নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

facebook.com/yousuf.khan221b

ইউসুফ খান

\"যদি তুমি নাহি বোঝো আমার নীরবতা, বুঝিবেনা-এর আড়ালে লুকিয়ে থাকা কথা\"\n©না জিগায়া কপি করিবেন না,পিলিজ©

ইউসুফ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অ্যালান কোয়াটারমেইন"/(MACHUMAZAHN)- স্যার হেনরি হ্যাগার্ডের পৃথিবী-বিখ্যাত একটি কাল্পনিক চরিত্র...

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

অ্যালান কোয়াটারমেইন-

নামটির সাথে অনেকেই হয়তো পরিচিত। ডয়েল সাহেবের বিখ্যাত 'শার্লক হোমস' এর মতই এটিও একটি কাল্পনিক চরিত্র। ১৮০০ শতাব্দির শেষ দিকের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অনুপ্রেরনা যোগানো কাল্পনিক একটি চরিত্র 'অ্যালান', যাকে সর্বকালের সেরা অ্যাডভেঞ্চারাস চরিত্রও ধরা হয়।



এর জনক 'স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড'।

'হ্যাগার্ড' সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। পৃথিবীর অন্যতম একজন সেরা অ্যাডভেঞ্চার লেখক তিনি। তার লেখা কাহিনীগুলো যারা পড়েছেন তারা ভালো করেই জানেন, কি পরিমান টগবগে উত্তেজনা থাকে তার লেখায়। সাহিত্যে 'লস্ট ওয়ার্ল্ড' সেক্টরটির জন্মদাতাও কিন্তু হ্যাগার্ড। তিনি মূলত একজন ইংলিশ লেখক। ১৮৫৬ সালের ২২ জুন ইংল্যান্ডের নরফোকে তার জন্ম। জীবনের খুব বড় একটা সময় তিনি আফ্রিকায় কাটান। তাই আফ্রিকার প্রতি তার এক ধরনের গভীর ভালবাসা তৈরি হয়। সে কারনেই তার বেশিরভাগ লেখাগুলো আফ্রিকা কেন্দ্রিক।

'অ্যালান কোয়াটারমেইন'- তার তৈরি একটি অমর চরিত্র। 'শার্লক হোমসকে' যেমন পাঠকরা একসময় ধরে নিয়েছিলো সত্যিকার রক্ত- মাংশের মানুষ, ঠিক তেমনটি ঘটেছিলো অ্যালানের ক্ষেত্রেও।

পাঠকদের বিরাট একটা দল, ধরে নিয়েছিলো 'অ্যালান কোয়াটারমেইন' নামে সত্যিই কেউ আছে অথবা কখনও ছিলো।



অ্যালান কোয়াটারমেইন (Allan Quatermain)-

কোয়াটারমেইন চরিত্রটি মূলত একটি শিকারি চরিত্র, যার জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে, জীবনের প্রায় পুরো সময়টাই তিনি কাটিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকার বর্বর জংলীদের সাথে। ইংল্যান্ড শহরের তথাকথিত ভদ্র সমাজ, সুশীল ব্যাক্তিবর্গ তার ভালো লাগে না, যাদের সকল কাজের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের কৃত্তিমতা। তাই, এক সম্ভ্রান্ত ইংরেজ পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি দক্ষিন আফ্রিকার অন্ধকারাচ্ছন্ন সভ্যতাকে বেঁছে নেন জীবন কাটানোর জন্য। সখ্যতা গড়ে তোলেন সেই বর্বরদেরকে সাথে।

কালো জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার দুই ভাই ও তার মা একসাথে মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনাক্রমে বেঁচে যান 'অ্যালান' ও তার বাবা। শোকে পাথর হয়ে পড়া তার বাবা সভ্য জীবনের রুষ্টতা দেখে ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন দক্ষিন আফ্রিকায়। এখানে এসে তারা শুরু করেন নতুন জীবন। ছেলে 'অ্যালান' বেড়ে উঠতে থাকে বর্বরদের সাথে। ধর্মযাজক বাবার কাছে থেকে তিনি যাবতীয় সকল শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহন করেন। 'অ্যালানের' বাবা ততদিনে হয়ে ওঠেন আফ্রিকার জুলুল্যান্ডের বর্বরদের সর্দার। সবাই তাকে মন থেকে মেনে নেয় তাদের নেতা হিসেবে। এক সময় বৃদ্ধ হন তিনি। তার মৃত্যুর পর ছেলে 'অ্যালান' হন তাদের নতুন সর্দার। সাদা চামড়ার লোক হওয়া সত্ত্বেও বর্বররা তাকে গ্রহন করে নেয় নিজেদের রক্তের ভাই হিসেবে। স্থানীয় ভাষায় নাম দেয়- 'Macumazahn'- (Watcher-by-Night) যার বাংলা অর্থ- 'রাতের অতন্দ্র প্রহরী'।

