নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চরম সব ব্লগ লিখে দেশ,সমাজ,সভ্যতা,বিশ্ব-সংসার সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলব।

জাহিদুল ইসলাম ২৭

আমি খোলা মনের মানুষ

জাহিদুল ইসলাম ২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব বিখ্যাত ফুড ব্রান্ডের নামে কি খাচ্ছি?

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৬


ট্যাং বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান পাউডার ড্রিংকস ব্রান্ড।বাংলাদেশে এটা শীতকালে গরম পানি দিয়ে এবং গরমকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে খেতে হয়।এক সাবানে কাপড় কাচা, এক সাবানে গোসলের মত।ট্যাং দিয়ে কিভাবে ঠান্ডা বা গরম পানীয় বানাবেন তার কিন্তু নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই ।বছর বছর "ট্যাং বাংলার" রেসিপি চেঞ্জ হয় এবং এক বছরের রেসিপি আরেক বছর ব্যবহার করা যায় না ।সম্ভবত তারা পরিবর্তনের বাতাসে বিশ্বাসী। ব্রান্ডের পন্যের দাম বা মান কিন্তু বছর বছর পরিবর্তন হয় না।এজন্যই সেটা ব্রান্ড।গত বছর ট্যাং দিয়ে এক গ্লাস পানীয় বানাতে ৩,৪ চামচ ট্যাং এর পাউডার প্রয়োজন হতো।এ বছর এক গ্লাস পানীয় বানাতে ২ চামচ ট্যাং গুড়া লাগে।

পেট্রোলিয়াম জেলি এবং এসির বাতাসে ভিটামিন সি পাওয়া যায় শুনে আমি অবশ্য ট্যাং খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছি।

নেসক্যাফে কফি এক কাপ বানাতে ১/৪ চা চামচ কফি গুড়া লাগতো।এর বেশি কফি মিশালে তিতা হয়ে যেত।এখন প্রায় এক চা চামচ লাগে।ভবিষ্যতে হয়তো ৩,৪ চামচ লাগবে।ক্রেতারা টাকা দিয়ে বয়েম ভর্তি কফি কিনে নিয়ে যাবে,বানাতে পারবে ৫,১০ কাপ। ইন্ডিয়ান নেসক্যাফে কফি খেয়ে দেখেছি।স্বাদ,গন্ধ দুটোই অনেক ভাল।সে কথা আর নাই বলি।
পাকিস্তানি সেজান জুস ১৯৯৮/১৯৯৭ সালে ২৫ টাকা দাম ছিল।স্বাদ ছিল চমৎকার।এখন সেজান জুস দেশে তৈরি হচ্ছে,দামে সস্তা হয়েছে। কিন্তু মুখে দেওয়া যায় না।কটু একটা কেমিক্যাল গন্ধ তাতে।জুসের নামে কি খাচ্ছি?
স্কোয়াশের মতো বিভিন্ন ফলের ফ্লেভার দেওয়া এক রকম তরল পদার্থ মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ থেকে এদেশে আসে।এক গ্লাস পানির সাথে দু চামচ মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে হয়।এটি ঠান্ডা পানির সাথে মিশালে পানির তাপমাত্রা ২°/৩° বেড়ে যায়।স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির সাথে মিশালে সেই পানি গরম হয়ে ওঠে।সম্পূর্ন কেমিক্যাল আর্টিফিসিয়াল প্রোডাক্ট।বিদেশি পন্য মনে করে কিনেছেন তো ধরা খেয়েছেন।

যেকোন ফুড ব্রান্ড বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার পর সেটা টঙ্গি ব্রান্ডে পরিণত হয়।সেখানে এটা বস্তা থেকে বের হয়ে খড় বিচালি মিশিয়ে প্যাকেট জাত হতে পারে আবার দেশিয় পদ্ধতীতে পুনরুৎপাদিত হতে পারে।
ফলাফল ভয়াবহ।কোনটা পাচ্ছে কেমিকেলের প্রকট গন্ধ,কোনটাতে আবার যোগ হচ্ছে কেমিকেলের সাথে চিনির/স্যাকারিনের গুড়া, ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ,এ্যাডিটিভ,রঙ,কোনটা পুরোপুরি আর্টিফিসিয়াল কেমিক্যাল প্রোডাক্ট।মনে প্রশ্ন জাগে--কি খাচ্ছি?কেন খাচ্ছি?

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

ঘুম ঘুম চোখে বলেছেন: এ জন্যই এসব বাদ দিয়েছি। বাজার থেকে ফরমালিন মেশানো আম/লেবু কিনি, নিজে সরবত বানাই। খাইলে জানা একটা-দুইটা ক্যামিকেল খাইলাম। না জানা হাজার ক্যামিকেল খাইতে চাই না!

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বেলের শরবত খুব উপকারি,খেতেও ভাল।যদিও বানানো একটু ঝামেলা।ব্লাইন্ডার থাকলে তরমুজ,মাল্টার জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি ঘরে দৈনিক কি কি খান, বাহিরে কি কি খান?

