দুর্ধর্ষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজারবাগ শরীফঃ যুগশ্রেষ্ঠ ওলী-আল্লাহর দরবার শরীফ (২)

১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৪

 আচ্ছা ভারতীয় উপমহাদেশে পীর সাহেবেরা কেন শক্ত স্থান দখল করে ছিল?

- অনেকে ভারতীয় উপমহাদেশে পীর-মুরিদি বেশি দেখতে পান। কিন্তু এর কারণ আছে। ইসলাম মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে ইলিয়াস সাহেবের তাবলীগী করেও আসে নি, আবার মওদূদী-নিজামী-সাঈদীর রগ কাটা বাহিনীর জালাও পোড়াও করেও আসে নি। ইসলাম এদিকে এসেছে ওলী-আল্লাহদের হাত ধরে, পীর-মাশায়িখদের, সূফী-দরবেশদের হাত ধরে এসেছে। তাই আল্লাহর ওলীদের মাজার শরীফ বিভিন্ন স্থানেই চোখে পড়ে যায়, সুবহানাল্লাহ। ইসলাম যাদের মাধ্যমে এসেছে, যাদের মাধ্যমে কাফিরেরা কুফরী ছেড়ে দিয়ে মুসলমান হল, তাদের দেখানো পথেই তো মানুষ সিরাতাল মুস্তাকীমের পথ খুজবে, সেটাই কি স্বাভাবিক নয়!

 কিন্তু, তার মানে কি এই যে, শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই পীর আছে, সারা পৃথিবীতে আর কোথাও পীর নেই?

-আচ্ছা, ইসলামের ইতিহাস কি একটু শুনাতে পারবেন? সারা পৃথিবীতে ইসলামের ভ্রমণের ইতিহাস কি বলতে পারবেন? ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস খুব বেশি দীর্ঘকাল ছিল না। আর ইসলামের বয়সও তুলনামূলক খুব বেশি নয়। আরব মহাদেশ ছাড়িয়ে ইসলামকে সুদৃঢ়ভাবে শুধু স্পেনেই দেখতে পাওয়া যায়, যেটাও অবহেলায় মুসলমানেরা হারিয়েছে। যখন এক দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আরেক সীমানায় ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে, সেখানে ইসলাম পায়ে হেটে যায় নি। বরং সেখানে ইসলাম অবশ্যই কোন একজন ওলী-আল্লাহর হাত ধরেই নতুন জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে। কখনও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, কখনও শুধু তালীম-তালকিনের মধ্য দিয়েই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু কুরআন শরীফ তো বাজারেই পাওয়া সম্ভব, তাহলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কেন ব্যক্তি বিশেষের প্রয়োজন? মূলত, কিতাবে ইলম পাওয়া যায়, কিন্তু পীর মাশায়িখেরা ইলমের নূর বহন করেন। তাই যুগে যুগে ইসলাম পীর-মাশায়িখদের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছে। আর মুসলমান জগতে নক্ষত্রের উদাহরণ দিতে গেলে, কোন ব্যক্তির নাম বলা সম্ভব যিনি পীর বা মুরীদ ছিলেন না! মূলত হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জুননুন মিছরি রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে পীর ছিলেন না! উনাদের সকলের অবস্থান তো ভারতীয় উপমহাদেশে ছিল না। মূলত পীর-মুরিদি তো ব্যবসা নয়। মুরীদকে পীর সাহেব ইসলামের নূর শিক্ষা দেন, অন্তর ইছলাহ করার তালিম দেন। আরব দেশ থেকে যে রাস্তা ধরে ইসলামের যাত্রা চলেছে সে রাস্তা পীর সাহেবদের হাতেই গড়ে ওঠা। আর সে রাস্তাগুলো যেসব এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, সেখানে স্পেনের মত দুরবস্থা বরণ করে নিতে হয়েছে। বর্তমান মুসলিম সমাজের করুণ পরিণতির জন্য সেই সূফী-দরবেশদের অনুপস্থিতি মূলত দায়ী। আর সমাজের দোষ হল, তারা ইসলামের ধারক-বাহক সেই সূফী-দরবেশদের সম্মান দিচ্ছে না।

 সাধারণ মানুষের কি পীর শব্দের সাথে এলার্জি আছে, নাকি রাজারবাগের পীর সাহেবের সাথে বিরোধ আছে?