তার নিশাচরতা আর প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারনেই মূলত বর্বররা তাকে এই নাম দেন। তার সঙ্গী হ্যান্স এবং আমস্লোপগাস, যারা বিপদে- আপদে সবসময় 'অ্যালানের' পাশে থাকেন। তারা অনেক অ্যাডভেঞ্চারে যান। সেগুলো নিয়েই 'অ্যালানের' গল্প। এইসব অ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়েই তার জীবন অতিবাহিত হয়। প্রেম, ভালবাসা, বিয়ে, স্ত্রি-বিয়োগ, বর্বরদের সাথে যুদ্ধ, অন্যায়ের প্রতিবাদ, হাঁসি- কান্না, ইত্যাদি সবকিছুর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তার পৃথিবী বিখ্যাত সব অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলো। সারাটা জীবন তিনি কাঁটিয়ে দেন শিকার আর অ্যাডভেঞ্চারের নেশায়।



'অ্যালান' মূলত একজন শিকারি যার নিশানা কখনই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। হ্যাগার্ডের বর্ণনা অনুযায়ী 'অ্যালান' ছিলেন মধ্যবয়স্ক ছোটখাটো অগোছালো এক মানুষ, যার মধ্যে মানুষকে আকর্ষণ করার মতো কিছু নেই। রুক্ষ দাড়িয়ে থাকা চুলগুলো কখনই আঁচড়াতেন না। মাথায় থাকতো হান্টার হ্যাট, আর সারা মুখভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি। তিনি তার জীবনে অনেকগুলো অ্যাডভেঞ্চারে গিয়েছেন। অনেক কিছু শিকার করেছেন। সেই শিকার কাহিনীগুলো এখনও সারা পৃথিবীর পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে। যেই কাহিনীগুলো পড়তে গেলে গায়ের লোম সব দাড়িয়ে যায়। এতটা উত্তেজক আর রোমাঞ্চক সেই কাহিনীগুলো। সারা জীবন অ্যাডভেঞ্চার আর শিকারে কাঁটিয়ে 'অ্যালান' বৃদ্ধ হয়ে পড়েন এবং আফ্রিকার বহু দুরের নাম না জানা একটি অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে নিয়ে লেখে কাহিনীগুলো পড়ে পাঠক নৈতিকতা, সাহসিকতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো সাহস অর্জন করতে পারে। কাহিনীগুলোতে উঠে আসে তথাকথিত কিছু ভদ্র সমাজের আসল রুপ, সভ্যদের মাঝে লুকিয়ে থাকা বর্বরতা।

'অ্যালানকে' নিয়ে লেখা পৃথিবী কাঁপানো অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে-



1835–1838: Marie (1912)

1842–1843: "Allan's Wife", title story in the collection Allan's Wife (1887)

1854–1856: Child of Storm (1913)

1858: "A Tale of Three Lions", included in the collection Allan's Wife (1887)

1859: Maiwa's Revenge: or, The War of the Little Hand (1888)

1868: "Hunter Quatermain's Story", included in the collection Allan's Wife (1887)

1869: "Long Odds", included in the collection Allan's Wife (1887)

1870: The Holy Flower (1915)

1871: Heu-heu: or, The Monster (1924)

1872: She and Allan (1920)

1873: The Treasure of the Lake (1926)

1874: The Ivory Child (1916)

1879: Finished (1917)

1879: "Magepa the Buck", included in the collection Smith and the Pharaohs (1920)

1880: King Solomon's Mines (1885)

1882: The Ancient Allan (1920)

1883: Allan and the Ice-gods (1927)

1884–1885: Allan Quatermain (1887)



পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সেরা অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলোর মধ্যে প্রথম যে কাহিনীটিকে ধরা হয় তা হলো 'ট্রেজার আইল্যান্ড'। হ্যাগার্ড তার বড় ভাইয়ের সাথে বাজি ধরেন যে, 'ট্রেজার আইল্যান্ড'-এর চেয়ে রোমাঞ্চকর কাহিনী লেখার ক্ষমতা তার আছে এবং ১৮৮০ সালে 'সলোমনের গুপ্তধন' লিখে তিনি সেটা প্রমান করেন। এই গল্পের নায়ক ছিলেন 'অ্যাল্যান কোয়াটারমেইন'। হলিউডে 'অ্যালানকে' নিয়ে অনেক মুভি নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক টিভি সিরিজও তৈরি হয়েছে। আমাদের সবার অতি পরিচিত এবং প্রিয় চরিত্র 'ইন্ডিয়ানা জোন্স' কিন্তু 'অ্যালানের' আদলেই তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি জানা গেছে, হলিউড কিংবদন্তী 'স্পিলবার্গ' নাকি 'অ্যালান কোয়াটারমেইনকে' নিয়ে নতুন করে মুভি তৈরির পরিকল্পনা করছেন।

প্রোজেক্ট গুটেনবার্গ - এ নিচের বইগুলোর নাম লিখে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে তবে পি ডি এফ ফরম্যাট হয়তো পাওয়া যাবে না।

King Solomon's Mines

Allan Quatermain

Allan's Wife

Maiwa's Revenge

Marie

Child of Storm

The Holy Flower

Finished

The Ivory Child

The Ancient Allan

She and Allan

'অ্যালান কোয়াটারমেইন' আমার খুব প্রিয় একটি চরিত্র। তার কাহিনি পড়ে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি। অনুপ্রানিত হয়েছি অনেক কাজে। কাল্পনিক একটি চরিত্র যে এমনভাবে কারও মধ্যে ঢুকে যেতে পারে এটা তার গল্প না পড়া পর্যন্ত কেউ বুঝবে না। এই কাল্পনিক চরিত্রটি আমার অন্যতম 'আইকন'।

অনেক কিছুই লিখতে পারিনি সময় স্বল্পতার কারনে। ভালোভাবে হয়তো লেখাটা গোছানও হয়নি, তবু, এই পোস্টটা তার উদ্দেশ্যে। তার মতই অগোছালো হোক তার এই পোস্ট।

পোস্ট উৎসর্গ- Allan Quatermain (Macumazahn)

........................................ :) ..................................................

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ব্লাক উড বলেছেন: স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর লেখার সাথে আমার অল্পবিস্তর পরিচয় আছে। আপনি অবশ্যই খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্ট প্রিয়তে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

বৈকুন্ঠ বলেছেন: সেবা প্রকাশনীর বইয়ের মাধ্যমেই কোয়াটারমেইন সাবের সাথে প্রথম পরিচয়। কিশোর বয়সে কে নিজেরে কোয়াটারমেইন হিসাবে কল্পনা না করসে বা এখনো করেনা??

সুন্দর লেখসেন। ধন্যবাদ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০

ইউসুফ খান বলেছেন: আমিও ভাবসি। ধন্যবাদ। :)

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন:
ভালো লাগলো অনেক। হ্যাগার্ড এর প্রায় সব অনুবাদ সেবা প্রকাশনীর দ্বারা পড়েছি। প্রথম পড়ি ক্লাস সেভেনে থাকতে " ক্লিওপেট্রা " । এরপর বিখ্যাত " শী " , " রিটার্ন অব শী " আরও অনেক। তবে মজা লেগেছে King Solomon's Mines

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২

ইউসুফ খান বলেছেন: হুম। ঠিক।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

আমি বীরবল বলেছেন: বেশ কয়েকটা বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।

প্লাস।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩২

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদমিশুক বলেছেন: she নিয়ে কিছু বলেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩

ইউসুফ খান বলেছেন: ওটা তো ভাই সম্পূর্ণ অন্যরকম একটি গল্প। তবে হ্যাঁ, বলবো। অপেক্ষা করেন। আমারও চরম প্রিয় একটা গল্প।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

মুনতাশীর বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। +

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৩

ইউসুফ খান বলেছেন: আমারও। :)

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: দুর্ভাগ্য স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের মত একজন আ্যাডভেন্চার রাইটারও বাংলা সাহিত্যে নাই। এটা বাংলা সাহিত্যের একটা দুর্বল দিক। বাংলাদেশে কেউ কি নাই এই অভাব পূরণের জন্য এগিয়ে আসতে পারে। কেউ যদি এমন ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারত নিজেকে তাহলে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসই নতুনভাবে লিখতে হত।

ধন্যবাদ এমন একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪

ইউসুফ খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের দুর্ভাগ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অগ্নি দগ্ধ বলেছেন: আমি মনে হয় এখানের একমাত্র হতভাগা যে এর কোন বই পড়ে নাই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

