![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাসিনার অবৈধ শাসনামলের অবৈধ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদকে আমরা “আওয়ামী লীগের বিএনপি বিষয়ক সম্পাদক” আখ্যা দিয়েছিলাম। কারণ, তার মুখে সবসময় বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে নানান কথা শোনা যেত। হাসান মাহমুদ নিজ দলে থেকেও যেন বিএনপিকেই নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতেন।
৫ আগস্ট ২০২৪-এর বর্ষা বিপ্লবে হাসিনার পতন ও পলায়নের পর বিএনপির ভেতরে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনা ও তার ১৫ বছরের দুঃশাসনকাল নিয়ে আক্ষেপ করতে শুরু করেছেন। তাদের কথায় মনে হয়, শেখ হাসিনার পলায়নের পর তারা অনেক কিছু হারিয়েছেন কেউ কেউ আবার মনে করেন সর্বস্ব হারিয়েছেন। অথচ খুনি হাসিনার শাসনামলে বিএনপির হাজার হাজার ত্যাগী নেতা-কর্মী গুম, হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, লাখো মামলায় জর্জরিত হয়েছেন।
বিএনপির ভেতর যাদের হাসিনা প্রেম সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তাদের মধ্যে অন্যতম বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমান এবং সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। আজ আমি সামান্য বলব রুমিন ফারহানাকে নিয়ে।
চব্বিশের বর্ষা বিপ্লবের পর এদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দায়িত্ব নেন। কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে একের পর এক অরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন রুমিন ফারহানা। সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে, তবে সমালোচনা আর অরুচিকর মন্তব্য এক নয়।
রুমিন ফারহানা রাজনৈতিক অঙ্গনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় টেলিভিশনের টকশোগুলোতে। তাই বিভিন্ন টিভি চ্যানেল দর্শক টানতে তাকে আলোচনায় রাখে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তার বক্তব্য একেবারেই গণআন্দোলনের মানুষের পক্ষে যায়নি। তার বক্তব্য কেবল খুনি হাসিনার আমলে জনগণের কথিত “ভালো থাকা”, ছাত্রজনতার ক্ষোভকে দমন করা, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের ফ্যাসিবাদী আতুরঘর ভাঙার আফসোস আর চব্বিশের গণআন্দোলনের বীরদের প্রতি বিষোদগার নিয়েই ঘুরপাক খাচ্ছে।
রুমিন ফারহানার এই আওয়ামী ও হাসিনা-প্রেম দেখে চব্বিশের বীর সেনানি হাসনাত আবদুল্লাহ তাকে “বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক” আখ্যা দেন। কিন্তু জবাবে রুমিন ফারহানা নিজের ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহকে “ফকিন্নি বাচ্চা” বলে গালাগালি করেন যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।
এরপর খুনি হাসিনার দোসর এবং গণআন্দোলন প্রতিরোধে গঠিত বাকশালি গ্রুপ “আলো আসবে” এর শাওন হাসনাতকে তিনি “ফকিন্নি” বলে মন্তব্য করেন। আর সেই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক তেলবাজ বাকশালি জ. ই. মামুন হাসনাতকে “বান্দির পুত” বলে অপমান করে। ভাবতে অবাক লাগে রুমিন ফারহানার সুর আর বাকশালিদের সুর একই!
এর মানে রুমিন ফারহানা ও বাকশালিদের মধ্যে খুব বেশি তফাৎ নেই। পার্থক্য শুধু সময়ের। তবে সময়ই বলে দেবে সব।রুমিন ফারহানাকে বলতে চাই আপনার বাবা রাজনীতি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। আপনি নিজে খুনি হাসিনার তাঁবেদারি করে কোটির পর কোটি টাকা কামিয়েছেন। গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। এখনো আওয়ামী খুনিদের জন্য কাজ করে তাদের অবৈধ কামানো কোটি কোটি টাকায় ভাগ বসাচ্ছেন। এর আগে হাসিনার কাছ থেকে পূর্বাচলের প্লট না পেয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের অবস্থা কিন্তু আপনাদের মতো নয়। রুমিন ফারহানা, তাহলে কি আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সব সাধারণ মানুষই “ফকিন্নি”?
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি কোন শালি ?
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাকশালী ও চেতনার ব্যবসায়ীরা একজোট হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রুমিন ফারহানার মাথা মনে হয় ঠিকঠাক মত কাজ করছে না। বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলেও বিয়ে না হওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ বলে অনেকে মনে করেন। তাঁর বিয়ে হবে এমন আশাও আর করা যায় না। সুতরাং তাঁর কথায় মাইন্ড কইরেন না। আরেক লাইন বাড়াতে গিয়ে আর বাড়ালাম না।