নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে অনলাইন বুক শপ থেকে বই কিনি না।

০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮


রকমারি ডট কমে প্রায়ই ঘোরাফেরা করি।কিন্তু কিছু কেনা হয় না।৩০০ টাকার একটা বই কিনলে ১৫% ডিসকাউন্টে যত ছাড় আসে ডেলিভারি চার্জ তার চেয়ে বেশী আসে।আর আমি নিশ্চই মঙ্গল গ্রহে থাকি না যে,সেখানে বইয়ের দোকান নেই।কাছেই নীলক্ষেত,আরও কাছে বাড়ির পাশে মোহাম্মাদিয়া লাইব্রেরিসহ ৩/৪ টা লাইব্রেরি।সবখানেই নূন্যতম ২০% ছাড় প্লাস দুটো বই কেনার সময় আরো দশটা বই নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ পাই।অন্য পাঠকরা কি বই খুজছে,পড়ছে জানা যায়।যাদের বাসা নীলক্ষেতের কাছে না তাদের বাসার কাছে হয়তো বেইলী রোড বই পাড়া,শাহাবাগ আজিজ সুপার মার্কেট,পাঠক সমাবেশ,বেঙ্গল,বাতিঘর (লালবাগ ও বাংলামটর), আছে।এলাকার লাইব্রেরিগুলো তো আছেই।
বইয়ের দোকানে যাবার সময় নেই?যার দোকানে যাবার সময় নেই তার বই পড়ারও সময় যে নেই সেটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না কারও।আপনার জন্য বইয়ের জগৎ নয়।আপনার প্রয়োজন একটা রঙিন টেলিভিশন এবং ধুম্মাচ্চালে,রাগীনি এমএমএস এর মতো চটুল হিন্দী ছবি।
রকমারিতে পেইড প্রমোশন করে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকা করা হয়।বই ও বইয়ের লেখক সম্পর্কে ধারনা না থাকলে বিভ্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।বেস্ট সেলার "বৃত্ত বন্দি" কয়েক পাতা পড়ে হড় হড় করে বমি এসে গেল।
বই সম্পর্কিত তথ্য অসম্পূর্ন।পৃষ্ঠা সংখ্যা বেশীর ভাগ সময় দেওয়া থাকে না।
রকমারির ক্যাম্পেইনগুলো আরো মারাত্মক।প্রতিটা বুক রিভিও এর জন্য তারা ২ টাকা করে দিচ্ছে যেখানে মানুষ ফকিরকেও ৫ টাকার কমে ভিক্ষা দেয় না।
মিশিও কাকুর ফিজিকস অব দ্যা ইমপসিবল বইটা খুজছিলাম।রকমারি থেকে কিনলে ৬০০ টাকার বইটির দাম আসে ৫৬০ টাকা । প্রথমা অনলাইন থেকে নিলে দাম আসবে ৪৯০ টাকা।পাঠক বইটা কোথা থেকে নিতে চাইবে? সব রকম বই এর জন্য এখনো কোন নির্ভরযোগ্য অনলাইন বুকশপ গড়ে ওঠেনি।
সুতরাং রকমারি ডট কমে বই, বইয়ের খোমা,দাম দেখুন কিন্তু সম্ভব হলে কিনুন রাস্তার পাশের বইয়ের দোকান থেকে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ব্যাবসা হলো--লোক ঠকানোর ব্যাবসা।যে সেক্টরেই যান না কেন।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: একই বিপদে আমিও।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: একুশে গ্রন্থমেলা থেকে কেনা বইগুলো প্রায় খতম।আমিও বিপদে।

২| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনলাইন মার্কেটিং এ সততাই অন্যতম প্রধান মূলধন। এবং গ্রাহকের মন জয় করার জন্য নানা অফার থাকা দরকার।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অফারগুলো আরো হাস্যকর---১০০০/১৫০০ টাকার বই কিনলে ৫০ টাকা ডেলিভারি চার্জ মওকুফ।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

দজিয়েব বলেছেন: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকি, পাশেই নীলক্ষেত। ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে টিউশনির টাকাটা দিয়ে বই কিনতে চাইলাম। রকমারির প্রচারণার ফাঁদে পা দিয়ে নীলক্ষেত না গিয়ে অনলাইনেই অর্ডার দিলাম। ওদের অফিস মতিঝিল এলাকায়, সেখান থেকে বইগুলো ক্যাম্পাসে পৌঁছে দিতে ওদের সময় লেগে যায় এক সপ্তাহ। ওরা কোনো কুরিয়ার কোম্পানির সাথে চুক্তিতে নেই বরং ওদের নিজেদেরই কুরিয়ার কোম্পানি। ডেলিভারিম্যানের বক্তব্য ছিলো ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সংখ্যক অর্ডার ছিলোনা বলে ওরা বই স্টকে থাকা সত্ত্বেও অপেক্ষা করেছে! এই যদি হয় ডেলিভারি পলিসি! রবীন্দ্রনাথের 'ছন্দ' বইটাও ছিলো, যেটার পৃষ্ঠাগুলো বাজে তো বটেই মাঝখান থেকে ছিদ্র; আরেকটা বইয়ের কভার ছেঁড়া! পরে একদিক নীলক্ষেতে গিয়ে বইগুলোর দরাদাম করে দেখি হাড়েহাড়ে ঠকেছি। এরপর থেকে বইমেলা অথবা নীলক্ষেত থেকে বই কিনি, দুটোই ঘরের কাছে! আপনি বেস্টসেলার বইগুলো নিয়ে যে কথা বললেন, তা পুরোপুরি যথার্থ। লেখক আর বই সম্পর্কে যার ভালোরকম আইডিয়া নেই সে ওখান থেকে কিনতে গেলে ঠকার সম্ভাবনা সমূহ। এবার বইমেলায় অবশ্য রকমারি থেকে কিনেছি ৬-৭ টা বই। বইমেলায় বিক্রি-বাট্টা কমে যাওয়ায় সেটা বাড়ানোর জন্য ওরা, আমি আমার বন্ধুদের স্টল থেকে যে ছাড় পেয়েছি তার থেকে, বেশি ছাড় দিয়েছিল দুইদিনের জন্য, ডেলিভারি চার্জ ছিল ফ্রি।

এইপ্রসঙগে আরেকটা অভিজ্ঞতায় আসি। কোচিং সেন্টার উদ্ভাস ওদের সিস্টার কনসার্ন। মতিঝিলে এখন রকমারি নিজেরাই একটা বিল্ডিং দিয়েছে, সেখানে ওদের সব সিস্টার কনসার্নেরও অফিস। ওখানে উদ্ভাসের অফিসে আমি দিন দশেক কাজ করেছি। কাজের যে গুণগত মান ওরা চায় আর যে প্রেশার তার তুলনায় সম্মানীটা রিভিউ-এর দুইটাকার মতোই অনেক কম। এবং ওদের সাথে কাজ করতে গিয়ে দুটো জিনিস খুব ভালোভাবে অনুভব করেছি (ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয়তো পারবোনা কেন) যে, ছেলেমেয়েদের মনোবল নষ্ট করার মাধ্যেমে বাবামাকে কোচিং না করালে বাচ্চার অবস্থা খারাপ হবে এমন মানসিকতা সৃষ্টি করে ওরা ব্যবসা করে; এবং ওদের ব্যবসার একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে হিপোক্রেসি।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি কমে যাওয়ার ভয়ে ওরা ২৫% ছাড় দিতে পারে,কিন্তু অন্যসময় পারে না!!!আমি একুশে মেলা থেকে বেশির ভাগ বই কিনে থাকি।আপনার কাছ থেকে ভেতরের অনেক খবর জানতে পারলাম।ওদের ব্যাবসার পলিসি ভালো না।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: সবাই তো ভাই ঢাকায় থাকে না।
আর যার টাকা আছে সে সময় বাচাতে কিনতেই পারে বেশি টাকা খরচ করে, এজন্য বই পড়া ছেড়ে দিতে হবে এটা কেমন কথা।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যার টাকা আছে সে তো বই পড়বে না,সে রেস্টুরেন্ট থেকে রেস্টুরেন্টে ঘুরে বেড়াবে আর সেলফি-কুলফি তুলবে।যারা ঢাকায় থাকে না তাদের কথা মাথায় রেখে বলেছি --সম্ভব হলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে বই কিনতে।---সম্ভব হলে---

৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাবিব ইমরান বলেছেন:
ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য রকমারি থেকে বই কেনা একটা বিলাসিতা। বলতে গেলে একটা ডিজিটাল ফুটানি থার্ড বাংলায় বলে আলগা ফুটানি। :D
(যদিও অনেকেই ‘হাতে সময় নেই’ অজুহাতে অনলাইনে বই কেনেন তাদের ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই)
যাদের হাতের কাছেই বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, বাতিঘর, পাঠক সমাবেশের মত বইয়ের মার্কেট/দোকান আছে তারা অনলাইন থেকে কেন বই কিনবে? আশ্চর্য।
বইয়ের দোকানে ঘুরে ঘুরে বইয়ের ঘ্রাণ নিয়ে যে শান্তি পাওয়া যায় তা পৃথিবীর অন্যকোথাও পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই।

ঢাকার বাইরের যারা থাকেন তাদের ব্যাপারটা ভিন্ন। সব জায়গায় সব বই পাওয়া যায় না, তাই তারা অনলাইনে রকমারির দারস্থ হতেই পারেন ৷কিন্তু ঢাকার মানুষদের ক্ষেত্রে অনলাইনে বই কেনাটা মোটেই উচিৎ না।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।যারা ঢাকায় থাকে তাদের অনলাইনে বই কেনার কারণ দেখি না।----"বইয়ের দোকানে ঘুরে ঘুরে বইয়ের ঘ্রাণ নিয়ে যে শান্তি পাওয়া যায় তা পৃথিবীর অন্যকোথাও পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই।"---চমৎকার বলেছেন ।

৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সেটাই বইয়ের দোকান অভাব নাই।
যারা অনলাইনে কেনাকাটা করে তারা বোকা।
ঘর থেকে দুই পা বাইরে ফেললে সব কিছু পাওয়া যায়।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অতি সত্য কথা।বইয়ের দোকান থেকে দেখে শুনে বই কিনতেও মজা।

৭| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

সরকার আলী বলেছেন: রকমারিতে English version এর original print বই "Physics of the Impossible - A Scientific Exploration Into the World of Phasers, Force Fields, Teleportation, and Time Travel-" by Michio Kaku দাম লিখেছে টা. ৯০০।

নেটে বইটির English version pdf softcopy পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রি।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ।বাংলা অনুবাদটা দ্রুত এবং মজা করে পড়তে পারবো।তবে তার আগে ইংলিশ ভার্সনটা একটু দেখে নেব।

৮| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক কিনেছি রকমারী থেকে।
এখন নীল ক্ষেত থেকে কিনি।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এই লকডাউনে মনে হচ্ছে অনলাইন বুক শপগুলো ভালো চলবে।

৯| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: রকমারির ব্যাপারে নতুন করে বলার নেই।তবে অনলাইনে অনেক সময় বাধ্য হয়ে কিনতে হয়।দুই একটা ভিনদেশী বই কিনতে গেলে পরিচিত দোকানে পাই না।বইগুলোর পাঠক কম।দোকানদাররা রাখেন না।এই দিক দিয়ে অনলাইন শপ ভরসা।ব্যস্ততার মাঝে দূরের মানুষকে গিফট করার ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষেত্রে কাজে দেয়।

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনলাইন বুক শপের উপযোগীতা আছে।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব বাটপাড় । সুযোগে থাকে

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ২:০৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এ দেশে যে যেভাবে পারে ব্যাবসা করে নিচ্ছে।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: ঢাকা হলেও দূরত্ব, প্রাপ‌্যতা ও সময়ের কারণে অনলাইনে কিছু ফরমায়েশ দিতে হয়। ভাল বলেছেন। তবে পয়সা থাকলেই রেস্টুরেন্টে সবাই ঘুুরে বেড়ায় না, অনেকে বই পরেও সময় কাটায়।

