নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খোলা মনের মানুষ
যারা দুটি-চারটি করে বই কিনে তারাই আসল পাঠক।এই শ্রেণী দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বই কিনে কিনে বইয়ের সংগ্রহ বা লাইব্রেরি গড়ে তোলে।এরা বই কিনে এবং বই পড়ে।এদের সংগ্রহে থাকা সব বই এদের পঠিত।আরেক শ্রেণীর পাঠক আছে যারা একসাথে ৩০/৩৫/৫০ টা করে বই কিনে।৩০-৩৫ খন্ড রবীন্দ্র,সৈয়দ হক রচনাবলী কেনে।এদের পাঠক না বলে বই সংগ্রাহক বলা ভালো।৩০ খন্ড রবীন্দ্র রচনাবলী কারো পক্ষেই পড়ে শেষ করা সম্ভব না।রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও না।এরা বই কেনে বই জমানোর জন্য,শখের জন্য,শো-কেস/বুক শেলফ ভর্তি করার জন্য।লোক দেখানোর জন্য।ড্রয়িং রুমের শোভা বর্ধনের জন্য।দু’একজনকে বলতে শুনেছি আমার বই পড়ার চেয়ে কেনার নেশা বেশী।আমার এক বন্ধুর সাথে বইমেলার সময় কথা হল বই নিয়ে।বন্ধুটি জানাল তার প্রচুর বই কেনা হয় কিন্তু পড়া তেমন হয় না।মনের মধ্যে প্রশ্ন থেকে গেল—তাহলে বই কেনে কেন?জমানোর জন্য?যেভাবে লোকে ডাকটিকেট জমায়?
মানুষের হাতে পয়সা এসেছে।বড় পদ ও পদবী ধরা দিয়েছে ।এখন একটা বইয়ের সংগ্রহ না হলেই নয়।এ রকম বহু মানুষ সমাজে আছে।
কিছুদিন আগে স্পন্সরড বিজ্ঞাপন চোখে পড়লো একটি প্রকাশনীর।তারা সৈয়দ হকের ৩৫ খন্ড রচনাবলী প্রকাশ করবে।প্রি অর্ডার মুল্য ১১৭০০ টাকা।মুদ্রিত মূল্য ৩০,০০০ টাকা।অনেক শৌখিন পাঠক,সংগ্রাহক বই কিনছে।আলাদা ভাবে বিভিন্ন খন্ড তারা বিক্রি করে না।মধ্যবিত্ত,সীমিত আয়ের মানুষ,ছাত্রদের পক্ষে সম্ভব না একসাথে এত টাকার বই কেনা।তাদের কথা ভাবার সময় প্রকাশনীর নেই।
লেখক বেচে থাকতে অন্যপ্রকাশ ১১ খন্ড উপন্যাস সমগ্র প্রকাশ করেছিল।আলাদা ভাবে উপন্যাস সমগ্র কেনার সুযোগ রেখেছিল তারা।বহু পাঠকের কাছে সুলভে সৈয়দ হকের লেখা পৌছে দিয়েছে তারা।এখন অন্যপ্রকাশের সেই উপন্যাস সমগ্রের ৫/৬টি খন্ড আউট অব প্রিন্ট।লেখকের অবর্তমানে সত্ত্বাধিকারীরা পাঠকের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে।আলাদা ভাবে বিক্রির ব্যবস্থা থাকলে দুটি চারটি করে খন্ড কিনে ধীরে ধীরে অনেকেই পুরো সমগ্র বা অনেকটাই ক্রয় করতে পারতো। অন্যপ্রকাশ এবং অবসর-প্রতীক হুমায়ূন সমগ্র এভাবেই বিক্রি করছে।পাঠক ও ক্রেতার অভাব হয়নি।যার যেটা দরকার পাঠক কিনে নিয়েছে।পাঠকদের কথা চিন্তা করলে এটিই সুবিধাজনক।আবার বই বিক্রিও তো ভাল চলছে।
অন্যপ্রকাশের প্রতি অনুরোধ থাকবে আউট অব প্রিন্ট উপন্যাস সমগ্র খন্ডগুলো পুনরায় প্রিন্ট করার।হক সাহেবের বইয়ের সত্ত্বাধারীদের কাছে উচিত হবে তার বইগুলোকে সুলভে ও সহজে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার।উপন্যাস সমগ্র কিনলে খানিকটা সাশ্রয় হয় পাঠকের।যারা উপন্যাস সমগ্র কেনে এজন্যই কেনে।শৌখিন বই সংগ্রাহকের চেয়ে প্রকৃত পাঠকের কাছে বই পৌছানো বেশি জরুরী।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: তিনি শহুরে,গ্রামীন এমনকি বিদেশী পটভূমিতে গল্প লিখেছেন।মুক্তিযুদ্ধ,কৃষক আন্দোলন নিয়ে উপন্যাস,কাব্যনাট্য লিখেছেন।তার লেখায় নাগরিক সমাজের গল্প ভালমতো উঠে এসেছে।এই সমাজের গল্প বলার সাথে সাথে যৌনতার বিষয়টি তার লেখায় ঘুরেফিরে এসেছে।কারন বিষয়টি গুরুতর ,জীবন থেকে একে এড়ানো যায় না।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিভাবে লিখলেন, উনি কি যুদধে গিয়েছিলেন?
