নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৫ আগষ্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ও তার ভারতে পলায়নের পর থেকে ই দেশে একটি অস্থিতিশীল পরস্হিতি সৃষ্টির পায়তারায় অনেক মহলই লিপ্ত। আর এর মুল গুটি চালছে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার সুবিধাভোগী দোসররা। দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এহেন কোন অপচেষ্টা নাই যা না করছে শেখ হাসিনা ও তার সুবিধাভোগী দোসররা। এর জন্য বর্তমানে তাদের মুল হাতিয়ার হলো গত পনের বছর দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে অর্জন করা হাজার হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত এই অবৈধ টাকারই কিছু অংশ তারা ব্যয় করছে দেশের ভিতর নানান বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিপাকে ফেলতে। বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ অংশ নাকি তাদের অর্থ ও মদদে দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানান বিশৃঙ্খল পরিস্হিতি সৃষ্টিতে মরিয়া। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে নতুন আবির্ভাব হওয়া " সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট "র সমাবেশ ও এর পরে পহেলা নভেম্বরের একই স্হানে সমাবেশ ও পরবর্তী চট্টগ্রামে ২৬ অক্টোবর আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা সহ সমস্ত বিশৃঙ্খলার জন্য নাকি অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন এস আলম গ্রুপ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সাবেক মেয়র আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। আর গত ২২ নভেম্বর রংপুরে " সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট " এর সমাবেশের পিছনে মুল ইন্ধন দাতা সেই সাথে অর্থ ও জনবলের জোগান দাতা নাকি পতিত স্বৈরশাসকের নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল। এছাড়া দেশের ভিতর হিন্দুদের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সরকার ও সেই দেশের গোদি মিডিয়া। গোদি মিডিয়া হলো ভারতের একটি নিন্দনীয় একই সাথে বর্তমান সময়ে ভারতে বহুল পরিচিত শব্দ। যা ভারতের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে সমর্থন করে পক্ষপাতদুষ্ট এবং চাঞ্চল্যকর মিথ্যা গুজব খবর পরিবেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এনডিটিভি সাংবাদিক রবীশ কুমারের দেওয়া একটি উপাধি । ভারতে ক্ষমতাসীন দলের মুখপত্র হিসেবে বিবেচিত টেলিভিশন এবং অন্যান মিডিয়াকে বোঝাতে এই শব্দটি একটি সাধারণ উপায় হয়ে উঠেছে। আজ ভারতের সেই গোদি মিডিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা নেতিবাচক মিথ্যা গুজব সংবাদ পরিবেশনেই অধিকাংশ সময় ব্যয় করছেন আর এই সব সংবাদকে সমর্থন করছেন খোদ ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকার। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার ও জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। গত ২৬ নভেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে। এমনকি ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতর বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত মিথ্যা গুজবকে এক ধরনের সমর্থন ও করছে। সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ২০২৪ গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য (ডিসইনফরমেশন) এবং ভ্রান্ত তথ্য (মিসইনফরমেশন) ভারতে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ভুয়া খবর ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে শীর্ষস্থানে। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের একটি সমীক্ষায় এমনটি ই উঠে এসেছে যে, ভারতে অনলাইনে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও বেশি।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন ও ভারতে পলায়নের পর থেকেই ভারতীয় গোদি মিডিয়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও তাদের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন মন্দিরে হামলার গুজব সংবাদ পরিবেশন করে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রমানের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি ও অতি সম্প্রতি ভারতের শীর্ষস্হানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের দলে দলে ভারতে পালানো ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার তথ্য সঠিক নয় বলে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন। তার পর ও বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার ও মিথ্যা ও গুজব প্রচারের কমতি নাই। এরই ফলশ্রুতিতে গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভাঙচুর ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে চরম ভাবে অবমাননা করে সেখানকার উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু জঙ্গি সংগঠন " হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি " এর উগ্র সমর্থক ও সদস্যরা । আর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তো রীতিমতো ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোল তো গরম করে ফেলেছেন। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী অপরাধ বিধায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী জোট সরকারের পতনের পর উত্তেজিত ছাত্র-জনতার একাংশ গত পনের বছরে শেখ হাসিনার আশ্র - প্রশ্রয় ও সমর্থনে থেকে যারা নানান ধরনের অন্যায় অত্যাচার ও অপকর্মের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন ও হয়রানি করেছে তাদের উপর কিছুটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে । এরই ফলশ্রুতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি ও নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হন। কোথাও কোথাও তাদের বাড়ী ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও হামলা হয়। তবে এই হামলায় কোন ধর্মীয় পরিচয়ে নয় বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে হয়েছে। যদি ও এই হামলা কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্হায় গত পনের বছর এতটাই অপকর্ম করেছে যে তা নিয়ে স্বয়ং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময় প্রকাশ্য জনসভা বলেছেন, " আওয়ামী লীগ ক্সমতা ছাড়া হলে এক রাতে কয়েক লাখ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী খুন হবে "। তবে বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্যশীল ও সভ্য বিধায় ওবায়দুল কাদেরের সেই আশংকা সত্যি হয় নাই। আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গোষ্ঠীর বিশেষ সুবিধা হলো তারা যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখন তারা মন্ত্রী এমপি সহ নানান ক্ষমতাসীন পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগের সেই ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নানান অপকর্মের মাধ্যমে ধন সম্পদ ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েছেন। এখন আবার তারা সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু লেবাস ধারন করে নিজেদের সেই সব অপকর্মের দায় থেকে মুক্তির অপচেষ্টায় লিপ্ত। তার একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই গত ৩০ নভেম্বর রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে সাধারণ মানুষ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নায়েম হাওলাদার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। ওই ঘটনায় ২২ জুলাই ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। আসামি তালিকায় মুন্নী সাহাসহ সাতজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে। এই মামলার আসামি সাংবাদিক মোজাম্মেল হক বাবু, ফারজানা রুপা ও তার স্বামী সাংবাদিক শাকিল আহমেদ গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেও বিশেষ বিবেচনা মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দেয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাংলাদেশে কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে শুধু হিন্দুরাই বসবাস করছেন না। আরো অন্যান ধর্মাবলম্বীর মানুষ ও পরম শান্তিতে যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন।
এবার আসি কেন আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ই ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন সেই আলোচনায়। আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ভারতের রাজনীতি ও স্বার্থের শিকার। ভারতের রাজনীতি বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজনীতিতে বাংলাদেশে একটি বড় ফ্যাক্ট। ভারতের পশ্চিম বঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন হয়ে আছেন মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃনমূল কংগ্রেস। আর এই তৃনমুল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় রাখার জন্য মুল নিয়ামক হিসেবে কাজ করে আসছেন সেখানকার প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলমান ভোটার। বর্তমানে বিজেপি পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া আর এই কারনেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অসন্তোষে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে হিন্দু ভোটারদের কাছে টানার মরনপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি । ঐতিহাসিক ভাবেই পশ্চিম বঙ্গের শুধু হিন্দুদের সাথেই নয় বরং বাংলাদেশের সাধারন মানুষের সাথে বিভিন্ন সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বাংলাদেশের যে কোন সমস্যায় পশ্চিম বঙ্গের মানুষ কিছুটা বিচলিত থাকে। যেমন সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বন্ধ হওয়ার পর থেকে পশ্চিম বঙ্গের ব্যবসা বানিজ্যে ভাটা তারই একটা প্রমান। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষের সাথে আছে পশ্চিম বঙ্গের মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথেতো আরো বেশি। তাই ভোটের রাজনীতির জন্য বাংলাদেশের হিন্দুদের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে জঘন্য সাম্প্রদায়িক উগ্র ভারতীয় জনতা পার্টি ( বিজেপি)। বিজেপির লক্ষ্য ই বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি। অবশ্য এবার রাজনীতির এই নোংরা খেলায় পিছিয়ে নেই তৃনমুল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি অতি উৎসাহী হয়ে গত ২ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় দেওয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে সংখ্যালঘুরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, সেসব অঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘের দ্বারস্থ হতে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মমতা ব্যানার্জি একজন ঝানু রাজনীতিবিদ হলে ও তিনি সম্ভবত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্রিয়া সম্পর্কে মোটেও অবগত নন। জানিনা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গিদের হামলা ভাঙচুর ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ব্যাপারে কি বলবেন তিনি ? যদিও আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে হাজির হয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, " ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমুখী, এখানে কথা বলার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এই সম্পর্ককে শুধু একটি মাত্র বিষয়ে সীমাবদ্ধ করা যায় না।" তিনি আরো বলেন, " আমরা সত্যিকার অর্থে একটি গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই। এখানে অনেক বিষয় রয়েছে। অনেক বিষয়ে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। পরস্পরের ওপর এই নির্ভরশীলতাকে আমরা উভয়ের স্বার্থে কাজে লাগাতে চাই। আমরা আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, যাতে আমাদের দুই দেশই উপকৃত হয়। এখানে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতিও রয়েছে। " তবে কূটনীতিতে একটা কথা আছে " আপনি চাইলে বন্ধু পরিবর্তন করতে পারেন কিন্তু প্রতিবেশী নয় " তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক দেশ ও দেশের জনগনের চেয়ে ব্যক্তি ও দলীয় ভাবে বেশি উন্নতি হয়েছে। কারন গত পনের বছর শেখ হাসিনাকে নানা ভাবে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় রাখার জন্য নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভারত। এর জন্য পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে নানান অযৌক্তিক সুবিধা দিতে মোটে ও দ্বিধা বোধ করে নাই। শেখ হাসিনা তার নিজ মুখেই বলেছেন, " আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে যা দিয়েছে, দেশটিকে তা সারা জীবন মনে রাখতে হবে "। আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত বলে মন্তব্য করেছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ছাত্র- জনতার গনঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন কোন ভাবেই মানতে পারছে না ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও ভারত সরকার। কারন এখন ভারত সরকারের ভিতরে ভয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা ই নিতে পারবে না তারা। বরং আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তফর থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কোনো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয় বরং এটা হতে হবে ন্যায্যতার সম্পর্ক। আর এমটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ও দাবী।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৫৩
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
আপনি কি মানতে পারেন?
প্রতারণার আন্দোলন থেকে আপনার অর্জন কী?
আগে ভালো ছিলেন না এখন ভালো আছেন?
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:১৬
কাঁউটাল বলেছেন:
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৩
মেঘনা বলেছেন: ১২ September প্রথম আলো রিপোর্ট :
হামলা শুরু হয় মূলত গত ৫ আগস্ট বিকেল থেকে। প্রথম দুই দিন হামলার ঘটনা বেশি ঘটে। সারা দেশে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১ হাজার ৬৮টি ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন। এর বাইরে হামলা হয়েছে ২২টি উপাসনালয়ে।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ মেঘনা, প্রথমআলোর এই রিপোর্টের লিঙ্ক দিন।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: কোন হিন্দুর উপর হামলা হয় নাই। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের উপর হয়েছে। এর দা কেন হিন্দুরা নিচ্ছে? হাসিনাকে তাড়ানো হয়েছে কোন মুসলিমকে নয়।
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম এবং শেষ কথা হলো- বাংলাদেশ নিয়ে ভারত চিন্তিত নয়।
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোন হিন্দর ওপর হামলা হয়নি হয়েছে আম্লিগের ওপর।
মেঘনা আপনি ভালো হয়ে যান
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
মেঘনা বলেছেন: মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ মেঘনা, প্রথমআলোর এই রিপোর্টের লিঙ্ক দিন।-
১২ই সেপ্টেম্বর প্রথম আলো দেখেন।
যারা বলছেন -কোন হিন্দুর উপর হামলা হয় নাই। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের উপর হয়েছে।-
তাদের বলি, ২২টি উপাসনালয় কী আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ছিল। কিংবা অনেক মুসলমান ও তো আওয়ামী লীগ করতো তাও কোনো মসজিদে হামলা হল না কেন ?
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: জঙ্গী নির্মানের কারখানা প্রথমআলোর পক্ষে এমন অপপ্রচার খুবই স্বাভাবিক। পিনাকি ও ইলিয়াস এর বিভিন্ন প্রতিবেদনের পর অবস্য তারা এখন রুপ বদল করেছে। যাক আপনি এটা আবারো এখানে উল্লেখ করে ভাল করেছেন। Click This Link এত এত হামলার ছবি ছবি কই, প্রত্যক্ষ্যদর্শী কই ? সরকারের উচিত প্রথমআলোকে জিজ্ঞাষাবাদের আওতায় আনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত ও পাকিস্তান আমাদের ভুলতে পারে না। অন্যদিকে আমরা খুব দ্রুত সব ভুলে যাই।