নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ও বলতে চাই !

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন

ব্লগিং হউক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার।

ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত কি পারবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৫


ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের আশ্রয়ে আছেন অনেক দিন হলো । তবে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে কোন মর্যাদায় তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছেন তা এখনো আমাদের কাছে পরিস্কার নয়। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের পর দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিক্রম মিশ্রির কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন মর্যাদায় আছেন ? তবে এ বিষয়ে মি. মিশ্রি কী বলেছেন, তা জানা এখনো পরিস্কার ভাবে জানা সম্ভব হয়নি। যদিও ভারতের অনোক বিশ্লেষকের মতামত শেখ হাসিকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শেখ হাসিনার জীবন রক্ষার্থে তাদের পাহারায় তাদের ই বিমানে ভারতে রেখে গেছেন। সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ভারতের মেহমান হিসেবেই নাকি আছেন। এর আগে গত নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সাওয়ালের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন , " শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাকি নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করছে ভারত "। এমন প্রশ্নের জবাবে ভারত সরকারের অবস্থান তুলে ধরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা এখান থেকে ইতিমধ্যে বলেছি যে, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের এটাই অবস্থান "।

বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ো পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। শেখ হাসিনার প্রতিটি বক্তব্যই ছিল হিংসাত্মক, আক্রমনাত্মক সেই সাথে ধ্বংসাত্মক। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানকে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ মোটেও ভাল ভাবে নেয় নাই। করন গত পনের বছর জেল হাজত গুম খুন আতংকে সম্পুর্ন ভাবে জিম্মি ছিল বাংলাদেশের সাধারন মানুষ। সেই জিম্মি দশা থেকে গত জুলাই-আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবন আর প্রায় বিশ মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে স্বার্থক হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ । তবে পরিতাপের বিষয় হলো শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে জুলাই-আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ ও বিশ হাজারের ও বেশি মানুষ আহত হলেও তার ও তার দোসরদের ভিতর কোন ধরনের অনুচোনা তো জন্ম হয় নাই বরং তাদের ভিতরে জ্বলছে ক্ষমতা হারানোর প্রতিশোধের হিংসাত্মক আগুন। এর প্রমান শেখ হাসিনার প্রকাশ হওয়া প্রতিটি অডিও ক্লিপ। তিনি তার প্রতিটি অডিও বার্তায় তার দলের নেতা কর্মীদের প্রতিশোধ নেওয়া লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের বাড়ী ঘরে আগুন দেওয়াবতাদের আহত করা এমন কি হত্যার পর্যন্ত নির্দেশ দিতে কুণ্ঠা বোধ করেন তো নাই বরং উৎসাহ দিয়েছেন। শেখ হাসিনার দলের ই এক বিশেষ নেতা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম বিদেশে বসে তার নেতা কর্মীদের রাজধানী বাসী যাতে রাতে শাম্তিতে না ঘুমাতে পারে সেই পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । জাহাঙ্গীরের সহযোগী হিসেবে রাজধানীর আরেক সন্ত্রাসী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাটের সহযোগিতার কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর।

ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা সে দেশে বসে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এমন কি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। তার বক্তব্যের জেরে দেশে এরই মধ্যে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে ও গেছে। কারন বাংলাদেশের সাধারন মানুষ চায় না শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রিতা হয়ে বাংলাদেশ নিয়ে কোন কথা বলুক। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র গত ৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মজিবর রহমানের বাড়ীটি বাংলাদেশে স্বৈরাচারের আতুরঘর অবিহিত করে সম্পুর্ন রুপে গুড়িয়ে দিয়েছে। শুধু শেখ মজিবর রহমানের ৩২ নাম্বারে বাড়ীই নয় খুলনায় শেখ মজিবর রহমানের ছোট ভাই শেখ নাসোর বাড়ী সেই সাথে দেশের অনেক এলাকাতেই শেখ হাসিনার দোসরদের বাড়ীতে হামলা ভাংচুর করে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ প্রকাশ ঘটিয়েছে। যদি ও একটি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গাজীপুরের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের বাড়ীতে হামলার কথা বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সেখানে ডেকে নিয়ে নির্মম ভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছেন যাদের মধ্যে আবুল কাশেম নামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সদস্য হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্হায় মারা যান । এই সকল ঘটনার মূলেই শেখ হাসিনার ভারত বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। তবে শেখ হাসিনার বক্তব্যকে তার " ‘একান্ত ব্যক্তিগত " আখ্যা দিয়ে এর জন্য ‘ভারত দায়ী নয়’ মর্মে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। অর্থাৎ ভারত শেখ হাসিনার বক্তব্যের দায় নিচ্ছে না। তবে ভারতের মাটিতে আশ্রিত হয়ে ভারতের ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সেবা ব্যবহার করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেই ধরনের ষড়যন্ত্র ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে এর দায় কি ভারত সরকার এড়াতে পারেন?
যদিও এই বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ৫ ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিফলন হিসেবে ছাত্র- জনতার ক্রোধের শিকার হয়ে শেখ মজিবর রহমানের ৩২ নাম্বারের বাড়ী ধ্বংসস্তূপে পরিনত হওয়ার সাথে সাথেই ভারত সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিতে ভুল করেন নাই। যদি ও এই ৩২ নাম্বারে ঘটনা সম্পুর্ন ভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের উস্কানিমুলক বিবৃতি পক্ষান্তরে শেখ হাসিনাকে উস্কে দেওয়ার ই প্রমান।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে রাখতে এবং শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে ভারতের নরেন্দ্র মোদির সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দারস্থ হন। সম্প্রতি ভারেতর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত জুলাই আগস্টের বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে প্রসঙ্গটি আনলে পক্ষান্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর দায় নরেন্দ্র মোদির ও ভারতের দিকে চাপান।। যদিও ভারত এবং বাংলাদেশের একশ্রেণীর দালাল মিডিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ভুল ভাবে উপস্থাপন করে পরিস্হিতি ঘোলাটে করার চেস্টা করে ও শেষ পর্যন্ত সফল হয় নাই। তবে সব কিছু ছাপিয়ে বিশ্ব মানবতাবাদীদের চোখ আরো স্পষ্ট ভাবে খুলে দিয়েছে
গত ১২ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে গত জুলাই আগস্টের বাংলাদেশের গনঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সরেজমিনে তদন্ত করে এই দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে গত জুলাই- আগস্টের গনঅভ্যুত্থান প্রতিরোধ শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে যা আন্তর্জাতিক অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং সেসবের সুবিচার হওয়া প্রয়োজন বলে ও উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের গত জুলাই- আগস্টের বাংলাদেশের গনঅভ্যুত্থানে তৎকালীন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদে নারকীয় তান্ডবের চিত্র প্রকাশের পর শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের সাফাই গেয়ে যে সব দেশী-বিদেশী চক্র নানা বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলো আশা করি এখন তারা কিছুটা হলেও শান্ত ও নিশ্চুপ হবেন। ইতোমধ্যে জুলাই- আগস্টের গনঅভ্যুত্থানে গনহত্যা সহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা হয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এই সকল মামলার তদন্ত ও চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা গেছে ৩৪ জনকে। জাতিসংঘের মানবাধিকার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সহ অন্যান আদালতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার আরো নিরপেক্ষ ও গ্রহণ যোগ্য হবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটনের সফরে সবচেয়ে বিস্ময়করার মত বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নিজেদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের উপর সম্পুর্ন ভাবে নির্ভর করে নরেন্দ্র মোদির গুনগান ও বাংলাদেশ বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে হোয়াইট হাউসের সামনের সড়ক উত্তাল করে। তাদের আচরণ ই প্রমান করে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ভিতর এক দিকে যেমন কোন অনুশোচনার জন্ম হয় নাই তেমনি তারা দেশের জনগনের চেয়ে ভারতীয় প্রভুদের ই খুশি রাখতে ব্যস্ত। তাদের এমন আচরনে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন ভারত কি পারবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অসম্ভব ব্যাপার! শেখ পরিবারের রাজনীতি দি এন্ড! এখন যদি জোর করে ফিরিয়ে আনতে চায় দেশে গৃহযুদ্ধ হবে। এর দায় আওয়ামী লীগের !