০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ওই কিছু ফরমায়েশের জন্যই সম্ভবত অনলাইন বুক শপগুলো টিকে আছে।সোশাল মিডিয়ায় রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়ার ছবি দেওয়াটা কিন্তু ট্রেন্ড বুক চ্যালেঞ্জ বা বুক রিভিও দেওয়া কিন্তু ট্রেন্ড হতে পারেনি।

১২| ০৭ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ঠিক তবে বাংলাবাজারে যেত হলে পুরোদিন নষ্ট হবে আর ৪ চাকার কোন পরিবহণ যেতে চাইবে না।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ব্যাবসা হলো--লোক ঠকানোর ব্যাবসা।যে সেক্টরেই যান না কেন-পুজিবাদের ধর্মই তো এটা।

০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ঢাকার লোকেরা বাংলাবাজার থেকে বই কেনে না।মূল শহরের ভেতর বা কাছাকাছি দোকান থেকে বই কেনে।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি এত অ্যাগ্রেসিভ হচ্ছেন কেনো, আপনার পার্সপেকেটিভে হয়তো ঠিকই আছে কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের জন্য রকমারী একটা অন্যতম এবং ভালো বিকল্প। আমি নিজেই আমার অফিশিয়াল পারপাসে কয়েক দফা বেশ মোটা অংকের বই নিয়েছি রকমারী থেকে। এখন দেখেন, এটা আমার অফিশিয়াল বিষয় ছিলো, যেখানে ওই বইগুলো বাজার থেকে খুঁজে পেতে নিলে যে টাকাটা বাঁচতো, তার চেয়ে ওগুলো খোঁজার জন্য যে পরিমাণ সময় দিতো হতো, আামার জন্য তার মূল্য বেশি হয়ে যেতো। এ ক্ষেত্রে রকমারী আমার জন্য হেল্পফুল হয়েছে।

আর এখন প্রায় সবারই অনলাইন মার্কেটিং ব্যবস্থা থাকলেও ডেডিকেটেড বুকসেলার হিেসেবে রকমারী-ই এদেশে প্রথম এসেছে। এ কারণে সবার এক্ষেত্রে রকমারীর কথাই প্রথম মাথায় আসে।

০৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: দেখা যাচ্ছে রকমারির ক্রেতারা ভীষন সময় সচেতন।বই কেনার পেছনে সময় ব্যায় করাকে সময়ের অপচয় ভাবাটা ব্যাক্তিগত রুচির উপর নির্ভরশীল।ভালো পাঠক বই কেনার সময়টাকে উপভোগ করে।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাবাজারের পাইকারী দোকান বা অনলাইন ছাড়া যেকোনো বিষয়ের বই কোনো বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে না।এখন বইয়ের দোকানই বা কয়টা আছে? আগে শান্তিনগরের শুধু সবুজ লাইব্রেরী নামেই চারটা দোকান ছিলো। মৌচাক,নিউমার্কেটে অনেক দোকান ছিলো। এখন আজিজ সুপার মার্কেটের বইয়ের দোকানগুলির মতো সেগুলিও পোষাকের দোকানে পরিণত হয়েছে।
'৮০-র দশকে দেখতাম অনেকে বই মানে বুঝাতো চলচ্চিত্রকে।
আর এখন বুক মানে ফেসবুক।
মেলা ছাড়া বই পড়ে কয়জন?

০৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: রকমারিতে বইয়ের কালেকশন অনেক এটা অস্বীকার করা যাবে না।যেকোন বিষয়ের বই সব দোকানে পাওয়া যাবে না তবে সাধারন সাহিত্যের বইয়ের পাঠকদের জন্য লাইব্রেরিতে কেনার মত কিছু না কিছু থাকে।সবুজ লাইব্রেরির কথায় ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।সবচেয়ে বড় সবুজ লাইব্রেীটা এখনকার রকমারির প্রতিচ্ছবি ছিল--সবকিছুর দাম বেশি রাখতো।কিছু বইয়ের দোকান যেমন উঠে গেছে কিছু নতুন তৈরি হয়েছে--বেঙ্গল,পাঠক সমাবেশ,বাতিঘর। মেলাকে কেন্দ্র করে বই কেনা ও পড়াকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই।বই পড়া নিয়ে কথা।মেলা থেকে কেউ যদি ১৫০০ টাকার বই কিনে রাখে তাহলে ক্ষতি কি?৫-৬ মাস তার বেশ চলে যাবে।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: সবচেয়ে বড় সবুজ লাইব্রেীটা এখনকার রকমারির প্রতিচ্ছবি ছিল--সবকিছুর দাম বেশি রাখতো[/sb এই পুরানো কথাটা আমারো মনে পড়ে গেলো।
আমি ১৯৯৯-২০১২ পর্যন্ত একটা দীর্ঘসময় প্রকাশনা সংস্থার স্বতাধিকারী হিসেবে দেখেছি, মেলায় বেশীরভাগ মানুষ বেড়াতে আসে। বই কেনে কম ।কিনলেও ২/১ টা।
সবাই ১৫০০ টাকার বই কিনলে মেলায় সব দোকান খালি হয়ে যেতো।
আপনার বাড়িও কি শান্তিনগর?

