![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফিলিস্তিন আজ পৃথিবীর বুকে এক অনন্য ট্র্যাজেডির নাম। একদিকে দখলদারিত্ব, অন্যদিকে অবরোধ এই দুই চাকার পেষণে ফিলিস্তিন আজ পরিনত হয়েছে মৃত্যুর নগরীতে। ফিলিস্তিনিদের জীবন পরিণত হয়েছে মৃত্যুর মিছিলে। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, জাতিসংঘের প্রস্তাব সবকিছুই যেন এখানে নির্বাক।গাজা উপত্যকা থেকে পশ্চিম তীর সবখানেই মৃত্যুর ছায়া। গাজায় প্রতিদিনই রকেট হামলা, বিমান বোমা ও আর্টিলারির শব্দে কেঁপে ওঠে ঘরবাড়ি। পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের গুলি আর অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণে লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়। হাসপাতালগুলোতে নেই চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্কুলগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত, নিরাপদ আশ্রয় বলতে কিছু নেই।
শিশুরা জন্ম নিচ্ছে মৃত্যুপুরীতে। খাদ্য , চিকিৎসা, শিক্ষা সহ সবকিছু থেকে বঞ্চনা এই এক জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পিত নীতি। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের স্বাধীনতা আজ বিলুপ্ত। গাজা উপত্যকা বিশ্বের বৃহত্তম খোলা কারাগার যেখানে সমুদ্রপথ, আকাশপথ ও স্থলপথ সবই অবরুদ্ধ। পশ্চিম তীরেও শত শত চেকপোস্ট, দেয়াল, কাঁটাতার মানুষ নিজের গ্রাম থেকে পাশের গ্রামে যেতে পারলেও তা হয় অপমান ও হয়রানির মধ্য দিয়ে। একজন ফিলিস্তিনি কখনো জানে না, পথে বের হলে সে ফিরতে পারবে কি না। তার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে একটি দখলকৃত জাতির দ্বারা। এই অমানবিক বাস্তবতার মাঝেই আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর গত মাসের শুরুতে যাত্রা শুরু করে “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা”। এটি নিছক কোনো ত্রাণবাহী বহর নয়। এটি মূলত মানবতার আন্তর্জাতিক বিবেককে জাগিয়ে তোলার এক প্রতীকী উদ্যোগ। যেখানে রাষ্ট্রীয় কূটনীতি বারবার ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন পেশার কিছু বিবেকবান মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে ফিলিস্তিনি নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।
“গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা” নামের এই মনবতার যাত্রায় বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। এর যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও। বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার এতে অংশগ্রহণ করেছেন, যা বাংলাদেশের জন্য এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। গত পনের বছরের অমানবিক বাংলাদেশকে নতুন করে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব চিনতে শুরু করেছে। আর বিশ্বখ্যাত জলবায়ু আন্দোলনের তরুণী প্রতীক গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম কিংবদন্তি বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি এনকোসি জুয়েলভেলিল, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য রিমা হাসান ও এমা ফোরো, অর্থনীতিবিদ এবং পর্তুগালের জাতীয় সংসদ সদস্য মারিয়ানা মোরতাগুয়া, মার্কিন শ্রমিক নেতা ও মানবাধিকার কর্মী ক্রিস স্মলস সহ অন্যান বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই বহরে যোগ দিয়ে প্রমাণ করেছেন মানবিক সংকট, পরিবেশ ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার প্রশ্ন একই সূত্রে গাঁথা। ইতোমধ্যে ভূমধ্যসাগরের মাঝপথেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী। প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে প্রায় সকল নৌযান আটক করে অধিকাংশ মানবিক যাত্রীকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ইসরায়েলের দাবি তারা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের বুভুক্ষু মানুষ বিশেষ করে গাজার মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানোকে অস্ত্রের মুখে ঠেকানো হয়েছে।
