নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক মরনব্যাধির নাম পরকীয়া

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

আমার স্ত্রী মাকছুদাকে মেরে ফেলেছি আমি বাসায় আছিআমাকে থানায় নিয়ে যান। এই ভাবেই বংশাল থানা পুলিশকে ফোন করে কথা গুলি বলছিলেন নাজিরা বাজার সিক্কাটুলি লেনের বাসিন্দা ইব্রাহিম খান। গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে নিজ বাসায় স্ত্রী মাকসুদা খাতুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ইব্রাহিম খান। গ্রেপ্তারের পর থানায় কাঁদতে কাঁদতে ইব্রাহিম খান বলেন," আমার স্ত্রী মাকসুদাকে আমি খুব ভালোবাসি। আমাদের এক বছরের একটা সন্তান আছে। কিন্তু আরেকজনের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক কে মেনে নিবে? এটা নিয়ে প্রায় আমাদের ঝামেলা হতো। আমি তার পরিবারকেও অনেকবার জানিয়েছি। আমাকে না জানিয়ে একদিন আগে আমার স্ত্রী একজনের সঙ্গে দেখা করেছে। এটা নিয়ে আমার সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। আমি তাকে ভয় দেখানোর জন্য বাড়িতে থাকা একটা হাতুড়ি নিয়ে আসি। এরপর টেবিলের ড্রয়ারের ভেতর রাখি। আমার কিন্তু তাকে মারার ইচ্ছা ছিল না। " ইব্রাহিম খানে ৩৫ বছরের একজন যুবক পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার আর মাকসুদার বয়স মাত্র ২৭ তাদের দুই বছরের বৈবাহিক জীবনে রয়েছে এক বছরের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। একই দিনে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রাজধানীর গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা মোকসেদুর রহমানের মরদেহ। এ ঘটনায় স্ত্রী আসমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হলে জানা যায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হন মোকসেদুর। স্ত্রী আসমার প্রেমিক জাহিদ সরকার ও তার সহযোগীরা মোকসেদুরকে হত্যার পর হাত পা বেঁধে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। মোকসেদুর ও আসমার বাইশ বছরের দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান রয়েছে।

শুধু মাত্র পরকীয়ার বলি হয়ে আমাদের দেশে প্রতি বছর কত জন মানুষ খুন হন তা বলা না গেলেও প্রতিনিয়তই সংবাদমাধ্যম থেকেই আমাদের পেতে হচ্ছে এমন অপ্রত্যাশিত সংবাদ। পরকীয়া আজ ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের সমাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নীতি নৈতিকতা সেই সাথে মানুষের জীবন । যেমন ধরুন ইব্রাহিম মাকসুদা দম্পত্তির কথাই। পরকীয়ার জেরে আজ তিনটি জীবন একেবারেই ধ্বংস। মাকসুদাকে খুন হতে হলো ইব্রাহিমকে খুনের দায়ে জেলে যেতে হলো। ইব্রাহিমের এই অপরাধের বিচার কি হবে তা হয়তো আমাদের আদালত ই আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। আর ইব্রাহিম ও মাকসুদা দম্পত্তির এই শিশু সন্তানে দায়িত্ব ই বা কে নিবেন কি ই বা তা ভবিষ্যত? পরকীয়া শুধু আমাদের সমাজ খুনের মত অপরাধকেই বাড়ায় নাই এর সাথে বাড়িয়েছে মানুষের পারিবারিক ভাংগন। অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা আজ অহরহ । ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কতৃক প্রকাশিত এক জরিপে আশংকা জনক হারে বিবাহ বিচ্ছেদের তথ্য উঠে আসে। আর এই বিবাহ বিচ্ছেদের অনেকটা ঘটছে পরকীয়ার কারনে।

তা হলে জেনে নেই পরকীয় কি? পরকীয়া যাকে ইংরেজিতে বলে এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার এ্যাফেয়ার। যা হল বিবাহিত কোন ব্যক্তি স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকাণ্ডেই পরকীয়া হিসাবে অবহিত করা হয়। পশ্চিমা বিশ্বে এটি আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না, তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরকীয়াকারী ব্যক্তির বিবাহিত সঙ্গী তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে ইসলামি রাষ্ট্রসমূহে পরকীয়াকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গন্য করা হয়। যার শাস্তি হলো পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড প্রদান। পবিত্র কোরানের সূরা আন নূরের ২ নাম্বার আয়াতে ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ বলেন, " ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে এক’শ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে এদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে "। আর আমাদের বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী কোনো স্ত্রী পরকীয়া করলে যার সঙ্গে পরকীয়া করবে শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে বা যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত হবে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার পাবেন না। উপরন্তু স্বামী যদি কোনো বিধবা বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে পরকীয়ায় জড়িত হয় তা আইনত বৈধ। এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক এমনকি আমাদের দেশের প্রচলিত এমন আইন অনেক সময় অনেক নারীকে পরকীয়ায় আসক্ত হতে উৎসাহ ও করে বলে অনেক বিশেষজ্ঞের ও মতামত।

