![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি, কাব্য, কাব্যিকতা - এগুলোর সংজ্ঞা কি, আমি জানিনা। ছন্দরীতি, কাব্যনীতি, কবিনীতি - এগুলোর সুত্র কি, আমি বুঝিনা। কবি কে, কাব্য কি, কাব্যিকতা কোন জিনিস, সে বিষয়েও আমি কিছু জানিনা। সাহিত্য সৃষ্টির উপাদান সম্পর্কেও আমি অনভিজ্ঞ। এমনকি, ছোটকাল থেকে শোনা “সাহিত্য’’ শব্দটির “সা’’ সম্পর্কেও আমি অজ্ঞ।
তবে, আমি শুনেছি, মানুষের উপকারী কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদিকেই বলা হয় সাহিত্য। আমি বুঝেছি, সাহিত্য নির্ভর করে - কবি, উপন্যাসিক, গল্পকার, ছড়াকার তথা লেখকদের লেখনী বা সৃষ্ঠির উপর। আমি জেনেছি, সাহিত্য সৃষ্ঠি হয় - ছন্দরীতি, কাব্যরীতি, গল্পরীতি, উপন্যাসরীতি, ছড়ারীতি, কবিনীতি, উপন্যাসিকনীতি, ছড়াকারনীতি তথা লেখকনীতির আলোকে। সাহিত্য সৃষ্ঠির উক্ত রীতিনীতি সমূহের আলোকেই সৃষ্ঠি হয় তাবৎ কবিতা, গল্প, ছড়া, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি। এমনকি সৃষ্ঠি হয় মানবোপকারী এক একটা বিরল দূর্লভ কীর্তি।
আমি কবি নই যে, কাব্যের রূপসাগরে ঝাঁপ দিয়ে শব্দকে মুক্তো বানাবো। আমি উপন্যাসিক - গল্পকার নই যে, উপন্যাস - গল্পের ফুলঝুড়িতে নিজেকে ভরবো। আমি ছড়াকার নই যে, সূর ও ছন্দে ছড়ার মালা গাঁথবো।
তবে, আমি লিখি। লেখা দিয়ে সাধনা করি। জীবনের মনোভাব পরিস্ফুটনে লিখে চলি অবিরত। হোক না তা, ডাস্টবিনের ফেলনা আবর্জনা। তাতে কি আসে যায় ? আমার জীবন তাতে ক্ষণিকের জন্য হলেও তো আনন্দ পায়।
সাহিত্য স্রষ্টাদের সৃষ্টিকর্মের উপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি দিয়ে আহরিত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সেটি দিয়ে কিছু কিছু কলমধারী ব্যক্তিবিশেষ মনের অজান্তে কিছু না কিছু লিখে চলেন।
কবি - সাহিত্যিকগণ যেমন, ভাবনার জগত থেকে সৃষ্টি করেন - কবিতা, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি। তেমনি, কিছু লোক আপন ভাবনায় লিখে চলেন তাঁদের মনের সাজানো কথা। লিখে যান জীবনের আনন্দ - খুশি - উচ্ছলতা - আশা - ভালোবাসার বিবিধ কথন, যেগুলোকে তাঁরা বলতে পারেন না - কবিতা, গল্প, উপনাস, ছড়া ইত্যাদি।
অনেকেই লিখেন ; অপেশাদার লেখক যাঁরা, তাঁরা মনের ভাবনাগুলো লিখে রাখেন কাগজের পীঠে। প্রকাশ করেন না। কারন, তাঁরা নিজেদের লেখাগুলো নিজেরা মূল্যায়ন করতে পারেন না। কিংবা তাঁরা নিজেদর লেখাকে পরিচিতি দিতে পারেন না। তাঁরা ভাবেন - কবিতা হিসাবে পরিচয় দিলে যদি তাঁদের লেখা মানমত না হয়। উপন্যাস হিসাবে পরিচয় দিলে যদি উপন্যাসের মানমত না হয়। গল্প হিাবে দাঁড় করালে যদি গল্পের হিসাব মত না হয়। ছড়া হিসাবে পরিচয় দিলে যদি ছড়ার মানে না হয় - এ ভয়েই তাঁরা তাঁদের লেখাগুলোকে জনসম্মুখে প্রকাশ করেন না। তবে, তাঁরা লিখে যান নিরন্তর। মনের ভাবনাগুলো প্রকাশ করেন কলমের ডগা দিয়ে কাগজের পীঠে।
