নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। তারপর গল্প, উপন্যাস। এ যাবত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২১ টি।

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান

আমি পেশায় একজন প্রকৌশলী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখির শুরু। আমার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:কাব্য: ০১। ছোট্ট একটি ভালোবাসা উপন্যাস: ০২। ভ্যালেন্টাইনস্ ডে (ভালোবাসাবাসির স্মৃতিময় দিনগুলি) ০৩। অবশেষে...(অবশেষে হৃদয়ের টানে) ০৪। বন্ধন (যে বন্ধন শুধু কাছেই টানে) ০৫। স্বপ্ন (যাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে) ০৬। আঁচলে...(যাদের ভালোবাসা আঁচলে বন্দি) ০৭। গডফাদার-০১(দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি) ০৮। গডফাদার-০২ ০৯। গডফাদার-০৩ ১০। দুর্নীতিবাজের ডায়েরি (একজন দুর্নীতিবাজের আত্মকাহিনী) ১১। দাগ (এই দাগ হৃদয়ের, এই দাগ সমাজের) ১২। প্রিয়ন্তী (সংস্কারের প্রাচীর ভাঙা এক তরুণী) ১৩। তবুও আমি তোমার (একটি অসম প্রেমের কাহিনী) ১৪। খুঁজে ফিরি তারে (যে হৃদয় শুধু তাকেই খুঁজে) ১৫। সেই ছেলেটি (কিশোর উপন্যাস) ১৬। অপেক্ষা (পথ চেয়ে থাকা এক তরুণীর কাহিনী) মোবাইল-০১৭১৮১৫৭০৭৬ email:[email protected]

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপার বিয়ে-০১

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

ক’দিন থেকে রূপা অসুস্থ বোধ করছে, মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে, সবসময় একটা বমি বমি ভাব লেগেই আছে, সে লক্ষ্য করেছে তার শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তনও শুরু হয়েছে। কাকে বলবে রূপা তার এই অসুস'তার কথা? তার মনে হচ্ছে এটা যেন অন্যরকম অসুস্থতা, অন্যরকম কষ্ট, যার সঙ্গে সে কোনোদিনই পরিচিত না। তবে কি সেদিনের পর থেকে, সেদিন তমালের সঙ্গে-
না, না আর ভাবতে পারছে না রূপা। তবে কি সে তার শরীরে তমালের অস্তিত্ব লালন করছে? সে কি মা হতে চলেছে? তমালের সন্তানের মা!!
কিন্তু তমালের সঙ্গে তো তার বিয়ে হয়নি, তমাল যদি তাকে অস্বীকার করে? খালা আম্মা, খালু যদি অসতী বলে তাকেই দোষারোপ করে? না, আর ভাবতে পারে না রূপা, তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে।
আজ সকাল থেকেই রূপা ভাবছে এই কথাটা সে প্রথমে তমালকেই বলবে, কারণ তমালের সঙ্গে মেলামেশা করার কারণেই তার মধ্যে এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তমাল কলেজ থেকে এসে কাপড় ছাড়লো। রূপা তমালের কাছে কথাগুলো কীভাবে উপস্থাপন করবে সাজিয়ে নিলো তারপর তমালের রুমে ঢুকলো, কী রে কেমন আছিস্‌?
রূপার বুকটা কাঁপছে, তার মুখ শুকিয়ে গেছে, সে শুষ্ক মুখে বললো, আমি ভালো নেই।
কেনো?
আমার শরীরটা খুব খারাপ করছে।
মাকে বলিস্‌নি? ডাক্তার দেখাতো।
কিন্তু আমি ভাবছি কথাটা আগে তোমাকে বলবো।
কেনো?
রূপা তমালের কাছে গেলো। গা ঘেঁষে বসে একটা হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললো, তমাল চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি।
বিয়ে!
হ্যাঁ বিয়ে।
হঠাৎ করে তোর মাথায় আমাকে বিয়ের চিন্তা এলো কেনো? তোর বিয়ের জন্য তো গ্রামের বাড়িতে ছেলে দেখা হয়েছে, তোর বাবা আসছে তোকে নিয়ে যেতে, সেখানে তোর বিয়ে হবে।
রূপা যেন আকাশ থেকে পড়লো। তার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো, দু’চোখ অন্ধকার হয়ে এলো। মুহূর্তেই তার কণ্ঠস্বর শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো, কিন্তু তুমি যে বলেছিলে আমাকে বিয়ে করবে?
ও তুই সেকথা ধরে আছিস্‌?
এখন তুমি এভাবে বলছো!! আমি তোমার কথায় বিশ্বাস করে তোমাকে সবকিছু উজাড় করে দিলাম আর এখন তুমি, তুমি আমাকে অস্বীকার করছো, তাহলে আমি যাবো কোথায়? আমার অসুস্থতার কারণও যে তুমি বলতে বলতে রূপা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লো।
মানে!
মানে আমার পেটের ভিতর তোমার সন্তান বড় হচ্ছে, সেটা তোমার সন্তান, তুমি যদি অস্বীকার করো তবে আমি খালা আম্মাকে, খালু আব্বাকে সব কথা বলবো।
কী বলবে?
বলবো তমাল আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আমার সর্বনাশ করে এখন আমাকে অস্বীকার করছে।
তমাল রেগে গেলো, তুই আমাকে জিম্মি করছিস্‌?
জিম্মি করছি না আমি যা বলছি, সত্যি বলছি।
বল্‌, তুই তোর খালা আম্মাকে বলবি আর খালা আম্মা তোর কথা বিশ্বাস করলো।
রূপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
আরো কয়েকদিন কেটে গেলো। একদিন সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ করে রূপার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। তারপর বমি। তার বমির শব্দ শুনে ইয়াসমিন তার রুম থেকে বেরিয়ে এলো। তাকে হাত ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বললো, এ্যাসিডিটিটা বেড়ে গেছে? তোর তো সাধারণত এমন হয় না। বলে সে তার রুম থেকে একটা ঔষধ এনে দিয়ে বললো, এটা খেয়ে একটু শুয়ে থাক্‌, ঠিক হয়ে যাবে।
রূপা তবুও কিছু বললো না। ইয়াসমিনের কথামতো ঔষধ খেয়ে বিছানায় শুয়ে থাকলো কিন্তু বমি বন্ধ হলো না। রূপাও কিছু বললো না, সে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তার খালার দিকে তাকিয়ে রইলো।
পরদিন সকালবেলা ইয়াসমিন রূপাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। ডাক্তারের কাছে রূপা তমালের সঙ্গে তার মেলামেশার কথা গোপন করলো। ডাক্তার রূপার চোখ, জিহবার নিচে পরীক্ষা করে বললো, প্রস্রাব হলুদ হয়?
রূপা বললো, না।
মুখে সবসময় অরুচি লেগেই থাকে?
রূপা মাথা নেড়ে সায় জানালো।
ডাক্তার ইয়াসমিনকে জিজ্ঞেস করলো, পেশেন্ট আপনার কে হয়?
ইয়াসমিন বললো, আমার আত্মীয়, মানে আমার বাসায় থাকে।
বিবাহিতা?
চলবে...
আমার সব লেখা একসঙ্গে পড়তে ভিজিট করুন: http://www.writerzillur.com

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: Valo

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

এমএম মিন্টু বলেছেন: ++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: শুকরিয়া।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চলবে...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

ঔপন্যাসিক জিল্লুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার প্রেরণায় রূপা চলবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.