- সাধারণ মানুষ তো সাধারণ। তারা স্রোতের সাথে মিলে থাকে। স্রোত যেদিকে তারাও সেদিকে চলে। তাই সাধারণ মানুষকে দোষ দেওয়ার কিছু নাই। সাধারণ মানুষ রাজারবাগী পীর সাহেবের বিরোধিতা করবে কোন দুঃখে। যদি সাধারণ মানুষের সাথে দ্বন্দ্ব থেকেই থাকে তবে সেটা পীর শব্দের সাথে। পীর শব্দ শুনলে বেশি নয়, কয়েক যুগ পূর্বেও সাধারণ মানুষেরা ভক্তি করত, শ্রদ্ধা করত। কিন্তু কি যেন একটা হল, পীর শব্দের সাথে হঠাত করেই এলার্জি ছড়িয়ে পড়ল।

 কিন্তু পীর শব্দের সাথে কেন এই এলার্জি?

- পীর শব্দের সাথে এলার্জি হওয়ার পেছনে চারটি কারণ রয়েছে। মূলত এই এলারজি কৃত্রিম। দুই শ্রেণী এই এলারজি তৈরীর জন্য দায়ী।

১) ওহাবী-খারিজি (যারা ওলী-আল্লাহ বিরোধী গোমরাহ)

২) কাফিরদের প্রচারিত মিডিয়া

আরেকটি কারণ রয়েছে- সেটা হল

৩) ওলী-আল্লাহর অপ্রতুলতা ও নিষ্ক্রিয়তা

৪) কিছু ভন্ড পীরের আবির্ভাব।

ওহাবী-খারিজি-আহলে হাদিছ এই সব গোমরাহ বাতিল ফিরকা মূলত কাফিরদের ষড়যন্ত্রের অবৈধ সন্তান। নতুবা ইসলামের ধারক-বাহক ওলী-আল্লাহ, পীর, গাউছ, কুতুবদের সাথে কি করে এরা দুশমনি করতে পারে! এরা সাধারণ মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে। আরেকটি সমস্যা হল সাধারণ মানুষের মধ্যে ফাসিক-ফুজ্জারের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নাটক-সিনেমা দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত। হয়তবা কথাটি খারাপ শুনায়, কিন্তু এটাই বাস্তব। আর নাটক-সিনেমাতে পীর সাহেবদেরকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। মহান ওলীয়ে মুর্শিদদেরকে অসম্মানের সাথে নাটক-বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হচ্ছে। তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও এভাবেই সূফী-দরবেশদের ব্যাপারে সামাজিক এলার্জির কৃত্রিম বিষ তৈরী করা হয়েছে। আর এই এলারজি নতুন মাত্রা পেয়েছে ভন্ড নামধারী পীরদের কারণে। যেমনঃ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরিপূর্ণ সুন্নতের অনুসারী ছিলেন এবং গান-বাজনা,বেপর্দা এবং মূর্তির বিপক্ষে ছিলেন।এবং ভারতীয় উপমহাদের ইসলামের আবাদ করেন।কিন্তু উনার মাযার শরীফে এখন উনার কথা বলে গান-বাজনা,বেপর্দা হয়ে থাকে। অনেক পীর মারিফতের ধুয়া তুললেও শরীয়তের নির্দেশ মানে না, তারাই মূলত ভন্ড। তবে ভন্ডদের ভন্ডামী তুলনা দিয়ে হক্বের বিরোধিতা করা নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

