নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি দি হুমায়ূন কবির ও একটি মিথ

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪০



লেখাটির শিরোনাম "দি দি হুমায়ূন কবির ও একটি মিথ।"হুমায়ূন কবির নামের আগে দুইটা "দি"।বিখ্যাত,বিরাট কোনকিছুর নামের আগে "দি" বসে।হুমায়ূন কবির এত বিরাট ব্যক্তিত্ব ও গুনি ব্যক্তি ছিলেন যে তার নামের পূর্বে দুইটা "দি" বসানো যায়;কোন ভুল হয় না।
হুমায়ূন কবির ছিলেন একজন বাঙালী রাজনীতিবিদ ও লেখক।১৯০৬ সালে ফরিদপুরের কাছে তার জন্ম।
১৯২২ সালে ম্যাট্রিক পরিক্ষায় স্টার মার্ক পেয়ে পাস করেন তিনি।প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে ৩য় স্থান লাভ করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।দুটোতেই প্রথম শ্রেনিতে প্রথম।
১৯২৮ সালে স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ডের এক্সেটার কলেজে দর্শন,রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে বি এ পড়তে যান।তিনি ছিলেন তুখোড় ছাত্র;ক্লাসের ফার্স্ট বয়।অবাক হলেও সত্যি ইংরেজ ছেলেমেয়েরাও তার সাথে লেখাপড়ায় পেরে উঠত না। প্রথম ৩ বছরে হুমায়ুনই প্রথম।৪ থ বছরে হুমায়ূন এক ইংরেজ মেয়ের প্রেমে পড়লেন।মেয়েটি তারই সহপাঠিনী,সেকেন্ড গার্ল।উথাল পাতাল প্রেমে তিনি ভেসে গেলেন।পড়ালেখাতেও আর আগের মত তার মনযোগ নেই।ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হল
শেষ পরিক্ষার আগে মেয়েটি তাকে জানাল সে তাকে ভালোবাসে না।এতে তিনি খুব হতাশ হয়ে গেলেন।আসলে এটি ছিল ইংরেজদের একটি চাল,যাতে তার লেখপড়া নষ্ট হয়।ইংরেজরা বুজতে পেরেছিল বাঙালী ছেলেকে আটকাতে হলে তাকে প্রেমের ফাদে ফেলতে হবে।তার লেখাপড়া বন্ধ, সারাদিন বাইরে ঘুরে মদ খেয়ে গভীর রাতে বাসায় ফিরে বেহুশ হয়ে ঘুমালেন।পরিক্ষা আর দিবেন না।
পরদিন তার এক বন্ধু তার খোজে তার বাসায় গেল এবং অনেক বুঝিয়ে তাকে পরিক্ষা হলে নিয়ে গেল।
হুমায়ুন তখনও অর্ধেক বেহুশ ;কোনমতে একটা কলম নিয়ে হলে গেলেন। পরিক্ষা শুরু হলে তিনি কলম বের করে লেখা শুরু করলেন।কিন্তু কলমে কালি নাই।তাতে কি?অর্ধচেতন হুমায়ুন তা দিয়েই পরিক্ষা দিলেন।পুরা খাতা সাদা,তবে কলমের অদৃশ্য আচড়ে ভর্তি।
তার সাদা খাতাটি শিক্ষকরা বিশেষভাবে পাঠোদ্ধার করে দেখলেন সব উত্তর সঠিক আছে,শুধু হুমায়ূন কবির টি এর পেট কাটেনি।আসলে ক্লান্ত দেহে তিনি টি এর পেট কাটার জন্য হাত তুলতে পারেননি।তিনি প্রথম বিভাগ পেয়ে পাস করলেন(১৯৩১ সাল),কিন্তু প্রথম হতে পারলেন না।

পরবর্তীতে তিনি তরুনদের উপদেশ দিতেন,"পরিক্ষা হলে আর যাই কর,টি এর পেট কাটতে ভুলো না।"
হুমায়ূন কবির পরে রাজ্যসভা ও লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন।বিজ্ঞান গবেষনা ও সংস্কৃতী বিষয়ক মন্ত্রিও হন ভারতের।
মৃত্যু ১৯৬৯ সালে কোলকাতায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

মোঃ নেছার উদ্দিন বলেছেন: কখনো এই হুমায়ুন কবিরের নামও শুনিনি। আজ প্রথম শুনলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সবকিছু সবার পক্ষে শোনা সম্ভব নাও হতে পারে।মোটিভেশনাল স্পিচে হুমায়ূন কবিরের মিথ প্রথম শুনেছিলাম,বাকিটা গুগল-উইকিপিডিয়া।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনন্য ব্যক্তিত্ব, তবে নাম শুনিনি আগে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আমিও তার কথা আগে জানতাম না।ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: নীরদ সি চৌধূরীর "আ্ত্মঘাতী বাঙ্গালী" তে হুমায়ূন কবিরের কথা প্রথম জানতে পারি । নীরদ সি চৌধূরীর মতে তার সমসাময়িক সময়ে যে কয়জন প্রতিভাবান বাঙ্গালী তিনি দেখেছেন তার মধ্যে হুমায়ূন কবির একজন। যদিও চৌধূরীর মতে এই প্রতিভা অকালে বিনষ্ট হয়েছিল বা তেমন কোন পরিনতি লাভ করেনি ।

হুমায়ূন সম্ভবত সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরে চাকরি নেন, এবং পরবর্তী সময়ে স্বাধীন ভারতবর্ষের মন্ত্রী হন। মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন ভাবে বাংলা ভাষার সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেণ, অনেক কে সরকারী অনুদান পেতে সাহায্য করেণ। এদের মধ্যে জীবনানন্দ দাশের মত কবিও আছেন ।
আর তার একটা অনুবাদ কবিতা আমাদের সময়ে সম্ভবত অষ্টম শ্রেণিতে পাঠ্য ছিল - "মেঘনায় ঢল"

