নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুদের, শিশুদের মতো করে উপস্থাপন করুন:

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭


ইদানিং টিভি এ্যাডগুলোতে শিশুদেরকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।শিশু হয়েও তারা যেন শিশু নয়--শিশুর দেহে বন্দি পূর্ণবয়স্ক মানুষ।তাদের চিন্তা ভাবনা,রুচি,কথার ধরনে একটা অনাবশ্যক পরিপক্কতার ছাপ।
হরলিক্স মিনি প্যাকের একটা বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শিশু শিল্পি(মেয়ে) বৃষ্টিস্নাত রাতে, রাত জেগে লেখাপড়া করছে ।রাত জেগে পড়ালেখা করার কারণ হিসাবে মা কে বলছে,“শুধু পরীক্ষার জন্য পড়লেই কি হবে?রাত জেগে না পড়লে ডাক্তার হবো কি করে?তখন বারান্দায় বসে তোমার সাথে বৃষ্টি দেখব।”এ্যাডে শিশু শিল্পীর বয়স ১০/১২ বছরের বেশি না।ক্যারিয়ার চিন্তা করার জন্য নেহায়েৎ অল্প বয়স।আর এত অল্প বয়সে ডাক্তারি পড়ার প্রিপারেশন শুরু হয় জানা ছিল না।হয়তো হরলিক্সের ওভার ডোজ হয়ে গেছে।মায়ের সাথে বৃষ্টি উপভোগের বিষয়টা আরও দৃষ্টিকটু।বৃষ্টির সৌন্দয্য উপভোগ করার জন্য যে সৌন্দর্য্যবোধ বা মানসিক পরিপক্কতা থাকার দরকার তা শিশুদের না থাকারই কথা।বৃষ্টির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আর তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে একজন হুমায়ূন আহমেদ কে হুমায়ূন আহমেদ হতে হয়।কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখে মনে হয় হরলিক্স খেলেও জ্ঞানী-গুনি ব্যক্তিদের সেই রুচি ও ম্যাচুরিটি অল্প বয়সে অর্জন করা যায়।বৃষ্টি হলে শিশুদের স্বভাবিকভাবে স্কুল ফাকি দেওয়া বা রান্নাবাটি খেলার দিকে মন দেওয়ার কথা।বৃষ্টি নিয়ে নান্দনিক চিন্তা ভাবনা করার কথা না।সবই ডিএইচএ’র খেল রে ভাই,ডিএইচএ’র খেল। ডিএইচএ ছাড়া এই পৃথিবী এতোদিন কিভাবে চললো তাই ভাবছি।
হরলিক্সের আরেকটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শিশু শিল্পী (ছেলে) তার মাকে বলছে,“ আমি বড় তো হচ্ছি ,কিন্তু বেড়ে উঠছি না কেন?”যে শিশু বড় হওয়া আর বেড়ে ওঠার পার্থক্য জানে আর তা নিখুঁত ভাবে প্রকাশ করতে পারে সে আর শিশু থাকে কিভাবে সে তো সাক্ষাৎ আমার পরদাদা।
বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের উচিৎ শিশুদেরকে বিজ্ঞাপনে শিশুদের মতো করে উপস্থাপন করা।শিশুদেরকে শিশুদের মতো উপস্থাপন করেও বিজ্ঞাপন বানানো যায়।সার্ফ এক্সেলের বিজ্ঞাপনগুলো দেখুন।শিশুসুলভ চঞ্চলতার কারণে কাদা ময়লায় মাখামাখি হওয়া শিশুদের নিয়ে এ্যাড বানিয়েছে তারা।একুয়াফিনা মিনারলে ওয়াটারের এ্যাডটাও কতো সুন্দর-- মেয়েটি পানি বিশুদ্ধকরন ধাপের নাম বলার সময় আটকে গেলে ছেলেটি মনে করিয়ে দেয়।শিশুসুলভ ভুল নিয়ে নির্মাতাদের কতো ডিটেইল চিন্তা-ভাবনা।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি
বিজ্ঞাপন তৈরীকারীদের বেশিরভাগেরই মাথায় মনে হয় গোবর ছাড়া কিচ্ছু নাই। নাহলে শিশুদের গ্রোথ নিয়ে এই এসব বিজ্ঞাপন বানাতো না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।আসলেই নির্মাতাদের মাথায় কিছু নেই।বিজ্ঞাপনগুলো বাস্তবসম্মত না।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের জন্যই দুনিয়াটা আজও আনন্দময় মনে হয়।
অথচ এই শিশুদের ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: নির্মাতারা মনে হয় দলে দলে সায়েন্টোলজি মতবাদ গ্রহণ করছে।এ মতবাদে ছোটদেরকেও বড় মানুষের মতো বিবেচনা করা হয়।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

একাল-সেকাল বলেছেন: আসলেই নির্মাতাদের মাথায় কিছু নেই দুঃখিত, মানতে পারলাম না। ওদের মাথায় শুধু কিছু নয়, অনেক কিছু আছে, আছে আধুনিকতার সাইনবোর্ড এর আড়ালে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধংস করার পাঁয়তারা।
হরলিক্স এর বিজ্ঞাপন এ দেখানো হচ্ছে মেয়েটা ফু ট ব ল খেলতে এসে ছেলেটাকে বলছে "মুঝে রুনে কি ফিকর হে, না তুঝে হারনে কি?, যা বাংলা ডাবিঙয়ে দেশে দেখানো হচ্ছে, আমার প্রস্ন, পশ্চিমা দেশে ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশা কি সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেনা? কুমারিত্ত শব্দটা তাদের দিকশনারি থেকে উঠেই গেছে। সে দেশে আবার জোর করতে গেলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ও বিচার পায়, আমাদের দেশে আজ ও এমনটা শুনি নাই, শুনতে চাইলে মেয়েটা তালাক হয়ে গেছে সেটাও শুনতে হবে। আমাদের দেশে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি ছিল, ধর্ষণের স্কোর কার্ড এখন চালু হয়েছে। বিজ্ঞাপন গুলু এক্সট্রা অরডিনারই X( হয়ে গেছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বাস্তবতার সাথে মিলে,বিশ্বাসযোগ্য কিছু বানানোর মতো কিছু নেই।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: স্টুপিডরাও এখন বিজ্ঞাপন বানায়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কথা সত্য।খুব একটা চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই বিজ্ঞাপন বানায়।

৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে দক্ষ ও যোগ্য লোকের অভাব। দুঃখজনক লোক হলো যোগ্য ও দক্ষ লোক এই দেশে থাকে না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কথা সত্য।উচ্চ পারিশ্রমিক,জীবনের নিরাপত্তা,জীবনযাপনের উচ্চমান,সুষ্ঠ কর্ম পরিবেশ ,কাজের সঠিক মূল্যায়নসহ বিভিন্ন কারনে দক্ষ লোকেরা বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: অভিজ্ঞরা সুযোগ পায়না। অদক্ষরা টাকা দিয়ে বড় পদ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ করছে।সারা দেশে এদের সংখ্যায় বেশি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অতি সত্য কথা।টাকা দিয়ে,লবিং করে অনেকেই কাজ পেয়ে যাচ্ছে।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

কনফুসিয়াস বলেছেন: আপনার লেখার সাথে ১০০ ভাগ সহমত। লিখাটি ভাল লাগল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে--লেখাটি পড়ার জন্য ও সহমত প্রকাশ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.