৩৪ টি +১/-১

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২২

আযাহার বলেছেন: এই গুলানের দাতভাংগা জবাব দিন।
Click This Link

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৯

দুর্ধর্ষ বলেছেন: ধীরে ধীরে দিব ইনশাআল্লাহ

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৪

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. এই লোকটি কি:
ক. হানাফি ছুন্নী রাজারবাগী মুছলিম?
খ. হাম্বলী/শাফেয়ী/মালেমী/ওহাবী ছুন্নী মুছলিম?
গ. খারেজী/রাফেজী মুছলিম?
ঘ.তাবলিগী মুছলিম?
ঙ. চিশতীয়া/ভান্ডারিয়া/সুরেশ্বরী/আটরশীয়া হানাফি ছুন্নী মুছলিম?
চ. কাদিয়ানী মুছলিম?
২. তিনি 'যুগ শ্রেষ্ঠ ওলী'কি নিজেই দাবি করেন না তার ভক্তরা বলেন?প্রমানই বা কি?
৩. মুরীদ্দের কাছ থেকে পয়সা খান?তার আয় রোজগার কি?
৪. স্ত্রী ক জন?ছেলে-মেয়ে কজন?
৫. জুব্বা-কাব্বা-আলখেল্লা পড়েন?লম্বা দাড়ী মাথায় সর্বদা পাকড়ী-টুপী পড়েন?
আশাকরি যথাযথ জবাব দেবেন।
বিনীত।

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৪

দুর্ধর্ষ বলেছেন: পরিচয় সমেত আরেকটি পোস্ট শীঘ্রই দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
*তিনি হানাফী মাযহাব অনুসরণ করেন এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আলিম।
*তিনি মুরীদদের টাকায় সংসার চালান না; কেঊ খুশি হয়ে হালাল কিছু হাদিয়া পেশ করলে তা গ্রহণ করা সুন্নত।
*তিনি সুন্নতের সূক্ষ্ম অনুসরণ করেন। এজন্যই লম্বা কোর্তা পরিধান করেন। বিশেষ মজলিসে জুব্বা পরিধান করে থাকেন।

সবচাইতে ভাল হয়, একদিন মুবারক সাক্ষাত নিয়ে আসুন

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৭

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৭

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: তথাকথিত ভুড়ি ও গর্দানওয়ালা ওলি আউলিয়ারা শাগ্রিদদের নজরানা দিয়া দিন গুজরান করে যাবে - এই কথা কৈ লিখা আছে? যাদের হাত ধরে ইসলাম এই উপমহাদেশে এসেছে তারা সবাই বৈরি পরিবেশে সংগ্রাম করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আর এখন কার রাজারবাগী দেওয়ানবাগী সাঈদাবাদী সব ভিক্ষুক ও প্রতারক।

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: নজরানা দিতে কইছে কে! ওলী-আল্লাহর দরবার শরীফে যাবেন আল্লাহ পাককে পেতে

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৩৯

আধারের কবি বলেছেন: লুল পুসট

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

কাঙাল বলেছেন: এত বড় পীরছাবের নাম এতদিন কেন শুনলাম না....... হায় রে হায়.....

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৭

দুর্ধর্ষ বলেছেন: এই যে আজ শুনলেন

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

কাঙাল বলেছেন: এত বড় পীর!

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১০

সকাল>সন্ধা বলেছেন: চমতৎকার লিখা চালিয়ে জান......!

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৩

রেড ওয়াইন বলেছেন: এইসব পোস্ট করে মাসে কত কামাই হয়?

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

দুর্ধর্ষ বলেছেন: প্রতি মাসে নেটের বিল আর সময় দিতে হয়

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৮

ৎায়ইাবুর বলেছেন: পীর ছাড়া বেহেশত পাওয়া যাইতো না?

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪০

দুর্ধর্ষ বলেছেন: যদি ঈমান ঠিক রাখতে পারেন। তবে পীর সাহেবের নূরানী পরশ থাকলে, মৃত্যুর সময় শয়তান নূরের তাজাল্লির কারণে ওয়াসওয়াসা দিয়ে ঈমানহারা করতে পারে না

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৯

ৎায়ইাবুর বলেছেন: পীর ছাড়া বেহেশত পাওন যাতো না?>??

