নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের বাঙ্গালী জাতির জীবনে মহান মুক্তিযুদ্ধ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ই হলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ । আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মহান নয়করা অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধারাই
হলেন আমাদের গর্ব আমাদের অহংকা । যাদের সকল আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের প্রানপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ । তাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান ও আবেগ চিরকালের। আমাদের এই ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান ও আবেগের এই জায়গাটিকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠে দেশের তথাকথিত কিছু রাজনৈতিক নেতা ও দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাংগিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করেই দিনের পর দিন রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করে আসছেছিল আওয়ামী লীগ। এই অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় গত পনের বছর দেশের একটি নৃশংস স্বৈরশাসকে প্রতিষ্ঠা পায় শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। দেশকে ভাগ করে ফেলে বহু ভাগে। আওয়ামী লীগের সাথে মতের অমিল হলেই বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা কুৎসা রটাতে মোটে ও কুন্ঠা বোধ করে নাই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরা।
অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও একই সংগঠনের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির সাবেক সহ- সভাপতি সেই সাথে মাহন মুক্তিযুদ্ধেমবীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া ওরফে কানু ভুইয়ার গলায় জুতার মালা পরনোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও নিয়েম প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে । একজন মানুষ যত বড় অপরাধী ই হউক না কেন তাকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার এক মাত্র রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্হার ই আছে তার বাহিরের কারোই নাই। দেশে আইন আছে অপরাধী বিচার ও শাস্তি আইনের মাধ্যমে হবে এটাই একটা সভ্য রাষ্ট্রে হয় ও হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের দেশের সাধারন মানুষ মাঝে মাঝে অতিউৎসাহী ও আবেগ প্রবন হয়ে আইন ও আইনের শাসনের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয়। অবশ্য এর জন্য রাষ্ট্রের দায় ও কম না। কারন আজ পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্র আইন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এখনো কার্যকরী ভুমিকা ও দায়িত্ব পালন করতে অনেকটা ব্যর্থ বিধায় আমাদের সাধারন মানুষ অনেক সময় আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে দ্বিধা করে না। তবে এই হাতে তুলে নেওয়া সত্যি নিন্দনীয় ও একটি অপরাধ। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই ভুইয়া ওরফে কানু ভুইয়াকে জুতার মালা পরিয়ে যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অপরাধ করেছেনতাদের এই অপরাধের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির জোড় দাবি জানাচ্ছি। ভুক্তভোগী আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর পরিচয় আমি আগেই দিয়েছি। একজন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার প্রতি আমাদের সম্মান, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আজীবনের। তবে তার একটি রাজনৈতিক পরিচয় ও আছে। একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিটি মানুষের ই রাজনীতি করা সেই সাথে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে বাংলাদের প্রেক্ষাপটে আমরা বিগত সময়ে এই বস্তবতা থেকে অনেক দুরে ছিলাম বলেই গত জুলাই-আগস্টে সংগঠিত হওয়া বিপ্লব বা গনঅভ্যুত্থান যেটাই বলিনা কেন তার মাধ্যমে হাজারো শহীদের রক্ত ও হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে এক নতুন বাংলাদেশ দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কি আছে তা একটু জানা দরকার। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়েছেন। এসময় পাশ থেকে একজন তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলছেন। অপরজন বলছেন, কুমিল্লা থেকে বের হয়ে যেতে। এই সময় আব্দুল হাই ভুইয়া আকুতি করে বাড়ি থেকে বের হবেন না বললে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি কানু ভুইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা এতো বছর বাড়িতে থাকতে পেরেছি কি ? এসময় আরেকজন বলে ওঠেন, আপনি পুরো গ্রামের মানুষের কাছে মাফ চাইতে পারবেন? এসময় তিনি হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চান। এক পর্যায়ে তাকে দুই হাত ধরে দুজন ব্যক্তি সামনের দিকে নিয়ে যান। এই ঘটনার জন্য আব্দুল হাই ভুয়া কানু ও তার পরিবার স্হানীয় জামাত-শিবির সম্পৃক্ত বলে দাবী করছেন এবং এর সত্যতা ও মিলেছে। ইতোমধ্যে মোহাম্মদ আবুল হাশেম ও মোহাম্মদ অহিদুর রহমান নামের দুই সমর্থকে বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। উল্লেখ মোহাম্মদ আবুল হাশেম দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে জীবন কাটিয়ে ৫ আগস্টের পরে দেশে ফিরেছেন। আবুল হাশেম নাকি রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারনেই কানু ভুইয়া ক্ষোভের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দেশ ছাড়া পরিবার পরিজন ছাড়া।
স্হানীয় বাতিসা ইউনিয়নের সাধারন মানুষের সাথে আলাপ করে বেশ করয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আব্দুল হাই ভুইয়া কানু দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় গত পনের বছর আওয়ামী লীগেরের একছত্র ক্ষমতার অধিপত্য ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুবাদে নিজেকে আর সামাল দিতে পারেন নাই । ফলশ্রুতিতে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বী সাথে তার ই প্রতিপক্ষ ছিল তার নিজ দলের আরেকটি গ্রুপ যার প্রধান ছিলেন সাবেক রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক। ২০১৬ সালে আব্দুল হাই ভুইয়ার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বিপ্লব বাতিসা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার পর ৎেকেই তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাড়ায় সাবেক রেল মন্ত্রী মুজিবুল হকের লোক জন। এর পর বেশ কয়েক বার তার বাড়ী ঘরে