নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধ্যাত্মিক পুরুষ, ধর্মগুরু; খানকা থেকে বলছি।

মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দেবার দুরন্ত প্রয়াস

জেড মাহদিন

আমি এতিম, দরিদ্র, মুসাফির। হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে, অনিশ্চিত এক গন্তব্যের উদ্দেশে। আক্ষরিক অর্থেই আমি পথিক। একে একে জীবনযাত্রার সব সুতো কেটে দিচ্ছি। কাগজের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ির দুরন্ত প্রয়াস, যে সাগরের পাড় নেই। আমি একটি রাজ্যের মালিক, রাজা। রাজ্য পুনরুদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অর্জনে চেষ্টিত। আমি মানবতার মুক্তির জন্য বিবেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শোষিত-বঞ্চিতের পাশে দাঁড়াতে চাই।

জেড মাহদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি উত্থানের সম্ভাবনা নেই

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আবার চান্স নিতে চেষ্টা করছে। কিন্তু হায়! জনগণ যদি বুঝত, সব ভণ্ডের একই রূপ। তাছাড়া বাংলাদেশ আর আগের অবস্থায় নেই। আগে যদিও সামান্য কিছু দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী ও মন্ত্রী-এমপি পাওয়া যেত, এখন সেটা সোনার হরিণ। এর পেছনে জাতীয়-আন্তর্জাতিক অনেক কারণ নিহিত। জাতীয় একটি কারণ- কারও ঘরে চাল নেই, ডাল নেই, পকেটে টাকা নেই, সৎভাবে পেট পালার ব্যবস্থা এখন আর নেই। ভিক্ষুক থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত সবাই জীবন ধারণের জন্য অসৎ উপায় অবলম্বন করেছে। যারা 'দেশপ্রেম', 'জনগণ' ও 'গণতন্ত্রের' ধোঁয়া তুলেন, তারা মূলত পেট পালারই একটা সুরাহা করেছে।

অবশ্য শুরুতে পেট পালার লক্ষ্য থাকলেও বর্তমানে তা নিজের ও বংশধরদের ভোগ-বিলাসের পাকাপোক্ত ব্যবস্থায় রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক একটি কারণ, কোনও সৎ নেতৃত্বের বিকাশ বা সৎ প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না। বিভিন্ন কলা-কৌশলে সবাইকে 'বন্দী' করে রাখা হয়েছে। কেউ বুঝে, কেউ বুঝে না। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি! আহা বেচারা!! তোমার সাফল্য এখানেই যে চরম হতাশ, দারিদ্র-পীড়িত জনগণের আকাশে মাঝে মধ্যে ঝিলিক দাও, দু'এক মাসের জন্য একটু আশার আলো দেখাও। দুর্ভাগা জাতির জন্য এটাও কম কীসে!!! কত শুনলাম এলডিপি, বিকল্প ধারা, সামাজিক শক্তি না কি যেন, গণফোরাম, আরও কতো কি!



ইদানিং নিয়মিত বিরতিতেই তৃতীয় শক্তির আওয়াজ শুনা যায়। এভাবে চলুক না আরও চল্লিশ বছর। তারপর একদিন ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের হয়ে স্বাধীনতার স্বাদ নেবে। তাদের সুখে আমাদের আত্মা কবরে শান্তি পাবে।

বাঙ্গালী বড় বিশৃঙ্খল জাতি। তবে কেউ একবার শৃঙ্খলিত করতে পারলে যুগের পর যুগ এই জাতি অন্ধের মতো সেই বৃত্তেই আটকে থাকে। যে কারণে মুজিবের গড়া সেই বাকশাল থেকে এবং জিয়ার গড়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিকৃত রূপ বর্তমান বিএনপি থেকে আমাদের 'মহৎপ্রাণীরা'ও বেরুতে পারছেন না । যদিও বড় দু'টি দলের কর্মকাণ্ডে চূড়ান্তভাবে হতাশ হয়ে জনগণ তৃতীয় শক্তির সন্ধান করছে। জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট কখনও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাতে পারবে না। তবে সবসময়ই একটা সাইড-ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়ে বড় দু'টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে তাদের শক্তিই বৃদ্ধি করবে। কখনও এককভাবে নির্বাচন করতে সাহস পাবে না। আর তৃতীয় কোনও শক্তি সঙ্গত কারণেই হালে পানি পাবে না। সুতরাং অন্তত আগামী দশ বছরের মধ্যে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি উত্থানের কোনও সম্ভাবনা নেই। অবশ্য সেনা অভ্যুত্থান যে কোনও সময়ই ঘটতে পারে এবং এতে জনগণেরও সমর্থন থাকবে বলা যায়। আল্লাহ যেন এদু'টোর কোনওটিই সত্য না করেন।



আমরা চাই খুব দ্রূত বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান হোক। প্রকৃতপক্ষে দ্বিতীয়-তৃতীয় শক্তি কোনও ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টর হল সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকাশ। কিভাবে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা যায় সেটাই মূল প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আমি বলি না ক্ষমতাই মূল, জনগণই শক্তি কিংবা অন্ধভাবে ধর্মের অনুসরণই সমাধান। আমি একটি কথাই বারবার বলি, ইনশাল্লাহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ কথাটিই বলে যাব এবং ঘুরেফিরে এই একটি কথাই বারবার আসবে, 'শিক্ষা ও জ্ঞানগত বিপ্লব'ই একমাত্র সমাধান।

একদিকে সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণকে শিক্ষিত ও জ্ঞানী করে তুলতে হতে হবে, যাতে তারা খুব সহজেই সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করতে পারে। ধোঁকা-প্রতারণা বুঝতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজ থেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। অন্যদিকে সমাজ-রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিদের জ্ঞানগত স্পর্শের সাহায্যে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন। রাজনৈতিক ছেলেখেলা ও নোংরামী থেকে মুক্তি লাভ করেন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে জাতির সুযোগ্য নেতৃত্ব ও মহৎ ইচ্ছা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন।

রচনা : রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.