নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল লাগা,অল্প বিখ্যাত কিছু বইয়ের রিভিওঃ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯


চেঙ্গিস খানঃ রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় পুরষ্কার প্রাপ্ত উপন্যাস।লেখক--ভাসিলি ইয়ান।এটি চেঙ্গিস খানকে নিয়ে লেখা একটি আত্মজীবনিমূলক উপন্যাস।১১০০-১২০০ খ্রীষ্টাব্দ সময়কালে চেঙ্গিস খান ও মোঙ্গলদের সম্রাজ্য বিস্তারের কাহিনী উঠে এসেছে এই বইতে।বইটি দুটি অধ্যায়ে বিভক্ত।প্রথম অধ্যায়ে বুখারা, সমরখন্দের (উজবেকিস্তান) অধিপতি খরেজমের শাহ খরেজম শাহ'র রাজত্ব,প্রাসাদ ষঢ়যন্ত্র, তার পতন ও মঙ্গল বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগে চেঙ্গিস খানের সামরিক অভিযান,সম্রাজ্যবিস্তার,তার পরিবারের কথা,তার পুত্রদের ও সেনাপতিদের পরিচালনার কথা, তার যুদ্ধ কৌশলের কথা,তার অন্তিম পরিণতির কথা বর্ননা করা হয়েছে।তথ্য ভিত্তিক উপন্যাসটি লিখতে লেখক বৃটিশ মিউজিয়াম সহ অসংখ্য মিউজিয়ামে রাখা নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং সেগুলোর সাহায্য নিয়েছেন।লেখকের অসাধারন বর্ননা পাঠককে ৮০০ বছর আগের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। বইটিতে অনেক ঐতিহাসিক চমকপ্রদ তথ্য আছে।যেমনঃ ভূমধ্য সাগরে ৮০০ বছর আগে ছোট ছোট কিছু দ্বীপ ছিল।সেখানে বিশেষ এক শ্রেণির মানুষ বসবাস করতো।বর্তমানে ভূমধ্য সাগরে কোন দ্বীপ নেই।
বইটির আরো দুটি সিক্যুয়েল আছে।বাতু এবং শেষ সায়রের সন্ধানে।বাতু ছিলেন চেঙ্গিস খানের নাতি।


ফেনার রাজ্যঃলেখক--ইভার ইয়েফ্রেমভ।মানুষের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ও ইতিহাস উঠে এসেছে এ উপন্যাসে।উপন্যাসটি খ্রীষ্টপূর্ব ১০০০ শতকের পটভূমিতে লেখা।উপন্যাসের মূল চরিত্র পান্দিওন একজন ভাস্কর্য শিল্পী।আপন বলতে আছেন পান্দিওনের দাদা আর তার ভাস্কর্য শিল্পের ওস্তাদ।ওস্তাদের সাথে তার পিতা-পুত্রের মত সম্পর্ক আর ওস্তাদের মেয়ে তার ভালবাসার পাত্রী।ভাস্কর্য শিল্পের উন্নত কলাকৌশল শেখার জন্য পান্দিওন গ্রীসের ক্রীট দ্বীপে যাত্রা করে।সেখানে সে দাস ব্যাবসায়িদের কাছে ধরা পড়ে।বহু ঘটনা-দুর্ঘটনার ভেতর দিয়ে সে ভিন্ন এক মহাদেশে এসে পৌছায়।শুরু হয় তার দাসত্বের জীবন।নতুন দেশে এসে সে দেখে সেখানে বানানো হয়েছে রাজাদের বিরাট সব মূর্তি।এসব মূর্তি বিশাল করে বানানো হয়েছে মূর্তির বিশালত্বকে নিজের উপর আরোপ করার উদ্দেশ্যে।তবে এসব মূর্তিতে সুক্ষতা নেই।সংগ্রামমুখর জীবনেও পান্দিওন শিল্প সাধনা অব্যাহত রাখে।তার সবটুকু দক্ষতা দিয়ে তৈরি করে দাসত্ব থেকে মুক্তির প্রতীক সম্বলিত একটি উৎকৃষ্ট মেডেল।
উপন্যাসের শুরু বর্তমান সময় কালে,অত্যন্ত নাটকিয়তার মাধ্যমে।মিউজিয়ামে রক্ষিত পান্দিওনের বানানো সেই শিল্পকর্ম নিয়ে কিউরেটর আর দর্শকের কথোকপনের ভেতর দিয়ে।এরপর পান্দিওনের কাহিনীটি শুরু হয়।
সে কি কখনও পারবে হাজার মাইল দূরে তার জন্মভূমিতে,তার ভালবাসার মানুষের কাছে ফিরে যেতে?ফেরার পথে শেষ বাধা হয়ে দাঁড়ায় শ্বাপদ সংকুল সীমাহীন গহীন অরণ্য।


মানুষের মতো মানুষ—বইটির লেখক বিখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বরিস পলেভয়।উপন্যাসের প্রধান চরিত্র সিনিয়র লেফটেন্যান্ট এলেক্সেই মেরিসিয়েভ।মেরিসিয়েভ রাশান বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মান বিমান বাহিনীর সাথে আকাশ যুদ্ধে তার বিমানটি গহীন অরণ্যে ভেঙে পড়ে।মারাত্মক আহত হয় সে।ভাঙা পা নিয়ে ৭ দিন হেটে ও হামা দিয়ে সে লোকালয়ে ফিরতে সক্ষম হয়।তারপর তার ঠাই হয় সামরিক হাসপাতালে।মেরিসিয়েভের দু’পায়ের পাতা কেটে ফেলা হয়,লাগিয়ে দেওয়া হয় নকল পায়ের পাতা।কিন্তু মেরিসিয়েভ স্বপ্ন দেখে সে আবার আকাশে উড়বে,যুদ্ধ বিমান চালাবে।শুরু হয় প্রশিক্ষণ আর তার দফতর থেকে দফতরে ঘোরা।অবশেষে সত্যি একদিন মেরিসিয়েভ লাভচকিন-৫ এ চড়ে আকাশে ওড়ে।আকাশ যুদ্ধে জার্মানির এলিট স্কোয়াড্রন রিখথোফেন গ্রুপের ৩ টি অত্যাধুনিক ফোক উলফ-১৯০ ধ্বংস করে একই দিনে।এক সময় যুদ্ধ শেষ হয়।
নিছক গাল-গল্প নয়,সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা হয়েছে এ উপন্যাস।যুদ্ধকালীন সময়ে এক বিমান ঘাটিতে লেখকের সাথে দেখা হয়েছিল পা বিহীন এক পাইলটের।তার কাছ থেকে শোনা এক রাতের গল্পকেই লেখক উপন্যাসে রুপদান করেন।এই উপন্যাস নিয়ে তৈরি হয়েছে অপেরা,সিনেমা,রেডিও নাটক। যুদ্ধ পরবর্তী কালে রেডিও নাটকে নিজ জীবন কাহিনী শুনে মেরিসিয়েভ(কাল্পনিক নাম) খুজে বের করেন লেখক বরিস পলেভয় কে।বইটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত বই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: শেষের বইটা ''মানুষের মতো মানুষ'' বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: জ্বী,মানুষের মতো মানুষ এবং চেঙ্গিস খান বই দুটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রকাশ করেছে।বইটি কি আপনার পড়া?

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট।
আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.