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৭

কু-ক-রা বলেছেন: উহাদের (আওয়ামী নেতাদের) বিরুদ্ধে রায় হইলে ইহারা (বাংলাদেশ সরকার) উহার (ভারতের) কাছে উহাদেরকে (আওয়ামী নেতাদেরকে) ফেরত চাইতে পারে। তখন ইহা আন্তর্জাতিক খবর হইবে এবং উহারা (ভারত) খানিকটা চাপে পড়িয়া যাইবে।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৭

কামালপাশা২য় বলেছেন:



ভারতে কোন মর্যদায় আছে শেখ হাসিনা, ইহা ৬ মাসেও আপনার কাছে পরিস্কার হয়নি? আমি আপনাকে ২ বছর সময় দিচ্ছি, ইহা জেনে ব্লগে নতুন পোষ্ট দিবেন।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩১

এ পথের পথিক বলেছেন: @কামালপাশা২য় ভারতকে যা দিয়েছি সেটি তারা সারা জীবন মনে রাখবে । এখন ভারত হাসিনাকে দিচ্ছে । হাসিনা নিচ্ছে মর্যাদা ।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: আওয়া‌মিরা ভারত আ‌ধিপত‌্য মে‌নে নি‌য়ে বাংলা‌দেশ চিন্তা ক‌রে। কিছু বোকা আওয়া‌মি আ‌ছে যারা হা‌সিনা‌কে আদর্শ ম‌নে ক‌রে অথচ কোন বে‌নি‌ফিট পায়না, লু‌টের ভাগ না পে‌লে আওয়া‌মিলীগ করার মা‌নে হয়না

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


তিনি ফিরে আসবেন।
কেননা তিনি পালিয়ে যাননি।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন@ কেবল জেলে যাওয়ার জন্য আসতে পারেন। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪৩

আহরণ বলেছেন: শেখ হাসিনাতেই আস্থা..............।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: অন্তত আমি বলব আওয়ামীলীগ মন্দের ভালো।
জামাত শিবির আর বিএনপি দেশের জন্য ক্ষতিকর।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: শেয়ালরা পালিয়ে গিয়েও বসে নেই! হুক্কা হুয়া রব করেও যখন বিশ্বের কোন সাড়া পেলো না; তখন পেইড বট/ব্লগার দিয়ে পোস্টিং শুরু করেছে! এদেশের মানুষকে এ শতাব্দিতে আফসোসদের গ্রহণ করবে না।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এই দেশে আলীগের চেয়ে ভালো কোন সরকার ছিল না।
আলীগ উন্নয়ন করেছে।
ঢাকার মানুষ জানতোই না মেট্রোরেল কী জিনিস।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারত পারবে না। নতুন সরকার আসলে ভারত তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। অনেককে টোপ দিবে। লোভে পড়ে নতুন সরকারে অনেকেই ভারতের অনুগত হবে। ভারত চাচ্ছে যে আওয়ামীলীগ আবার আসুক। কিন্তু পরের বার না আসা পর্যন্ত তারা বিএনপির সাথে একটা সমঝোতা করবে ( যদিও আওয়ামীলীগ পুনরায় আসতে পারবে কি না এটা অনিশ্চিত)। বিএনপিও রাজী আছে দেশ বিক্রি করে দেয়ার জন্য। আলামত পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের জন্য আওয়ামীলীগ সুবিধাজনক। কিন্তু তারা বিএনপিকেও পথে আনতে পারবে হয়তো। আমাদের দেশের নেতারা লোভী এবং সহজেই বিক্রি হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.