নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খোলা মনের মানুষ
যখন কোন বিষয় টানাটানি করলে অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হয় তখনই তাকে বলে "রেডুক্ৎসিয়ো আড্ আবসুর্ডুম্"।শব্দটা ল্যাটিন।ইংলিশে "রিডাকশিও আ্যড্ আ্যবসার্ডাম"।
এই দেখুন না মার্কিন জাতটা কীরকম আ্যবসার্ড।কোন কর্মে সুনিপুণ হতে পারাটা অতীব প্রশংসনীয়।এতে সন্দেহ করবে কে? কিন্তু এরও তো একটা সীমা থাকা দরকার।গল্প দিয়ে জিনিষটা বোঝাচ্ছি।
ব্রুকলিন ব্রিজ যখন বানানো থেকে হয় তখন দুপাড় থেকে দুদল লোক পুল তৈরি করে মাঝ নদীর দিকে রওনা হল।এমনি চৌকশ তাদের হিসাব,এমনি সুনিপুণ তাদের কলকব্জা যে,মধ্যিখানে এসে যখন পুলের দুদিকে জোড়া লাগল তখন দেখা গেল এক ইঞ্চির আঠারো ভাগের এক ভাগ উচু-নিচুর হেরফের হয়েছে।তারিফ করার মত কেরদানি,কোন সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে চীনদেশে কী হয়? দুদল লোককে এক পাহাড়ের দুদিকে দেওয়া হয়েছিল সুড়ঙ্গ বানাবার জন্য।এদিক থেকে এনারা যাবেন ওদিক থেকে ওনারা আসবেন।মধ্যিখানে মিলে গিয়ে খাসা টানেল।
কিন্তু কার্যত হল কী? দেখা গেল ডবল সময় চলে গেল তবু মধ্যিখানে দুদলের দেখা নেই।তারপর এক সুপ্রভাতে দু-দল বেরিয়ে এলেন দুদিকে।মধ্যিখানে মেলামেলি,কোলাকুলি হয়নি।
মাজেজাটা কি? মার্কিনরা সুনিপুণ,সেই নৈপুণ্যের গুণে তারা পেল একখানা ব্রিজ।আর চীনারা পেল দু-দুখানা টানেল।লাভটা কার বেশি হল।তাই বলি অধিক নৈপুণ্য ভালো নয়।
"রেডুক্ৎসিয়ো আ্যড্ আবসুর্ডুম্"
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
তিক্তভাষী বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী ব্লগে এসেছেন!!!