নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

(পথে ফেরানোর পথ)তবে আমি কিন্তু আহামরি কেউ নই। সাধারণ পাঁচজনের আমি একজন। আমি নির্জন।পাওয়া যাবেঃ [email protected]

আল ইয়াছা ইরফান

আমি আল-ইয়াছা ইরফান। বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের এক প্রান্তের ছোট্ট এক চিলেকোঠায় বসবাস করি। পড়ালেখা বলতে পৃথিবী নামক বিদ্যাপীঠে নিজেকে স্ব-শিক্ষিত করবার প্রচেষ্ঠায় আছি। মানুষকে স্ব-শিক্ষিত করা এবং তাদের মন-মানসিকতার উন্নয়ন ঘটানোয় আমার জীবনের লক্ষ্য। তাই বিপদ্গ্রস্থ কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে কাজ করে যায়(পথে ফেরানোর পথ)। কম সময়ের জীবনের এই খানিক বয়সে নিজের মাঝে আমি অসংখ্য স্বপ্নের জন্ম দিয়েছি। তাই কখনো আয়োজন করা ছবিয়াল, কখনো কবিয়াল, কখনো রাস্তার অন্যায় প্রতিরোধের নায়ক, কখনো নির্মাতা, কখনো বা মনোবিজ্ঞানী। এসবই করে কেটে যায় দিন লোকাল বাসে। মাঝে মাঝে কালির ছিটা পড়ে কাগজে। সেসব কালো রঙ এখানেও থাকবে। ভালোমন্দের বিষয় মন্তব্যে জানাবেন। পাশে থাকবেন। ভালোবাসবেন। ভালো রাখবেন।

আল ইয়াছা ইরফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংগালিয়ানা নগ্নতা না

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

যখন সময় বদলায়, তখন সবই বদলায়। বদলে যাওয়া পরিবেশে পুরোনো কিছু সত্যিকার অর্থেই আকর্ষণীয়। এই কথার যুক্তি আছে। আর যুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেকে ব্যবসা করে যায়। তারা সফল ব্যবসায়ীও বটে।
পথে প্রান্তরে ঘুরতে ফিরতে এখন হাজারো ব্র‍্যান্ডের সাথে আমরা রোজ ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছি। অমুক ব্র‍্যান্ড, তমুক ব্র‍্যান্ড।

বাংগালদের চালচলন যে রীতি বা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়, সেই সংস্কৃতিকে বলা হয় বাংগালিয়ানা। (আমার মতে)

সেই বাংগালিয়ানাকে যখন রোজরোজ ধর্ষণ করা হয়। তখন সে ধর্ষণ আর ধর্ষণ প্রক্রিয়াকে আমরা চোখের নজরে প্রাধান্যতার গুণাংকে প্রাধান্য দিয়েই যায়। কিন্তু, প্রয়োজনীয় তৃপ্তির বিষয়টা নজরের আড়ালেই চাপা পড়ে।

দেশের বর্তমান নামকরা কিছু পোশাক ব্র‍্যান্ড বাংগালিয়ানাকে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে নগ্নতায় পরিণত করে। বাংগালিয়ানা কোনো নগ্নতা না। এটা একটা অনুভূতির নাম। যে সংস্কৃতি গায়ে মাখলে মনের তুষ্টি পাওয়া যায়।
কিন্তু, এর বিপরীতে বর্তমানের এসব ব্র‍্যান্ডের বাংগালিয়ানা বিজ্ঞাপন তুষ্টির বদলে উত্তেজনা আর ক্ষনিকের তৃপ্তির উপলব্ধি দেয়।


একজন বাংগালি নারীর কাছে সবচেয়ে বড় সম্বল হলো তার ইজ্জত আর স্বামী। ইজ্জত বা সম্মান জিনিসটা নারীর কাছে অতিশয় স্পর্শকতার বলেই সেই সম্মান বা ইজ্জত রক্ষার লক্ষ্যে তার স্বামীকে ঢাল মনে করেন।
এই স্বাভাবিক চিন্তাধারার জের ধরে যখন কথা ফেরত আসে ব্র‍্যান্ডের বাংগালিয়ানায়। তখন বিষয়টা দাড়ায়- " আমার মায়ের গায়ের আচঁল খুলে নেয়া"
বাংলাকে আমরা মায়ের ভাষা বললে, সেই বাংলার সংস্কৃতিকে মা বলতে আমার দ্বিধা হবেনা।
আর বর্তমানে এসব ব্র‍্যান্ড গুলো নাটকীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে যাচ্ছে আমাদের সংস্কৃতিকে। আমাদের 'মা' কে।

চেতনার তেজ দেখাতে আমাদের মুখে সবসময় একাত্তরের কথা লেগেই থাকে। মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বলে রাগে ফেঁপে উঠে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধ করার মত চেতনাও আমাদের মাঝে কম দেখা যায়না।

কিন্তু, আমার দেশে আমার মায়ের ইজ্জত যে প্রতিনিয়ত লুট হচ্ছে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামায়না।

জানিনা এর প্রতিকার কখনো হবে কিনা। তবে ধিক্কার সেসব ব্র‍্যান্ডের প্রতি আর সেসব ফটোগ্রাফার দের প্রতি। যারা সামান্য টাকা আর নারীর লোভনীয় শরীরে হাত দেওয়ার জন্য এসব কাজ করে থাকে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.