নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাই নাই

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান

অতি সামান্য একজন মানুষ। যা আছে তা নিয়েই সুখী।

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত মানুষদের শহর (ছোটগল্প)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

ভিড় ঢেলে অনেক কষ্টে মার্কেট থেকে বের হয় জাহিদ। অন্য সময় কনুই দিয়ে গুতো মেরে খুব সহজেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যেতো। ভিড়ের চাপে ভর্তা হয়ে মেজাজ হয়ে যেতো তিরিক্ষি আর খিস্তিখেওড় করতে করতে হয়তো বাসায় ফিরতো। কিন্তু আজ সাথে তার ছেলে আছে। ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান করছিলো। তার নাকি চেনওয়ালা জ্যাকেট লাগবে, যেগুলোর হাত খোলা যায়। হঠাত জ্যাকেট কেন বাবা? তোর আগের জ্যাকেট খানা কোথায় গেলো? এ জিজ্ঞাসার সাথে সাথেই মিলি ছেলের আগের জ্যাকেটখানা তার সামনে মেলে ধরে। বউয়ের হাতে ধরা জ্যাকেটখানার দিকে তাকিয়ে বেশ লজ্জ্বাই পেয়ে যায় জাহিদ। অঙ্কন এবারে ক্লাস সিক্সে উঠবে। তার গায়ে মনেহয় একটু ছোটই হবে জ্যাকেটখানা। তার উপরে দুটো বোতাম নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও কোনমতে ঢিলেঢালাভাবে আটকে আছে। বোতামের ঘরগুলোর অবস্থাও বেশ খানিকটা জরাজীর্ন। সরকারী ব্যাংকের ছাপোষা চাকুরীখানা নিয়ে জাহিদের টানাটানির মধ্যবিত্ত সংসার হলেও, ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, পরের শুক্রবারে হবে মিশন চেনওয়ালা জ্যাকেট। তো আজ মিশন সাকসেসফুল। ছেলের হাতে চেনওয়ালা নতুন জ্যাকেট। চোখেমুখে রাজ্যের আনন্দ। জাহিদের পকেট থেকে পুরো সাতশো টাকা বেরিয়ে গিয়েছে এর জন্যে। একটা জ্যাকেটের দাম এতো হয় কিভাবে ভেবে পায়না জাহিদ। তাও আবার বাচ্চার মাপের। বড়দের হলেও কথা ছিলো। ছেলেকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি আর দামাদামির পরে অবশেষে হাতে পাওয়া গেলো চেনওয়ালা জ্যাকেট। হয়তো এ মাসের শেষের দিকে এই খরচের জন্যে একটু টানাটানিও হতে পারে। কিন্তু এতো চিন্তার মাঝেও ছেলের আনন্দিত চেহারার দিকে তাকিয়ে সব ভুলে যায় জাহিদ।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: সত্যিই গল্পটা অনেক অনেক সুন্দর।আমরা ইচ্ছা করলেই পারি অন্যের মুখে হাসি ফোঁটাতে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। পারি। অবশ্যই পারি। সেজন্যেই এই শহরটা বেঁচে আছে।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষের টুইস্টটা ভাল লেগেছে| সুন্দর গল্প

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। বাশিওয়ালার ভূমিকাটা প্রথম থেকেই লুকিয়ে রাখার ইচ্ছেটা সফল দেখা যাচ্ছে :)

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: মানুষকে খুশি করা কতোই না সহজ। এর জন্য চাই আমাদের একটুখানি ইচ্ছা। আসন্ন শীতে আমরা হয়তো দুই-একজনকে এভাবে খুশি করতে পারি। গল্পটা ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ। এবং আমরা অনেকই তা করি দেখেই এখনো দেশটা বেঁচে আছে।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সাবলীল বর্ণনা এবং গল্পটি ভালো লাগল।

প্লাস।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম :)

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: গল্পটা সুন্দর ও শিক্ষণীয়।

আমরা ইচ্ছে যার যার অবস্থান থেকে সাহায্য করলে কেউই আর শীতে কষ্ট পেতো না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

মিয়া মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্যাপারটা আসলে এমন যে, দশের লাঠি একের বোঝা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.