২০০৭ সালে হামাস নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পূর্ণ অবরোধ জারি করেছে। এর ভয়াবহ ফলাফল এখন সারা বিশ্ববাসী দেখছে। গাজায় আজ খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের প্রবল সংকট বিশুদ্ধ পানি আর বিদ্যুৎ নাই বললেই চলে। হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী নেই। সমগ্র গাজা আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের শিকার।গাজা আজ কেবল একটি নগর নয় এটি এক মৃতপুরী। প্রতিদিন বোমা হামলায় শিশু ও নারীসহ অসংখ্য নিরীহ প্রাণ ঝরে পড়ছে। হাসপাতাল ও স্কুল পর্যন্ত নিরাপদ নয়। তাই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিছক একটি প্রতীক নয়; বরং এটি মানবতার জরুরি ডাক।
গাজার অবরোধ ভাঙার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের নৌযাত্রার ইতিহাস অন্তত দেড় দশকের পুরোনো। ২০১০ সালে তুরস্কের মানবিক জাহাজ “মাভি মারমারা” নেতৃত্ব দিয়েছিল একটি বহরকে। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় সেই সময় অন্তত ১০ জন মানবাধিকার কর্মী নিহত হন। বিশ্বব্যাপী এই হত্যাযজ্ঞ তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। এর পরেও প্রচেষ্টা থামেনি। ছোট-বড় বহর বারবার গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আটকানো হলেও প্রতিবারই আন্তর্জাতিক জনমত আলোড়িত হয়েছে।
এই বারের গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সেই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার সর্বশেষ অধ্যায়। এটি দেখিয়েছি রাষ্ট্রী রাষ্ট্রীয় কুটনীতি এমন জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার বিপরীতে নাগরিক সমাজ এখনও ন্যায়বিচারের জন্য দাঁড়াতে পারে।
ইসরায়েলের অবরোধ নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া সবসময় দ্বিমুখী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইসরায়েলের “নিরাপত্তার অধিকার”কে সমর্থন করে, অথচ গাজার সাধারণ মানুষের দুর্দশাকে তারা সব সময়ই উপেক্ষা করছে। এখন ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ দফা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগনকে। ইতোমধ্যে জীবনরক্ষার্থে কিছু শর্ত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীরা মানতে বধ্য হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভক্ত। কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও অনেকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে সাহস দেখায় না। আরব বিশ্ব প্রকাশ্যে সমর্থন জানালেও বাস্তবে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয় না। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। আমেরিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শহরের রাস্তায় মানুষ নেমে এসেছে প্রতিবাদে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার বিবৃতি দিয়েছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ৪৪ দেশের মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে—রাষ্ট্রীয় নীতির বাইরে মানবিক চেতনা এখনও বেঁচে আছে। ফ্লোটিলা কেবল খাদ্য বা ওষুধ পাঠানোর প্রচেষ্টা নয় বরং এটি এক রাজনৈতিক ঘোষণা। বার্তাটি স্পষ্ট ইসরায়েলের অবরোধ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
গ্রেটা থুনবার্গের মতো তরুণ কর্মীর অংশগ্রহণ এই বার্তাকে আরও জোরালো করেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় নৈতিক শক্তি শেষ পর্যন্ত সামরিক শক্তির ওপরে জয়লাভ করে। দক্ষিণ আফ্রিকার এপারথাইড কিংবা উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন এর উদাহরণ। আজকের গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার এবং শহিদুল আলম এই ফ্লোটিলায় যুক্ত হয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর সংগঠন রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস ( আর বিএন্ড বি) দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী ও নিপীড়িত মানুষের পাশে কাজ করছে। শহিদুল আলম মানবতার পক্ষে কথা বলতে গিয়ে নিজ দেশেই জেল জুলুম আর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের অংশগ্রহণ মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশি প্রবাসীরাও বৈশ্বিক মানবিক সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। যেমন শহিদুল আলম তাঁর ক্যামেরা দিয়ে সত্য প্রকাশ করেছেন, রুহি আখতার তাঁর মানবিক কার্যক্রম দিয়ে বিশ্বমানবতাকে নাড়া দিয়েছেন।
