![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আল-ইয়াছা ইরফান। বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের এক প্রান্তের ছোট্ট এক চিলেকোঠায় বসবাস করি। পড়ালেখা বলতে পৃথিবী নামক বিদ্যাপীঠে নিজেকে স্ব-শিক্ষিত করবার প্রচেষ্ঠায় আছি। মানুষকে স্ব-শিক্ষিত করা এবং তাদের মন-মানসিকতার উন্নয়ন ঘটানোয় আমার জীবনের লক্ষ্য। তাই বিপদ্গ্রস্থ কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে কাজ করে যায়(পথে ফেরানোর পথ)। কম সময়ের জীবনের এই খানিক বয়সে নিজের মাঝে আমি অসংখ্য স্বপ্নের জন্ম দিয়েছি। তাই কখনো আয়োজন করা ছবিয়াল, কখনো কবিয়াল, কখনো রাস্তার অন্যায় প্রতিরোধের নায়ক, কখনো নির্মাতা, কখনো বা মনোবিজ্ঞানী। এসবই করে কেটে যায় দিন লোকাল বাসে। মাঝে মাঝে কালির ছিটা পড়ে কাগজে। সেসব কালো রঙ এখানেও থাকবে। ভালোমন্দের বিষয় মন্তব্যে জানাবেন। পাশে থাকবেন। ভালোবাসবেন। ভালো রাখবেন।
পর্দার গেইট সরিয়ে ঢুকলেই
ছোট্ট উঠোন।
বাড়ির বারান্দাই দাঁড়ালেই দেখা যাবে
দুপাশে দুটো কাঠাল গাছ।
বরাবর যেন স্কেল টানা মাপে দাঁড়িয়ে আছে।
বাম পাশের কাঠাল গাছটা অল্প বয়সেই বেমানান রকমের লম্বা হয়ে গিয়েছে।
পাড়ার গাছ গুলো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আড়ালে।
তাদের প্রতি যত্ন বলতে-
দিনের রোদ,আর মেঘ-বৃষ্টি-জল।
এমন লম্বা আঁটসাঁট শরীরে ঋতুর দেখা মিললেই
আর কি রেহাই আছে?
সারা শরীর জুড়ে হলদে রূপ-লাবণ্য।
পাড়ার সকল গাছের নজর তখন আর সরেনা।
বছর ঘুরে যেতে না যেতেই
গায়ের চামড়া খসে পড়তে লাগলো।
গঠনে ফাটল ধরেছে বলে জীবনের বাকি আছে কি?- তা নিয়েই শঙ্কিত।
হলদে সৌন্দর্য ঝরে ঝরে যাচ্ছে যখন, বলে গিয়েছে-
"বাচবিনা তুই, ক্যান্সার হয়েছে গায়ে"
মরে গেছে সে গাছ।
গায়ের যত সৌন্দর্য ঝরে গিয়েছে।
পড়ে আছে মৃতদেহ ছোট্ট উঠোনের গায়ে।
ডান পাশের কাঠাল গাছটা কেমন যেন বেঁটে রকমের হয়েছে।
দিব্যি কেটে যাচ্ছে দিন।
পাড়ার অন্য গাছের নজর তাকে নাগাল পাইনি হইতো।
।। ।।
- আল ইয়াছা ইরফান।
২০/০৩/১৮ ইং
সকাল ১০ঃ৫০ মি।
©somewhere in net ltd.