ইউসুফ খান বলেছেন: ব্যাপার না। সেবা প্রকাশনীতে পাওয়া যায়। যোগাযোগ করেন। বাংলাবাজারে আছে।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৪

ইন্ঞ্জিনিয়ার বলেছেন: হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের প্রায় সব বইই পড়েছি। যেগুলোতে অ্যালান কোয়াটারমেইন নেই সেগুলোতেও প্রায় তাঁর কাছাকাছি চরিত্রের কেউ আছে। বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ কেউ। তবে, কোয়াটারমেইন আর তার দুই বন্ধুর কম্বিনেশন অতুলনীয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৭

ইউসুফ খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। হ্যাগার্ডের লেখা মানেই অসাধারন কিছু।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৪

মেঘেরদেশ বলেছেন: হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের প্রায় সব বইই পড়েছি।বই মেলায় গেলেই সেবার স্টল এ গিয়ে বলি হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের নতুন বই গুলো দিন।ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে:)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৮

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি হেনরী হ্যাগার্ডের অন্ধ ভক্ত।

প্রথম সেবা থেকে বাংলা অনুবাদ পড়ি তার গল্পের। পরে ইংরেজী যা পেলাম সব পড়ে ফেললাম। তার মত ফ্যান্টাসী , আডভেঞ্চার জেনারের লেখক আমি আর দেখিনি।

তবে এলান কোয়াটারমেইনের গল্পগুলা আমার কেন যে বেশি ভালো লাগেনি।

শী , রিটার্ন অফ শী, ব্রেদ্রেন, পার্ল মেইডেন, ভার্জিন অফ সান এইগুলা বেশি ভালো লেগেছে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখার জন্য।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৭

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ। :)
তবে হ্যাগার্ড কিন্তু 'অ্যালান'-এর জন্যই বেশি ফেমাস।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২১

কাউসার রুশো বলেছেন: অ-সা-ধা-র-ন পোস্ট!!
++++ :)
আমি কখনও অ্যালান কোয়াটারমেইন কে নিয়ে লিখলে সেটার শিরোনাম হত
আমি অ্যালান কোয়াটারমেইন হতে চেয়েছিলাম................. :)

অ্যালান কোয়াটারমেইন আর হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অন্ধভক্ত আমি। অ্যালান কোয়াটারমেইন সিরিজের প্রত্যেকটি বই-ই অসাধারন। খুব মন খারাপ হয়েছিলো অ্যালান যে সিরিজে মারা যায়। অ্যালানের স্ত্রী মারা যায় যে বইটিতে (স্টেলা) সেটা পড়েও খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
আমি সেবা প্রকাশণীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। সেই সময়টাতে আপন স্বত্ত্বাকে হারিয়ে নিজেকে অ্যালান কোয়াটারমেইন ভাবা শুরু করেছিলাম। খুব কম কাল্পনিক চরিত্রই আমার জীবনে এত প্রভাব ফেলেছিলো।

হ্যাগার্ডের আর দু্ইটা বইয়ের কথা না বললেই নয়....
শী , রিটার্ন অফ শী
আয়েশা........... ;)
পুরা ফিদা ছিলাম আমি :P

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯

ইউসুফ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুশো ভাই।
আমার আর আপনার ভালো একটা মিল খুজে পাওয়া গেলো। 'অ্যালানের' এতই ভক্ত ছিলাম যে মাঝে মাঝে- নিজের সত্তার সাথে সেই শিকারির কাল্পনিক সত্তাটিকে মিলিয়ে ফেলতাম। তার মতো এমন সব বড় আর ভয়ানক অ্যাডভেঞ্চারে না গেলেও ছোটখাটো যেসব অ্যাডভেঞ্চারই সামনে এসেছে, চোখ বুজে ছুটে গেছি। এজন্য যথেষ্ট মাশুলও কিন্তু দিতে হয়েছে। ;)
আর হ্যা, 'আয়েশা'....
আবার যেহেতু মনে করায়া দিলেন, ১ সপ্তাহের জন্য ঘুমটা আবারও গেলো মনে হয়। ;)

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৩

কাউসার রুশো বলেছেন: :P :-P ;)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৪

ইউসুফ খান বলেছেন: ;)

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৩

কলম.বিডি বলেছেন: সেবার জন্যই অ্যালানকে চিনি, হ্যাগার্ডকেও। বইগুলা যে কতবার জাবর কাটসি হিসাব নাই। শি নিয়ে পোস্ট দিলে রাতে দিয়েন।যেনো মিস না হয়। কেন যেন এই বইটা সত্যি মনে করতে ইচ্ছা হয়।
ও, অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৮