আমাদের সমাজ তথা দেশের প্রেক্ষাপটে পরকীয়ার পেছনে বহুবিধ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারন হলো আমাদের দেশের পুরুষ ও মহিলাদের একটি অংশ কাজের জন্য প্রবাসে অবস্থান করা। আমাদের দেশের প্রচুর পুরুষ ও মহিলা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বছর পর বছর স্বামী বা স্ত্রীকে রেখে বিদেশে অবস্থা করেন। বিশেষ করে পুরুষদের বেলায় এমন ও উদাহরণ আছে বিয়ের এক সপ্তাহ পরেই নববিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে স্বামী বিদেশে কর্মক্ষেত্রে পারি জমায়। এমনকি নববিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে বছরের পর বছর বিদেশে অবস্হান করে সেক্ষেত্রে অনেক স্ত্রী তার দৈহিক চাহিদা মিটাতে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। এছাড়া ও বল্যবিবাহ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে, দৈহিক অক্ষমতা,বিয়ের ক্ষেত্রে ভুল মানুষকে নির্বাচন করা, ক্যারিয়ার আডভান্সমেন্ট, দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি, প্রতিশোধ ও প্রমের নেশায়, পশ্চিমা সংস্কৃতি, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা সহ আরো অনেক করনেই মানুষ পরকীয় আসক্ত হয়ে পরছেন। তবে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য ও মোবাইল ফোন সবারই হাতে হাতে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের যোগাযোগকে এতটা সহজ করেছে যে আমারা প্রায়ই দেখি প্রেমের টানে বিভিন্ন যুবক যুবতী বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে। এই তো গেল বিদশীদের কথা। আমাদের দেশের বিভিন্ন তরুন- তরুণী, যুবক-যুবতী এমনকি প্রৌঢ় বয়সী অনেকেই আজ প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারনে পরকীয়ায় আসক্ত। এছাড়াও পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ার উপরে যে কারন গুলি উল্লেখ করেছি তার মধ্যে আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের অবাধ সম্পর্ক আজ পরকীয়ার অন্যতম একটি কারন হিসেবে বিবেচ্য। পশ্চিমা সংস্কৃতির কারনে আজ আমাদের সমাজের এক শ্রেনীর মানুষ নিজেদের পশ্চিমা সংস্কৃতির ধাচে চলাফেরা ও জীবন যাপনে নিজেদের অভ্যস্ত করতে গিয়ে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি সব ভুলতে বসেছে। এর ই ফলশ্রুতিতে তাদের ভিতর নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ এক প্রকার ফ্যাশন ও আধুনিকতার প্রতীক হয়ে দাড়িছে। এতেই আমাদের সমাজের এই অংশটি পরকীয়ায় আক্রান্ত ও আসক্ত হয়ে পরছেন। আমাদের দেশে পরকীয়ায় আক্রান্ত ও আসক্ত হওয়ার অন্যতম আরো একটি কারন হলো ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুশাসনের অবজ্ঞা। আমাদের সমাজের একটি অংশ নিজেদের আধুনিকতার মোড়কে জড়াতে গিয়ে সম্পুর্ন ভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুশাসনকে অবজ্ঞা করে। আর এই ধর্মীয় রীতিনীতি ও অনুশাসনের অবজ্ঞার করনে অনেক মানুষ ই নানান অপকর্মে জরিয়ে পরছেন। যাদের একটি অংশ অবৈধ ও অনৈক ভাবে পরকীয়ায় আক্রান্ত ও আসক্ত হয়ে পরেছেন। অবৈধ অর্থ সম্পদ আয় ও আয়ের আকাংখা ও সাম্প্রতিক কালে অনেককেই পরকীয়ার দিকে টানছে। তাই গত পনের বছরে দেশে অবৈধ টাকার ছড়াছড়িতে ও অনেকেই পরকীয়াতে আসক্ত ও আক্রান্ত হওয়ার করনে গত পনের বছর পরকীয়ার হার ক্রমেই বেড়েছে। পূর্বে ও এমনটি ছিলানা তেমনটি নয়। আজ আমাদের সমাজের সুগার ডেডি সুগার মাম্মি সহ কত না অবৈধ সম্পর্কের আবির্ভাব হয়েছে।

