![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দলের নেতারাই আওয়ামী লীগের ক্ষতি করেছে বেশি: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী দলের সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ করে বলেছেন, দলকে তো আমরাই ডুবিয়েছি। দলের বড় বড় নেতারা সংসদে দাঁড়িয়ে যেভাবে মন্ত্রীদের সমালোচনা করেন, বিরোধী দলের নেতারাও এমন সমালোচনা করে না। বিরোধী দল যতটা না আওয়ামী লীগ ও সরকারের ক্ষতি করেছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের দলের নেতারা।
মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে ২২তম সংসদীয় দলের সভায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধনমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন বলে বৈঠক উপস্থিত একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সুত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংসদীয় পদ্ধতিতেই হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতোই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।
বৈঠক সুত্র আরো জানায়, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বাগত ভাষণের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলের সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে অধিকাংশ সংসদ সদস্যই হতাশার কথাই শোনান। তারা বলেন, যত কথাই বলেন সারাদেশে সাংগঠনিক অবস্থা চরম খারাপ। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সারাদেশে চরম আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থা বিরাজ করলে আগামীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়লাভ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, মৌলভীবাজারের সৈয়দ মহসিন আলী, চট্রগ্রামের শামসুল হক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারাফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের গোলাম দস্তগীর গাজী, সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা প্রমুখ।
টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন বলেন, “নেত্রী সারাদেশে দলের সাংগঠনিক অবস্থা চরম নাজুক। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চারা দিয়েছে। এ অবস্থার কারণেই পাঁচটি সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ করতে না পারলে জাতীয় নির্বাচনে ভাল ফল পাওয়া যাবে না।”
বৈঠক সুত্র জানায়, দলীয় সংসদ সদস্যের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দুরত্ব নিরসন করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে দলের মনোনয়ন দেয়া হবে তৃণমূলের মতামতে। তৃণমূলে যার নাম আগে আসবে তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। এছাড়া ঈদের পর তৃণমূলের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করা হবে। জেলা নেতাদের ডেকে এনে ১০টি করে প্রশ্ন দেয়া হবে। সে প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করেই দলীয় প্রার্থী ঠিক করা হবে।
সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হবে তা আমি জানতাম। যে প্রার্থীকেই ফোন করেছি, তারাই বলেছে, ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে আমি জয়লাভ করবো। এত ওভার কনফিডেন্স দেখে আমি অনুমান করেছিলাম কেউই জিততে পারবে না। তবে ফলাফল মেনে নেয়ার মতো মানসিকতা ছিল। গাজীপুরের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আমাদের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই মাঠে নামেনি। তারা সঠিকভাবে কাজ করলে দলীয় প্রার্থী জয়লাভ করতো।
দলীয় সংসদ সদস্যদের তিনি বলেন, আপনারা সরকারের উন্নয়ন নিয়ে জনগণের কাছে যান। বর্তমান সরকারের এবং বিগত সরকারের উন্নয়নের চিত্রতুলে ধরুন।
তথ্যের প্রমান দেখতে চান
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
ইয়াংেমন বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন ভাই...
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
শহীদুল্লাহ খান বলেছেন: শেয়ার মর্কেট, পদ্মা সেতু এবং ছাত্রলীগ এই তিনটির সংশ্লিস্ট বিষয় লীগকে ডুবাচ্ছে। বাকীগুলো গতানুগতিক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০
ইমরুল_কায়েস বলেছেন: উনি নিজেই তাদের মধ্যে অন্যতম