ইউসুফ খান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কলম। ওকে, 'শী' নিয়ে একটা পোস্ট অবশ্যই দিবো।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৩

কলম.বিডি বলেছেন: সেবার জন্যই অ্যালানকে চিনি, হ্যাগার্ডকেও। বইগুলা যে কতবার জাবর কাটসি হিসাব নাই। শি নিয়ে পোস্ট দিলে রাতে দিয়েন।যেনো মিস না হয়। কেন যেন এই বইটা সত্যি মনে করতে ইচ্ছা হয়।
ও, অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৮

ইউসুফ খান বলেছেন: ;)

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬

অপার্থিব ক্রিয়েশন বলেছেন: আপনাকে এবং সেবা এবং হেনরি স্যার কে ++++++++++দিলাম।নিয়ে নেন ;) ;)

একটা বইয়ের নাম দেখলাম আলান এন্ড শী------সেটা কিরকম জিনিস বুঝতাছি না /:) /:)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৬

ইউসুফ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নিলাম।
'অ্যালান অ্যান্ড শী' এই বইটা আমারও অনেক বেশি পড়ার ইচ্ছা। ইংলিশ টা পরেছি তবে বাংলা না পড়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না। এই বইয়ে অ্যালান এবং আয়েশা দুজনের সম্ভবত সাক্ষাত হয়। নিঃসন্দেহে মাথা নষ্ট বই হবে। এখনও এটার কোন অনুবাদ বের হয়নি, সেবা প্রকাশনীর কাছে এই বইটার লিংক দিয়ে মেইল করেছি। কোন লাভ হয়নি।

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৮

ঘুমরাজ বলেছেন: সুন্দর লেখসেন++++++++++++

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

ইউসুফ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৮

স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: অ্যালান কোয়াটারমেইন এর সাথে আমার প্রথম পরিচয় 'দা লিগ অফ এক্সট্রা অর্ডিনারি জেন্টালম্যান" সিনেমার মাধ্যমে। পরে হেনরির কিং সলোমন'স মাইনস পড়া হয়েছে শুধু।
ভালোই লাগতো এই ক্যারেক্টারকে। মুভিটে কয়েকটা মানুষ চরিত্রের মধ্যে এটা একটা ছিল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

ইউসুফ খান বলেছেন: হা হা, ঠিক বলেছেন। এটা মানুষ চরিত্র এবং অনুপ্রেরনা যোগানো একটি চরিত্র। ওর বই পড়া না থাকলে এখুনি শুরু করুন। সেবা প্রকাশনীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৫

সাকিব বাপি বলেছেন: অ্যালান কোয়াটারমেইন - ঘুমায়া ঘুমায়া সপ্ন দেখতাম আফ্রিকায় শিকার করতাসি! স্টেলা আর আয়শা তো পুরাই ড্রীম গার্ল! অসম্ভব ভালো লাগা চরিত্র। সেবার প্রাঞ্জল অনুবাদে চরিত্র গুলোকে পুরাই জিবন্ত মনে হত!

হ্যাগার্ড রে ভালো পাই। কিন্তু ওর বেস্ট কীর্তি কিন্তু অ্যালান কোয়াটারমেইন সিরিজের বই গুলাই!

খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা। মনে করিয়ে দিলেন ওই বই গুলো পড়ার মধুর স্মৃতি। এক সময় পণ করেছিলাম হ্যাগার্ড এর সব বই কালেকশন করে ফেলব! হারিয়ে ফেলেছি অধিকাংশ বই - কিন্তু রয়ে গেছে ভালোলাগা!

++++++++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৭

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালোলাগাটাই আসল।

২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০

স্নিগ বলেছেন: তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আমি হেনরী হ্যাগার্ডের অন্ধ ভক্ত।
ওনার বইগুলো মুগ্ধ হয়ে পড়ি!

এত্ত মোটা মোটা বই, কিন্তু ক্ষণিকের জন্যও স্লো/লুজ লাগে না।


কোটারমেইনরে নিয়া ২ টা মুভি আছে।
অতি হাস্যকর!

পোস্টে +++

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২

ইউসুফ খান বলেছেন: ধন্যবাদ + এর জন্য।

২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৮

েরজা , বলেছেন:

শী " , " রিটার্ন অব শী " পড়ে-তো সেই আমলে মাথাই পুরা নস্ট
King Solomon's Mines পড়েছি , সবই সেবার কল্যানে ।

মেলা কিছু মনে করায়ে দিলেন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

ইউসুফ খান বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.