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: উনি মুক্তিযুদ্ধে যাননি।তবে ভুত না দেখেও ভুতের গল্প লেখা যায়,স্টেফান কিং লিখেছেন।স্পেস ট্রাভেল না করেও স্পেস ট্রাভেলের কথা লেখা যায়,আর্থার সি ক্লার্ক সহ অনেকেই লিখেছেন।প্রেমের কবিতা,গল্প লেখার জন্য প্রেমে পড়ার প্রয়োজন নেই।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আপনার মন্তব্য আমার জন্য বিশেষ কিছু।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: বই কিনা হয় না বহু বছর।অনেকে সব রকমের বই পড়তে পারে কিন্তু কেউ কেউ পারে না।পাঠকের চেতনার থেকে নিম্নমানের বই পাঠককে আকর্ষণ করে না।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৬
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অতি সত্য কথা।একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে প্রতিবছর বই কেনা ও পড়া হয়।লকডাউনেও বেশকিছু বই কেনা হয়েছে।একটা ভাল বই পড়তে পারলে তিনটা এভারেজ বই পড়ার কষ্ট ভুলে যাই।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৬
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ভালো বলেছেন। স্কুল কলেজে থাকতে আমি ৩/৪ টা করে বই কিনতাম। আর এক বই অনেক বার করে পড়তাম। ভার্সিটিতে উঠার পর একসাথে ১০/১২ টা করে বই কিনতাম। আর সবই হত সমগ্র টাইপের। এরপরে বিভিন্ন কারণে বই পড়ার অভ্যাস টা চলে গিয়েছে। এখন খুব কম বই পড়া হয়। তাই গত দুই বছর ধরে বই কেনা বন্ধ রেখেছি। ঠিক করেছি যেসব বই কিনে রেখেছি কিন্তু পড়া হয়নি সেগুলো আগে পড়ে শেষ করবো। তারপর নতুন বই কিনবো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৪
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনার বই পড়ার শুভ ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই।আশা করি বই পড়ার অভ্যাস আবার ফিরে পাবেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: গত দুই বছর কোনো বই কিনি নাই।
তবে এবছরের শেষে কিছু বই কিনব।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩২
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বর্তমানে বিভিন্ন প্রকাশনী ও বই বিপনন প্রতিষ্ঠান ব্যাপক হারে মূল্যছাড় দিচ্ছে।৫০% পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে,ভাল ভাল বই।আপনি চাইলে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাহলে আমি আসল পাঠক
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪১
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অবশ্যই,কোন সন্দেহ নেই।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সত্যিকারের পাঠক দুটি-চারটি করে বই কিনেন এবং পড়েন যারা বান্ডেল ধরে বই কেনেন তারা কখনো বই পড়ে বলে আমার মনে হয়না।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।আমি এমনটাই দেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সৈয়দ শামসুল হকের লেখার বিষয় কি?