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: চা,কফি আর জেনারেল রিলেটিভিটি।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩

আরইউ বলেছেন:



১/৪ চা চামচের কফিতো খুবই লাইট হবার কথা। কফি একটু তেতো না হলে কি স্বাদের হয়? বাংলদেশের কিছু প্রডাক্ট (যেমন, প্রানের ম্যাংগো জুস) বাইরের দেশে পাওয়া যায়। কোয়ালিটি দেশের সেম ব্র্যান্ডের সেম প্রডাক্টের চেয়ে ভালো। এক্সপোর্ট করার জন্য সম্ভবত ভিন্ন প্রডাকশন লাইন ব্যবহার করা হয়।

নিন এবার ঘরে আর বাইরে কী কী খাবার খান তার লিস্ট করা শুরু করুন। এই তথ্য আপনার পোস্টের জন্য, ব্লগের জন্য, জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ!!

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কফির স্বাদ,গন্ধ আগের চেয়ে কয়েকগুন ডাইলুট করা হয়েছে।৫/৭ বছর আগের কথা বলছি।লিস্টি দেওয়া হয়েছে ।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

আশিকি ৪ বলেছেন: অফিসে র টি, বাসায় দুধ চা ছাড়া আর কিছু খাইনা। দেশের বাইরে গেলে ভালো মানের কফি কিনে আনি ১ বছরের জন্য। ট্যাং না খেয়ে ইস্পাহানির "ইস্পি খেতে পারেন" ভালোই । সাজান জুস আগের মাণ পাওয়া যাবেনা।

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ইস্পি খেয়েছি,আমের ফ্লেভার।হুম ভালোই,অরেঞ্জ ফ্লেভার মনে হয় পাওয়া যায় না।সেজান দারুন একটা জুস ছিল ২৫ বছর আগে।এখন একেবারে মানহীন।বিদেশী পার্টি যখন দেশে আসে তখন কফি গিফট পাই।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

আশিকি ৪ বলেছেন: ইস্পি অরেঞ্জ পাওয়া যায়। স্বপ্নের যে কোন আউটলেটে পাবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ওহ,খেয়ে দেখতে হবে।তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে ভেজাল ছাড়া কি কি জিনিস পাওয়া যায় ঢাকার বাজারে?

২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এইতো আমাকে আরেক ভেজালের মধ্যে ফেলে দিলেন।ভেজাল জিনিসটা ভেজালমুক্ত ভাবে সব জায়গায় পাবেন।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: নিরাপদ খাদ্য নামে সরকারের একটা প্রতিষ্ঠান আছে। তাঁরা নিশ্চয়ই সারাদিন বসে থাকে না। ভেজাল খাদ্য গুলো খুঁজে বের করে। শাস্তি দেয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কোন দেশের কথা শোনালেন?এদেশে প্রতিটা সরকারী দপ্তরে লোকজন ধান্দায় থাকে কিভাবে কালোকে সাদা বলে দুটো টাকা উপরি আয় করা যায়।ক্ষতিকারক ব্রোমাইড মিশ্রিত মাউন্টেন ডিও এদেশে সবার সামনেই বিক্রি হয়েছে।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২৯

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় ট্যাং ব্যাং সেজান মিজান যাই হোকনা কেনো এসব সিনথেটিক জ্যুস বা ড্রিংকস খাওয়া আর বিষ খাওয়া একই।

সোজা কমলা আম জাম নিজের হাতে পিসে বা ব্লেন্ডারে জ্যুস বানিয়ে নেওয়া বা সরাসরি খেয়ে ফেলাই শরীরের জন্য ভালো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: অবশ্যই।ব্লেন্ডারে ফলের রস বানিয়ে খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারী ও নিরাপদ।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: এগুলা হল কমজুইমারিজম। মানে আরো পন্য কিনো, কিনতে কিনতে ডুবে যাও।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: হুম,সেটা তো আছেই।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০৭

কালো যাদুকর বলেছেন: এগুলো না খাওয়াই ভাল ।
ব্লেন্ডার দিয়ে ফ্রুট ব্লেন্ড করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল মনে হয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২২

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কোন সন্দেহ নেই।সরাসরি ফল বা ফলের রস খাওয়া সবচেয়ে ভাল।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:১৩

সোহানী বলেছেন: খাদ্যে বিষ মেমানো নিয়ে কেন কেউ সোচ্চার হয় না। আর কতকাল!!!!!!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সমস্যাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা দরকার।কিন্তু এ বিষয়টিতে কেমন একটা গা-ছাড়া/গা সহা ভাব তৈরি হয়েছে।মাঝে মাঝে মোবইল কোর্ট বসে ,তারপর যেই কে সেই।

১২| ০৬ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: নেসক্যাফের কফি খাওয়া হয় মাঝে মাঝে৷

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:৩১

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: নেসক্যাফের স্বাদ-গন্ধ আগের মতো নেই।মান নিম্নমুখি।খেয়ে মজা পাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.