ও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হামল তারই নিজ দলের নেতা কর্মীরা। স্থানীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী , আব্দুল হাই ভুইয়া কনু হত্যা মামলা সহ মোট ৯টি মামলার আসামি। এছাড়াও তার গত পনের বছরে এলাকায় মাদক, চাঁদাবাজি, জমিদখল, বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের এলাকা ছাড়া দেশ ছাড়া এমকি দুনিয়া ছাড়া করার ও অভিযোগ আছে। দুনিয়া ছাড়া করার তালিকায় তার নিজ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের নাম ও আছে বলে আনোয়ার হোসেন নামের স্হানীয় এক গাড়ী চালক সংবাদমাধ্যমকে জানান , ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে আব্দুল হাই ভুইয়া কানু, তার ছেলে বিপ্লব ও তাদের সহযোগীরা। ওইদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। এবং এই যুবলীগ নেতা হত্যায় কানু ও তার ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমাবেশ ও করেছিল। কানু আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আঁধারে মারধর করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘন্টা দুয়েক পানিতে দাড় করে রাখেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানু। ওই নির্বাচনে আমাকেও সে লাঞ্ছিত করে। আবদুল হালিম মজুমদারের ৮০ বছরের বৃদ্ধ ভাই আবদুর রহমানের অভিযোগ , ‘ কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘন্টা দুয়েক পানিতে দাড় করিয়ে রাখে । আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।' বাতিসা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য (অব.) সেনা সদস্য আবদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “আবদুল হাই কানু গত ১৭ বছরে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। এ ছাড়াও তিনি একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।'
কুলিয়ারা গ্রামের স্থানীয় জসিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেন , " আবদুল হাই কানুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ব্যতীত আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব নেই। ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগী কতিপয় যুবক ঘটিয়েছে। এ সময় আমিও সঙ্গে ছিলাম। "
সংবাদমাধ্যমে স্হানীয় সাধারণ মানুষের ভাষ্যই প্রমান করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানু মুক্তিযুদ্ধের পদবী সেই সাথের আওয়ামী লীগের দলীয় পদবী ব্যবহার করে কোন আইনের ই ধার ধারেন নাই। বরং তার ইচ্ছে মাফিক তিনি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন। অবশ্য আমাদের তথাকথিত প্রগতিশীল সুশীল সমাজের একটি বিশেষ অংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর কোন অপকর্মের কথা বিবেচনা না নিয়ে শুধু মাত্র তার মুক্তিযোদ্ধ পদবী কে সমনে এনে তার সকল অপকর্মকে ঢাকতে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ অপশাসনামলে শত শত নিরিহ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার নানা ভাবে হেন্তার শিকার হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালে কতই না হেনস্তা করছে। ২০১৩ সালে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ও বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে নানা ধরনের কটুক্তি করতে দ্বিধা করে নাই তথাকথিত আওয়ামী প্রগতিশীলরা। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা কুৎসিত কথাই না আমাদের শুনতে হয়েছে। জনগনের টাকায় পরিচালিত মহান সংসদ থেকে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হেয় করা জন্য মমতাজের মত একজন নীচু মানের মানুষকে ও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক অতিরিক্ত সময় দিয়ে আমাদের মহান সংসদকে কলুষিত করতে দ্বিধা করে নাই শেখ হাসিনা ও তার দোসরা। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী তিনবারের দেশের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কিভাবে হেনস্তা করে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে প্রতিহিংসার বাস্তবায়ন করছে শেখ হাসিনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে শেষ জীবন পার করতে হয়েছে দেশান্তরি হয়ে। ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের মত একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠককে দিনের পর দিন জেলে বন্দি করে রাখতো দ্বিধা বোধ করে নাই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। বই লেখার অপরাধে মতিউর রহমান রেন্টুর মত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেশান্তরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ বছর নানাভাবে হেনস্তা করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনামলে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। তখন কেন নিশ্চুপ ছিলেন আজকের তথাকথিত প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ গুলি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানুকে যারা লাঞ্ছিত করেছে নিঃসন্দেহে তারা একটি গর্হিত অপরাধ করেছে। আমি আগেই বলেছি দেশে আইন আছে সমস্ত অপরাধের বিচার আইনের মাধ্যমেই করতে হবে। যারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর লাঞ্ছিত করেছে তারা কেউই তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে দীর্ঘ পনের বছর সাধারন মানুষ সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তাই ফল। অতএব যারাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভুইয়া কানুকে লাঞ্ছিত করছে তাদের যেমন বিচার হওয়া জরুরি সেই সাথে গত পনের বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে আব্দুল হাই ভুইয়া কানুর মত দলীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পদ পদবী ব্যবহার করে নানান অপকর্মের লিপ্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করছে তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তির করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। লিখার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিছুটা ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারিনি। যাইহোক, দেশের সূর্য সন্তানদের অপমান-অপদস্ত করা কোনভাবেই কাম্য নয়। তার অন্যায় হয়ে থাকলে প্রথাগত আইনে বিচার হতে পারে তাই বলে তাকে এইভাবে অপমান করার ধৃষ্টতা বরদাস্ত করা উচিত হবে না। অন্যায়কারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার প্রত্যাশা করি। লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২
এস.এম.সাগর বলেছেন: আামরা পরিবর্তন চাই, আমরা আইনের শাসন চাই, সকল অপরাধীরই বিচার হোক।