয়। এর ই ধারাবাহিকতায় ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দেশের ফিউরার বা রাষ্ট্রপতির ও চ্যান্সেলরের পদে ছিলেন অ্যাডলফ হিটলা। হিটলার ছিলেন এ নাৎসি দর্শনের প্রবক্তা । হিটলার নিজে জার্মানির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে এতটাই কুক্ষিগত করেছিলেন যে ১৯৩৪ সালে রাষ্ট্রপতি হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পরে হিটলার রাষ্ট্রপতি এবং চ্যান্সেলরের একত্রিত করে আইন পাশ করে নিজের হাতে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এবং জার্মানিতে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। একক ক্ষমতা হিটরাকে এতটাই উন্মাদ করেছিল যার পরিণতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যেই যুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি মানুষ প্রান হারায়। ১৯৪৫ সালের মে মাসে ডি-ডে এর মাত্র এগারো মাস পরে, ইউরোপে নাৎসি জার্মানির পরাজয় এবং এর নেতা অ্যাডলফ হিটলারের আত্মহত্যা সাথে পরিসমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তির সাথে সাথেই জার্মানি সহ ইউরোপীয় অন্যান্য দেশে নাৎসি পার্টিকে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। যা এখনো বিদ্যমান।
জার্মানির নাৎসি পার্টির ও তার প্রধান অ্যাডলফ হিটলারের সাথে আওয়ামীলীগের শাসনামল ও পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসির অনেকাংশেই মিল রয়েছে। প্রথমেই ১৯৩৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী হিটলারের চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একটি রহস্যময় অগ্নিকাণ্ডে জার্মানের রাইখস্ট্যাগ ভবন যেই ভবনে তখনকার জার্মানির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আইনকানুন প্রণয়ন করতেন সেই ভবনটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরে হিটারের তথ্যমন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলস এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির উপর দায় চাপিয়ে নানান প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির পাঁচ সদস্যকে আগ্নিকাণ্ডের হোতা হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল এবং মারিনাস ভ্যান ডের লুব্বে নামক এক কমিউনিস্ট নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। হিটলারের নীতি অনুসরণ করেই ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানার তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবির হেড কোয়ার্টারে বিদ্রোহের নাম করে দেশ সেরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে অনেকটাই দুর্বল করে দিয়ে সেনাবাহিনীর ভিতর শেখ হাসিনা তথা আওয়ামিলীগের অনুসারীদের বিশেষ জায়গা করে দেওয়া হয়। এবং অনেক নিরপরাধ বিজিবি সদস্য এখনো বিনা বিচারে জেলবন্দি অবস্থায় আছে। এই ঘটনা শেখ হাসিনা ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হতে অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। হিটলার যেমন জার্মানিদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য উগ্রজাতীয়তাবাদ ও বর্নবাদকে ব্যবহার করেছিলেন ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা ও তার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগীরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিলজ্জের মত ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। হিটলার তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রশাসন সহ সকল রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করতে দ্বিধা করে নাই শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ও তেমনটি ই আমরা দেখেছি। হিটলার যেমন কোন ভিন্নমত সহ্য করতে পারে নাই শেখ হাসিনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে হিটলারের নীতি অনুসরণ করেছেন ।
হিটলারের মত শেখ হাসিনা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসদের ও সমালোচকের দমন করতে গুম হত্যা হামলা মামলা এমন কোন পন্থা নাই যে অবলম্বন করে নাই। নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তৈরি করেছেন বিভিন্ন কালো আইন। হিটলার যেমন তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে আধাসামরিক গোষ্ঠী তৈরি করে ভিন্নমত দমন করছে ঠিক শেখ হাসিনা তার দল আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন নেতা কর্মীদের এতটাই লাগাম ছাড়া করে ছিলেন যে দেশে রাজনৈতিক ভিন্নমত সহ সকল ভিন্নমত দমন, দখল লুটপাট সহ এহন কোন অপকর্ম নাই যে তারা না করছে। এমন কি গন মানুষের বড় বড় আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ আওয়ামিলীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে খুন হত্যায় লিপ্ত হতে। যার সর্বশেষ প্রমান গত জুলাই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার মানুষ হত্যা।
আওয়ামিলীগ ও তাদের দোসররা ক্ষমতায় থাকতে সারা বাংলাদেশকে এক ভয়ংকর গুম খুনের রাজ্যে পরিনত করেছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, শেখ হাসিনা তথা আওয়ামিলীগ ও তাদের জোটের শাসনামলের ১৫ বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর ৬১৪ জন মানুষ নিখোঁজ বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জীবিত ও মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিদের অনেকের ই খোঁজ মিললেও অন্তত ২০০ জন এখনো নিখোঁজ। গত দেড় দশকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা, অফিস কিংবা রাস্তা থেকে মানুষকে তুলে নিয়ে পরবর্তীতে অস্বীকার করা হয়। তাদের অনেকে ফিরে আসেন, কারো লাশ পাওয়া যায়, আবার অনেকে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। স্বজনরা দিনের পর দিন বিভিন্ন বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের কোনো খোঁজ পাননি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের (এএইচআরসি) হিসাবে, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ৬২৩ ব্যক্তি গুমের শিকার হন। তাদের মধ্যে ৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন বা পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৩৮৩ জনকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৫৩ ব্যক্তি আর তিনজনের বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের আটকে রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভয়ংকর আটকের স্হান যা আমাদের কাছে " আয়না ঘর " নামে পরিচিত পেয়েছে। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেকটরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) নিয়ন্ত্রণাধীন।
গত পনের বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তথা আওয়ামিলীগ জোটের দুঃশাসনামলে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টার ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে বিচার বহির্ভূত হত্যা শিকার হন ২ হাজার ৬১৭ জন। আর আওয়ামিলীগ তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের হাতে কত মানুষ যে গুম নির্যাতন ও খুনের শিকার হয়েছেন তার পরিসংখ্যান মিলানো মুশকিল। পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোট সাত হাজার একটি মামলা হয় । এই সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক হাজার ৪৩৬টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস)। সিজিএস এর তথ্য অনুসারে পাঁচ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার হাজার ৫২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং এক হাজার ৫৪৯ জনকে গ্রেপ্তার হয় । এ সময় মাসে গড়ে মামলা করা প্রায় ২৪টি এবং গ্রেপ্তার করা হয় গড়ে ২৬ জনকে। মামলায় অভিযুক্তের মধ্যে ৩২ শতাংশের বেশি রাজনীতিবিদ, ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ সাংবাদিক। আর অভিযোগকারীদের প্রায় ৭৮ শতাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটন কি বেনিতো মুসোলিনি জাতীয় ফ্যাসিস্ট পার্টি ও আডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টির চেয়ে কোন অংশে কম?