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১২

ৎায়ইাবুর বলেছেন: ১।
মুরিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পির কি করেন?
২।
পির এরও পির থাকে। তারে ছাড়া নাকি পুলসিরাত পার হওয়া যাবে না। তাইলে আদম (আঃ) ?

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১২

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৫

দুর্ধর্ষ বলেছেন: কেউ কাউকে হাদিয়া করলে সেটার মালিক হাদিয়া গ্রহণকারী হয়ে যায়। পীর সাহেবরা কখনও হাদিয়ে পেশ করতে বলেন না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে দান করতে বলেন সুন্নত পালনের জন্য।

পীর হতে হলে একজন কামিল পীর সাহেবের কাছে বাইয়াত হতে হয়। কামালিয়াত হাছিল হয়ে গেলে তো উনার ওসীলায়ই বহু মানুষ হেদায়েত হয়ে পুলসিরাত পার হয়ে জান্নাতী হবে।

আর আদম আলাইহিস সালাম তো নবী। উনারা তো হাদী। উনারা মানুষকে হেদায়েতের জন্য আসছেন, তাহলে হেদায়েতের উপর ছিলেন না। তাহলে আর জান্নাতের বিষয়ে প্রশ্ন আসে কেন!!!

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেছেন: যে সকল পীর সাহেবরা ছবি তুলে, গান বাদ্য করে, মেয়ে মুরিদদের সাথে দেখা করে তারা ভণ্ড

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: যে মারিফত মারিফত করে, কিন্তু শরীয়তের তোয়াক্কা করে না, সে যিন্দিক

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৫

লজিক2010 বলেছেন: চমৎকার লিখছেন।চালিয়ে যান।
তবে পীর শব্দের সাথে কেন এই এলার্জি?আপনি যে ৩ টা কারন উল্লেখ করেছেন তার সাথে আমি আরো একটা কারন যোগ করলাম।১) ওহাবী-খারিজি (যারা ওলী-আল্লাহ বিরোধী গোমরাহ)
২) কাফিরদের প্রচারিত মিডিয়া
আরেকটি কারণ রয়েছে- সেটা হল
৩) ওলী-আল্লাহর অপ্রতুলতা
৪) কিছু ভন্ড পীরের আবির্ভাব। যেমন ধরেন, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরিপূর্ণ সুন্নতের অনুসারী ছিলেন এবং গান-বাজনা,বেপর্দা এবং মূর্তির বিপক্ষে ছিলেন।এবং ভারতীয় উপমহাদের ইসলামের আবাদ করেন।কিন্তু উনার মাযার শরীফে এখন উনার কথা বলে গান-বাজনা,বেপর্দা হয়ে থাকে।এইসবের তীব্র প্রতিবাদ জানাছি।

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

দুর্ধর্ষ বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি সাথে থাকবেন

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৩৭

সূ্র্য বলেছেন: আমি জানি আউলিয়া কিরামের দ্বারাই উপমহাদেশে সহ সারা বিশ্বে ইসলাম প্রচার ও প্রসার হয়েছে। এবং কেয়ামত পর্যন্ত তারাই ইসলামের সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন। তাহলে বর্তমান যুগে কি তিনিই সেই কাজটা করছেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে উনার পরিচয়, উনার আবির্ভাব ও ইতিহাস এবং উনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন প্লিজ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

দুর্ধর্ষ বলেছেন: সব যুগেই নাহক্বে‌র ফিতনা থাকবে। বর্তমান যামানায় বাতিলের ফিতনা থেকে মুসলমানের ঈমান আকিদা হেফাজত করার জন্য তিনি তাজদীদী মুখপত্র আল-ইহসান (http://al-ihsan.net/) ও আল-বাইয়্যিনাত শরীফে তাজদীদ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। কিতাব দুইটা পড়লে বুঝতে পারবেন যে, তিনি যে প্রকৃতপক্ষেই সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন, যা যুগে যুগে আউলিয়ায়ে কিরামগণ করে থাকেন।

