নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াংেমন

বিচার পাই বা না পাই, অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাব।

ইয়াংেমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো জেনে নেই

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

কোলেস্টেরল রক্তের এক ধরনের উপাদান, যা রক্তে মিশে থাকে এবং রক্তের সঙ্গে রক্তনালি দিয়ে সারা শরীরে চলাচল করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ রক্ত থেকে কোলেস্টেরল সংগ্রহ করে বিভিন্ন রকম হরমোন ও প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করে থাকে। সুতরাং কোলেস্টেরল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বিজাতীয় রক্তের উপকরণ, যা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত প্রয়োজন, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত হলে তা রক্তনালিতে জমে যায়। রক্তনালিতে জমে গেলে রক্তনালি সরু হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের রক্তনালিতে জমলে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক; মস্তিষ্কের রক্তনালিতে জমলে স্ট্রোক, কিডনির রক্তনালিতে জমলে কিডনি ফেইলুর—এ রকম অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।



কোলেস্টেরলের রকমফের

কোলেস্টেরলের আবার ভাগ আছে, যেমন— এলডিএল, এইচডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইড। এলডিএল শরীরের জন্য সবচেয়ে খারাপ কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে বেশি। এইচডিএল শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল, রক্তনালিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়, আর ট্রাইগ্লিসারাইড রক্তে বেশি থাকলে অগ্ন্যাশয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে, আবার হার্টেও সমস্যা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই রক্তের বেশি কোলেস্টেরল পারিবারিকভাবে পেয়ে থাকে, কখনও কখনও জীবনযাপন পদ্ধতি এর জন্য দায়ী।



বিভিন্ন কোলেস্টেরলের নিরাপদ মাত্রা

সর্বমোট কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৭০ মিলিগ্রামের নিচে, এলডিএল কোলেস্টেরল ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রামের নিচে, আর ট্রাইগ্লিসারাইড ডেসিলিটারে ১৫০ মিলিগ্রামের নিচে। ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা ডেসিলিটারে ৪০ মিলিগ্রামের ওপর রাখা ভালো।

আমরা কীভাবে রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, তা জানা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে; দিতীয়ত, ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আমরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।



জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তন

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

— খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফলের পরিমাণ বাড়াতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। খোসাসহ সবজি খাওয়া ভালো।

— খাদ্য তালিকা থেকে প্রাণিজ চর্বি বাদ দিতে হবে, যেমন—খাসির মাংস, গরুর মাংস, মুরগির চামড়া, কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম, চিংড়ি মাছ প্রভৃতি।

— রান্নায় কম তেল দিতে হবে। তেলে ভাজা খাবার কম খেতে হবে। ভাপে সেদ্ধ, গ্রিলড খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

— ঘি, মাখন, পনির, মেয়নেজ, সালাদ, ড্রেসিং খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

— রিফাইন্ড খাবার বাদ দিয়ে ‘র’ খাবার খেতে হবে (যেমন—জুসের বদলে ফল, ভুসিসহ লাল আটা)।

— শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে

— প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন জোরে জোরে হাঁটতে হবে।

— বাসার টুকটাক কাজ নিজের হাতে করার অভ্যাস করতে হবে।

— কাছাকাছি জায়গায় রিকশা না নিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।

— ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। তামাক বাদ দিতে হবে।

— ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তনের দু-তিন মাস পরও যদি রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, যাদের পারিবারিকভাবে রক্তে অধিক কোলেস্টেরলের প্রবণতা আছে, তাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা অন্যদের চেয়ে অনেক কঠিন। তাই তাদের অনেক বেশি চেষ্টা করতে হবে।

বাজারে তিন-চার রকমের কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ আছে। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার জন্য যেটা উপযোগী, তা খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলোকেও মানতে হবে। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগ, ব্রেইন স্ট্রোক ও কিডনি ফেইলুরের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। মনে রাখতে হবে, প্রতিরোধ সব সময়ই প্রতিকারের চেয়ে ভালো



পুরো তথ্য গুলো এই খান থেকে নেয়া

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

ক্লিকবাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই এইগুলা করতে পারতাম না। এছাড়া আর কি আছে কন দেখি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

ইয়াংেমন বলেছেন: এই গুলা না করতে পারলে মান্দার গাছ এর সাথে ডলাডলি করেন দেখবেন এমনিতেই কইমা যাইব।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

সাদা পাখি বলেছেন: +

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

মায়াবী ছায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ।।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

ইয়াংেমন বলেছেন: আপনাকে ও ধইন্যা...

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২২

পড়শী বলেছেন: কোলেস্টেরলের ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আপনার জীবন কে দূর্বিষহ করে ফেলতে পারে। তাই কোলেস্টেরলের ওষুধ পরিহার করুন যে কোন ভাবে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: কাজের একটা পোস্ট।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

ইয়াংেমন বলেছেন: ঠিকমত পালন করলেই ভালো..

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

বাহ্ খুব কাজের পোস্ট ।
শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ।



মান্দার গাছের সাথে ঘষাঘষি করলে ..............হাহাহাহা

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

ভিটামিন সি বলেছেন: মান্দার গাছের সাথে ডলাডলি করলে তো ভিটামিন সি বাইর হইয়া যাইব। কোলেষ্টেরল তো কমত না। কিভাবে কোলেষ্টেরল কমবো হেইডা কইন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.