![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাল বেনারসি , গা- ভরতি গয়না পরে একটা মেয়ে যখন কনে সেজে বসে, তার দু' চোখে থাকে কত স্বপ্ন, আসা , আকাঙ্খা । একটি পরিবারের স্বপ্ন , প্রিয়তম জীবন সঙ্গীর স্বপ্ন, সন্তান -সংসার আর নতুন এক পরিবারের সদস্য হবার আকাঙ্খা । মিস থেকে মিসেস হবার যে পরিবর্তন, বাবার নামের জায়গায় স্বামীর নাম লেখবার নিয়ম--- নারী জীবনের এক অন্যরকম মুহূর্ত ।
প্রতিটা মেয়েই এ স্বপ্ন দেখে সেই পুতুলখেলার বয়স থেকে। একটা বয়সের পর মেয়েদের বাবা মা বা অভিভাবক থাকলেও 'স্বামী' নামক অভিভাবকটির খুব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় --- সেটা সামাজিক, পারিবারিক , ধর্মীয় বা প্রাকৃতিক -- যে কোন কারণেই হোক না কেন । পাশাপাশি একজন পুরুষের জীবনেও স্ত্রী নামক সঙ্গিনীর প্রয়োজন হয়-- বংশধারা , সমাজ এবং প্রাকৃতিক কারণেই ।
কিন্তু এই সুন্দর সম্পর্কটি যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখন ডিভোর্স নামক শব্দটির জন্ম হয় । আর এই ডিভোর্স যদি স্বামী বা স্ত্রী --- যে কোন এক পক্ষের প্রয়োজনে হয়, তবে অপর পক্ষের জীবনের অপমৃত্যুই হয় বলা চলে ।
যেহেতু , সারা বিশ্বেই নারীরা নির্যাতিত ও অবহেলিত , তাই নারীদের দিকটাই আগে তুলে ধরা যাক । বিশেষত আমাদের দেশে ধর্ম, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে , প্রতিটা মেয়ে বা মেয়ের পরিবারই বিশ্বাস করে , বিয়ে জীবনে একবারই হয় এবং স্বামীই বিয়ের পর মেয়েদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক--- তা সে স্বামী বেকার হোক, বা বিশাল অর্থশালীই হোক না কেন । কিন্তু , কিছু কিছু প্রতারক পুরুষ বা তাদের পরিবার বিয়ে শব্দটার মূল্যই দিতে জানে না । বিবাহিত স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে পরকীয়া করা, অনৈতিক জীবন যাপন করা, স্ত্রীকে মারধর ও যৌতূকের জন্য নির্যাতন , শ্বশুর শাশুড়িকে অসম্মান করা এবং অনেক ক্ষেত্রে নিজের সন্তানের দায়ভারও গ্রহণ না করা । পাশাপাশি কিছু নৈতিকতাহীন ছেলের পরিবার ছেলের সকল লাম্পট্য ও নির্যাতনকে উৎসাহিত করে উল্টো যৌতূকের দাবি করে বসে । এবং এসব কিছুতেও ক্ষান্ত না হয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে ডিভোর্স দেয় বা দিতে বাধ্য করে । একটা মেয়ে কি এতই সস্তা, তার মান সম্মান, তার পরিবারের সম্মানের কথা একটা বারও ভাবে না । আর নির্যাতন বা যৌতূকের জন্য শাস্তির বিধান আছে, কিন্তু তা দিয়ে কি আর সংসার থাকে ?
সেই চরিত্রহীন স্বামী হয়তও ডিভোর্সের পরের দিনেই আরেকটা বিয়ে করবে , কিন্তু ঐ ডিভোর্সি মেয়েটার কি হবে, সে কি তার কুমারিত্ব আর ফিরে পাবে ? একটা ডিভোর্সি ছেলের বিয়ের অভাব না হলেও এ সমাজে ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে দেয়া নিতান্তই কঠিন । নিজের সব কষ্ট, জ্বালা, অপমান, লাঞ্চনা নিয়ে সে কি করবে , কোথায় যাবে? হয়ত দু একটা সন্তানও আছে তার? অর্থনৈতিকভাবে সে হয়তও নির্ভরশীলও না কারো উপর , কিন্তু তাতে কি? তার প্রতারক প্রাক্তন স্বামীর সুখের সংসার থাকবে, আর সে সমস্ত কষ্ট , যন্ত্রণা বুকে নিয়ে একা একা জীবন পাড়ি করবে--- যে মেয়ের সংসার ভাঙে সেই জানে, নিজের হাতে গোছানো সংসারটা ছাড়তে কতটা কষ্ট হয়। হয়তও যে মেয়েটা খুব রান্না করতে ভালোবাসত , স্বামী - শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়দের জন্য নতুন নতুন রেসিপি বানাত, সে আর কোনদিন পারবে না সেই রান্না করতে ।
বিয়ে তো আর প্রেম নয়, যে ভাংলাম , আবার করলাম। এই ধরনের পুরুষ মানুষগুলোর কি এতো টুকু বোধ নেই ? নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবার জন্য সতী -সাধ্বী মেয়েটার চরিত্র বা শরীর নিয়েও লোক সম্মুখে কুৎসা রটাতে তাদের দ্বিধা হয়না । এমনকি তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলতেও দ্বিধা হয়না । একের পর এক নারীসঙ্গে তারা কি সুখ পায়, সেটা তারা আর বিধাতাই জানে ।
এবার দ্বিতীয় ঘটনা , অনেক দায়িত্ববান পুরুষও আছে, যারা স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করতেও দ্বিধা করে না। সবটুকু অর্থ স্ত্রীর সুখের জন্য ব্যয় করে, স্ত্রীর সামান্য হাসিমুখ বা ভালো ব্যবহার পাবার জন্য কিই না করতে পারে তারা? অথচ দেখা যায় সেই প্রিয়তমা স্ত্রী স্বামীর অলক্ষ্যে আরেক চরিত্রহীন পুরুষের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত, এবং এক সময় তারা পরকিয়ার টানে সেই অভাগা স্বামীকে তালাক দিতেও দ্বিধা করে না ? ভালবাসার এই মূল্য পায় সেই অভাগা স্বামীটা । তার মান সম্মান, মর্যাদা , অর্থ , সংসার সব ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ।কিসের আশায় এসব মহিলা এরকম স্বামীর সংসার ভাঙে, আবার আরেকটা মেয়েরও সংসার ভাঙে, সেটা হয়ত তারা নিজেরাও জানে না ।
