নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দিনাজপুরের ছেলে

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর

লিখতে না জানলেও কোন একদিন বড় লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখি....

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এদের বিচার কারা করবে???

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮




ছবিতে যাদের দেখছেন তারা যেনোতেনো কেউ না বিরাট বড় হনু...। মর্দা যে মানুষটাকে দেখছেন তিনি একজন বিচারক। বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) রকিবুল ইসলাম এবং তিনার স্ত্রী শামীমা ইসলাম। আর ইনসেটে ও দ্বিতীয় যে ছবিটা দেখছেন সে মাগুরার ১২ বছর বয়সী মেয়ে খাদিজা। বন্ধুরা বুঝতে বাকী নেই এনাদের সম্পর্ক। খাদিজা এই বিচারকের বাসার কাজের মেয়ে। আর এই ছোট্ট মেয়েটিকে কিনা এই দম্পতি দীর্ঘ ১৫ মাস আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে। যা কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসার কাজের মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
শিশুটির মা ডালিম বেগম জানান, অভাব-অনটনের কারণে দেড় বছর আগে গ্রাম্য প্রতিবেশী আবুল বাশারের মাধ্যমে ঢাকায় বিচারক রকিবুল ইসলামের বাসায় মাসিক এক হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতে পাঠান। তার পর থেকে মেয়ের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। রকিবুল ও তা স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করলেও তারা কখনও ফোন ধরতেন না। প্রতিবেশী আবুল বাশারের কাছে মেয়ের খোঁজ নিতে গেলে তিনি শুধু বলতেন, 'খাদিজা ভালো আছে।' এভাবে ১৫ মাস যোগাযোগহীন অবস্থায় থাকার পর খাদিজা অসুস্থ অবস্থায় পালিয়ে শনিবার ভোরে বাড়ি ফেরে।
খাদিজা সাংবাদিকদের জানায়, কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে উত্তরায় রকিবুলের ও বসুন্ধরায় তার শ্বশুরের বাসায় তাকে রান্না ছাড়া সব ধরনের কাজ করতে হত। রকিবুল ও তার স্ত্রী নানা অজুহাতে প্রতিদিন তাকে চড়, থাপ্পড়, শরীরে গরম খুনতির ছ্যাঁকা ও গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করত। দিনে একবেলা খেতে দিত, তা-ও পচা-বাসি খাবার। অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা করতো না। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার বাসার গার্ডকে ১০ টাকা দিয়ে একটি পাউরুটি কেনার জন্য পাঠিয়ে কৌশলে আমি পালিয়ে আসি। প্রায় দুই মাস আগে রকিবুলের স্ত্রী শামীমা ইসলাম বটি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ করে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিশুটি। পরে সাভার হয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশের সহায়তা নিয়ে বাসে করে শনিবার ভোরে সে বাড়ি পৌঁছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এদের বিচার হওয়া দরকার। ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০১

নাঈম রেজা বলেছেন: অপরাধকে অবস্য সাজা প্রাপ্ত হওয়া চাই।
এমন র্ঘিনিত কাজ আমরা কেউ না করি- ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

মানবী বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কথায় কথায় লোকজনকে চড় থাপ্পড় দেবার বদ অভ্যাস আছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
এভাবে গরম খুন্তি ছ্যাকা দেয়া শুধু মাত্র ভয়ানক মানসিক অসুস্থতায় ভোগা কোন রুগীর পক্ষেই সম্ভব।

যে কাউকে বিশেষ করে ঘরে সাহায্য করতে আসা কিশোর কিশোরীকে গরম খুন্তির ছ্যাকা, ছুরি চাকু দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে যারা তারা সাইকোপ্যাথ। এদের কোন ভাবে সমাজে স্বাধীন চলাফেরা করতে দেয়া অনুচিৎ।

তীব্র ঘৃনা এসব নরপশুদের।

সচেতনতা সৃষ্টিকারি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

আহলান বলেছেন: দুঃখ জনক। তবে বিষয়টি অপ্রমাণিত। তার শরীরে ওল্ড ইন্জুরি আছে ডাক্তার বলেছে। সেটা কিভাবে হয়েছে সেটা কেও জানেনা।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

শেখ মোঃ জাকির হোসেন দিনাজপুর বলেছেন: ভাই নিউজ পেপার গুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে শতকরা ৯৯% কাজের মেয়েদের উপর সবরকমের নির্যাতন চালোনো হয়, শারিরীক নির্যাতন যৌন নির্যাতন অর্থনৈতিক সব ---সব।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

ভোরের সূর্য বলেছেন: অবশ্যই বিচার হওয়া উচিৎ। কিন্তু এর সাথে সাথে আমাদের সবার একটু সজাগ হওয়া দরকার সেটা হল নির্যাতন করাতো অনেক দূরের ব্যাপার বাসায় ১৮ বছরের নীচে কোন কাজের লোকই রাখা উচিৎ না কেননা এটা আইন বিরুদ্ধ। একটি ১০/১২ বছরের ছেলে/মেয়ে হচ্ছে শিশু। শিশু শ্রম আমাদের দেশে নিষিদ্ধ এছাড়াও এটা বিবেকের প্রশ্ন। এখানে অনেক ব্লগারদেরই নিজেদের ছেলে মেয়ে আছে যাদের বয়স ১০/১২ বছর কিংবা শিশু। একবার একটু চিন্তা করে দেখুন তো আপনার সন্তান কে ভাগ্যের ফেরে যদি কারো বাসায় কাজ করতে হয় এবং তার উপর এরকম নির্যাতন করা হয় তাহলে কেমন লাগবে আপনার?
গরীব বলেই হয়তো এই রকম ১০/১২ বছরের সোজা কথায় অনেক শিশু অনেকের বাসায় কাজ করে। আমাদের উচিৎ এরকম শিশুদের গৃকর্মী না রাখা। আর অবশ্যই আমাদের মানবিক হতে হতে।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

সজিব হাওলাদার বলেছেন: এবার বিচারপতির বিচারের পালা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.