নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আযান শুনে রোগী অসুস্থ।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:২৩

এটা কোন ধর্ম বিরোধী পোষ্ট না।শব্দ দূষন কিভাবে আমাদের অসুবিধার সৃষ্টি করছে তার একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত এটি।
আমার এক খালু হার্টের ও ডায়েবেটিকের রোগি,বয়স আছে।উনি আমাদের বাসায় সর্বশেষ আসেন গতবছর।যোহরের আযানের সময় তিনি মাথা চেপে ধরে চেয়ারে বসে পড়েন,চোখমুখে ব্যথার ছাপ।আমরা সবাই বুঝতে পারলাম তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।জিজ্ঞেস করতেই বললেন তিনি ঠিক আছেন।আযান শেষ হল,আমরা হাপ ছেড়ে বাচলাম,খালুও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে এলেন।
আযান খুবই সুমধুর এবং মুসলমানদের জন্য নামাযের আহবান স্বরুপ।মসজিদ লাগোয়া বাড়িতে ১০ বছর থেকেছি,ঐ খালুও অনেকবার সেই বাড়িতে গিয়েছে, সমস্যা হয় নি।
আমাদের বর্তমান বাসার ২০ গজের মধ্যে ৩টা মসজিদের(২টার মাদ্রাসা আছে) কম করে হলেও ১৫ টা মাইক।এই মাইকগুলতে যখন প্রায় একসাথে আযান হয়,তখন ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারনা হয়।আযানের সুমধুর ভাব টা তো থাকেই না বরং হাউ-কাউ ,কোলাহল,গন্ডগোলের মত শোনায়।আযানের বানিও পরিষ্কার আলাদা আলাদা ভাবে শোনা যায় না।
একই স্থানে একাধিক মসজিদের একাধিক মাইক থাকাতে এই সমস্যা হচ্ছে।মাইকগুলো কি সুপরিকল্পিত ভাবে বসানো যায় না,যাতে এক মসজিদের মাইকের কাছাকাছি অন্য অন্য মসজিদের মাইক না থাকতে পারে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০১

আদম_ বলেছেন: কথা ঠিক। যুক্তি আছে।

০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আদম_ সমস্যাটি বুঝতে পারার জন্য।

২| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

সব পারি বলেছেন: আমরা জানি, যখন আজান হয় তখন শয়তান দিগ্বিদিগ ছুটাছুটি করে এবং যেখানে পারে সেখানেই আশ্রয় নেয়।

হয়তো শয়তান আপনার খালুর মাথায় আশ্রয় নিয়েছিল এজন্য তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার কমেন্ট পরে মনে হল, আপনিও জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র।বলেন তো নেপালের রাজধানীর নাম কি?

৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: কথাটি ঠিক তবে বিষয়টি সেনসেটিভ। এ নিয়ে আলোচনা ঠিক হবেনা।

০২ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: লেখবনা লেখব না করেও লেখে ফেললাম।এখন তো চিন্তা হচ্ছে লেখাটি কে কিভাবে নিবে।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: একবার পূজোর সময় ঢোলের বাড়িতে আমার এ রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যাক সেটা না বলাই ভালো। এতে অনেকে সাম্প্রাদায়িতকতা খুঁজতে পারে।

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এটাও একটা সমস্যা।বাড়ির কাছের স্কুলে সপ্তাহব্যাপি স্কাউটদের ক্যাম্পে উচ্চ শব্দে সকাল-সন্ধ্যা ড্রাম বাজিয়ে পাড়া মাথায় তোলে স্কাঊট রা।অথচ পড়ালেখায় স্কুলটি ঠন টন।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

সব পারি বলেছেন: আপনি কখনো হিন্দুদের মন্দিরের সামনে বাসা ভাড়া নিয়ে থেকেছেন। না নিয়ে থাকলে, মন্দিরের আশপাশের কোন বাসা নিয়ে নিন। তখন বুঝবেন শব্দ দূষণ কাকে বলেন। সারারাত তাদের ঢোলের উচ্চ শব্দে আপনার টেকা দায় হয়ে পড়বে।

১/২ মিনিট এর আজান আপনার খালুর সহ্য হয়নি, আর দিন-রাত ঢোলের উচ্চশব্দে তো উনি সরাসরি কবরে চলে যাবেন?

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: হিন্দু -মুসলিম বিষয় নয়,বিষয় শব্দদূষন।আযান দিনে পাচ বার হয়,প্রতিবার ২/৩ মিনিট করে।হিণ্দুরা দিনে ৫ বার ঢোল বাজায় না।আমার বাসায় আযান শোনা যায় না,শোনা যায় হাউকাউ কোলাহল।ঐ টা ৫ বেলা শুনলে আমরা সুস্থরাই অসুস্থ হয়ে যাই।আমার খালু পরলোকগত হয়েছেন কয়েক মাস আগে।এ নিয়ে আর কথা না বাড়াই।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

শেয়াল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কমেন্ট পরে মনে হল, আপনিও জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র।বলেন তো নেপালের রাজধানীর নাম কি?

@লেখক এইগুলারে আফগানে সেন্ড করা উচিত ।

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়াল।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:১০

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আজব ব্যাপার অনেকেই এটাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা শুরু করলেন, জানিনা কেন?

আমার বক্তব্য হচ্ছে উনার যদি শব্দদূষণ জনিত কারণে অসুবিধা হয় তাহলে মোটামুটি নির্জন কোন স্থানে চলে যাওয়া। যেহেতু আমাদের দেশ মুসলিম প্রধান দেশ তাই এ বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করা মোটেই উচিত হবেনা, তাতে করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে পারে। যেমনটা ভারতের গরু নিয়ে হয়। তাই যেহেতু বিষয়টি কোন একজন ব্যক্তি বিশেষের সমস্যা, আপনাদেরকেই এর সমাধানটা বের করতে হবে।

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অনেকেই বিরক্ত হয় কিন্তু ভয়ে বলতে পারে না,সংকোচ বোধ করে।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এমন তো না যে হঠাৎ করে আজানের আওয়াজ শুনলে এমন হয়েছে। আমাদের দেশে অনেক এলাকাতেই এরকম আছে। একসাথে ২/৩ টি মসজিদে আজান শুরু হয়। কিন্তু সেই আওয়াজে এমন কাহিল হওয়া ব্যপারটা ব্যতিক্রম। দীর্ঘদিনের আজান শোনা বাংলাদেশীরা এরকম কাহিল হওয়ার কথা না! উনি কী নামাজ কালাম পড়তেন নাকি নামাজ অবহেলা করতেন?

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: শারিরীক সমস্যার কারনে নিয়মিত হয়ত পড়তেন না,তবে ভালই পড়তেন।২,৩ টা মসজিদে আযান পড়ে অনেক জায়গাতে কিনতু আমার ছোট্ট এলাকেতে ১৫ টি মাইক সবগুলা বিকট শব্দে বাজে।আমরাই বিরক্ত বোধ করি,বিশেষ করে মাগরিব এশা পর পর আযান হয়।অনেকেই বিরক্ত হয় কিন্তু ভয়ে বলতে পারে না,সংকোচ বোধ করে।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: উনি এমনিতে অসুস্থ ছিলেন ।তারপর ৪ তলা সিড়ি বেয়ে উঠে যখন হাপাচ্ছিলেন তখনই বিকট শব্দে ৩ টা মসজিদে আযান পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.