নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সন্তানকে কেন আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিব না?

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৫


আমার সন্তানকে আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিব।কারন তারা আমার সন্তান।তাদের আমি ভালবাসি। আর এটাই স্বাভাবিক।স্বাভাবিক,স্বতস্ফুর্ত জিনিসের কোন কারন খোজা লাগে না।কারন খুজতে হয় যেখানে স্বার্থের ব্যাপার জড়িত থাকে,বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে,অর্থনীতির বিশ্লেষনে।
মা বাবাকে মাছের মাথাটা খেতে দেন।কারন বাবা উপার্জনকারি।সন্তান যখন উপার্জনকারী হবে তখন মা,তাকেও মাছের মাথা খেতে দিবে সন্দেহ নাই।কারন গৃহবধু যাদের কোন আয় নেই তারা ভরনপোষনের জন্য স্বামী,সন্তানের উপর নির্ভরশীল।এতে শ্রদ্ধার,মূল্যবোধের চেয়ে নিজের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভয়টাই প্রধান।বাবার ঘুমের সময় কথা না বলা বা তার অন্যায় কাজের প্রতিবাদ না করার কারনও ভয়।বাবা অর্থনৈতিক ও শারিরীকভাবে শক্তিশালী।প্রতিবাদ করলে উত্তম মধ্যম খাওয়া লাগতে পারে।এখানে ফ্যামিলি ডিসিপ্লিন বা নৈতিকতা চর্চার কোন ব্যাপার নেই।
দাদা দাদী বেড়াতে আসলে মা বাবার সুবিধা কমিয়ে দাদা দাদীর সুবিধা বাড়িয়ে দেন শ্রদ্ধা,ভালবাসার জন্য নয়।বরং দাদা তার সম্পত্তি তার ছেলেদের ভাগ করে দেননি বলে।মা যদি এতই তাদের ভালবাসে তাহলে শ্বশুর শাশুড়িকে নিজেদের সাথে থাকতে বলে না কেন?অনেক কর্মজীবি মহিলা অবশ্য শাশুড়িকে নিজের বাসায় রাখে---বাচ্চা পালনের জন্য।আসলে সবই মায়েদের হিসাবী সাপ লুডু খেলা।
কোন যোগ্যতা অর্জন ব্যাতিরেকেই সন্তানরা প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যায়।কি যোগ্যতা চান তাদের কাছে--টাকা রোজগার?নিজের ভরনপোষনের নিশ্চয়তা?তাহলে বলব আপনার বাবা মা হওয়া উচিত হয়নি।আপনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
নাকি নিজের কাজ নিজে করা--নিজের বাসন নিজে ধোয়া,নিজের কাপড় নিজে কাচা?আপনি নিজে নিজের কাজগুলো করেন?আপনার মতো দামড়ার কাজ করার জন্য তো মাস মাইনের আলাদা কাজের লোক রাখা লাগে।তাহলে আপনার এতটুকু সন্তান এগুলো কিভাবে, কেনইবা করবে।আপনার সন্তান আপনার শিশুবয়সের তুলনায় দশগুন পড়া লেখা করে,দশগুন কঠিন দুনিয়ায় তারা বসবাস করে।তাদের যদি ঘরে হাড়ি পাতিল মেজে খেতে হয় তাহলে ঘরে থাকার দরকার কি?এতিমখানা বা হোস্টেলে দিয়ে আসুন।
কোন যোগ্যতা অর্জন ব্যাতিরেকেই সন্তান প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যায়।তখন সে আর যোগ্যতা অর্জন করতে চাইবে না।তা প্রথম শ্রেনীর সদস্য হয়ে যাওয়া আপনার সন্তানকে প্রথম শ্রেনীর কি কি সুবিধা দিয়েছেন?সবচেয়ে ভাল স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর ব্যাবস্থা করতে পেরেছেন?তাকে সৃজনশীল,সৃষ্টিশীল করার জন্য কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন।উন্নত বিশ্বের বাচ্চারা একটা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট শিখে থাকে।আপনি শিখিয়েছেন সন্তানকে আর্ট,কালচার,সঙ্গিত,আবৃত্তি? মানসিক বিকাশের পাঠ্যবইয়ের বাইরে কয়টি আউটবুক কিনে দিয়েছেন।
আপনি আপনার সন্তানকে দিয়েছেন আসলে নূন্যতমটা কিন্তু বলছেন প্রথম শ্রেনীর সুবিধা দিয়েছেন(ভাষার ম্যারপ্যাচে বলা হয়েছে)।সন্তান যদি যোগ্যতা অর্জন না করতে না পারে সেই দায় সন্তানের নয়,সন্তানের বাবা মার।কারন গুড প্যারেন্টিং কি তা তারা জানে না।
সন্তান বাবা মার অবস্থান সম্বন্ধে যে ভুল ধারনা পায় তা বাবা মার কাছ থেকেই পায়।কারন বাবা মাও একে অপরের বা নিজেদের বাবা মা শ্বশুড় শাশুড়ি সমন্ধে যে সব অসম্মানজনক মন্তব্য করে সন্তান সেগুলো থেকে ভুল ধারনা পায়।সন্তান যেসব ভুল জিনিস শেখে তা তার বাবা মা কে দেখেই শেখে।বাবা মা সভ্য হলে সন্তান সভ্য হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%।
এই লেখা সম্পূর্ণ একপেশে।অপর পাশের লেখা পড়তে ফেসবুকে লক্ষ্য রাখুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য খুব হিসাব করে বিয়ে করতে হয়। এবং খুব বেশী চিন্তা ভাবনা করে সন্তান নিতে হয়। সন্তান জন্ম দিলেই হবে না। সন্তানকে সঠিক ভাবে মানুষ করতে হবে। যা সব বাবা মা পারে না।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৫৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটা বাবা-মাও দেখি নাই যারা সন্তান পালনে নিজের দোষ স্বীকার করেছে।দেশের মানুষ যখন যথেষ্ট সভ্য হবে তখন এসব সমস্যার সমাধান হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.