ফিলিস্তিন সংকটকে যদি শুধু বর্তমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখা হয়, তবে বিষয়টি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এর শিকড় নিহিত রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসে। উনিশ শতকের শেষভাগে ইউরোপে জন্ম নেয় জায়োনিজম আন্দোলন, যার লক্ষ্য ছিল ইহুদিদের জন্য একটি “জাতীয় স্বদেশ” প্রতিষ্ঠা। সে সময় ফিলিস্তিন অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, যেখানে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আরব মুসলিম ও খ্রিস্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের ফলে ফিলিস্তিন চলে যায় ব্রিটিশদের অধীনে। ১৯১৭ সালে প্রকাশিত বেলফোর ঘোষণাতে ব্রিটিশ সরকার ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনে একটি জাতীয় গৃহ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর পর থেকে ইহুদি অভিবাসন বাড়তে থাকে এবং স্থানীয় আরব জনগণ ধীরে ধীরে জমি ও অধিকার হারাতে শুরু করে। এভাবেই এক অস্থিরতার বীজ বপন হয়, যার পরিণতি পরবর্তী শতাব্দীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং নাৎসি গণহত্যার পর আন্তর্জাতিক সহানুভূতির সুযোগ নিয়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল রাষ্ট্র। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে নাকবা, ফিলিস্তিনি গণউচ্ছেদ। প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। এ ক্ষত এখনো গভীরভাবে ফিলিস্তিনি সমাজে রয়ে গেছে।পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। এ দখলদারিত্ব শুধু একটি ভৌগোলিক পরিবর্তনই নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকেও চিরস্থায়ীভাবে সংকটে ফেলে দেয়। এরপর থেকে দখল, অবরোধ, বসতি স্থাপন ও দমননীতি হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন বাস্তবতা।
আজকের ফিলিস্তিন সংকট তাই কেবল বর্তমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফসল নয়। এর মূল নিহিত রয়েছে ঔপনিবেশিকতা, জায়োনিজম, আন্তর্জাতিক শক্তির পক্ষপাতমূলক নীতি এবং কয়েক প্রজন্ম ধরে চলা দখলদারিত্বের গভীর ইতিহাসে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা প্রমাণ করেছে মানবতার যাত্রাকে বন্দি করা যায় না। ইসরায়েলের বন্দুক হয়তো নৌকা থামাতে পারে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবিক বিবেকের যাত্রা থামাতে পারে না। আজ প্রশ্ন একটাই আমরা কি নীরব দর্শক হয়ে থাকব, নাকি ইতিহাসের সক্রিয় অংশীদার হব? আগামী প্রজন্ম আমাদের বিচার করবে এই ভিত্তিতে যে আমরা অবরুদ্ধ গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম কিনা। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা তাই শুধু একটি নৌযাত্রা নয় বরং এটি মানবিক প্রতিরোধ, বৈশ্বিক সংহতি এবং নৈতিক শক্তির উজ্জ্বল প্রতীক। হয়তো একদিন এই মানবিক যাত্রাই হয়ে উঠবে গাজার মুক্তির বার্তা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৭
ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ তবে আমি গাও গ্রামের পোলা --!!
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
যখন ঐতিহাসিক কিছু লিখখেন, সেই বালছালকে সঠিকভাবে লিখবেন, যাতে সবকিছু থাকে।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১
বিজন রয় বলেছেন: এসব করে ইসরাইলকে থামানো যাবে?
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: সিরিয়া
আপনার পোষ্ট সুন্দর ও ভালো হয়েছে, বলতে হয় বালছাল পোষ্ট।
সবই ঠিক আছে, শুধু নেই ১টি যুদ্ধ; ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে যখন ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা করলো ১৫ই মে সাকালে দেশটিক মিশর, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন ও ইরাক আক্রমণ করে; এই বালছাল কি বলার দরকার ছিলো না?
আর ১টা শব্দ বাদ পড়েছে, সেটা হলো আপনার নাম, "হামাস"।