পরকিয়াকে কি প্রেম বলে্ , না এটা একটা অপরাধ? তবে যাই হোক, ডিভোর্সের ফলে যে পক্ষ ডিভোর্স চায় না , সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তারাই হয় । কিন্তু তাতে কিছুই করার থাকে না , শুধু স্রষ্টার কাছে বিচার চাওয়া ছাড়া ? বিধির বিধান বলে কিছু তো আছে । হয়তও যে পুরুষ বা নারী এমন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে, তাকেও একসময় এই কষ্ট ভোগ করতে হবে, কিন্তু অন্য কারো কাছ থেকে , অন্য কোন পরিস্থিতে ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৯
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: শুভ কামনা আপু
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৩
ওমেরা বলেছেন: একটা সংসার ভাংগার পেছনে যে দায়ী সে অবশ্যই কষ্ট পাবে পরবর্তী জীবনে । ধন্যবাদ । শুভ ব্লগিং ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৬
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: তালাক হইলো সবচেয়ে অপছন্দনীয় হালাল ! তালাক দেওনের আগে অন্তত ১০০০ বার চিন্তা করা উচিত ! তয় পরকীয়া করণের চাইতে তালাক দিয়া আবার বিবাহ করণই ভালা ! (দিল্লিকা লাড্ডূ ! খাইলেও পস্তাইবো , না খাইলেও !)
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৮
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: ভুক্তভোগীই জানে কতটা কষ্টকর
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
কানিজ রিনা বলেছেন: পরোকীয়া করে যেসব নারী পুরুষ অন্যত্র
সংশার বাধে তাদের সন্তানেরা বেশী ক্ষতি
গ্রস্ত হয়। বাবা মায়ের একসাথে না থাকা
সন্তাদের মানুষীক বিকাশে ক্ষতি হয়।
পরোকীয়া এক ধ্বংশের নাম যারা নিজেরা
নিজেদের ক্ষতি সাধন করে। পরোকীায় জড়ায়
বেশীর ভাগ পুরুষ। তাদের সাথে যে নারী
জড়ায় তারাও একই ধরনের সার্থপর হয়।
লোভ লালশায় বেলজ্জিত জীবন বেছে নেয়।
তাই পুরুষের পাশা পাশী নারীরাও অবতির
মহামারী চরম বেহায়াপনায় নিমজ্জিত।
দৈহিক নির্লজ্জ পুরুষরা স্ত্রী সন্তান ত্যাগ করে
নিজের সুখের দিক বেছে নেয় অতি চাতুরতায়
স্ত্রীকে দোশ দিয়ে নিজের দোশ ঢেকে চলে।
কিন্তু দিন শেষে আবার সন্তানের দাবী করে।
ততোদিনে সন্তান বড় হোয়ে বাবার উপর থেকে
ভক্তি শ্রদ্ধা লোপ পায়। অনেক লুকায়ীত কষ্ট
মনের গভীরে দানা বাধা নির্লজ্জ বাবার সম্মানে
অস্বীকৃতি জানায়।
কারন আমার সন্তানেরা এরকম বাবার সন্তান
বাবার কারনে ওরা মাথা নীচু করে চলে।
বাবার পরিচয় লুকায়। ওদের দুঃখের লাঘব
আমি মা শুধরাতে পারিনা। ওদের বাবার
অভাব সেটা ওরাই বুঝে। অত্যান্ত শিক্ষিত
ছেলে মেয়ে বাবা ওদের সম্মান রাখার চেষ্টা
করে নাই।
লেখা অনেক বাস্তব সম্মত হয়েছে অনেক
অনেক ধন্যবান।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৯
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: সঠিক । ধন্যবাদ ও শুভকামনা
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১১
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: বর্তমানে যে হারে ডিভোর্স বাড়ছে তাতে অনেকেই আতঙ্কিত বিয়ে করা নিয়ে । তার মধ্যে আমিও একজন । জানি না সংসার নামক রণক্ষেত্র রণকৌশলটা কেমন হওয়া উচিত ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৯
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: দু'পক্ষের বিশ্বাস , ভালবাসা , শ্রদ্ধাবোধ --- এ তিনটি থাকলে কোন অশুভ শক্তিই সংসার ভাঙতে পারে না, কিন্তু এক পক্ষ যদি খারাপ হয়, কিচ্ছু করার থাকে না। আপনি ভীত হবেন না, সংসার করাটাই স্বাভাবিক , আর ডিভোর্স , পরকীয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কিছু বিকৃত রুচির অপরাধীদের অপকর্ম ।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: নির্মম সত্য। সবচেয়ে খারাপ লাগে বাচ্চা হয়ে যাবার পর ডিভোর্স হলে। ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের যে কি অসহায় লাগে!
শুভ ব্লগিং....
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৫
যাহরিন নাজাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
রওশন_মনি বলেছেন: সংসারে অশান্তি সৃষ্টির জন্য যে দায়ী, তার শাস্তি প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।