পরকীয়া সহ নানা অনৈতিক সম্পর্কের কারনে আজ আমাদের সমাজে হত্যা সহ নানান অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। একটি পরকীয়ার কারনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কয়েকটি পরিবার। ধ্বংস হচ্ছে অনেক মানুষের ভবিষ্যৎ অনেক মানুষের জীবন। বাংলাদেশে ইকবাল -সালেহা, মুনির-শাীমিন রীমা বা আনভির- মুনিয়ার মত অনেক আলোচিত পরকীয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমাদের সমাজ থেকে পরকীয়ায় আসক্ত ও আক্রান্তের সংখ্যা তো কমেই নাই বরং এই পরকীয়া আমাদের রাষ্ট্র তথা সমাজে এক মহামারী রূপে আর্বিভাব হয়েছে। পরকীয়ার কড়াল গ্রাস থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে আমাদের নৈতিকতা ও মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সেই সাথে সমাজে ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি আজ্ঞাবহ হয়ে সমাজিকতার বন্ধন সুদৃঢ় করে বিয়ের ক্ষেত্রে অসামঞ্জসত্বা দুর করতে হবে। স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কে বিশ্বাস সহযোগিতা, সহমর্মিতা, সুদৃঢ় ভালবাসাই পারে আমাদের সমাজকে মরন ব্যধি পরকীয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

পরকীয়া প্রেমই সত্যিকারের প্রেম।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক একটি সামাজিক ও নৈতিক সমস্যা। এটি দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাসের সংকট তৈরি করে এবং পরিবারে অশান্তি এনে দেয়। এমন সম্পর্কের ফলে মানসিক কষ্ট, পারিবারিক ভাঙন ও সামাজিক অবজ্ঞার শিকার হতে হয়। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পরকীয়া করতে ইসলামে নিষেধ আছে।
প্রয়োজনে একের অধিক বিয়ে করো।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: পুরুষতো একের অধিক বিয়ে করলো,নারী যাবে কোথায়।নাকি সেও একের অধিক বিয়ে করবে।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

নতুন বলেছেন: গ্রেপ্তারের পর থানায় কাঁদতে কাঁদতে ইব্রাহিম খান বলেন," আমার স্ত্রী মাকসুদাকে আমি খুব ভালোবাসি। আমাদের এক বছরের একটা সন্তান আছে। কিন্তু আরেকজনের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক কে মেনে নিবে? এটা নিয়ে প্রায় আমাদের ঝামেলা হতো। আমি তার পরিবারকেও অনেকবার জানিয়েছি। আমাকে না জানিয়ে একদিন আগে আমার স্ত্রী একজনের সঙ্গে দেখা করেছে। এটা নিয়ে আমার সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। আমি তাকে ভয় দেখানোর জন্য বাড়িতে থাকা একটা হাতুড়ি নিয়ে আসি। এরপর টেবিলের ড্রয়ারের ভেতর রাখি। আমার কিন্তু তাকে মারার ইচ্ছা ছিল না। " ইব্রাহিম খানে ৩৫ বছরের একজন যুবক পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার আর মাকসুদার বয়স মাত্র ২৭ তাদের দুই বছরের বৈবাহিক জীবনে রয়েছে এক বছরের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান।

খুন করার মন মানুষিকতা যার আছে সে স্বামী হিসেবে অবশ্যই ভালো ছিলোনা, সেটাই হয়তো ঐ নারীকে পরকিয়ার দিতে ঠেলে দিয়েছে।

স্বামী বা স্ত্রী পরকিয়া করলে তারে ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু খুন করার মতন চিন্তা যারা করে তারা অসুস্থ।

আরেকটা জিনিস হইলো পরকিয়ার জন্য সবাই নারীকে দোষ বেশি দেয় কিন্তু একটা নারী কিন্তু আরেকটা পুরুষের সাথেই পরকিয়া করে, তাহলে পরকিয়ার জন্য নারী এবং পুরুষ সমান দায়ী।

পরকিয়ার সাজা বাড়ানো দরকার। সংসার করতে না পারলে তালাক নেবে তারপরে অন্যের সাথে সম্পর্ক করবে। পরকিয়া করলে অবশ্যই নারী এবং পুরুষ দুজনকেই বড় সাজা দেওয়া উচিত। একটা পরিবার ভেঙ্গে যায় এবং সন্তানেরা কস্ট করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.