নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খোলা মনের মানুষ
(১)
এক পাগল নিজেকে বিধবা মহারাণী ভিক্টোরিয়ার স্বামী ভাবতো।পাগল সেরে গেছে এই খবর পেয়ে পাগলাগারদের বড় ডাক্তার তাকে ডেকে পাঠিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,তা তুমি ছাড়া পাওয়ার পর কি করবে?
সুস্থ লোকের মতো সে বললো,মামার বড় ব্যবসা আছে,সেখানে ঢুকে যাবো।
সেটা যদি না হয়?
তাহলে আমার বিএ ডিগ্রী তো রয়েছেই—টিউশনি করবো।তারপর একটু হেসে বললো,অত ভাবছেন কেন, ডাক্তার?কিছু না হলে যে কোনো সময়েই তো আবার মহারাণীর স্বামী হয়ে যেতে পারবো।
(২)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে শুনতে পেয়ে এক পেনশনভোগি বুড়ো শিখ মেজর জিজ্ঞেস করলেন,কে কার বিরুদ্ধে লড়ছে?
-ইংরেজ-ফরাসী জার্মানের বিরুদ্ধে।
সর্দারজি আপসোস করে বললেন,ফরাসী হারলে দুনিয়া থেকে সৌন্দর্যের চর্চা উঠে যাবে।জার্মানী হারলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কলা-কৌশল মারা যাবে।কিন্তু ইংরেজের হার সম্বন্ধে সর্দারজি নিশ্চুপ।
-আর যদি ইংরেজ হারে?
সর্দারজি বললেন,তাহলে দুনিয়া থেকে বেইমানী লোপ পেয়ে যাবে।
(৩)
স্কচদের হাড়কিপ্টেমি আর হুইস্কির প্রতি দুর্বলতা নিয়ে ইউরোপে অনেক গল্প প্রচলিত আছে।আবার সবাই জানে তারা গোড়া ক্রিশ্চান আর মারাত্মক নীতিবাগীশ।তাই এই তিন গুণ নিয়ে গল্প বের হলো---
এক পাদ্রী এসেছেন লন্ডনে।বন্ধুর সাথে গেছেন দেখা করতে।গিয়ে দেখেন সেখানে বিরাট হৈ চৈ;পার্টি চলছে।ছেলে মেয়েতে বন্ধুর বাড়ি গিজ গিজ করছে।বন্ধুর স্ত্রী হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে কাচুমাচু হয়ে পাদ্রীকে অভ্যর্থনা জানালেন।কারণ জানতেন স্কচ পাদ্রীরা এরকম পার্টি ও পার্টির মাতলামি পছন্দ করেন না।ভদ্রতা রক্ষার খাতিরে জিজ্ঞেস করলেন—
একটু চা খাবেন?
পাদ্রী হুঙ্কার দিয়ে বললেন, নো টী!
আরো ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন—
কফি?
নো কফি!
কোকো?
নো কোকো!
ভদ্র মহিলা তখন মরীয়া।মৃদুস্বরে,কাতর কন্ঠে শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করলেন—হুইস্কি সোডা?
নো সোডা!
(৪)
ইংরেজ,ফরাসী,জার্মান আর স্কচ এই চারজন মিলে পিকনিকের আয়োজন করবে বলে ঠিক করেছে।বন্দোবস্ত হল সবাই কিছু সঙ্গে নিয়ে আসবে।ইংরেজ নিয়ে এলো বেকন আর ডিম,ফরাসী নিয়ে এলো এক বোতল শ্যাম্পেন,জার্মান নিয়ে এলো ডজন খানেক সসেজ আর স্কচ লোকটি--?সে নিয়ে এলো তার ভাইকে!
(৫)
এক অহংকারী ইংরেজ, ফরাসী রেস্তরায় গিয়েছেন।তিনি খাবার অর্ডারের ব্যাপারে স্টুয়ার্ডের সাহায্য নিবেন না;নিজেই অর্ডার করবেন।মেনুর প্রথম আইটেমটা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।আসলো স্যুপ।ভেবেছিলেনও তাই।এরপর বেশ খানিকটা নীচে একটা আইটেম অর্ডার করলেন।নিশ্চয় মাছ বা ডিম।এলো আবারও স্যুপ।ইংরেজ বেচারা জানেনা ফরাসীরা মেন্যুতে বাইশ পদের স্যুপ রাখে।ইংরেজ তারপর মেনুর সর্বশেষ পদটি অর্ডার করলেন—নিশ্চয় আইস্ক্রীম বা পুডিং।
এলো টুথ-পিক।
(সংগৃহীত)
২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:০৯
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: নির্ভেজাল কৌতুক। বেশ মজা পেলাম। ধন্যবাদ .....২৭ ভাই।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১১
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: আপনিও ভাল সমোঝদার।আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা-----
২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৪
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার ও হাসার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোটামুটি চলে