শোন্ মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করি মাঠে চল,
এল মেঘনায় জোয়ারের বেলা এখনি নামিবে ঢল।
নদীর কিনার ঘন ঘাসে ভরা
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা
করিস না দেরি- আসিয়া পড়িবে সহসা অথই জল
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা মেঘনায় নামে ঢল।

এখনো যে মেয়ে আসে নাই ফিরে- দুপুর যে বয়ে যায়।
ভরা জোয়ারের মেঘনার জল কূলে কূলে উছলায়।
নদীর কিনার জলে একাকার,
যেদিকে তাকাই অথই পাথার,
দেখতো গোহালে গরুগুলি রেখে গিয়েছে কি ও পাড়ায়?
এখনো ফিরিয়া আসে নাই সে কি? দুপুর যে বয়ে যায়।

ভরবেলা গেলো, ভাটা পড়ে আসে, আঁধার জমিছে আসি,
এখনো তবুও এলো না ফিরিয়া আমিনা সর্বনাশী।

দেখ্ দেখ্ দূরে মাঝ-দরিয়ায়,
কাল চুল যেন ঐ দেখা যায়-
কাহার শাড়ির আঁচল-আভাস সহসা উঠিছে ভাসি?
আমিনারে মোর নিল কি টানিয়া মেঘনা সর্বনাশী।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে শ্রাবণধারা।বাড়তি অনেক তথ্য জানা গেল।কবিতাটা কি "স্যান্ডস অন দ্য ডি"? ওটা তো মাইকেলের???

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

বিপরীত বাক বলেছেন: শেষ পরিক্ষার আগে মেয়েটি তাকে জানাল সে তাকে ভালোবাসে না।এতে তিনি খুব হতাশ হয়ে গেলেন।আসলে এটি ছিল ইংরেজদের একটি চাল,যাতে তার লেখপড়া নষ্ট হয়।ইংরেজরা বুজতে পেরেছিল বাঙালী ছেলেকে আটকাতে হলে তাকে প্রেমের ফাদে ফেলতে হবে

ইংরেজ রে গালি দিয়া অাজাইরা মজা নিচ্ছেন। যে এদের দুরভিসন্ধী খুব সুন্দর করে তুলে ধরলেন।অার..............টিপিক্যাল বাঙালি।


তার সাদা খাতাটি শিক্ষকরা বিশেষভাবে পাঠোদ্ধার করে দেখলেন সব উত্তর সঠিক আছে,শুধু হুমায়ূন কবির টি এর পেট কাটেনি।আসলে ক্লান্ত দেহে তিনি টি এর পেট কাটার জন্য হাত তুলতে পারেননি।তিনি প্রথম বিভাগ পেয়ে পাস করলেন(১৯৩১ সাল),কিন্তু প্রথম হতে পারলেন না।



এই শিক্ষকগুলো যে ইংরেজ ছিল সেটা বলতে ভুলে গেলেন? ও ,, এতে তো অাবার ইংরেজদের মহত্ব বেরিয়ে পড়বে। তাই না?কতটা মহৎ , উদার , মেধাবী, বিবেচক , নিরপেক্ষ শিক্ষক হলে এরকম কালিবিহীন খাতা ওরকম ভাবে দেখতে পারে ?
অার এদের সম্বন্ধে কি অবলীলায় লেখলেন ,"
,"ইংরেজরা বুজতে পেরেছিল বাঙালী ছেলেকে আটকাতে হলে তাকে প্রেমের ফাদে ফেলতে হবে।"।

নীচতার একটা সীমা থাকার দরকার।

এই লেখাটা ওই কি জানি নাম.... দিদি হুমান না টিটি হনুমান ... তার সম্বন্ধে না হয়ে বরং হওয়া উচিৎ ছিল ইংরেজ জাতির শ্রেষ্টত্ব সম্বন্ধে। এরকম মাতাল হয়ে পরীক্ষা দেয়া হোমায়ন টোমায়ন জীবনে বহুৎ দেখেছি। দেখেছি তাদের ১ম ২য় ৩য় হতে।

কিন্তু এরকম অসাধারণ অতুলনীয় শিক্ষক এই প্রথম দেখলাম।
জয়তু ইংরেজ জাতি।

০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: লেখক বলেছেন: মিথের মধ্যে যারা সত্যতা খুজতে চায়, তারা বেওকুফ ছাড়া আর কিছু না।বলাই আছে এটা মিথ।আর আপনার মত অসভ্য,অশিক্খিত ব্লগারও আমিও অনেক দেখেছি।হুমায়ূনের বাবা ও দাদা দুজোনই খান বাহাদুর উপাধীপ্রাপ্ত ।আর আপনার বাবা মা??হয়তো এখনও লেঙটি দিয়ে হাল চাষ করছে।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা । মাইকেল নয়, এ কবিতার বাংলা হুমায়ূন কবিরের করা । তার সাহিত্যিক জীবন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাবেন নিচের লিংকে । তবে তার নামের আগে "দি" বসানোর ব্যাপারটা আমার কাছে একটু উট্ভট মনে হলো । এটা কিন্তু আমি কোথাও দেখিনি ।

view this link

০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যার কাছ থেকে মিথটা শুনেছি সে মনে হয় বাড়িয়ে বলেছে।এত বিখ্যাত হলে সবাই তার নাম জানতো।ধন্যবাদ আপনাকে শ্রাবণধারা।আপনার জানার পরিধি অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.