অপেশাদার লেখকরা নিরন্তর লেখার সাধনা করেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের লেখার পরিচয় তুলে ধরতে পারেনা মানব সমাজে। তাই, তাঁরা পরিচিতি পান না - কবি - সাহিত্যিক রূপে। যাঁরা পরিচয় তুলে ধরতে ভয় পান বা লজ্জা পান, তাঁদের লেখাগুলো পড়ে থাকে তাঁদের ঘরের টেবিলে। নিজেদের লেখা তাঁরা নিজেরাই পড়ে পড়ে আনন্দ পান। অথচ, তাঁদের কিছু কিছু লেখা এমন ও হয়, যেগুলো পেশাদার কবি - সাহিত্যিক - লেখকদের ও হার মানাতো। যদি স্বীকৃতি পেতো সাহিত্যজগতে তাঁদের লেখা, হয়তো পেতেন তাঁরা কবি - সাহিত্যিক - লেখকদের স্বীকৃতি।
এভাবেই অপেশাদার লেখকরা তাঁদের মূল্যবান লেখাগুলো পরিচয় করাতে না পেরে তাঁরা কোনটাসা হয়ে বসে থাকেন ঘরে। মানব সমাজের উপকারী কিছুটা লেখা পর্দার অন্তরালে লুকিয়ে থাকে। মানব সমাজ বিবিধ উপকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়।
আর কবি - সাহিত্যিক - লেখকগণ তাঁদের মনের ভাবনাগুলো লিখেন নির্ভয়ে। সেগুলোর পরিচিতি প্রদানে এগিয়ে যান। পেশাদার লেখক হিসাবে দাঁড় করান নিজেদের সাহিত্যজগতে।
সাহিত্যজগতে মূল্যায়নের জন্য তাঁদের লেখাগুলো প্রকাশ করেন। স্বীকৃতি মেলে তাঁদের লেখার। মূল্যায়ন হয় তাঁদের ভাবনাগুলোর। স্বীকৃতি পান কবি - সাহিত্যিক - গল্পকার - ছড়াকার - প্রবন্ধকার ইত্যাদি রূপে। মানব সমাজ উপকৃত হয় তাঁদের লেখায়।
এই যে আমি, অপেশাদার লেখক হিসাবেই লিখে যাই মনের ভাবনাগুলো। নিতান্তই মনোৎসাহে লিখে চলি অনবরত। কাগজ অপচয় করি, আঙ্গুলের ডগা ক্ষয় করি, কলমের কালি নষ্ট করি, সময়ের অবমূল্যায়ন করি, ব্রেইনকে করি অহেতুক জ্বালাতন - এভাবেই, লেখনী জগতে করি আমি বিচরণ।
নাহ্, আমি কবি নই, নই কোন গল্পকার, নই উপন্যাসিক, নই কোন ছড়াকার। না আমি প্রবন্ধকার, না আমি লেখক। কোনই পরিচিতি নেই সাহিত্যজগতে আমার। তাতে নেই কোন আক্ষেপ, নেই কষ্ট। না আছে তাতে কিছু প্রাপ্তির আশা, না আসে লেখায় কখনো হতাশা। তবুও লিখি। সেই ছোট বেলা থেকেই আমার লেখার অভ্যাস। সবাই বলতো - আার হাতের লেখা সুন্দর। তাই সোৎসাহে লিখতাম। লিখে চলতাম অবিরত। সেই লেখনীর পথ ধরে চলেছি আজও আমার জীবন চলার পথে।
যান্ত্রিক জীবনের ক্ষণিক সময় লেখালেখির মাধ্যমে প্রবাসের অশান্ত মনকে শান্তনা দানের একটি উপায় -
আমার লেখালেখি
==============
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫
মুহাম্মদ জাকারিয়া শাহনগরী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা নিরন্তর।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: আপনার ব্লগ আমি দেখেছি।এইটা আপনার প্রথম পোস্ট।
খুব সুন্দর একটা লেখা পোস্ট করেছেন।সত্যি খুব ভালো লেগেছে।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: পথ চলা শুভ হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন:
তবে, আমি লিখি। লেখা দিয়ে সাধনা করি। জীবনের মনোভাব পরিস্ফুটনে লিখে চলি অবিরত। হোক না তা, ডাস্টবিনের ফেলনা আবর্জনা। তাতে কি আসে যায় ? আমার জীবন তাতে ক্ষণিকের জন্য হলেও তো আনন্দ পায়।
অসাধারণ! এই সাধনা চালিয়ে যান। আপনার মনোভাব কে ফুটিয়ে তুলুন সাহিত্য জগতে।
শুভকামনা।