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের জন্য গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিল। গত দেড় দশকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা, অফিস কিংবা রাস্তা থেকে মানুষকে তুলে নিয়ে পরবর্তীতে অস্বীকার করা হয়।
গত পনের বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা থাকাকালীন সময় উন্নয়ন গল্প শুনিয়ে দেশে দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়েছে। গত পনের বছরে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে বলে সম্প্রতি তথ্য দিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। গত পনের বছর অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী জোট সরকার আমাদের গনতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্হা সহ রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দার প্রান্তে এনে রেখে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে মুখে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী আওয়ামিলীগের তৎকালীন চেহারা ও এর চাইতে ভিন্ন ছিলনা।। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পুর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল গুম, খুন, লুট, দলবাজি, দুর্নীতি আর দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ। তৎকালীন আওয়ামী প্রেসিডেন্ট শেখ মজিবর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য এই আওয়ামিলীগ সহ সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমমকরার জন্য বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের মানুষের সকল মৌলিক অধিকার হরন করেছিল। এর ই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু অফিসের হাতে প্রায় সপরিবারে জীবন দিতে হয় শেখ মজিবর রহমানকে।
বর্তমানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার মত অজস্র অপকর্ম গত পনের বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে তারা করেছে। যেমন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক বিরোধীদের কঠোর হস্তে দমন করে দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও রাজনৈতিক সহিংসতা করে দেশে দমন-পীড়নের রাজনীতি চালু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর ফ্যাসিস্ট শক্তির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ এবং সাংবিধানিকভাবে একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রেখেছিল। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং রাজনৈতিক বন্দীদের নির্যাতন। ইউরোপের অস্ট্রিয়া এবং জার্মানির মতো দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ফ্যাসিস্ট দলগুলো নিষিদ্ধ। আইন ও রাজনীতি উভয় দিক বিবেচনায় ইউরোপে ফ্যাসিস্ট দলগুলো নিষিদ্ধ করবার উদাহরণ এবং ইউরোপের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করেছে, এবং মানুষের সকল মৌলিক অধিকারগুলোকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি রাজনৈতিক দল গুলিকে একটি মধ্য মেয়াদি সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা দরকার। সেই সাথে নেলসন মান্ডেলার ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকন্সিলিয়েশান কমিশন’-এর আদলে রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করার মধ্য দিয়ে আমাদের সকলকেই একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে এনে দেশের সংবিধান সহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সংস্কার করে দেশ কে নির্বাচনের দিকে নিয়ে গিয়ে সড্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে আসতে হবে।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জার্মানিতে কারা রাজনীতি করবে সাধারণ জার্মান রা তা ঠিক করেন। বাংলাদেশে ঠিক করে ভারত এবং আমেরিকা।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:০২
প্রহররাজা বলেছেন: পুলিশ হত্যাকারী ইউনুস নিষিদ্ধ হবে না কেনো?
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:০১
কামাল১৮ বলেছেন: ১৫ বছরকে ছাড়িয়ে গেছে তিন মাসে।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০১
নতুন বলেছেন: আহরণ বলেছেন: নাৎসি নিষিদ্ধ হলে, ৭১ এর ঘাতক জামাত কেন নয়??????? @ ভাইয়া।
আয়ামীলীগের দুনিতির বড় অংশ করেছে ছোট্টো একটা গোস্ঠি। প্রবীন নেতারা বসে ছিলো আর ধুরন্দর নতুন নেতারা বেশি ধান্দা করেছে।
গ্রামে গন্জে সাধারন মানুষের ভেতরে আয়ামীলীগের অনেক অনুসারী আছে, তাই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করলেও আয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হবেনা। দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাবে।
আয়ামীলীগের নেতাদের উচিত হবে ২০২৪ এবং আগের ১০ বছরের কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আয়ামীলীগ পনরায় গঠন করা এবং জনগনের থেকে নেতা নিবাচিত করে ফিরে আসা।
কথায় আছে যে যায় লংকায় সেই রাবন হয়ে যায়। তাই শক্ত বিরোধী দল থাকা একটা দেশের জন্য খুবই দরকার।
জনগনের উচিত জামাতকে বয়কট করা। নতুন কোন দলকে ক্ষমতায় পাঠানো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৮
আহরণ বলেছেন: নাৎসি নিষিদ্ধ হলে, ৭১ এর ঘাতক জামাত কেন নয়??????? @ ভাইয়া।