নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারা ছিল এই জেনিচেরী ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

বাংলায় ডাবকৃত সুলতান সুলেমান ধারাবাহিকটি যারা দেখেছেন তাদের কাছে জেনিচেরী বা জানেসারী শব্দটি অপরিচিত নয়।কারা ছিল এই জেনিচেরী?
এই আশ্চর্য বাহিনী তৈরি করেছিলেন মুরাদ ওয়ান,১৩৬৩ তে।মধ্যযুগের সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনী জেনিচরেীরা প্রশিক্ষণে,আধুনিকতায়,যুদ্ধজয়ে এবং শিষ্টাচারে ছিল অনন্য।ওসমানদের বিশ্বজয়ে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।প্রধানত বিজিত খ্রিষ্টান এলাকা থেকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী তরুণদের বাছাই করে নেয়া হতো এই বাহিনীতে।তারা দাড়ি রাখতে পারতো না,যুদ্ধবিদ্যা ছাড়াও অন্য যেকান একটি বিষয়ে চরম পারদর্শিতা অর্জন করতে হত তাদের।ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ছিল বাধ্যতামূলক।ইহুদি ও মুসলিম ঘরের সন্তানদের জেনিচেরীতে নেওয়া হত না।মাত্র তিরিশ বছরে এরা এত উন্নতী লাভ করে যে গোটা বলকান,যুগোশ্লাভাকিয়া,গ্রিস,ইতালি,আলবেনিয়া এবং অস্ট্রিয়ার খ্রিষ্টান অভিজাত পরিবার আশা করে থাকত যে তাদের সন্তান কবে জেনিচেরীতে সুযোগ পাবে।কারণ পরিণত বয়সে এদর মধ্য থেকেই কেই-না-কেউ উজির,প্রশাসক হয়ে নিজ এলাকায় ফিরে যাবে।তারা কেউ নিজেদের সন্তান হলে তো কথাই নেই।আর এরকম আশা করা খুব অন্যায়ও নয়,কারণ অন্ততপক্ষে তিরিশজন উজিরে আজমের দেখা মিলবে জেনিচেরীদের মধ্য থেকে- ইতিহাসে যাদের সুনাম,খ্যাতি এবং শৌর্য-বীর্য সুলতানদের নামের পাশেই জ্বল জ্বল করে।
জেনিচেরীদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না।প্রথম তিন শতাব্দী জুড়ে এদর সংখ্যা ছিল মূল তুর্কি বাহিনীর এক-দশমাংশ।অষ্টাদশ শতাব্দীতে এদর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল-১,১৩,৪০০ জন।প্রথম দিকে তাদের দক্ষতা তীরন্দাজিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তারা আধুনিক অস্ত্রবিদ্যাও রপ্ত করে।
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষদিকে জেনিচেরীরা অহংকারী হয়ে ওঠে।এর প্রথম প্রকাশ অবশ্য আগেই ঘটেছিল ১৪৫১ তে,যখন ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ টু'র বাবা বাধ্য হয়ে সালতানাত ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন।কৌশলগত চাপের এই ধারাবাহিকতা ঠেকাতে সুলতান সেলিম টু ১৫৬৬ তে জেনিচেরিদের বিয়ে করার অনুমতি দিলেন।কিন্তু তাদের চাহিদা বেড়েই চললো এবং ১৬২২ 'র দিকে তারাই হয়ে উঠল কিং মেকার।সুলতান ওসমান টু যখন চেষ্টা করলেন তাদের সংকুচিত করতে, তারা সুলতানকে প্রথমে বন্দী ও পরে হত্যা করল(১৬২২)।পরে তারা বেশ কয়েকজন সুলতানকে নানা ষড়যন্ত্রে ক্ষমতাচ্যুত করে।
১৮০৪ সালে সার্বিয়ার গভর্নর নিজেকে প্রশাসক ঘোষনা করে এবং সুলতান সেলিম থ্রি'র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে।ঘটনা চরম পর্যায়ে যায় যখন সুলতান সিংহাসনচ্যুত হন।পরের সুলতান মোস্তফা ফোরও একই ভাগ্য বরণ করায় তার ভাই মাহমুদ টু ক্ষমতায় আসা মাত্র ১৮২৬ সালে জেনিচেরীদের বিলুপ্ত ঘোষনা করেন।সে সময় ৬০০০ জেনিচেরীকে ফাসি দেওয়া হয়।তার পুত্র সুলতান আব্দুল আজিজের রহস্যময় মৃত্যুর জন্যও জেনিচেরীদের দায়ি করা হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজতন্ত্রের ষড়যন্ত্রের একাংশ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

শের শায়রী বলেছেন: জানিসারিদের নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হত। তারপরো বেশ লিখছেন। তবে দুই প্যারার মাঝে আর একটু গ্যাপ থাকলে পড়তে ভালো লাগে।

পোষ্টে ভালো লাগা।।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পড়ার জন্য ও পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.