| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই আদিকাল হতে আজ অবদি যুগে যুগে পৃথিবীতে এমনসব ব্যক্তিবর্গের আগমন ঘটেছে যাঁদের মাধ্যমে জাতি পেয়েছেন স্বাধীনতার স্বাধ , পেয়েছেন মুক্তির সনদ।মূলত কোন জাতিরই জাতীয় সত্বা আপনা আপনি গড়ে উঠে না,গড়ে উঠে ইতিহাসখ্যাত মহানায়কদের ত্যাগ তিতিক্ষা,তাদের মহানুভবতার মাধ্যমে। আমাদের বাঙালি জাতির জাতীয় সত্বাও গড়ে উঠার পিছনে ইতিহাসখ্যাত মহানায়কের ভুমিকা রয়েছে।তিনি শেখ মুজিবর রহমান,তিনি বাঙ্গালির গৌরব,তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।এই তিনিই হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির কাণ্ডারি,বাঙালি জাতীয় ইতিহাসের মহানায়ক।
সেদিনের সে অন্যের গোলাম বাঙালি আজ যে বিশ্বের দরবারে নিজেদের মুক্ত স্বাধীন বলে দাবি রাখার যোগ্যতা রেখেছেন তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সেই মহান মানুষটির জন্য।বলা হয়ে থাকে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মই হয়েছে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাধ দেওয়ার জন্য।তিনি এমনি একজন মানবপ্রেমিক ছিলেন, যিনি সর্বদা ব্যাক্তি স্বার্থের কথা তোয়াক্কা না করে দশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেমন লোক ছিলেন তার কিছু ঠাওর করতে পারি আমরা আমেরিকার বিখ্যাত সাময়িকী নিউজ উইকের প্রথিতযশা সাংবাদিক লরেন্স জেকিংসের বক্তব্যের মাধ্যমে।লরেন্স বলেন যে, যেসব গুণে গুণান্বিত হলে একজন মানুষ জাতীয় নেতা হিসেবে অাবির্ভুত হতে পারেন,তার সবটুকু বিদ্যমান ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে। শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, “এ জগতে কেউ কেউ জন্মগতভাবে মহান, কেউ মহত্বের লক্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, আবার কেউ স্বীয় প্রচেষ্টায় মহানুভবতা অর্জন করেন”আমরা এই ৩টি বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন ছিল এ দেশের।মানুষের সুখ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষে এক গভীর সংগ্রামী দর্শন।এই দর্শনের ভিত্তিমূলে ছিল,এক।ঐতিহাসিক বিশ্বাস।এ দর্শনের স্পষ্ট প্রতিফলন তাঁর সপ্নের সোনার বাংলার তৈরীর স্বপ্ন,দুখীদের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন, শোষণ - নিপীড়ন মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এমন একজন মানবপ্রেমিক ছিলেন যে কিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টুকু কাটিয়েছিলেন কারাগারে তাই কিউবার প্রেসিডেন্ট বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো যথার্থই বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি,আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট (১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে) বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার শক্তি কোথায়?’বঙ্গবন্ধু সে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি।’ ‘আর আপনার দুর্বল দিকটা কী?’ বঙ্গবন্ধুর উত্তর ছিল, ‘আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসি।’ এমন গুণের অধিকারীই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তির ওপর অপারআস্থা-বিশ্বাস, মানুষের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা, মমত্ববোধ, সহমর্মিতার বিরল দৃষ্টান্ত সমৃদ্ধ মানুষ বঙ্গবন্ধু।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স।ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর অবিনাশী মহাকাব্য সমাপ্ত করেছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’একজন মহান নেতার কয়েকটা বাণীই যে পারে জাতিকে স্বাধীনতার স্বাধ দিতে, তার প্রমান পাই আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে।তিনি যে বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন তার দৃষ্টান্তও মেলে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে। আমাদের জীবনযাপনের প্রত্যেকটি মূহুর্তে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু। শিল্পে সাহিত্যে , সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সর্ব জায়গায় রয়েছে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম।একজন বিশাল হৃদয়ের মানবতাবাদী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিংশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্র নায়ক দৃঢ় চরিত্রর ও দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর চরিত্র বৈশিষ্ট্যে। সে সব ঘটনার মধ্যে অন্যতম ঘটনাটি দেশপ্রেমের উজ্জল ও শ্রেষ্ঠ উদাহরণটি হলো; দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সকল সেনাসদস্যকে বাংলাদেশের ভুখন্ড থেকে প্রত্যাহার করে নিতে একরকম বাধ্য হয়েছিল ইন্দিরা সরকার।এই থেকে মহান নেতার ব্যাক্তিত্বের প্রমান খুজে পাই আমরা।তিনি ‘ যুগান্তরের রাজনীতি ’ করেছিলেন। শৈশব - কৈশোর , যৌবন থেকে বেড়ে উঠেছিলেন সাফল্যের ইতিহাস তৈরীর জন্য। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় শেখ মুজিব পরিণত হয়েছেন মহানায়কে। সময় যত এগিয়ে যাবে , বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিনই শ্রদ্ধার সঙ্গে , হৃদয়ের গহীন থেকে উচ্চারিত হবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতার বাণী ,বঙ্গবন্ধু মানেই শ্যামল, সবুজ বাংলাদেশ।ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণপুরুষ এবং বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, যে বিশেষণে বাংলার বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষায়িত করি না কেন।বঙ্গবন্ধু, আপনার কাছে বাঙালি জাতি আজনমের জন্য ঋণী। এক কথায় বঙ্গবন্ধু অতুলনীয়,তিনি হলেন বাঙালির জাতীয় ইতিহাসের মহানায়ক।সর্বশেষ কবি কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান'। 
©somewhere in net ltd.