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার কথা সত্য--২/১টার বেশি বই মানুষ কেনে না।পাঠকদের বিরাট অংশ ছাত্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী।তাদের আর্থিক সংগতি বিবেচনা করলে তাদের দোষ দেওয়া যায় না।স্কুলে পড়ার সময় ২০০ টাকা বরাদ্দ পেতাম বই কেনার জন্য।তখন ২ টা বই কেনা যেত এই বাজেটে।এখন পেপার ব্যাক ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না।এখন বই কিনতে হলে ৫০০ রেডি রাখতে হয়।আমার মনে হয় এই দামের ভেতর ২টি বা ১টি বই ছাড় সহ কেনা গেলে পাঠক বই কিনবে।বাংলাদেশে মানুষ তো কম না,বই বিক্রি হয়ে যাবে।ঐতিহ্য ও প্রথমার বইয়ের দাম অত্যধিক।সামর্থ হওয়ার পর থেকে আমি হাজার দেড়েক টাকার বই কিনি,সেজন্য ১৫০০ টাকার কথা বললাম।মালিবাগ পেট্রল পাম্প-শান্তিনগর- কাকরাইল এই রিকশা রুটে স্কুলে যেতাম।শান্তিবাগ-শাহাজাহানপুরে দীর্ঘদিন ছিলাম।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৩৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: টাকার জন্য বই কেনে না এটা মানা যাচ্ছে না,কারণ স্কুল কলেজের ছাত্ররাও মাসে সিগারেট বা ফেন্সিডিল খেয়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে। এছাড়া পোষাক,জুতা।মোবাইল,ফাষ্টফুড আর বন্ধু-বান্ধবীদের জন্য খরচ করে আরো কয়েক হাজার।
সে তুলনায় ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে মাসে একটা বই কেনা কিছুই না।ইচ্ছা আর গুরুত্বটাই বড় ব্যাপার।
আমি কাকরাইলের লিটল ফ্লাওয়ার বিদ্যালয়ে পড়তাম।

১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনি এখনকার ছেলেমেয়েদের কথা বলছেন যারা পরিবার থেকে নিয়মিত হ্যান্ডসাম পকেট মানি পায়। আমাদের শৈশবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে টাকা ছিল না।তাদের ছিল হিসাবের সংসার।পোষ্যকে পকেট মানি দেওয়ার কোন চল ছিল না তখন।মাঝে মাঝে টিফিনের টাকা পাওয়া যেত কিন্তু সেটা এত নগন্য যে সেটা জমানোর কথা চিন্তা করা যেত না।আবার ছেলেমেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে অনেক অভিভাবক তাদের হাতে টাকা দিত না।আর বই পড়াকে কিছু অভিভাবক সবসময় খারাপ চোখে দেখে এসেছে অথচ নিজেরা কিন্তু ভিসিআরে মশগুল ছিল।
১৫০-২০০ টাকায় এখন তেমন কোন বই পাওয়া যায় না(হুমায়ূন ছাড়া)।নতুন লেখকরাও ২৫০ পাতার নীচে বই লেখে না।
উইলস লিটেলে আমি ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়েছি।স্কুলের জায়গা নিয়ে মামলা শুরু হবার পর চলে আসি।
মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.