নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খোলা মনের মানুষ
স্বকৃত নোমানের “বেলুন” মুক্তিযুদ্ধ-কেন্দ্রিক,রাজনৈতিক সচেতনতামূলক গল্প।তবে আমার কাছে মনে হল ফ্যান্টাসী পড়লাম। গল্পটি পড়া না থাকলেও সমস্যা নেই,গল্প ও গল্পের অসঙ্গতি একসাথে বুঝতে পারবেন।
গ্রামীন পটভূমিতে লেখা গল্প।সময়কাল শাহবাগ আন্দোলন চলাকালীন সময়।এয়াকুবালী বর্ষিয়ান মুক্তিযোদ্ধা,সাবেক স্কুল মাস্টার। তার বর্তমান পেশা হোমিওপ্যাথী ডাক্তারী করা।কিন্তু তার কথাবার্তা রাজাকারের মত।তিনি যুদ্ধপরাধী কাদের মোল্লার পক্ষে কথা বলেন।তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পক্ষে তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা এয়াকুবালী যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের দাবীতে শাহবাগের আন্দোলন কে পোলাপানের নাচাকুদা বলে ছোট করার চেষ্টা করে।তখন মাদ্রাসার শিক্ষক মনিরুজ্জামান তার প্রতিবাদ করে,নাচাকুদাকে আন্দোলন বলে শুধরে দেন।তৎক্ষনাত এয়াকুবালীর সঙ্গ ত্যাগ করেন।বাস্তবে মাদ্রাসার বেশির ভাগ ছাত্র-শিক্ষক,হুজুরদের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরাধীদের বিচা্রের প্রশ্নে ভিন্ন চিন্তাভাবনা ও মতাদর্শ অনুসরন করতে দেখা যায় ।গল্পকারের মতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব জায়গায়,সবার অন্তরে পৌছে গিয়েছে।শুধু মুক্তিযোদ্ধা এয়াকুবালীর চেতনায় প্রবেশ করেনি!!
গ্রামের তরুন যুবক সুমন যার মাথা ভর্তী কোকড়া,ঝাকড়া চুল,জুলফী লম্বা,হাতে ব্রেসলেট, চলাফেরা মাস্তানের মত,তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবচেয়ে বেশী।
বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক স্কুল শিক্ষক ও বর্তমানে হোমিওপ্যাথী ডাক্তার এয়াকুবালী রোজ জেলা শহর থেকে চেম্বারে দৈনিক পত্রিকা এনে ভাজা ভাজা করেন।গ্রামের যুবক ও বৃদ্ধরা তার চেম্বারে এসে সেই পত্রিকা পড়েন।সেই এয়াকুবালীর কথা বার্তা শিশুসুলভ,চিন্তা ভাবনা প্রস্তরযুগের মত।দৈনিক পত্রিকাপাঠ,স্কুলের শিক্ষকতা,বাস্তব অভিজ্ঞতা বা মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা কোন কিছুই তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা দিতে পারেনি।
একজন মুক্তিযোদ্ধা কেন খামোখা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ নেবে সেটার কোন ব্যাখ্যা নেই।এই বয়সের একজন মুক্তিযোদ্ধা এরকম স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে জনসমুক্ষে স্রেফ তর্কের খাতিরে তর্ক করে যুদ্ধপরাধীর পক্ষ নিবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য না।
সবচেয়ে সেরা ফ্যান্টাসী হল নয় মাস যুদ্ধ করেও যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এয়াকুবালী অর্জন করতে পারেননি, শাহবাগ আন্দোলনকারীদের বেলুনে ওড়ানো মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য পাঠানো চিঠি পড়ে তার সে চেতনা তাৎক্ষনিক অর্জিত হয়।
এই লেখাটা কোন রাজনৈতিক দলের/আন্দোলনের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়।যে কোন গল্প বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে লেখা উচিত।মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক গল্প রচনায় ও মুক্তিযোদ্ধার চরিত্র চিত্রায়নে লেখকদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।প্লট হোলগুলো বন্ধ করা দরকার।তরুন প্রজন্মকে আকাশে তুলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যেন পানিতে ফেলে না দেই।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: জ্বী ,গল্পটা পড়ে কেমন যেন লাগলো।গল্প বাস্তবসম্মত,বিশ্বাসযোগ্য ও যৌক্তিকভাবে লিখতে হবে।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২
বিজন রয় বলেছেন: সামনে যে ছেলেটি দুই হাত উঁচু করে আছে তিনি কে ছিলেন বলতে পারবেন?
খুবই সুন্দর পোস্ট।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: লিলু মিয়া বীর বিক্রম।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হয়ত একেকজন মানুষের ভাবনা বা দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম। তবে রাজনৈতিক ও ইতিহাস নির্ভর লেখায় বাস্তবতার ছোঁয়া থাকাটা তো অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।
ওয়াবেদ হকের তেইল্যা চোরা পড়েছেন?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ওবায়েদ হকের উপন্যাস সংগ্রহ সংগ্রহে আছে।পড়া হয়নি।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: স্বকৃত নোমান ভাই আমার খুব কাছের বড় ভাই। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: উনি বেশ জনপ্রিয় লেখক।নাম উল্লেখ করে ভুলই করলাম নাকি।উনার বেশ কিছু গল্প ভাল লেগেছে ক্যান্সার,হুজুরিয়ানা, নিশিরঙ্গিনি ইত্যাদী।নোমান ভাইয়ের গল্প না উপন্যাস কোনটি আপনার বেশি প্রিয়?
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০১
এম ডি মুসা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ যিনি এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা সাহায্য করছে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই কে শ্রদ্ধা করি।
বঙ্গবন্ধু ব্যতীত এবং মুক্তিযোদ্ধা ব্যতীত যেমন বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। কেউ কি কেউ বাদ দিতে পারে না ঠিক আছে। কিন্তু একাত্তর পরবর্তীতে আজও যারা স্বাধীনতা পেয়েছে স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখতে পারে নাই স্বাধীনতার প্রতি আস্থা ধরে রাখতে পারে নাই স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা, স্বাধীনতার সম্মান ধরে রাখতে পারে নাই দুর্নীতিমুক্ত করতে পারে নাই। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে নাই বৈষমধুর করতে পারে নাই বৈষম্য ধরে রাখছে। আমি কখনো তাদের সাপোর্ট করিনা
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এ ব্যাপারে আপনার অবস্থান ঠিক আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১
মাস্টারদা বলেছেন: এখন তো "মুক্তিযুদ্ধ" বঙ্গবন্ধু নিয়ে যা তা লিখলেই বাহবা জুটে যায়। একারণেই এমন হয়তো আরো দেখা যাবে অদূর ভবিষ্যতে। এইখানে শওকত ওসমানের ক্রীতদাসের হাসি উপন্যাসের কথা খুব খাটে। যে আইয়ুব খানকে ছোট দেখিয়ে উপন্যাস লেখা হলো, সেই সরকারেরই পৃষ্ঠপোষকতায় ওই উপন্যাসের জন্যই শওকত ওসমানে পুরস্কার পেল। অসাধারণ লেখন শৈলী উপন্যাসের, সন্দেহ নেই, আমরা দেখতে চাইছি মাথামোটা সরকারের দিক থেকে।
অতি উৎসাহিদের এখনই নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।