নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খোলা মনের মানুষ
নাভিদ মাহবুব একবার আমেরিকা গিয়েছেন ।এক অনুষ্ঠানে তার সাথে চল্লিশ জন প্রবাসী বাঙালী অভিভাবকের পরিচয় হলো।তাদের কাছ থেকে নাভিদ মাহবুব জানতে পারলেন যে তাদের প্রত্যেকের সন্তান আমেরিকার টপ টেন র্যাঙ্কড স্কুলে লেখাপড়া করে এবং প্রত্যেকের স্কুল ভিন্ন ভিন্ন।নাভিদ মাহবুব দীর্ঘ দিন আমেরিকায় ছিলেন--পড়েছেন এবং চাকুরি করেছেন।তিনি যদি ব্যাপারটা না বুঝে থাকেন তাহলে ব্যাপারটা বোঝার মতো না।
উনি স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করেন।তবে,নিছক জোক্স করেছেন ভেবে নেওয়াটা ভুল।আমার এক আত্মীয় আমেরিকা থাকেন।তার সন্তানরা সেখানেই লেখাপড়া করে।দেশে এসে, তারও সেই একই দাবী--তার সন্তানরা সেখানকার টপ টেন র্যাঙ্কড স্কুলে পড়ে।সবাই সেখানে পড়তে পারে না।উপরের ঘটনার সাথে আমি এই ঘটনা রিলেট করতে পারি।
বাংলাদেশে শিক্ষার বানিজ্যিকিকরণ অনেক আগেই শুরু হয়েছে।উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর সূচনা হলেও এখন তা তৃণমূল পর্যায়ে চলে গেছে।নাম না জানা ,নতুন গজিয়ে ওঠা বেসরকারী ফিটফাট স্কুল।টিউশন ফি তিন হাজার থেকে শুরু।আমি আমার এমন কোন বন্ধুকে/আত্মীয়কে দেখি নাই যাদের ছেলে-মেয়ে এসব স্কুলের নিচের দিকের ক্লাসে পড়ে কিন্তু পরীক্ষায় এ প্লাসের কম কিছু পেয়েছে।আমার ফেসবুক নিউজ ফিড বন্ধু তনয়দের রিপোর্ট কার্ডের ছবিতে সয়লাব,সেই সাথে বন্ধুদের আবেগঘন স্ট্যাটাস:আমার ছেলে/মেয়ে ৯৮% নম্বর পেয়ে নার্সারিতে/ক্লাস ওয়ানে উঠেছে।এই অদম্য মেধাবীরাই অনেকে আবার পরের ক্লাসে প্রমোশন পায় না।প্রমোশন পায় না কারণ,বাচ্চা ওয়ানে পড়ে কিন্তু এক পাতা বাংলা লেখা পড়তে পারে না। এক বছরের ব্যবধানে এসব বাচ্চার হলো কি?হয়েছে আসলে বছরখানেক আগে---উচ্চ টিউশন ফী হালাল করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বাচ্চা ও বাচ্চার বাবা-মা’র মন ভালো করার যে পলিসি নিয়েছে এটা তারই ফলাফল।এই পলিসি ও সিস্টেম এক সময় ব্যাক ফায়ার করে।রিপোর্ট কার্ডে নাম্বারের বস্তা আর বাচ্চার দক্ষতার মধ্যে পার্থক্য যখন প্রকাশ হয়ে পড়ে তখন স্কুল কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হয়।বাবা মা’রও বোধোদয় হয়।
একটা জোক্স মনে পড়ে গেল।এক লোক তার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছেন।ক্লাস টিচার অভিভাবককে স্কুলের নিয়ম বুঝিয়ে বলছেন----
-স্কুল ড্রেস আমাদের কাছ থেকে নিতে হবে।
স্কুল ব্যাগ আমাদের কাছ থেকে নিতে হবে।
খাতা,কলম,নোট বই আমাদের কাছ থেকে নিতে হবে।
বই আমাদের কাছ থেকে নিতে হবে।
অভিভাবক: আর শিক্ষাটা?
টিচার: ওটা বাইরে থেকে নিয়ে নিয়েন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী আঙ্কেল।পড়ার জন্য ও মতামত দেওয়ার জন্য।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: যা লিখেছেন সব সত্য।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই--পড়ার জন্য ও মতামত প্রদানের জন্য।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
তাহমিদ রহমান বলেছেন: যথার্থই লিখেছেন। শিক্ষার বড়োই দুরাবস্থা!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এদেশে ব্যাবসা করা সহজ।যেকোন কিছু নিয়ে এখানে ব্যাবসা করা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখাটা মোটামুটি একটা প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর, ভালো।