উনার সম্পরকেঃ Click This Link

বিভিন্ন বিষয়েঃ http://www.allahwala13.blogspot.com/

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৮

তাজদীদ বলেছেন: ইসলাম মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে ইলিয়াস সাহেবের তাবলীগী করেও আসে নি, আবার মওদূদী-নিজামী-সাঈদীর রগ কাটা বাহিনীর জালাও পোড়াও করেও আসে নি। ইসলাম এদিকে এসেছে ওলী-আল্লাহদের হাত ধরে, পীর-মাশায়িখদের, সূফী-দরবেশদের হাত ধরে এসেছে।
- সহমত

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:২৬

দুর্ধর্ষ বলেছেন: জি আপনাকে ধন্যবাদ

১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:১০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম লেখক,
১. তাহলে আপনার গুরু 'মুছলিম'নন?বেদাত প্রযুক্ত ছুন্নী+হানাফি+আহলে ছুন্নত অল জামাতী + মুছলিম?যা রাছুল ও তার ঘনিষ্ঠ ছাহাবগণ ছিলেন না।
২. সাক্ষি পাওয়া গেল যে তিনি কোরানের আলেম নন!

আর একটি প্রশ্ন:
৩. তিনি কি হাদিছ মানেন?
বিনীত।

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

দুর্ধর্ষ বলেছেন: কি যে বলতে চাইলেন বুঝলাম না!!!
সালিশ-বৈঠক যাই হোক, তালগাছটা আমার, এভাবে করলে তো কথা বলা বৃথা।
আশা করি, আপনি কুরআন শরীফ, হাদিছ শরীফ, ইজমা, কিয়াস থেকে দলীল দেওয়া হলে মানবেন এবং যুক্তি দিলে তা বোঝার ক্ষমতা রাখেন

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১১

নুরুলইসলাম খান বলেছেন: ছালাম লেখক।
সহজ কথা বুঝলেন না? কীসের স্বার্থে??

আপনি বলেছেন: *তিনি (আপনার গুরু) হানাফী মাযহাব অনুসরণ করেন এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আলিম।

সহজ কথা হচ্ছে আপনার গুরু আল্লাহ-রাছুলের কোরানিক আদর্শ অনুসরণ না করে অনুসরণ করেন কোরান বহির্ভূত ২ নম্বরী মাযহাবের।
আপনার কাছে প্রশ্ন রাছুল কী বিভিন্ন বেদাত/মাযহাব প্রযুক্ত ছিলেন মুছলিম ছিলেন? যদি উত্তর না হয় তবে আপনার গুরু কীসের স্বার্থে/ভিত্তিতে রাছুল যেমন মুছলিম ছিলেন (সুন্নী মুসলমান, শিয়া মুসলমান, খারেজী মুসলমান, কাদিয়ানী মুসলমান, মাযহাবী মুসলমান, জামায়াতী মুসলমান, তাবলীগি মুসলমান ইত্যাদি দল-উপদল ব্যতীত) তেমন মুছলিম না হয়ে বেদাত/মাযহাব প্রযুক্ত গণের অনুসরণ করেন?? কেন কীসের স্বার্থে আপনার গুরু কোরআনের আলিম না হয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আলিম???
কোরানিক উত্তর দিবেন নিশ্চয়।
বিনীত।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১

দুর্ধর্ষ বলেছেন: কুরআন শরীফের দৃষ্টিতে মাযহাব গ্রহণ করা ফরয-ওয়াজিব Click This Link

আপনি বোধয় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত সম্পরকিত হাদিস শরীফ শোনেন নাই, এজন্য এরকম বোকার মত কথা বলছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হচ্ছে ৭৩ ফিরকার মধ্যে একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল।

আর শুধু কোরানিক কোরানিক উত্তর চাইছেন কেন!! যদি কোরানিক ও হাদিসিক উত্তর একসাথে দেই, তবে কি মানবেন না?

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৩৫

ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১২

দুর্ধর্ষ বলেছেন: wait to see

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ

full version


	নির্বাচিত পোস্ট \| লগইন \| রেজিস্ট্রেশন করুন \| রিফ্রেস

আমি আমার মত